বিল্টু কাশ্যপ, ব্যারাকপুরঃ ঘাষফুল ক্ষমতায় আসার পর থেকে একদা 'রেজিমেন্ট পার্টি' হিসেবে খ্যাত সিপিআইএমের অবস্থা অত্যন্ত করুন। তবুও পদ আগলে রাখতে মরিয়া সিপিআইএম নেতৃত্ব। দলের চরম দুর্দিনেও গোষ্ঠী কোন্দল পিছু ছাড়ছে না লাল পার্টিকে। তীব্র গোষ্ঠী কাজিয়ায় ঘোষণা থেকে ইতি টানলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকের নাম।
জানা গিয়েছে, নৈহাটির ঐক্যতান হলে গত ৭ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল সিপিআইএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলন। লাল পার্টির প্রথা অনুযায়ী সম্মেলনের শেষ দিনে ঘোষিত হয় জেলা সম্পাদকের নাম। কিন্তু ৯ মার্চ রাতে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটলেও, জেলা সম্পাদকের পদে আসীনের নাম অন্তরালেই থেকে গেল।
সূত্র বলছে, জেলা সম্পাদকের পদে একাধিক নাম নাম উঠে আসায়, ওইদিন রাতেই জেলা সম্মেলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কাজিয়া মেটাতে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু থেকে শুরু করে সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব, গৌতম দেবরা ময়দানে নামলেও, তা কাজে লাগেনি। শীর্ষ নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত ওই পদ নিয়ে ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নিলেন।
যদিও এই বিষয়ে জেলার কেউই মুখ খুলতে চাননি। সূত্র বলছে, নির্দিষ্ট একটি দিন স্থির করে ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে জেলা সম্পাদক ও জেলা কমিটি ঠিক করা হবে। নতুন কাউকে জেলা সম্পাদকের পদে বসানো হবে। অন্যথায় বিদায়ী মৃণাল চক্রবর্তীকে রেখে দেওয়া হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় সম্মেলনে যোগ দেওয়া লাল প্রতিনিধিরা।
তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, গৌতম দেব ঘনিষ্ঠ মৃণাল চক্রবর্তীর বদলে ভাগ্যে শিঁকে ছিড়তে পারে সোমনাথ ভট্টাচার্য ও পলাশ দাসের। সোমনাথ বাবু গৌতম দেব বিরোধী শিবির নেপাল ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ। অন্যদিকে পলাশ দাসও গৌতম দেব বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য শিবিরের বলেই পরিচিত।
No comments:
Post a Comment