Thursday, March 31, 2022

বিজেপি কর্মীর দোকান দখল করে ভাঙচুরের অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে নৈহাটিতে


নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার বিজেপির বুথ সভাপতির রুটি-রুজি বন্ধের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আগেই তাঁর সাইকেল গ্যারাজ দখল করে নেওয়া হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে ফিরিয়ে দিতেই গ্যারেজ ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।

 নৈহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের চিলড্রেন পার্ক সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। সাইকেল গ্যারাজটি দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে রেলের জায়গায় চালিয়ে আসছিলেন সুকুমার মজুমদার। সঙ্গে একটি চায়ের দোকানও ছিল। সেটি ওনার দিদি চালাতেন। তিনি নৈহাটির ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির বুথ সভাপতির পদে রয়েছেন। তাঁর পাঁচ বছরের প্রতিবন্ধী এক কন্যা সন্তান বর্তমান।  

অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের পর তিনি বাড়ি ছাড়া হয়ে যান। সেসময় স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বিষ্ণু অধিকারীর নেতৃত্বে তাঁর সাইকেলের গ্যারাজ ও চায়ের দোকান দখল করে নেওয়া হয়। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সুকুমার মজুমদার ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের দারস্থ হয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাঁকে বাড়িতে দিয়ে যায়। 

সুকুমার বাবু জানান, গত ১৮ মার্চ নৈহাটি থানার আই সি দখলদারদের ডেকে দোকান খালি করার নির্দেশ দেন। কিন্তু গ্যারাজ দখল না পেয়ে ২২ মার্চ তিনি নৈহাটি থানার পাশাপাশি ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। এরপর গত ২৫ মার্চ বেলায় নৈহাটি থানার পুলিশ এসে গ্যারেজ খালি করার নির্দেশ দেয়। ওইদিন রাতেই গ্যারাজ ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ বিজেপির বুথ সভাপতির। 

ঘটনা নিয়ে সুকুমার বাবুর স্ত্রী শিপ্রা মজুমদার ২৯ মার্চ রাতে স্থানীয় বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিতভাবে বিষয়টি জানান। ঘটনা নিয়ে পরদিন ৩০ মার্চ নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও সুকুমার বাবুর দাবি, এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি। 

বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সহ-সভাপতি রূপক মিত্র বলেন, দোকান খালি করার ক্ষেত্রে আদালতের রায় মানছে না শাসকদলের লোকজন। এমনকি দলীয় কার্যকর্তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমনভাবে সহযোগিতা পাচ্ছেন না। প্রতিবন্ধী কন্যাকে নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন দলীয় কার্যকর্তা। যদিও এই বিষয়ে নৈহাটির তৃণমূল সভাপতি সনৎ দে জানিয়েছেন, ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।

No comments:

Post a Comment