বিল্টু কাশ্যপঃ পুরপ্রধান কে হবেন? ভাটপাড়ার আকাশে-বাতাসে ভাসছে একাধিক নাম। স্বভাবতই, ভাটপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রয়েছে। ৩৫ ওয়ার্ড বিশিষ্ট ভাটপাড়ায় ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাম প্রার্থী বাবলি দে-র মৃত্যুর কারনে ওই ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ স্থগিত। গণনায় বাকি ৩২ টি ওয়ার্ডেই ঘাসফুলের জয়জয়কার।
তবে ভাটপাড়ার পুরপ্রধানের মুকুট কার মাথায় পড়বে, এখন তা নিয়েই জোর চর্চা চলছে। তবে পুরপ্রধানের দৌঁড়ে একাধিক নাম উঠে আসছে। বিদায়ী পুর প্রশাসক গোপাল রাউত থেকে শুরু করে দেবজ্যোতি ঘোষ ওরফে টিঙ্কু, রেবা রাহা ছাড়াও হিন্দি প্রকোষ্ঠের নেতা তথা ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী অমিত গুপ্তার নামও নিয়ে কানাঘুষো চলছে।
প্রসঙ্গত, বাম আমলে পুরমাতা হিসেবে যথেষ্ট সুনাম ছিল রেবা রাহার। স্বচ্ছ ইমেজের বলেই তার পরিচিতি। ভাটপাড়া-১ তৃণমূল সভাপতি দেবজ্যোতি ঘোষের আবার দলে যথেষ্ট প্রভাব আছে। তিনি জেলার শিক্ষা সেলের নেতাও বটে। সবমিলিয়ে, ভাটপাড়ায় পুরপ্রধানের দাবিদারের তালিকা বেশ লম্বা-চওড়া।
সূত্র বলছে, দুবারের কাউন্সিলর সত্যেন রায়েরও মনের বাসনা কিন্তু কম নয়। নিজেকে তিনি রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বলেই দাবি করেন। ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী বাগ্মী নেতা হিসেবে পরিচিত অরুন ব্রহ্মের নাম নিয়েও চর্চা চলছে।
একাধিক নাম ভেসে ওঠায় ভাটপাড়ায় পুরপ্রধানের নাম নিয়ে প্রবল ধোঁয়াশায় ঘাসফুলের নিচুতলার কর্মীরা। তাদের দাবি, ভাটপাড়াকে ঢেলে সাজাতে স্বচ্ছ ইমেজের কাজ পাগল কাউকে মসনদে বসানো হোক। পাশাপাশি দুই শিবির মানিয়ে নিয়ে যিনি চলতে পারবেন। তবে ভাটপাড়ায় গোষ্ঠী কাজিয়া তুঙ্গে থাকলেও, ভোটে বাজিমাত করার ক্ষেত্রে কিন্তু দ্বন্দ উধাও হয়ে গিয়েছিল। এখনও চাপা কোন্দল বিরাজ করছে গোটা ভাটপাড়া জুড়ে।
তবে দুই শিবিরের কাজিয়ায় শেষমেশ কার ভাগ্যে শিকে ছেড়ে, সেদিকেই তাকিয়ে ভাটপাড়ার আমজনতা। পুরপ্রধানের পদ প্রসঙ্গে লড়াকু মনোভাবাপন্ন ঘাসফুল নেতা ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী সত্যেন রায়ের সাফ জবাব, যার নামে খাম আসবে, তিনিই হবেই পুরপ্রধান। দল যাকে পুরপ্রধান করবে, সকলেই তাকে সমর্থন করবে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
No comments:
Post a Comment