নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিধানসভায় নজিরবিহীন ঘটনা। বিজেপি বিধায়কদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কদের বিরুদ্ধে। ভাঙল লাইট, চেয়ার। হাতাহাতি-লাথি থেকে রক্তারক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল বিধানসভা। চরম লজ্জার। শেষে বিরোধী দলনেতা সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককেই সাসপেন্ড করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
এদিন মাটিয়ায় নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনা থেকে বগটুই গণহত্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। একটা সময় বিজেপির মহিলা বিধায়করা অধ্যক্ষেরর চেয়ারের দিকে যেতেই নিরাপত্তা কর্মীরা বাঁধা দেয়।
এরপরই বিজেপির পরিষদীয় নেতা মনোজ টিগ্গার সাথে শাসকদলের বিধায়কদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। সেখান থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দুই দলের বিধায়কদের। লাথি, ঘুষি, জামার কলার ধরা থেকে চশমা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
মনোজ টিগ্গার অভিযোগ, তাঁকে মারা হয়েছে। তাঁর জামা টেনে ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন মহিলা বিধায়কও আক্রান্ত হন। অপরদিকে তৃনমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের দাবি, তাঁকে শুভেন্দু অধিকারী ঘুষি মেরেছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য এস এস কে এম হাসপাতালে গিয়েছেন।
বিধানসভার কক্ষে লজ্জার এই ছবি উঠে আসতেই বিজেপি বিধায়করা বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এই ঘটনা নিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্ধ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, শংকর ঘোষ, দীপক বর্মন ও নরহরি মাহাতকেই সাসপেন্ড করলেন।
যা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, বাইরে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। বিধানসভায়ও গণতন্ত্রের গলা টিপে দেওয়া হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment