Tuesday, March 15, 2022

আনিস থেকে কাউন্সিলর হত্যা কাঠগড়ায় পুলিশই, বাম জমানার ছবি অক্ষত


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হিংসার রাজনীতিতে উন্মুক্ত বাংলা। একই দিনে রাজ্যের দুই প্রান্তে দু'জন কাউন্সিলর খুন। একজন কংগ্রেসের। অপরজন শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের। পুরুলিয়ায় ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কাঁদু খুন হলেন। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুন হয়ে গেলেন। 

দুটি ক্ষেত্রেই পুলিশ তোপের মুখে। দুই নেতার পরিবার পুলিশের তদন্তে ভরসা নেই। যদিও পানিহাটির কাউন্সিলরের স্ত্রী প্রথম দিনের বয়ান বদলে ফেলেছেন। সিবিআই তদন্ত চেয়েও সি আই ডি-র উপর আস্থা রেখেছেন। এবং বিচার পেতে মুখ্যমন্ত্রীকে ভরসা করেছেন। 

কিন্তু ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী'র পুলিশে ভরসা নেই। কেননা তাঁর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেই। তিনি প্রথম থেকেই দাবি করেন, ঝালদা থানার ওসি তাঁর স্বামীকে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিয়েছিল। মৃত কাউন্সিলরের ভাইপোর সাথে থানার ওসি'র ফোনে কথোপকথনের একটি অডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ঝালদার ওসি বলছেন, কাকাকে তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি। তার জন্য পুরনো থানায় দেখা করতে বলছেন। 

এই নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীও পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তিনি বলেছেন, এই রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই। পুরবোর্ড গঠনে ওসি কংগ্রেস কাউন্সিলরকে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিয়েছেন। বিরোধী দল নেতা সহ বিজেপি বিধায়করা কাউন্সিলরদের খুন নিয়ে পর পর দুদিন বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, শাসকের উদগ্র ক্ষিদা। ১০৪ টি পুরসভা নিয়ে হবে না। ১০৮ টি-ই চাই। তার জন্য নিজের দলের কাউন্সিলরও খুন হচ্ছেন। 

রাজ্যে এই হিংসার রাজনীতি ক্রমশ অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, এমনটাই মনে করেন আম জনতা। ছাত্র নেতা আনিস খান হত্যা থেকে ঝালদার কাউন্সিলর খুনে বার বার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাম জমানার রিজওয়ানুর খুন থেকে নন্দীগ্রামে গুলি, বিরোধীদের অভিযোগের আঙ্গুল ছিল পুলিশের দিকেই। বারো বছরে শাসকের রঙ বদলেছে। কিন্তু পুলিশ আজও লেঠেল তকমা নিয়েই রয়ে গেল।

No comments:

Post a Comment