Thursday, March 31, 2022

বিজেপি কর্মীর দোকান দখল করে ভাঙচুরের অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে নৈহাটিতে


নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার বিজেপির বুথ সভাপতির রুটি-রুজি বন্ধের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আগেই তাঁর সাইকেল গ্যারাজ দখল করে নেওয়া হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে ফিরিয়ে দিতেই গ্যারেজ ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।

 নৈহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের চিলড্রেন পার্ক সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। সাইকেল গ্যারাজটি দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে রেলের জায়গায় চালিয়ে আসছিলেন সুকুমার মজুমদার। সঙ্গে একটি চায়ের দোকানও ছিল। সেটি ওনার দিদি চালাতেন। তিনি নৈহাটির ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির বুথ সভাপতির পদে রয়েছেন। তাঁর পাঁচ বছরের প্রতিবন্ধী এক কন্যা সন্তান বর্তমান।  

অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের পর তিনি বাড়ি ছাড়া হয়ে যান। সেসময় স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বিষ্ণু অধিকারীর নেতৃত্বে তাঁর সাইকেলের গ্যারাজ ও চায়ের দোকান দখল করে নেওয়া হয়। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সুকুমার মজুমদার ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের দারস্থ হয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাঁকে বাড়িতে দিয়ে যায়। 

সুকুমার বাবু জানান, গত ১৮ মার্চ নৈহাটি থানার আই সি দখলদারদের ডেকে দোকান খালি করার নির্দেশ দেন। কিন্তু গ্যারাজ দখল না পেয়ে ২২ মার্চ তিনি নৈহাটি থানার পাশাপাশি ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। এরপর গত ২৫ মার্চ বেলায় নৈহাটি থানার পুলিশ এসে গ্যারেজ খালি করার নির্দেশ দেয়। ওইদিন রাতেই গ্যারাজ ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ বিজেপির বুথ সভাপতির। 

ঘটনা নিয়ে সুকুমার বাবুর স্ত্রী শিপ্রা মজুমদার ২৯ মার্চ রাতে স্থানীয় বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিতভাবে বিষয়টি জানান। ঘটনা নিয়ে পরদিন ৩০ মার্চ নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও সুকুমার বাবুর দাবি, এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি। 

বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সহ-সভাপতি রূপক মিত্র বলেন, দোকান খালি করার ক্ষেত্রে আদালতের রায় মানছে না শাসকদলের লোকজন। এমনকি দলীয় কার্যকর্তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমনভাবে সহযোগিতা পাচ্ছেন না। প্রতিবন্ধী কন্যাকে নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন দলীয় কার্যকর্তা। যদিও এই বিষয়ে নৈহাটির তৃণমূল সভাপতি সনৎ দে জানিয়েছেন, ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।

বিধানসভার মধ্যে বিধায়কদের ওপর হামলার কথা শুনলেন অমিত শাহ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত মজুমদার, মনোজ টিগ্গা সহ বিধায়করা। 

বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বিধানসভার পরিষদীয় নেতা মনোজ টিগ্গা সহ আহত কয়েকজন বিধায়ককে নিয়ে অমিত শাহের কাছে যান। গত ২৭ শে মার্চ বিধানসভার মধ্যেকার ঘটনার কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে খুলে বলেন মনোজ টিগ্গা। 

বিস্তারিত শুনে অমিত শাহ তাদেরক লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন বলে জানান বিজেপি পরিষদীয় নেতা মনোজ টিগ্গা। এদিন সুকান্ত মজুমদার রামপুরহাটের বগটুই গণহত্যার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টের কপি অমিত শাহের হাতে তুলে দিলেন। 

গতকালই বিজেপির পাঁচ সাংসদ গণহত্যার ঘটনাস্থল ঘুরে তৈরি রিপোর্ট দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তার একটি কপি অমিত শাহকে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।

Wednesday, March 30, 2022

হালিশহরে উপ পুরপ্রধানের বাড়ির সামনে বোমা পড়ল


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বোমা, বন্দুকের দাপটে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। রাতে নিশ্চিন্তে বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকাটা এখন দুষ্কর হয়ে উঠেছে। গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য চরমে। বোমাবাজি-গুলির ঘটনা আকছাড় ঘটছে। 

বুধবার ভোরে হালিশহর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বানীমন্দির এলাকায় উপ-পুরপ্রধান শুভঙ্কর ঘোষ ওরফে সোনাইয়ের বাড়ির সামনে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। উপ-পুরপ্রধানের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও, বোমার স্প্রিন্টারে পাশের বাড়ির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কাঁচরাপাড়ার পুরপ্রধান কমল অধিকারী এবং হালিসহর তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাউন্সিলর প্রবীর সরকার।

 এই ঘটনা নিয়ে উপ-পুরপ্রধান শুভঙ্কর ঘোষের দাবি, একটা সময় তোলাবাজদের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। এখন তোলাবাজি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতেই ক্ষেপে গিয়ে দুষ্কৃতীরা চমকাতে বোমাবাজি করেছে। পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত করছে।

Tuesday, March 29, 2022

পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও জগদ্দলের ফুলুরি মোড়ে বোমাবাজি


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আবারো বোমাবাজি ব্যারাকপুর কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির কাছে।  ভাটপাড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আটচালা বাগান রোডের ফুলুরি মোড়ে সোমবার রাতে ফের বোমাবাজি। 

অভিযোগ, মনোজ জয়সওয়ালের বাড়ির ঠিক গেটের সামনে পরপর দুটো বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। বোমার শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। এর আগে ফুলুরি মোড়ে লাগাতার বোমাবাজির ঘটনায় সেখানে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছিল। 

পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও,  ফুলুরি মোড়ে বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা। তবে কি কারনে বাড়ির গেটের সামনে বোমা মারা হল, তা নিয়ে অন্ধকারে  জয়সওয়াল পরিবার। ঘটনার তদন্তে জগদ্দল থানার পুলিশ।

Monday, March 28, 2022

বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার গুরুতর চোট, হাসপাতালে ভর্তি না রাখা নিয়ে পুলিশি চাপের অভিযোগ শুভেন্দুর


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিধানসভায় মারামারি। লাথি, ঘুষি, চুলের মুঠি ধরে টান থেকে ফেলে পেটানোর ঘটনা ঘটলো। কারা এরা? না বিধায়ক। এক একটি বিধানসভার অভিভাবক। বাদ পড়লেন না বিজেপির মহিলা বিধায়করাও। তাঁরাও আহত হলেন। 

আর এই ঘটনার পর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির পরিষদীয় নেতা মনোজ টিগ্গার কলার ধরে টেনে মাটি থেকে তুলছেন এক তৃনমূল বিধায়ক। এই ঘটনা ঘিরে শাসক-বিরোধী অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ ঘিরে দিনভর উত্তপ্ত রইল রাজ্য রাজনীতি।

কিন্তু সন্ধ্যায় বিতর্ক আরো তীব্র হলো বিধায়ক মনোজ টিগ্গার গুরুতর চোট থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে। আহত ১০ জন বিজেপি বিধায়ককে বেসরকারি এ্যপেলো হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। 

সন্ধ্যেয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁদেরকে দেখতে যান। সেখানে তাঁরা জানতে পারেন, মনোজ টিগ্গার পাঁজরের হাড়ে চিড় রয়েছে। তা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছুটি দিয়ে দিয়েছে। 

এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে হাসপাতালেই সরব হতে দেখা যায়। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। যাতে এখানে বিজেপির কোনো বিধায়ককে ভর্তি রাখা না হয়। এটাই বাংলার বাস্তব অবস্থা। সবকিছু চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।













বিধানসভার মধ্যে বিধায়করা আক্রান্ত হতেই দিল্লিতে প্রতিবাদে বিজেপি সাংসদরা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিধানসভার মধ্যে বিজেপির বিধায়করা আক্রান্ত এই অভিযোগে দিল্লিতে গান্ধী মূর্তির সামনে প্রতিবাদে সামিল হলেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। 

তাঁদের অভিযোগ,রাজ্য জুড়ে একের পর এক খুন হচ্ছে। ধর্ষনের মত ঘটনা ঘটছে। জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে সাধারণ গ্রামবাসীদের। রাজ্য জুড়ে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি। তার প্রতিবাদ বিজেপি বিধায়করা বিধানসভায় করতেই তৃণমূলের বিধায়করা আক্রমণ চালায়। এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাতেই সাংসদরা গান্ধী মূর্তির সামনে জড়ো হন। ছিলেন লকেট চ্যাটার্জি, অর্জুন সিং, 
সৌমিত্র খাঁ, দেবশ্রী চৌধুরীরা।

বিধানসভায়ও তৃনমূল-বিজেপি হাতাহাতি, জামা ছিঁড়ল, নাক ফাটল বিধায়কদের

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিধানসভায় নজিরবিহীন ঘটনা। বিজেপি বিধায়কদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কদের বিরুদ্ধে। ভাঙল লাইট, চেয়ার। হাতাহাতি-লাথি থেকে রক্তারক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল বিধানসভা। চরম লজ্জার। শেষে বিরোধী দলনেতা সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককেই সাসপেন্ড করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। 

এদিন মাটিয়ায় নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনা থেকে বগটুই গণহত্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। একটা সময় বিজেপির মহিলা বিধায়করা অধ্যক্ষেরর চেয়ারের দিকে যেতেই নিরাপত্তা কর্মীরা বাঁধা দেয়। 

এরপরই বিজেপির পরিষদীয় নেতা মনোজ টিগ্গার সাথে শাসকদলের বিধায়কদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। সেখান থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দুই দলের বিধায়কদের। লাথি, ঘুষি, জামার কলার ধরা থেকে চশমা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

মনোজ টিগ্গার অভিযোগ, তাঁকে মারা হয়েছে। তাঁর জামা টেনে ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন মহিলা বিধায়কও আক্রান্ত হন। অপরদিকে তৃনমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের দাবি, তাঁকে শুভেন্দু অধিকারী ঘুষি মেরেছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য এস এস কে এম হাসপাতালে গিয়েছেন। 

বিধানসভার কক্ষে লজ্জার এই ছবি উঠে আসতেই বিজেপি বিধায়করা বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এই ঘটনা নিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্ধ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, শংকর ঘোষ, দীপক বর্মন ও নরহরি মাহাতকেই সাসপেন্ড করলেন। 

যা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, বাইরে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। বিধানসভায়ও গণতন্ত্রের গলা টিপে দেওয়া হচ্ছে।

বামেদের ধর্মঘটে প্রভাব নেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে, রেল ও রাস্তা কিছুক্ষন আটকাল


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাম শ্রমিক সংগঠনগুলোর ডাকে দু'দিনের দেশব্যাপী ধর্মঘটে হয়রানির শিকার মানুষ। রেল, রাস্তা কিছু সময়ের জন্য আটকে রেখে পুরনো রাজনীতিকেই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাল বামেরা। 

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি-সহ ১২ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলো দুদিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সোমবার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটে তেমন প্রভাব পড়ল না। শিল্পাঞ্চলের সমস্ত জুটমিলগুলো এদিন খোলা ছিল। বাজার, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ সবই সচল ছিল। ফেরি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেনি। 

সকাল সাতটা নাগাদ ঘোষপাড়া রোডের শ্যামনগর চৌরঙ্গী মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন ধর্মঘটিরা। নোয়াপাড়া ও জগদ্দল থানার পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। এরপর ধর্মঘটিরা শ্যামনগর স্টেশন সংলগ্ন ২৩ নম্বর রেলগেটে রেল অবরোধ করে। তারা রেললাইনের মাঝে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। 

অবরোধ শুরু হওয়ার কিছুক্ষন বাদেই জগদ্দল থানার আই সি প্রদীপ কুমার ডানের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে জোর করে অবরোধ তুলে দেয়। ইছাপুর অশোকনগর মোড়ে ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ধর্মঘটিরা। নোয়াপাড়া থানার আই সি পার্থ সারথি মজুদারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জোর করে অবরোধ তুলতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতন্ডা বেধে যায়। 

ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির সামনে এবং ইছাপুর বাদমতলা মোড়ে এদিন পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ধর্মঘটিরা। এদিকে বনধের সমর্থনে ব্যারাকপুরে মিছিল করে সিপিআইএম। বেলঘড়িয়া ফিডার রোডে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বনধ সমর্থকরা। 

বেলঘড়িয়া স্টেশনে রেল অবরোধ করতে ধর্মঘটিরা জমায়েত হয়েছিলেন। বেলঘড়িয়া থানায় বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে অবরোধকারীদের জোর করে হটিয়ে দেয়। ফলে দুপক্ষের মধ্যে বচসা থেকে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। 

তবে শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘট সফল বলে দাবি করেছেন সিটু নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, জুটমিলগুলোতে রাতের শিফটের শ্রমিকদের আটকে রেখে মিল চালানো হয়েছে।

Sunday, March 27, 2022

বাংলা থেকে তৃণমূলকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার সময় এসেছেঃ অধীর চৌধুরী


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  আমতায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নিহত ছাত্র নেতা আনিসের গ্রামে মন্ত্রীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। এবার বাংলা থেকে তৃণমূলকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করার সময় এসেছে। রবিবার ন্যায় যাত্রায় পা মিলিয়ে চাঁচাছোলা বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। 

এদিন হাওড়ার কদমতলা বাজার থেকে কলকাতা বড়বাজার পর্যন্ত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ন্যায় যাত্রায় পা মেলালেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পদযাত্রা থেকে আমতার প্রতিবাদী ছাত্র নেতা আনিস খান খুনে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কাঁদুর খুনের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানানো হয়। এছাড়া রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গণহত্যার সঠিক তদন্তের দাবিতে সোচ্চার হয় কংগ্রেস কর্মীরা। 

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, আনিস খুনে পুলিশই জড়িত। খুনীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, মোদি-দিদি মিলে মানুষের ওপর ডাকাতি করছে। সংসদে ও সংসদের বাইরে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কংগ্রেসের প্রতিবাদ জারি থাকবে বলেও তিনি জানান।

বগটুইয়ে সোনা শেখের বাড়ি থেকে হাসুয়া ও শাবল মিলেছে, অস্থায়ী ক্যাম্পে এনে আনারুলকে জেরা সিবিআই'র

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে আজও সকাল থেকে সিবিআই-এর প্রতিনিধিরা তল্লাশি চালান। সি এফ এস এল এর প্রতিনিধিরা থ্রি ডি স্ক্যানার দিয়ে তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সোনা শেখের বাড়ি থেকে একটি হাসুয়া ও শাবল তারা উদ্ধার করেছে। সম্ভবত মনে করা হচ্ছে ওই হাসুয়া ও শাবল খুনের সময় ব্যবহার করেছিল দুষ্কৃতীরা। 

এই বাড়ি থেকেই দমকল আগুনে পুড়ে যাওয়া সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। সিটের প্রাথমিক তদন্তেও উঠে এসেছিল আগুন দেওয়ার আগে মানুষগুলোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সময় গ্রামের কেউ কেউ লুকিয়ে সেই দৃশ্য দেখেছিল। গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়াদের অনেকেই সে কথা আগেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছিল। 

এদিন সিবিআই অফিসাররা রামপুরহাট হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের বয়ান রেকর্ডও করেন। গণহত্যার ঘটনায় ধৃত আনারুল সহ ২১ জনকে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তাদেরকে সিবিআই-র অস্থায়ী ক্যাম্পে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে এমনটাই সূত্রের খবর।

Saturday, March 26, 2022

বগটুইয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প বানাবে সিবিআই, ধৃতদের সেখানেই জেরা

 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বগটুই-এ অস্থায়ী ক্যাম্প করতে চলেছে সিবিআই। গণহত্যা কান্ডের তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে চালাতে গেলে কলকাতা থেকে নিয়ম করে বীরভূমের রামপুরহাটে এসে তদন্তে যথেষ্ট সময় নষ্ট হবে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে সিবিআই রামপুরহাটের কোনো একটি গেষ্ট হাউজকেই ক্যাম্প অফিস বানাবে এমনটাই সূত্র মারফত জানা গেছে। 

ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর ৩০ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে। শনিবার তিনটি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা গোটা বগটুই গ্রামে একটি পর একটি পোড়া বাড়িতে যায়। আগে থেকেই সেন্ট্রাল ফরেনসিক দল (CFSL) সেখানে নমুনা সংগ্রহ করছিল। পর পর দুদিন তারা নমুনা সংগ্রহ করে। 

এদিন থ্রী ডি স্ক্যানিং ক্যামেরা বসিয়ে পোড়া বাড়িগুলি ও ধ্বংসস্তূপের বিবরণ সংগ্রহ করেন বিশেষজ্ঞরা। কিভাবে আগুন লাগানো হয়েছিল, দাহ্য বস্তু কি ছিল এসবের নথি তৈরিতে এই ক্যামেরা অত্যাধুনিক। ফলে তদন্তের খুঁটিনাটি বিষয়ে বার বার ঘটনাস্থলে ছুটে আসতে হবে না তদন্তকারীদের। 

সকালে সিবিআই অফিসাররা রামপুরহাট থানায় গিয়ে কেস ডায়েরি সংগ্রহ করেন। পুলিশের হাতে ধৃত তৃনমূল নেতা আনারুল সহ ২০ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে তাঁরা আবেদনও করেন। মূলত এই অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে রেখেই অভিযুক্তদের জেরা চালাবে সিবিআই। 

সূত্রের খবর, থানার লকাপে রেখে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তে বাঁধা সৃষ্টি হতে পারে। কেননা সেখানে তাদের ওপর রাজ্য পুলিশের একটা চাপ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে হাইকোর্ট ৭ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। হাতে অল্প দিন সময়। এরই মধ্যে দ্রুত তদন্ত পক্রিয়া চালিয়ে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।

Friday, March 25, 2022

রামপুরহাটের বগটুই গণহত্যা কান্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রামপুরহাট গণহত্যা কান্ডে সিট-এর উপর আস্থা রাখতে পারল না হাইকোর্ট। অবশেষে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল। আগামী ৭ ই এপ্রিলের মধ্যে সিবিআইকে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কার্যত রাজ্য সরকারকে সিট গঠন নিয়ে নানান প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে হাইকোর্টে।

নন্দীগ্রামের পর এই প্রথম রাজ্যে এরকম একটি নৃশংস হত্যালীলার ঘটনায় আদালত স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে মামলা করেছিল। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিল। শুক্রবার আদালতের শুরুতেই প্রধান বিচারপতি এই নারকীয় ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকারের গঠিত সিট তদন্ত পক্রিয়া থেকে সরে যাবে। 

বগটুই-র নিহতদের পরিবার সহ গ্রামবাসীরা প্রথম থেকেই রাজ্য পুলিশের ওপর ভরসা হারিয়েছিল। তারা পুলিশ দিয়ে তদন্তের বিরোধীতা করেছিল। কেননা ঘটনার রাতে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে হত্যালীলায় মদত দিয়েছে এই অভিযোগে মৃতের আত্মীয়রা সরব হয়েছিল। সিবিআই তদন্তে বগটুই-র গ্রামবাসীরা কিছুটা আস্বস্ত হল।

Thursday, March 24, 2022

রামপুরহাট গণহত্যায় পুলিশ বুঝিয়ে দিল মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো ব্যক্তিকেই ধরব


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার মলম টাকা। শোক ভোলো, মুখ বোজো। সরকার তোমার পাশে। দু-চার দিনের হা হুতাশ তারপর যেইকে সেই। এটাই চ্যাম্পিয়ান রাজনীতি। রামপুরহাট গণহত্যা কান্ড এর থেকে ব্যাতিক্রম হতে পারে না। প্রশ্ন শুধু অপরাধী কে। 

এতগুলো মানুষকে কুপিয়ে, পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার মাথাটা কে? ঘটনার পর তিন দিন কেটে গেছে। পুলিশ মাথাকে খুঁজে পায়নি। ঘটনার পর পুলিশের ডিজি রাজনৈতিক নেতার মতো বক্তব্য পেশ করেছেন। সিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকৃত সত্য, আগুন লাগানো হয়েছে বলে ফেলেন। তার আগেই রামপুরহাটের এস ডি পিও ও থানার ওসিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বগটুই-এ গিয়ে ঠিক করে দেন কাকে ধরতে হবে। না তাঁর দলেরই ব্লক সভাপতি আনারুলকে ধরার নির্দেশ দিলেন পুলিশের ডিজিকে। ডিজিও নির্দেশ পেয়ে জো হুজুর করে তক্ষণাৎ বাহিনী পাঠিয়ে দিলেন আনারুলের বাড়িতে। শেষে তারাপীঠ থেকে আনারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এমনকি মুখ্যমন্ত্রী স্বজনহারাদের সামনে দাঁড়িয়ে পুলিশকে বলে দিলেন, এমন ভাবে কেস সাজাতে হবে যাতে দোষী ছাড়া না পায়। সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের পরামর্শে সূঁচপূরের নমুনাও জুড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ বোধহয় হাফ ছেড়ে বাঁচলো। যাক বাবা যার গোরু সে যখন জবাই দিতে বলছে আমাদের আর চাপ নিতে হবে না। 

শাসক আর পুলিশের এই মেলবন্ধন বাংলার রাজনীতিতে দলিল হিসেবে উল্লেখিত। সূচপুর, নানুর, নেতাই-র পর নতুন সংযোজন বগটুই। আইন নাকি আইনের পথে হাঁটে। কিন্তু টাকা হাতে হাতে ঘোরে। সাক্ষী, প্রমান ছোটো আদালত থেকে বড়ো আদালতের দরজায় পৌঁছতে পৌঁছতে চটি খয়ে যায়। 

বিচারের শেষ পরিনতি সিঙ্গুরের তাপসী মালিকের বাবা, পার্কসার্কাসের রিজওয়ানুরের মা, নন্দীগ্রামের নিহতদের পরিবার আজও দেখতে পাননি। প্রথম দিকে কিছু উলুখাগড়াকে গারদে ভরে দেওয়া হয়। কিন্তু অন্তরালে বহাল তবিয়তে থেকে যায় মূল মাথা। ওটা অবশ্য রাজনৈতিক মাথা। 

রামপুরহাটের বগটুই-র ক্ষেত্রে একা আনিরুলের মাথা কাজ করেছে এটা তদন্তের বিষয়। আনারুল তাঁর নেতার নির্দেশ না মেনে এতবড় নৃশংস হত্যালীলা চালালো? মদতদাতা কেউ না কেউতো রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আনারুলকে গ্রেপ্তারের নিদান দিতেই সেই নেতা বোধহয় একটু স্বস্তি পেলেন।

Wednesday, March 23, 2022

বুদ্ধি বন্দক রেখে ধান্দায় মজে বুদ্ধিজীবীরা, রামপুরহাট গণহত্যায় মুখ লুকোচ্ছেন


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাংলায় কিছুই পরিবর্তন হয়নি। ভাষা, রুচি, দম্ভ, ঔদ্বত্য যে যে গুনে লালেরা চক্ষুশূল হয়ে গিয়েছিল ঠিক এর থেকেও কিছু বেশি গুন পরবির্তনের লোকেদের গ্রাস করেছে। রামপুরহাট গনহত্যা কান্ডের পর থেকে এভাবে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।

 কি নৃশংসতা। শিশু সহ এতগুলো মানুষকে ঘরের মধ্যে পেট্রল ঢেলে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হল। অথচ শোক-তাপ হীন বাংলায় পরিবর্তনের সেই বুদ্ধিজীবীকূল। বাম আমলে নন্দীগ্রাম কান্ডের পর এঁরাই পথে নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন। যদিও এদের সিংহভাগই তৃনমূল সরকারের বিভিন্ন কমিটিতে রয়েছেন। 

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে এরকম নৃশংসতার ছবি দেখার পরও এনারা কেন চুপ সোস্যাল মিডিয়ায় সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। কটাক্ষ, টিপ্পনী, ধান্দাজীবি থেকে 'তৃণমূলের মাসোহারা' বাক্যবানে এদেরকে তুলোধোনা চলছে। গনহত্যার ৩৬ ঘন্টা কেটে যাওয়ার পর অবশ্য এই বুদ্ধিজীবীকূলের দু-চারজনের মাতৃভাষা সামনে এসেছে। 

একটি সর্বভারতীয় বাংলা বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যম প্রথম গায়ক কবীর সুমনকে ফোন করে গনহত্যা প্রসঙ্গের কথা বলতেই পালিয়ে বাঁচলেন মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য গায়ক। তিনি কিছু বলবেন না বলে এখন সঙ্গীতের রাগ নিয়ে রয়েছেন সেকথা শুনিয়ে দিলেন। অপর একটি সংবাদ মাধ্যম অন ক্যামেরায় নাট্যকার বিভাস চক্রবর্তীকে ধরতেই তিনি অকপটে জানিয়ে দিলেন, গনহত্যার বিষয়টি তিনি শোনেন নি। 

এদিকে ধরি মাছ না ছুঁই পানি গোছের বুদ্ধিজীবী অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনরা নীরব। তাঁদের বিবৃতি বা দেখা কেউ পায়নি। অথচ উত্তর প্রদেশ, গুজরাটে কিছু ঘটলেই ওঁরা সরব হয়। মোমবাতি হাতে রাস্তায় নেমে পড়েন। কিন্তু বাংলায় শিশু, নারী সহ ১০ জনকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার এত বড়ো ঘটনায় বাংলার এই বুদ্ধিজীবীরা মুখ লুকিয়েছেন। 

পরিস্থিতি বলছে এরা এখন অসহায়। দুহাত ভরে নিজেদের উন্নয়ন গিলে নিয়ে ওগরাতে পারছেন না।

Tuesday, March 22, 2022

রামপুরহাটে গনহত্যা, বগটুই গ্রামে আগুনে পুড়িয়ে মারা হল ১০ জনকে


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফের বাংলায় গনহত্যা। বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ১০ জনকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গ্রামের একটি বাড়ি থেকেই ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে দমকল। আশংকা মৃতদের মধ্যে মহিলা ও শিশু রয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে উত্তাল গোটা রাজ্য। 

একটি খুনের বদলা নিতে ১০ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে এমনটাই গ্রামবাসীদের অভিযোগ। সকালে রামপুরহাটের এস ডি পি ও কে সরিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে রামপুরহাট থানার ওসিকে ক্লোজড করা হয়েছে।

সোমবার বগটুই গ্রামে খুন হন পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ। এরপরই রাতে ওই গ্রামে তান্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। রাতভর গ্রামে বোমাবাজি চালিয়ে অন্তত ১৫ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভোরের আলো ফুটতেই রামপুরহাটের নৃশংস হত্যালীলার ছবি বেরিয়ে আসে। ভয়ে, আতঙ্কে মুখ বুজে গোটা গ্রাম। বহু বাসিন্দা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। 

ঘটনার পরপরই পুলিশ, প্রশাসন ও তৃনমূলের নেতাদের গরমিলের বক্তব্য জোরালো ভাবে সামনে এসেছে। এই বর্বর গনহত্যা সংগঠিত হয়েছে যে জেলায় সেটি বীরভূমের তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুক। ঘটনার পর তাঁর বক্তব্য ছিল, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। 

এদিকে কলকাতায় বসে রাজ্য পুলিশের ডিজি সাংবাদিক সম্মেলন করে আগে ভাগেই জানিয়ে দেন, আগুন লাগার ঘটনায় রাজনীতির যোগ নেই। ঠিক তার পরেই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সিট-র প্রতিনিধি জানিয়ে দেন, আগুন লাগানো হয়েছে। মুহুর্তে মুহুর্তে প্রশাসনের বয়ানে অসঙ্গতি। আর এ থেকেই রাজ্যে আইনের শাসন নিয়ে বার বার বিরোধীদের তোলা অভিযোগ মান্যতা পেয়ে গেল।

Saturday, March 19, 2022

সাত দিনের মধ্যে ফের আগরপাড়ায় খুন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তৃনমূল কাউন্সিলরের খুনের সাত দিনের মধ্যে ফের পানিহাটিতে খুন। এবার পাশের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আগরপাড়ার নয়াবস্তি এলাকা থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে। 

মৃত যুবক মহম্মদ আরবান। বাঁশ বাগান এলাকার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে দাবি, তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে৷ গত রবিবার ঠিক পাশেই ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুন হন। এক সপ্তাহের মধ্যেই আবারো খুনের ঘটনায় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছে। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৫ দিন আগে সে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। যদিও নয়াবস্তির ওরকম ঘিঞ্জি এলাকায় নিয়ে গিয়ে কে বা কারা তাকে পিটিয়ে হত্যা করল তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Thursday, March 17, 2022

অর্জুন গড়ে বিরোধী শূন্য পুরবোর্ড গঠনে অতিথি ১৪৪ ধারা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিরোধী শূন্য পুরবোর্ড গঠনের শপথ অনুষ্ঠানে অতিথি ১৪৪ ধারা। তাও আবার ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গড়ে। সাধারণ মানুষের বিন্দুমাত্র উৎসাহ ছিল না। শুধুমাত্র ক্ষমতাকে ঘিরে করে কম্মে খাওয়াদের হিসেবে কষে দেখনদারি ছিল পুরসভাগুলির চত্বর জুড়ে। 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তর ব্যারাকপুর, গারুলিয়া, ভাটপাড়া, হালিসহর, কাঁচরাপাড় পুরসভা পুলিশ দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই নাকি ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে প্রশাসনকে। বেলা ১১ টা বাজতেই একে একে বীজপুর থেকে নোয়াপাড়া বিধানসভার সব কটি পুরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলররা শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তারপরেই পুরপ্রধানদের  নাম ঘোষণা করা হয়। 

কাঁচরাড়ার পুরপ্রধান হলেন কমল অধিকারী। শিকে ছিঁড়ল না মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের। হালিশহরে রাজু সাহানি, নৈহাটিতে অশোক চ্যাটার্জী, উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভায় মলয় ঘোষ, গারুলিয়ায় রমেন দাস এবং বহু চর্চিত ভাটপাড়া পুরসভায় রেবা রাহাকে পুরপ্রধান পদে দায়িত্ব দেওয়া হল।
 
যদিও হালিশহর ও নৈহাটি বাদে বাকি পুরসভায় উপ পুরপ্রধানদের নাম ঘোষণা ঝুলে রইল। এভাবে পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা কোনো কালেই দেখেনি। বহু পৌর কর্মচারীকে আড়ালে বলতে শোনা গেল, বিরোধী হটিয়ে অতিথি পুলিশই।

Tuesday, March 15, 2022

আনিস থেকে কাউন্সিলর হত্যা কাঠগড়ায় পুলিশই, বাম জমানার ছবি অক্ষত


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হিংসার রাজনীতিতে উন্মুক্ত বাংলা। একই দিনে রাজ্যের দুই প্রান্তে দু'জন কাউন্সিলর খুন। একজন কংগ্রেসের। অপরজন শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের। পুরুলিয়ায় ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কাঁদু খুন হলেন। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুন হয়ে গেলেন। 

দুটি ক্ষেত্রেই পুলিশ তোপের মুখে। দুই নেতার পরিবার পুলিশের তদন্তে ভরসা নেই। যদিও পানিহাটির কাউন্সিলরের স্ত্রী প্রথম দিনের বয়ান বদলে ফেলেছেন। সিবিআই তদন্ত চেয়েও সি আই ডি-র উপর আস্থা রেখেছেন। এবং বিচার পেতে মুখ্যমন্ত্রীকে ভরসা করেছেন। 

কিন্তু ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী'র পুলিশে ভরসা নেই। কেননা তাঁর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেই। তিনি প্রথম থেকেই দাবি করেন, ঝালদা থানার ওসি তাঁর স্বামীকে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিয়েছিল। মৃত কাউন্সিলরের ভাইপোর সাথে থানার ওসি'র ফোনে কথোপকথনের একটি অডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ঝালদার ওসি বলছেন, কাকাকে তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি। তার জন্য পুরনো থানায় দেখা করতে বলছেন। 

এই নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীও পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তিনি বলেছেন, এই রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই। পুরবোর্ড গঠনে ওসি কংগ্রেস কাউন্সিলরকে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিয়েছেন। বিরোধী দল নেতা সহ বিজেপি বিধায়করা কাউন্সিলরদের খুন নিয়ে পর পর দুদিন বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, শাসকের উদগ্র ক্ষিদা। ১০৪ টি পুরসভা নিয়ে হবে না। ১০৮ টি-ই চাই। তার জন্য নিজের দলের কাউন্সিলরও খুন হচ্ছেন। 

রাজ্যে এই হিংসার রাজনীতি ক্রমশ অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, এমনটাই মনে করেন আম জনতা। ছাত্র নেতা আনিস খান হত্যা থেকে ঝালদার কাউন্সিলর খুনে বার বার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাম জমানার রিজওয়ানুর খুন থেকে নন্দীগ্রামে গুলি, বিরোধীদের অভিযোগের আঙ্গুল ছিল পুলিশের দিকেই। বারো বছরে শাসকের রঙ বদলেছে। কিন্তু পুলিশ আজও লেঠেল তকমা নিয়েই রয়ে গেল।

Monday, March 14, 2022

গঙ্গার ঘাট থেকে উদ্ধার নিখোঁজ লটারি ব্যবসায়ীর মৃতদেহ


নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ গঙ্গাঘাট থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ লটারি ব্যবসায়ীর মৃতদেহ৷ মৃত ব্যক্তি সুশীল কুমার মন্ডল(৬৫)। বাড়ি বীজপুর থানার কাঁপা-চাকলা গ্রাম পঞ্চায়তের কাঁপা মাঝের পাড়ায়৷ কাঁচরাপাড়া রেল ওয়ার্কশপ ক্যারেজ গেটের কাছে তাঁর লটারির দোকান রয়েছে৷ 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ মার্চ বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন৷ চারদিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান না মেলায় ৮ মার্চ  বীজপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিবারের লোকজন৷ রবিবার দুপুরে খড়দা থানার পানিহাটি রতন বাবু গঙ্গার ঘাট থেকে নিখোঁজ লটারি ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ 

খড়দা থানার পুলিশ মৃতদেহটি শনাক্ত করতে ডেকে পাঠায়৷ পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখেন মৃতদেহটি সুশীলবাবুর৷ মৃতের ভাইপো আশীষ মন্ডল জানান, শ্যামনগরে লটারির টিকিট আনতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন৷ লটারি টিকিট কিনে একটা কাজ মিটিয়ে কাকার বাড়ি ফেরার কথা ছিল৷ কিন্তু রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় ফোন করলে কাকার ফোন বন্ধ দেখায়। 

আশীষের অভিযোগ, কাকার মৃতদেহটি শনাক্ত করতে গিয়ে দেখা যায় ওনার গলায় ধারালো  অস্ত্রের আঘাত রয়েছে ৷ কেউ হয়ত কাকাকে অন্য জায়গায় খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছে৷ পরিবারের অভিযোগ, টাকা পয়সার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে৷ এই নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার৷

পানিহাটির তৃনমূল কাউন্সিলর খুনে রাতেই শ্যুটার পুলিশের হাতে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পানিহাটির তৃনমূল কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় শুটার শম্ভু পন্ডিত ওরফে অমিতকে রাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

 স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগরপাড়ায় খুনের ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে একটি হোগলার জঙ্গলে খুনী লুকিয়েছিল। রাতে এক ব্যক্তি দেখতে পেয়ে বাসিন্দাদের খবর দেয়। স্থানীয়রা জড়ো হয়ে হোগলার বনে আগুন দিতেই খুনী বেরিয়ে আসে। এরপর তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। থানায় সুপারি কিলারকে নিয়ে গিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপর ফের পুলিশ রাতেই ওই জঙ্গলে গিয়ে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করে। খুনির সঙ্গে আর কেউ ছিল কি না পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। 

শুটার শম্ভু পন্ডিতের বাড়ি নদীয়ার হরিনঘাটা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, সকালে কাউন্সিলরের বাড়ির পিছন দিকের গলি থেকে একটি মোবাইল ফোন মিলেছে। যদিও তাতে সিম কার্ড ছিল না। সঙ্গে একজোড়া কালো জুতো পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছে।

পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুবারের তৃনমূল কাউন্সিলর ছিলেন অনুপম দত্ত(ধলা)। রবিবার রাতে বাড়ির কাছেই আগরপাড়া নর্থ ষ্টেশন রোড এলাকায় ওষুধের দোকান থেকে বেরিয়ে স্কুটির পিছনে বসা মাত্রই পিছন দিক থেকে এক ব্যক্তি হেঁটে এসে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গে কাউন্সিলর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সি সি ক্যামেরায় ঘটনার সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে। 

এই ঘটনার পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আগরপাড়া এলাকা। সোমবার বেলায় বিটি রোডের তেঁতুলতলা মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বাসিন্দারা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে তারা সরব হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অবরোধ তুলে নিলেও ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখে অবরোধকারীরা। এরপর দুপুরে সি আই ডি-র একটি টিম খুনের ঘটনাস্থলে আসে।

Sunday, March 13, 2022

গুলিতে নিহত পানিহাটির তৃনমূল কাউন্সিলর


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আগরপাড়ায় তৃনমূল কাউন্সিলর গুলিতে নিহত। মৃত কাউন্সিলর অনুপম দত্ত পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য জয়ী তৃণমূলের কাউন্সিলর। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধ্যায় দলীয় বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরেন। কিছু সময় পর বাড়ির কাছেই আগরপাড়া নর্থ ষ্টেশন রোড এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে ওষুধ কিনতে আসেন। ওষুধ নিয়ে রাস্তায় নামতেই ভিড়ের মধ্যে থেকে এক দুষ্কৃতী এসে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালায়। আর একটি গুলি বাঁদিকের কাঁধে লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন কাউন্সিলর।

 প্রথমে পানিহাটি ষ্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানায়। ঘটনাস্থলে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা সহ কমিশনারেটের অধিকারীকেরা।

Friday, March 11, 2022

তীব্র গোষ্ঠী কোন্দল, স্থগিত সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকের নাম


বিল্টু কাশ্যপ, ব্যারাকপুরঃ ঘাষফুল ক্ষমতায় আসার পর থেকে একদা 'রেজিমেন্ট পার্টি' হিসেবে খ্যাত সিপিআইএমের অবস্থা অত্যন্ত করুন। তবুও পদ আগলে রাখতে মরিয়া সিপিআইএম নেতৃত্ব। দলের চরম দুর্দিনেও গোষ্ঠী কোন্দল পিছু ছাড়ছে না লাল পার্টিকে। তীব্র গোষ্ঠী কাজিয়ায় ঘোষণা থেকে ইতি টানলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকের নাম।

 জানা গিয়েছে, নৈহাটির ঐক্যতান হলে গত ৭ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল সিপিআইএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলন। লাল পার্টির প্রথা অনুযায়ী সম্মেলনের শেষ দিনে ঘোষিত হয় জেলা সম্পাদকের নাম। কিন্তু ৯ মার্চ রাতে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটলেও, জেলা সম্পাদকের পদে আসীনের নাম অন্তরালেই থেকে গেল।

 সূত্র বলছে, জেলা সম্পাদকের পদে একাধিক নাম নাম উঠে আসায়, ওইদিন রাতেই জেলা সম্মেলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কাজিয়া মেটাতে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু থেকে শুরু করে সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব, গৌতম দেবরা ময়দানে নামলেও, তা কাজে লাগেনি। শীর্ষ নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত ওই পদ নিয়ে ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নিলেন। 

যদিও এই বিষয়ে জেলার কেউই মুখ খুলতে চাননি। সূত্র বলছে, নির্দিষ্ট একটি দিন স্থির করে ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে জেলা সম্পাদক ও জেলা কমিটি ঠিক করা হবে। নতুন কাউকে জেলা সম্পাদকের পদে বসানো হবে। অন্যথায় বিদায়ী মৃণাল চক্রবর্তীকে রেখে দেওয়া হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় সম্মেলনে যোগ দেওয়া লাল প্রতিনিধিরা। 

তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, গৌতম দেব ঘনিষ্ঠ মৃণাল চক্রবর্তীর বদলে ভাগ্যে শিঁকে ছিড়তে পারে  সোমনাথ ভট্টাচার্য ও পলাশ দাসের। সোমনাথ বাবু গৌতম দেব বিরোধী শিবির নেপাল ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ। অন্যদিকে পলাশ দাসও গৌতম দেব বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য শিবিরের বলেই পরিচিত।

Thursday, March 10, 2022

গেরুয়া ঝড়ে মমতা নয়, বিরোধী মুখ কেজরিওয়াল


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চার রাজ্যে গেরুয়া ঝড়। তারই মধ্যে দেশের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ছাপ রাখলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর তৈরি আম আদমি পার্টি পাঞ্জাবে বিপুল জয় পেয়ে ক্ষমতা দখল করল। দিল্লির পর পাঞ্জাবে আপ-এর এই সাফল্য এক অন্য ধারার রাজনীতির শিকড় ক্রমশ ছড়াচ্ছে বলে অভিঞ্জ মহল মনে করছেন।

 মাত্র কয়েক বছরের দল আপ। আঞ্চলিক দল হিসেবে এযাবৎ আর কোনো রাজনৈতিক দল নিজের রাজ্য ছেড়ে বাইরে পা রাখতে সক্ষম হয়নি। সেদিক থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সফল। গোয়া রাজ্যেও খাতা খুললেন। অপর দিকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ এ রাজ্যের তৃনমূল কংগ্রেস। গোয়াকে পাখির চোখ করেও খালি হাতে ফিরতে হল। 

না কংগ্রেস, না গেরুয়া একটু অন্য ধারার রাজনীতিতে ছাপ রাখছে আম আদমি পার্টি। যার নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গলায় একই সঙ্গে ভারত মাতার জয় ও ইনকিলাব উচ্চারণ এক অন্য মাত্রা জোগাচ্ছে। তাই জয়ের পর পাঞ্জাবের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, ৭৫ বছর ধরে দেশটাকে যারা লুঠ করেছে তাদের বদলে দেবে আম আদমি।

Wednesday, March 9, 2022

দিল্লিতে সংসদের প্রিভিলেজ কমিটির জেরা দুই পুলিশ কর্তা মনোজ বর্মা ও অজয় ঠাকুরকে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুই অধিকারীক দিল্লিতে সংসদের প্রিভিলেজ কমিটির ডাকে বুধবার দুপুরে হাজির হয়েছিলেন। একজন পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা অপরজন সহকারী পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দমন) অজয় ঠাকুর। 

এই দুজনের বিরুদ্ধে সংসদে প্রিভিলেজ কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। সাংসদের অভিযোগ ছিল তাঁকে হত্যার জন্য দু'জন সুপারি কিলার নিয়োগ করা হয়েছিল। উত্তর প্রদেশ থেকে আসা দুই সুপারি কিলার একজনের নাম মুকিন কালা ও অন্যজন মুরাদ অর্জুন সিংয়ের লোকেদের হাতে ধরা পড়ে যায়। তাঁরা দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। 

কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ ওই দুজনকে ছেড়ে দেয়। এই নিয়ে অর্জুন সিং আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু নিম্ন আদালত মামলা খারিজ করে দেয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন। তারপরেই অর্জুন সিং সংসদের প্রিভিলেজ কমিটির কাছে বিষয়টি নিয়ে দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। এই দুই পুলিশ অফিসার সুপারি কিলারদের ছেড়ে দিয়েছিলেন। 

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এদিন কার্যত চুপিসারে মনোজ বর্মা ও অজয় ঠাকুর দিল্লি গিয়েছেন। এমনকি ব্যারাকপুরে তাঁদের অধনস্ত কেউ জানতেন না তাঁরা কোথায় গিয়েছেন। প্রিভিলেজ কমিটির সদস্যরা তাঁদেরকে দীর্ঘ সময় জেরা করেন। একটা সময় জেরায় জেরবার হয়ে ব্যারাকপুর পুলিশের দুই দাপুটে কর্তা আমতা আমতা করতে থাকেন। একপ্রকার চুপচাপ হয়ে তাঁরা ফিরে যান।

বৃহস্পতিবার অর্জুন সিংকে ডেকে পাঠিয়েছে প্রিভিলেজ কমিটি।

মানষিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মানষিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে৷ ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে নৈহাটি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের হরিনগর কলোনি এলাকায়৷ অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অশোক শর্মা(৫২)৷ 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাডি ফাঁকা পেয়ে মানষিক ভারসাম্যহীন প্রতিবেশী ওই কিশোরীকে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ কিশোরীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে হাতেনাতে পাকড়াও করে অভিযুক্তকে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নৈহাটি থানার পুলিশ৷  অভিযুক্তকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায়৷ 

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়৷ আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।  তিনি নৈহাটি পুরসভার একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে অস্থায়ী সাফাইয়ের কাজ করেন৷

Monday, March 7, 2022

সিপিএমের জেলা সন্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অপমানিত সংবাদ মাধ্যম

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সন্মেলনে অপমানিত সংবাদ মাধ্যম। নৈহাটির ঐকতান প্রেক্ষাগৃহে ২৫ তম জেলা সম্নেলন সোমবার থেকে শুরু হয়েছে।

 অভ্যর্থনা কমিটির স্বাগত ভাষণ শেষে সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা নেপালদেব ভট্টাচার্য মঞ্চ থেকে প্রথমে এক সংবাদ কর্মীকে ছবি তোলা নিয়ে আপত্তি করেন। তারপর বলেন, 'এটা কম্যুনিষ্ট পার্টির সন্মেলন। আপনাকে এখানে ঢোকার কে অনুমতি দিয়েছে'। 
এরপরই তিনি সমস্ত সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের কড়া ভাষায় বাইরে বেরিয়ে যেতে বলেন। সেই সঙ্গে নেপালদেব ভট্টাচার্য সন্মেলনে হাজির পার্টির প্রতিনিধিদের দিকে ইঙ্গিত করে আরো বলেন, 'আপনাদের পাশে সংবাদ মাধ্যমের আর কোনো প্রতিনিধি বসে নেইতো'! 

এরপরই কার্যত হতচকিত হয়ে পাঁচ সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি সন্মেলন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান। 

এখানেই প্রশ্ন পার্টির মধ্যে ঔদ্বত্য এখনো বহাল। সঙ্গে সমন্বয়ের বিস্তর অভাব। বিনা আমন্ত্রণে ওখানে কোনো সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি ঘাষ ছিঁড়তে উপস্থিত হয়নি। নৈহাটির বিধানসভার পরাজিত সিপিএম প্রার্থী ইন্দ্রানি কুন্ডু মিডিয়া গ্রুপে আমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়ে লিখে দেওয়া হয়েছিল সকাল ১১ টায় সন্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সকলকে আসার জন্য। 

স্বঘোষিত শৃঙ্খলাপরায়ন পার্টির ওরকম একটি অনুষ্ঠানে নেপালদেব ভট্টাচার্যকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ সংবাদ কর্মীরা করতেই পারতেন। কিন্তু তা করার মানসিকতা কারোর নেই। কি হবে গুরুত্ব দিয়ে।

Sunday, March 6, 2022

তৃনমূল কাউন্সিলরের বাড়ি ও গাড়িতে বোমাবাজি হালিশহরে


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নবনির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে বোমবাজি চালালো দুষ্কৃতিরা৷ ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার রাতে হালিশহর পুরসভার কোনা কলোনি এলাকার এইচ,কে ভট্টর রোডে৷ 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ হালিশহর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোক যাদবের বাড়ি লক্ষ্য করে পর পর দুটি বোমা মারে দুষ্কৃতিরা৷ একটি বোমা বাড়ি লক্ষ্য করে এবং অপরটি বাড়ির সামনে রাখা তাঁরই চার চাকা গাড়ির ওপর পড়ে। বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাউন্সিলরের গাড়িটি।

বোমাবাজির এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ রাতে বোমার বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা৷ ঘুম ভেঙে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ রাতেই গরিফা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন কাউন্সিলর অশোক যাদব৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে নৈহাটি থানার পুলিশ৷

Saturday, March 5, 2022

রাজুতেই আস্থা হালিসহর‌? উপ পুরপ্রধান পদে মৃত্যুঞ্জয় ও প্রবীর দুই নামে জল্পনা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হালিসহর পুরসভার চেয়ারম্যান নিয়ে দ্বিতীয় কোনো নাম উঠে আসছে না। পুরপ্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব সামলানো রাজু সাহানিই চেয়ারম্যান হচ্ছেন এমনটাই সূত্র মারফত খবর। এবারও রাজু সাহানি তাঁর ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। এই নিয়ে পর পর দু'বার তাঁর ওয়ার্ডের মানুষকে ভোটে অংশগ্রহণ করতে হলোনা। 

স্হানীয় স্তরে রাজু সাহানির গ্রহণ যোগ্যতা অন্যান্য কাউন্সিলরদের থেকে কয়েকগুণ এগিয়ে। শিক্ষিত, রুচিশীল, মিষ্টিভাষী। মানুষের কথা মন দিয়ে শোনেন। পুরসভায় গিয়ে সরাসরি মানুষ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। 

বিগত পৌর বোর্ডে পুরপ্রধান অংশুমান রায় হালিসহর জুড়ে সুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। মাঝপথে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। ওই সময় হালিসহরের বিস্তীর্ণ অংশে রাস্তাঘাট, নিকাশি শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছয়। হাল ধরেন রাজু সাহানি। দ্রুত সুয়ারেজ-এর কাজ সম্পন্ন করতে তিনি নজরদারিতে নামেন। এলাকায় এলাকায় পৌছে রাস্তা-নিকাশির সমস্যা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। ধাপে ধাপে অলি-গলির প্রত্যেকটা রাস্তা উপযোগী করে তোলেন। 

পুর নাগরিকদের থেকে পাওয়া তথ্য, পুরপ্রশাসক রাজু সাহানি পুরসভার সমস্যা সমাধানে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেন। সেখানে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার,স্বাস্থ্য বিভাগ ও জলকল থেকে আলোর অধিকারীকদের গ্রুপে যুক্ত করেন। সাধারণ মানুষ সেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এলাকার পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানাতেন।

২৩ ওয়ার্ডের হালিসহর পুরসভায় এবারে নতুন ১৬ জন কাউন্সিলর। অনভিজ্ঞ প্রত্যেকেই। একমাত্র সিপিএম থেকে আসা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শম্ভুনাথ ঘোষ (বাপি) অভিঞ্জ। বাম জমানার শেষ বোর্ডে পুর পারিষদের দায়িত্ব সামলেছেন। কাজেই বোর্ড গঠনে পুর পারিষদ হিসেবে জিয়াউল হক, প্রনব লৌহ, মৃত্যুঞ্জয় দাস, শম্ভুনাথ ঘোষ প্রাধান্য পাবে। 

এই প্রথম জন্মলগ্ন থেকে দলের সৈনিক হালিসহর তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রবীর সরকার ভোটে দাঁড়িয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। দল উপ পৌরপ্রধানের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে তুলে দিলে কেউই অবাক হবেন না।

Friday, March 4, 2022

মুকুল পুত্র চেয়ারম্যানের দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও বিধায়কের ভাই পিছিয়ে নেই কাঁচরাপাড়ায়


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চেয়ারম্যান একজন দাবিদার অনেক৷ কাঁচরাপাড়া পুরসভার পরবর্তী চেয়ারম্যান নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা৷ পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদি দোকান সর্বত্র আলোচনা চলছে ৷ যদিও চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে অনেক নামই ভেসে বেড়াচ্ছে কাঁচরাপাড়ার আকাশে-বাতাসে৷ তবে সব থেকে যে দুটি নাম নিয়ে বেশি জল্পনা তা হল মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় ও বীজপুরের বিধায়কের ভাই কমল অধিকারি৷‌ 

শুভ্রাংশু রায় তাঁর নিজের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে ২৪নং ওয়ার্ড থেকে কমল অধিকারি জিতেছেন। সূত্র বলছে, শাসকদলের এই দুই প্রার্থীর মধ্য শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা৷ তবে এই দুজন বাদে আরও কয়েকটি নামও আলোচনায় রসদ জোগাচ্ছে। এরা হলেন সোনালী সিংহ রায়, আলোকময় লাহিড়ী, দিলীপ ঘোষ। 

কাঁচরাপাড়া পুরসভার ২৪ টি ওয়ার্ড বিরোধী শূন্য। সবুজ সুপার সাইকলোনে ধরাশায়ী বিরোধীরা৷ সূত্রের খবর, বুধবার গননা কেন্দ্র থেকে ফিরে একপ্রস্থ বৈঠকে বসেছিলেন বীজপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব৷ উপস্থিত ছিলেন কাঁচরাপাড়া ও হালিশহরের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরা৷ দুটি পুরসভায় কার মাথায় উঠবে চেয়ারম্যানের মুকুট, গননা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিধায়কের ভাই তথা তৃণমূল নেতা কমল অধিকারি জানিয়েছিলেন, দল ঠিক করবে চেয়ারম্যান৷ 

কিন্তু সূত্রের দাবি, কাঁচরাপাড়ায় কাজ এবং অভিজ্ঞতার নিরিখে এগিয়ে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু৷ তিনি দু'বারের কাউন্সিলারের পাশাপাশি বীজপুরের বিধায়ক পদে দুটি মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। যদিও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সুবোধ অধিকারির কাছে পরাজিত হয়েছেন৷ তাঁর সময়কালে রাস্তাঘাট থেকে নিকাশি-নালা, আলোর ব্যবস্থা সর্বত্র প্রসংসা কুড়িয়েছিল৷ 

অপরদিকে তুলনায় নবাগত কমল অধিকারি৷ তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সৈনিক৷ ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়ে একের এক নেতা-কর্মী দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে ভিড়েছিলেন৷ সেই সময় তৃণমূলের হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন কমল অধিকারি৷ অন্যদিকে বিধায়কের ভাই হওয়ার সুবাদে তাঁর হয়ে দলের কাছে দরবার করতে পারেন দাদার ঘনিষ্ঠরা৷ মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। চেয়ারম্যানের মুকুট কার মাথায় ওঠে সেই দিকেই তাকিয়ে কাঁচড়াপাড়ার মানুষজন।

Thursday, March 3, 2022

পুরপ্রধান কে? ভাটপাড়ার বাতাসে ভাসছে একাধিক নাম


বিল্টু কাশ্যপঃ পুরপ্রধান কে হবেন? ভাটপাড়ার আকাশে-বাতাসে ভাসছে একাধিক নাম। স্বভাবতই, ভাটপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রয়েছে। ৩৫ ওয়ার্ড বিশিষ্ট ভাটপাড়ায় ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাম প্রার্থী বাবলি দে-র মৃত্যুর কারনে ওই ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ স্থগিত। গণনায় বাকি ৩২ টি ওয়ার্ডেই ঘাসফুলের জয়জয়কার।

 তবে ভাটপাড়ার পুরপ্রধানের মুকুট কার মাথায় পড়বে, এখন তা নিয়েই জোর চর্চা চলছে। তবে পুরপ্রধানের দৌঁড়ে একাধিক নাম উঠে আসছে। বিদায়ী পুর প্রশাসক গোপাল রাউত থেকে শুরু করে দেবজ্যোতি ঘোষ ওরফে টিঙ্কু, রেবা রাহা ছাড়াও হিন্দি প্রকোষ্ঠের নেতা তথা ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী অমিত গুপ্তার নামও নিয়ে কানাঘুষো চলছে। 

প্রসঙ্গত, বাম আমলে পুরমাতা হিসেবে যথেষ্ট সুনাম ছিল রেবা রাহার। স্বচ্ছ ইমেজের বলেই তার পরিচিতি। ভাটপাড়া-১ তৃণমূল সভাপতি দেবজ্যোতি ঘোষের আবার দলে যথেষ্ট প্রভাব আছে। তিনি জেলার শিক্ষা সেলের নেতাও বটে। সবমিলিয়ে, ভাটপাড়ায় পুরপ্রধানের দাবিদারের তালিকা বেশ লম্বা-চওড়া। 

সূত্র বলছে, দুবারের কাউন্সিলর সত্যেন রায়েরও মনের বাসনা কিন্তু কম নয়। নিজেকে তিনি রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বলেই দাবি করেন।  ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী বাগ্মী নেতা হিসেবে পরিচিত অরুন ব্রহ্মের নাম নিয়েও চর্চা চলছে। 

একাধিক নাম ভেসে ওঠায় ভাটপাড়ায় পুরপ্রধানের নাম নিয়ে প্রবল ধোঁয়াশায় ঘাসফুলের নিচুতলার কর্মীরা। তাদের দাবি, ভাটপাড়াকে ঢেলে সাজাতে স্বচ্ছ ইমেজের কাজ পাগল কাউকে মসনদে বসানো হোক। পাশাপাশি দুই শিবির মানিয়ে নিয়ে যিনি চলতে পারবেন। তবে ভাটপাড়ায় গোষ্ঠী কাজিয়া তুঙ্গে থাকলেও, ভোটে বাজিমাত করার ক্ষেত্রে কিন্তু দ্বন্দ উধাও হয়ে গিয়েছিল। এখনও চাপা কোন্দল বিরাজ করছে গোটা ভাটপাড়া জুড়ে।

 তবে দুই শিবিরের কাজিয়ায় শেষমেশ কার ভাগ্যে শিকে ছেড়ে, সেদিকেই তাকিয়ে ভাটপাড়ার আমজনতা। পুরপ্রধানের পদ প্রসঙ্গে লড়াকু মনোভাবাপন্ন ঘাসফুল নেতা ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী সত্যেন রায়ের সাফ জবাব, যার নামে খাম আসবে, তিনিই হবেই পুরপ্রধান। দল যাকে পুরপ্রধান করবে, সকলেই তাকে সমর্থন করবে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

Wednesday, March 2, 2022

নিয়ম রক্ষার গননায় পাশ তৃনমূল, আফশোস নেই বিরোধীদের


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বুধবার পুরভোটের ফলাফল আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। বিরোধী শূন্য পুরসভা দখলের পথে তৃনমূল কংগ্রেস। উৎসাহ নেই শিল্পাঞ্চলের সাধারণ মানুষের। অবশ্য তারা একটু আতঙ্কে আছে। ফল বেরোনোর পর মারধর, বাড়ি ভাঙচুর এসব দৃশ্য যেন না দেখতে হয়।

এখানো পর্যন্ত গননার যা ট্রেন্ড বিরোধী প্রার্থীরা কোথাও এগিয়ে নেই। বিশেষ করে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে কোনো পুরসভায়ই বিরোধী একজনও খাতা খুলতে পারেনি। যদিও আফশোস নেই বিরোধীদের। তাঁরা ভোটের দিনই তাঁদের ভাগ্যের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। 

কার্যত নিয়মরক্ষার গননা কেন্দ্রে এসে তাঁরা উপস্থিতি জানান দিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃনমূল লক্ষ্যে পুরদমে সফল। কিন্তু কত শতাংশ মানুষকে তারা পাশে পেয়েছে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কেননা, নির্বাচনের দিন বুথে বুথে যথেচ্ছ ছাপ্পা ভোটের যে ছবি সংবাদ মাধ্যমে ধরা পড়েছে তা থেকে আশঙ্কার মেঘ রয়েই যাচ্ছে।