Wednesday, March 23, 2022

বুদ্ধি বন্দক রেখে ধান্দায় মজে বুদ্ধিজীবীরা, রামপুরহাট গণহত্যায় মুখ লুকোচ্ছেন


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাংলায় কিছুই পরিবর্তন হয়নি। ভাষা, রুচি, দম্ভ, ঔদ্বত্য যে যে গুনে লালেরা চক্ষুশূল হয়ে গিয়েছিল ঠিক এর থেকেও কিছু বেশি গুন পরবির্তনের লোকেদের গ্রাস করেছে। রামপুরহাট গনহত্যা কান্ডের পর থেকে এভাবে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।

 কি নৃশংসতা। শিশু সহ এতগুলো মানুষকে ঘরের মধ্যে পেট্রল ঢেলে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হল। অথচ শোক-তাপ হীন বাংলায় পরিবর্তনের সেই বুদ্ধিজীবীকূল। বাম আমলে নন্দীগ্রাম কান্ডের পর এঁরাই পথে নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন। যদিও এদের সিংহভাগই তৃনমূল সরকারের বিভিন্ন কমিটিতে রয়েছেন। 

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে এরকম নৃশংসতার ছবি দেখার পরও এনারা কেন চুপ সোস্যাল মিডিয়ায় সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। কটাক্ষ, টিপ্পনী, ধান্দাজীবি থেকে 'তৃণমূলের মাসোহারা' বাক্যবানে এদেরকে তুলোধোনা চলছে। গনহত্যার ৩৬ ঘন্টা কেটে যাওয়ার পর অবশ্য এই বুদ্ধিজীবীকূলের দু-চারজনের মাতৃভাষা সামনে এসেছে। 

একটি সর্বভারতীয় বাংলা বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যম প্রথম গায়ক কবীর সুমনকে ফোন করে গনহত্যা প্রসঙ্গের কথা বলতেই পালিয়ে বাঁচলেন মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য গায়ক। তিনি কিছু বলবেন না বলে এখন সঙ্গীতের রাগ নিয়ে রয়েছেন সেকথা শুনিয়ে দিলেন। অপর একটি সংবাদ মাধ্যম অন ক্যামেরায় নাট্যকার বিভাস চক্রবর্তীকে ধরতেই তিনি অকপটে জানিয়ে দিলেন, গনহত্যার বিষয়টি তিনি শোনেন নি। 

এদিকে ধরি মাছ না ছুঁই পানি গোছের বুদ্ধিজীবী অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনরা নীরব। তাঁদের বিবৃতি বা দেখা কেউ পায়নি। অথচ উত্তর প্রদেশ, গুজরাটে কিছু ঘটলেই ওঁরা সরব হয়। মোমবাতি হাতে রাস্তায় নেমে পড়েন। কিন্তু বাংলায় শিশু, নারী সহ ১০ জনকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার এত বড়ো ঘটনায় বাংলার এই বুদ্ধিজীবীরা মুখ লুকিয়েছেন। 

পরিস্থিতি বলছে এরা এখন অসহায়। দুহাত ভরে নিজেদের উন্নয়ন গিলে নিয়ে ওগরাতে পারছেন না।

No comments:

Post a Comment