Wednesday, March 31, 2021

মনোনয়নে শুভ্রাংশু রায়ের ওপর হামলা, বিজেপি-তৃনমূল সংঘর্ষ, গুলি ঘিরে উত্তেজনা ব্যারাকপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ মনোনয়নপত্র জমাকে কেন্দ্র করে  বুধবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল  ব্যারকপুর প্রশাসনিক ভবন চত্বরে।  গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ তা মানতে চায়নি। এদিন বেলা দুটো নাগাদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের তীব্র বচসা বেঁধে যায়। স্লোগান, আর পাল্টা স্লোগানের মধ্যেই  দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। পুলিশ  লাঠিচার্জ করে তপ্ত পরিস্তিতির সামাল দেয়। জমায়েত ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর বেলা তিনটের সময় বীজপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী  শুভ্রাংশু রায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বেরোতেই তৃণমূলের লোকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁকে ধাক্কা মারার অভিযোগও উঠেছে। শুভ্রাংশু রেগে গিয়ে পাল্টা তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। 
নিরাপত্তারক্ষীরা সামাল দিয়ে কোনওক্রমে তাঁকে গাড়িতে তুলে দেয়।  শুভ্রাংশুর গাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূলীরা ইঁটবৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলার সময়  গুলিও চলে। প্রশাসনিক ভবনের গেটের সামনে থেকে পুলিশ একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। উত্তেজনা সামাল দিতে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে হাজির হন। অজয় নন্দা বলেন, মনোনয়নপত্র জমাকে ঘিরে বেশি সমর্থকদের জমায়েত হয়। আর তা থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। 
যদিও পুলিশ সেই জমায়েত ছত্রভঙ্গ করে দেয়। যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের খোঁজ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় চার-পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। যদিও গুলি চালানোর বিষয় তিনি মানতে চাননি।

প্রাক্তন তৃনমূল কাউন্সিলর সহ বহু বিজেপিতে যোগ দিলেন ব্যারাকপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ নির্বাচনের মুখে তৃণমূলে বড় ভাঙন ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। মঙ্গলবার রাতে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি তথা সাংসদ অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে ব্যারাকপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রদীপ ঘোষ এবং তার অনুগামীরা। এদিনের পালাবদল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রমনি শুক্লা, মন্ডল-১ সভানেত্রী জয়ন্তী পাল-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, তার কথা মতো মনীশ  তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। 
কিন্তু মনীশকে টিটাগড় থানার সামনে খুন হতে হল। অথচ এফ আই আরে নাম থাকা কাউকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি।

Monday, March 29, 2021

নিমতায় সেই নির্যাতিতা বৃদ্ধার মৃত্যু, প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির

নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ অবশেষে মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার নিমতার নির্যাতিতা বৃদ্ধা শোভারানী মজুমদারের। উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নিমতা থানার উত্তর দমদম পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাটনা ঠাকুরতলায় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী গোপাল মজুমদার ও তার ৮০ বছরের বৃদ্ধা মা শোভারানী মজুমদার। অভিযোগের তির ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই। ঘটনার পর জখম বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাসখানেক হাসপাতালে থাকার পর চারদিন আগে তাকে বাড়ি এনে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। সোমবার ভোরে তাঁর  মৃত্যু হয়। এরপর উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর দমদম পুর এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপির তরফে ধিক্কার মিছিল করা হয়। বেলার দিকে নিমতা থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ এবং টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। সেই বিক্ষোভে যোগ দেন উত্তর দমদম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডা: অর্চনা মজুমদার এবং রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা দমদম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। 
বৃদ্ধার মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি করেন অর্চনা দেবী। অন্যদিকে  রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশ জামিন যোগ্য ধারায় মামলা করেছিল। ফলে সকলেই জামিন পেয়ে গিয়েছিল। এদিন তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ৭২ ঘন্টার মধ্যে পাঁচজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার না করা হলে নির্বাচন কমিশনের সামনে ধরনায় বসা হবে। সন্ধ্যায় বিজেপি প্রার্থী ডাঃ অর্চনা মজুমদার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এলাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেন।

Tuesday, March 23, 2021

তোলাবাজি, সিন্ডিকেটরাজ কামারহাটি থেকে দূর করার কথা বললেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্ধ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ বিজেপি ক্ষমতায় এলে কামারহাটিতে তোলাবাজি, গুন্ডারাজ ও সিন্ডিকেটরাজের অবসান হবে।  মঙ্গলবার সকালে আদ্যাপীঠ ফেরিঘাটের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় যোগ দিয়ে এমনটাই দাবি করলেন কামারহাটির বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে বেরিয়ে মানুষের ভালোবাসায় আপ্লুত রাজু।  এদিন ভোট প্রচারে বেরিয়ে তিনি বলেন, খেলা তো শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার কামারহাটিতে পদ্ম ফুটছে। তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রকে কটাক্ষ করে বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, মশলা নিয়ে উনি উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর জেলে যাবেন, কিংবা প্রেসিডেন্সি জেলে যাবেন কিনা সেটা অবশ্য তার জানা নেই।
 বিজেপি প্রার্থী বলেন, এখানে উন্নত মানের হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। নতুন শিল্প গড়ে উঠবে এবং বেকারি দূরীকরনের চেষ্টা করা হবে।

খড়দায় বিজেপি কর্মীদের মারধরে অভিযুক্ত তৃনমূল, অস্বীকার শাসকদলের

নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ সোমবার দুপুরে খড়দার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সংঘশ্ৰী খেলার মাঠের কাছে বিজেপি কর্মীরা দলীয় প্রার্থী শীলভদ্র দত্তের সমর্থনে দেওয়াল লিখছিলেন। অভিযোগ, তৃণমূলের বাইক বাহিনী হঠাৎ সেখানে গিয়ে হানা দেয়। তারা দেওয়াল লিখতে নিষেধ করে। কিন্তু তাদের কথায় পাত্তা না দিয়ে বিজেপি কর্মীরা দেওয়াল লিখতে থাকে। অভিযোগ, তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী ২৮ নম্বর বুথ সভাপতি  দেবাশীষ গুহ ও বিজেপি কর্মী পার্থ সারথি ঘোষকে এলোপাথাড়ি মারধোর করে এবং দেওয়াল লিখনের জিনিসপত্র ফেলে দেয়। আক্রান্তদের অভিযোগ, বেশি বাড়াবাড়ি করলে কোমড় থেকে পিস্তল বের করে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয় তৃণমূলের ভৈরব বাহিনী।
 অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আক্রান্তরা খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

Monday, March 22, 2021

বন্ধ কারখানা খোলার কথা প্রচারে বেরিয়ে বললেন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রমনি শুক্লা

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ রাজনীতিতে একেবারে নবাগত। ছেলের হত্যা তাকে রাজনীতিতে টেনে এনেছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর টিটাগড় থানার সামনে খুন হন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লা। ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মনীশের পিতা চন্দ্রমনি শুক্লা রবিবার প্রচারের প্রথম দিনেই ঝড় তুললেন। ব্যারাকপুর আনন্দপুরী কালিমন্দিরে পুজো দিয়ে আনন্দপুরী খেলার মাঠ থেকে তিনি ভোট প্রচার শুরু করলেন। একেবারে দক্ষ রাজনীতিবিদের মতোই তিনি প্রচার চালালেন। সটান ঢুকে পড়লেন প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎ তোপদারের বাড়িতেও।
 এদিন তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ড ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে ভোট প্রচার করলেন। এদিন ভোট প্রচারে হাজির ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর মিলন কৃষ্ণ আঁশ, মন্ডল-১ সভানেত্রী জয়ন্তী পাল, রাজু সাউ, বিশাল যাদব-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। প্রচারে বেরিয়ে পেশায় চিকিৎসক চন্দ্রমনি শুক্লা বলেন, শিল্পাঞ্চল পুরো শেষ হয়ে গিয়েছে।
 ভোটে জিতে বেকার সমস্যা দূরীকরণে  বন্ধ কলকারখানাগুলো খোলার উদ্যোগ নিতে হবে। তারপর বাসিন্দাদের চাহিদা অনুযায়ী এলাকার উন্নয়ন করা হবে।

Sunday, March 21, 2021

সৌরভ সিংকে পাশে নিয়ে প্রথম প্রচার জগদ্দলের বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্যের

নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ ছুটির দিনটিকে প্রচারের প্রথমদিন হিসেবে বেছে নিলেন জগদ্দল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য। বাড়ি লাগোয়া মন্ডলপাড়ার শিব মন্দিরে পুজো দিয়েই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। এদিনই ভাটপাড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা দাপুটে যুব নেতা সৌরভ সিং-কে সঙ্গে নিয়ে ৩৫ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি প্রচার করলেন। প্রচারে বেরিয়ে তিনি অবন্তীপুর রাঙা ঠাকুর আশ্রমে গিয়ে শ্রী শ্রী রাঙা বাবার আশীর্বাদ নিলেন। প্রচার শেষে তিনি ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনগ্রামে দলীয় কার্যালয়ে কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও সেরে নিলেন। এদিনের প্রচারে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর জেলা কমিটির সদস্য সমীর দত্ত, বাপ্পা ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য বললেন, এখানে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে।
 ভোটে জিতে আগে রাস্তাঘাট, নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। পাশাপাশি পানীয় জলের সমস্যা দূর করতে হবে। পিছিয়ে পড়া জগদ্দলের সার্বিক উন্নয়ন করতে হবে।

Saturday, March 20, 2021

আগে জেলে ছিলেন এখন বেলে আছেন, মদন মিত্রকে কটাক্ষ বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্ধ্যোপাধ্যায়ের

নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ আগে জেলে ছিলেন। এখন বেলে আছেন। আবার ফের জেলে যাবেন। শনিবার বিকেলে স্থানীয় দুর্গা মন্দিরে পুজো দিয়ে কামারহাটি টিকলি ঘাট থেকে ভোট প্রচারে বেরিয়ে এভাবেই মদন মিত্রকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মানুষ। প্রচারে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভূমিপুত্র তথা বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কামারহাটির মানুষ জেলখাটা আসামীকে একটাও ভোট দেবে না। 
দুর্নীতিবাজ লোককে একটাও ভোট নয়। প্রতিপক্ষ হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থীকে পাত্তা দিতে নারাজ এই বিজেপি প্রার্থী। রাজুর কথায়, মানুষের এত আশীর্বাদ দিচ্ছে এবারে তার জিত নিশ্চিত।

পবন, ফাল্গুনী, চন্দ্রমনি তিন ফুটন্ত পদ্মে বাজিমাত অর্জুন গড় ব্যারাকপুরে

চিত্ত ওঝাঃ 'রাম তেরি গঙ্গা মইলি হো গায়ী, পাপীয়োকো পাপ ধোতে ধোতে'। এদল থেকে ওদলে গিয়ে রাজনীতির পাপ যখন ধুয়ে ফেলছে প্রার্থীরা তখন ব্যারাকপুরের তিন পদ্ম প্রার্থীর মুখ জানান দিচ্ছে গঙ্গা আজও পবিত্র। রাজনীতির চেনা ছকের গন্ডি টপকে ব্যারাকপুরের তিনি মুখ এবারের ভোটে নিয়নের আলোর মতোই উজ্জ্বল। যদিও তাদের মধ্যে এক প্রার্থী স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বিধায়ক হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। 
যিনি দাপুটে পিতার আসনে ২০১৯ শের উপনির্বাচনে বাজিমাত করেছেন। পবন কুমার সিং। সাংসদ পিতা অর্জুন সিংয়ের পুত্র। কিন্তু নামেই। বাবার ছায়া তাঁর মধ্যে কোথাও যে নেই অতি বড়ো নিন্দুকদেরও বলতে শোনা যায়। শান্ত নিপাট গোছের মুখ পবন ভাটপাড়ার মতো অশান্ত এলাকার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সহজেই মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ধীর স্থিরভাবে কথা বলতে ও শুনতে তিনি পছন্দ করেন। দীর্ঘদিনের দাদু-বাবার রাজনীতির উঠোনে পবন যেন প্রদীপের একখন্ড আলো।
 ফাল্গুনী পাত্র নৈহাটিতে বিজেপির মুখ। দুর্দিনে এই শিল্পাঞ্চলে বিজেপিকে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার অন্যতম কারিগর। লড়াই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে  রাজনীতিতে তিনি বঙ্গ নারীর মুখ হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে শিল্পাঞ্চলে বাম রাজনীতির গার্গী চ্যাটার্জীর পর গেরুয়া শিবিরের ফাল্গুনী পাত্রর নামটাই রাজ্যের মানুষের কাছে পরিচিত। মিশুকে, স্মিত হাসির ফাল্গনী পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাসী। যদিও ২০১৬ সালে নৈহাটিতে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। সেই সময়টা তাঁর কাছে ছিল স্বপ্নের। পরিচয় ঘটিয়ে আজ একুশের নির্বাচনে বাস্তবের চেনা মাটিতে তিনি স্বমহিমায়। কেননা এবারের কুরুক্ষেত্রে পাশে আছে অর্জুন। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। যার পাখির চোখ নিজের গড়ের সাতটি বিধানসভা। 
শেষের ব্যক্তিটি ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার চন্দ্রমনি শুক্লা। একসময়ে রাজনীতি ছিল তাঁর অপছন্দ। পুত্র মনীশের ‌নৃশংস হত্যার পরই সিদ্ধান্ত বদল। নতুন মুখ। ছেলের হত্যাকারীদের মুখোশ তুলে ধরতেই এবার লড়াইয়ে তিনিও নামলেন।

পাড়ায় পাড়ায় পিসির ভাইপোরা লুটেপুটে খাচ্ছেঃ সন্ময় ব্যানার্জী

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ শুধু কলকাতার হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের ভাইপো নয়, পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠা পিসির ভাইপোরা লুটেপুটে খাচ্ছে।  শনিবার সকালে রক্ষাকালিতলা মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোট প্রচারে বেরিয়ে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন পানিহাটি কেন্দ্রের  বিজেপি প্রার্থী সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দাবি,  বাংলায় এবার পরিবর্তন নিশ্চিত। হুইল চেয়ারে বসে নাটক করে মানুষের সহানুভূতি আদায় সম্ভব নয়। কারন, বাংলার মানুষ ওকে বিশ্বাস করেনা। ভোটে জিতে উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বললেন, বর্ষায় জমাজল থেকে পানিহাটিকে মুক্তি দিতে হবে। 
পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালকে উন্নত মানের হাসপাতাল করতে হবে। জঞ্জালনগরী থেকে  পানিহাটিকে মুক্ত করতে হবে।

Friday, March 19, 2021

দেওয়াল লেখার সময় হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে জগদ্দলে

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ ভোট ঘোষণা হতেই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। শুক্রবার সন্ধ্যেতে জগদ্দলের নতুনগ্রাম তেরোপার্বন লজের কাছে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলায় আক্রান্ত হয়েছে ব্যারাকপুর জেলা কমিটির সদস্য সমীর দত্ত, অমর দাস ও রাজু দাস। এদিন জগদ্দল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্যের সমর্থনে দেওয়াল লিখনের কাজ চলছিল। আক্রান্ত বিজেপি নেতা সমীর দত্তের অভিযোগ, আচমকা তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী হানা দেয়। তাদেরকে মারধোর করে দেওয়াল লিখনের জিনিসপত্র ড্রেনে ফেলে দিয়ে ওরা পালিয়ে যায়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য ও জগদ্দল থানার পুলিশ। বিজেপির পক্ষ থেকে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির বঞ্চিত গোষ্ঠীর লোকজন হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ওরা মিথ্যা বদনাম করছে।

ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী মনীশের পিতা চন্দ্রমনি শুক্লা

নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ  রাজনীতির আঙিনায় পা রাখা তার অপছন্দ। তবুও একপ্রকার বাধ্য হয়েই রাজনীতিতে পদার্পন করলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রার্থী ঘোষণার পর এমনটাই খোলামেলা বললেন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রমনি শুক্লা। প্রয়াত পুত্র আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার অসম্পূর্ণ কাজগুলো পূরণ করা চন্দ্রমনি বাবুর একমাত্র লক্ষ্য। পাশাপাশি তিনি এও জানালেন, বন্ধ কলকারখানাগুলো খোলার চেষ্টা করবো। মানুষের চাহিদা বুঝে উন্নয়ন করবো। উল্লেখ্য, মানুষের সেবায় মনীশের হাতে তৈরি হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'সৃষ্টি'। সৃষ্টির মূল লক্ষ্য ছিল অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু মনীশের মৃত্যুর পর সৃষ্টির কাজকর্ম বন্ধ হতে বসেছিল।
 ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মিলন কৃষ্ণ আঁশ বলেন, সৃষ্টির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলাম। এখনও মনীশের কথা মনে এলে চোখে জল নেমে আসে। তাই চন্দ্রমনি শুক্লার হাত ধরে সৃষ্টিকে বাঁচিয়ে তোলা হবে। সৃষ্টির কাজের মাধ্যমেই মনীশ আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবে।

Wednesday, March 17, 2021

প্রাথমিকে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে পদপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ বারাসাতে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এবার প্রাথমিকে নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন করতে অবস্থান বিক্ষোভ বারাসাতে। ২০০৯ সালের ১০ ফেব্রিয়ারি প্রকাশিত প্যানেল অনুযায়ী এখনও নিয়োগপত্র হাতে পাননি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বুধবার বারাসাতে ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারী স্কুল কাউন্সিল অফিসের সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করল। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ২০০৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্যানেলের সফলকারীদের এখনও নিয়োগ করা হল না। অথচ ২০১৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্যানেলের সফল প্রার্থীদের নিয়োগপত্র হাতে হাতে দেওয়া হল। আন্দোলনকারীদের দাবি, দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। 
সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করা চলবে না। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া যাবে না।

Monday, March 15, 2021

স্বামী বিজেপি করায় স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিউ ব্যারাকপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ঘর থেকে টেনে হিচড়ে বাইরে বের করে বেদম প্রহার করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ ব্যারাকপুর থানার যুগবেড়িয়া ঘোষপাড়া বোদাই তিন রাস্তার মোড়ে। অভিযোগ, বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ১০৭ ভাড়ার গাড়িটিতে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন সন্ধ্যেয় বিজেপি কর্মী রাজু কর্মকার আর নয় অন্যায়ের সপক্ষে বাড়ি বাড়ি লিফলেট বিলি করেন। রাত ৮-৩০ মিনিট নাগাদ চা খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পার্টি অফিসে যান। অভিযোগ, স্ত্রীকে একা পেয়ে তৃণমূলের অনুপম ঘোষ, বিকি ও মুক্তি চোধুরী দলবল নিয়ে চড়াও হয়। রাজুর স্ত্রী সোমা কর্মকারকে চুলের মুঠি ধরে টেনে বাইরে এনে মারধোর করে। ওইদিন রাতেই সোমা দেবী নিউ ব্যারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
 মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ শেখ রাজু মন্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় বিলকান্দা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চিত্তরঞ্জন মন্ডল বলেন, ওদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। গাড়ির চালক ও খালাসীর ঝামেলাকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে বিজেপি মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।

Sunday, March 14, 2021

বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল পানিহাটিতে

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ নির্বাচন ঘোষণা হবার পরও রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত বাংলায়। শনিবার রাতে খড়দা থানার পানিহাটি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এঙ্গেলস নগরে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে তান্ডব চালালো একদল দুষ্কৃতী। হামলায় আক্রান্ত ৬৩ বছরের গৃহকর্ত্রী সুধা মালাকার। তান্ডব ঠেকাতে গিয়ে আক্রান্ত আরেক বিজেপি কর্মী ৬১ বছরের তাপস বল। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত সুধা দেবীর বউমা রমা মালাকার পানিহাটি-২ মন্ডলের মহিলা মোর্চার সহ-সভানেত্রী। রমা দেবী জানান, অনুমতি ছাড়াই তাদের বাড়ির দেওয়ালে তৃণমূল পোষ্টার মেরেছে।  সেই পোষ্টার কে বা কারা ছিঁড়ে দিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের দলবল বাড়িতে এসে  তাদেরকে পোষ্টার ছেড়ার দোষারোপ করে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে তান্ডব চালায়। শ্বাশুড়িকে ওরা মারধোর করে। ঘটনায় ভীত হয়ে শ্বাশুড়ি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে প্রথমে পানিহাটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ এবং পরে পার্ক সার্কাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী ৬১ বছরের তাপস বল কলকাতার মল্লিক বাজারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
 আক্রান্তের পরিবার রবিবার  খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রবীর ব্যানার্জি বলেন, বহিরাগতরা এলাকায় ঢুকলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে ঘটনায় তৃণমূলের কেউ যুক্ত নেই। বিজেপি তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে প্রচার চালাচ্ছে।

Saturday, March 13, 2021

মমতা স্বীকার করলেন এটা দুর্ঘটনা কটাক্ষ অর্জুনের

নিজস্ব প্রতিবেদন, ব্যারাকপুরঃ নন্দীগ্রামে তাঁকে চার-পাঁচ জন মিলে ধাক্কা মেরেছে। এমনই অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বয়ান থেকে তিনি ৯০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়ালেন । জেলা প্রশাসন হামলার তত্ত্ব খারিজ করে জানায়, মুখ্যমন্ত্রী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হয়েছেন। শুক্রবার বেলায় ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, অনেকদিন ওনার সঙ্গে ঘর করেছি। জানি উনি গিমিক রাজনীতিতে অভ্যস্ত। তাই গিমিক করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এবারে বাংলার মানুষ সেটা বিশ্বাস করেনি। 
মুখ্যমন্ত্রী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হয়েছেন, এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তার দাবি, উনি উপলব্ধি করেছেন নন্দীগ্রামের মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে নেই। তাই  এই নাটক করেছেন। সাংসদের বক্তব্য, মমতা ব্যানার্জি এমন একটা বিস্ফোরক মন্তব্য করে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বাংলার মানুষ ওনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বাধ্য হয়ে ওনাকে বলতে হয়েছে এটা দুর্ঘটনা।

Wednesday, March 10, 2021

বদলায়নি সংস্কৃতি, চোখ রাঙানো নেতাদের বিরুদ্ধেই ভোট হবে নৈহাটিতে

চিত্ত ওঝাঃ ভোট আসলে এখন  বামেদেরকে নৈহাটিতে কেউ গালাগাল দেয়না। কেননা বাম সংস্কৃতি গত দশ বছরে তলানিতে। পথ নাটক, সাংস্কৃতিক সমন্ময় যা কিছু শাসকের দখলে। আধা বাম-আধা খাম মিলে মিশে সাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরাচারী এসবে শাসকের তত্ত্ব আওড়ে মাঝে মধ্যে পথে ঘোরে। ভোটে অভ্যাসমত ওঁরা হয়ত এবারও থাকবে। কেননা, একটু সংস্কৃতি, একটু নাটুকে এসবের বাসনায় প্রার্থী প্রগতিশীল বলে জাহির করতে হবে। কিন্তু ওই সংস্কৃতির সরষের মধ্যেই অজস্র ভূত রয়েছে। যাদের অনেকেই বহুদিন ধরে অবহেলিত ও অসন্মানিত। এরকম এক পোড়খাওয়া রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তি নৈহাটির ভোটের হাওয়া নিয়ে তুল্যমূল্য বললেন। তাঁর কথাতেই, একটুও বদলায়নি নৈহাটি। বাম ছবি মুছে সততার ছবিতে মুখ ঢেকেছিল। যদিও তাল কাটল উনিশে। গেরুয়া প্রভাবে অভিনয়ের মুখগুলো রাতারাতি ফ্যাকাসে হয়ে গেল। বাম জমানায় নৈহাটিতে দাপুটে তিন সিপিএম নেতার নাম উচ্চারণ হত। উদয় ভট্টাচার্য, অঞ্জন দাশগুপ্ত, মদন মল্লিক। তাঁদের নামে সেসময় বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত। সূত্র বলছে, সেই জায়গা বহাল তবিয়তে দখল নিয়েছিল দুই তৃনমূল নেতা। একজন বর্তমান পুরপ্রশাসক। অপরজন নৈহাটির পূর্ব পাড়ের যুব নেতা। তিনিও পুরপ্রশাসক মন্ডলীর সদস্য। লোকসভায় ব্যারাকপুরে বিজেপির জয়ে পুরনো তৃনমূলীরা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে পেল।
 অভিযোগ, নেতাদের দম্ভ ও ঔদ্বত্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল মুখের ওপর কথা বলা যেত না। তাঁদের সাঙ্গপাঙ্গরাতো গোটা নৈহাটি বিধানসভা জুড়ে সাম্রাজ্য চালাত। আর ক'দিন বাদেই ভোট। চোরা সন্ত্রাস এখন নৈহাটির আনাচে কানাচে। খুচরো দাগীদের আড়ালে রেখে অবৈধ ধান্দার নেতাদের ঘোরা ফেরার বহর বেরেছে।  সুতরাং বন্ধ এই শিল্প শহর সেই তিমিরেই রয়েছে। তফাত পুরসভা ও পঞ্চায়েতে সিংহভাগ নেতাদের ঠাটবাট বদলেছে।   সাহিত্য সম্রাট, হরপ্রসাদ, কেশব সেনের পুন্যভূমির বাসিন্দারা বলছে, রঙ বদলেছে। কিন্তু করে কম্মে খাওয়াদের সংস্কৃতি একই আছে। তবে চোখ রাঙানো নেতাদের তালিকা হৃদয়ে গেঁথে রেখে তারা ভোটটা দিতে প্রস্তুত।

Tuesday, March 9, 2021

সহকর্মীদের দেখতে লিফটে উঠেই আগুনে মৃত্যু রেল অফিসারের দাবি পরিবারের

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ অন্যান্য দিনের মতোই সোমবার সকালে অফিসের গাড়ি চেপে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর স্ট্যান্ড রোডের কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ে গিয়েছিলেন বরানগর শ্রীমনী পাড়ার বাসিন্দা পার্থ সারথি মন্ডল। কিন্তু তার আর বাড়ি ফেরা হল না। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে লিফটে দমবন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হল। তিনি ছিলেন পূর্ব রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার। মঙ্গলবার সকালে তার মৃতদেহ এসে পৌঁছয় বরানগরের বাড়িতে। পার্থ বাবুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বরানগর শ্রীমানী পাড়ায়। মৃতের জামাই অভিজিৎ মুখার্জি জানান, সন্ধ্যে সাড়ে ছ'টা থেকে রাত সাড়ে ন'টা পর্যন্ত ওনার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। তারপর ঘটনাস্থলে ছুটে যাই।
 সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এলে বাবার কথা বলি। মুখ্যমন্ত্রীর সহায়তায় এস এস কে এম হাসপাতালে গিয়ে বাবার দেহ সনাক্ত করি। দেখি বাবা আর নেই। অভিজিৎ বাবুর দাবি, বাবা একজন বড় অফিসার ছিলেন। তাই সহকর্মীদের খোঁজ করতে লিফটে চেপে ওপরে উঠেছিলেন। সম্ভবত লিফটেই দমবন্ধ হয়ে ওনার মৃত্যু হয়েছে। মৃতের প্রতিবেশী ইন্দ্রজিৎ মন্ডল জানান, উনি বাড়ি ফেরার জন্য যথারীতি অফিসের ব্যাগ গাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আগুন লাগার পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে খতিয়ে দেখতে লিফটে চেপে ওপরে গিয়েছিলেন। লিফটে আটকে ওনার দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এসে স্থানীয়  তৃণমূল প্রার্থী তাপস রায় বলেন, মর্মান্তিক  ঘটনা। অগ্নিকান্ডে তার কেন্দ্রের বাসিন্দা এক রেল কর্তার মৃত্যু হয়েছে। সহকর্মীরা ঠিকমতো আছেন কিনা, তা দেখতে গিয়েই উনি প্রাণ হারালেন।

Saturday, March 6, 2021

কাজ হারিয়ে মানসিক অবসাদে যুবকের মৃত্যু নিউ ব্যারাকপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ মানসিক অবসাদে এসিড খেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিল এক যুবক। নিউ ব্যারাকপুর থানার নেতাজী সুভাষ রোডে দমকল কেন্দ্রের সামনে একটি খাবারের দোকানে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত যুবকের নাম সজল মিস্ত্রি (২৫)। তাঁর বাড়ি নিউ ব্যারাকপুর থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাসুন্দা নেতাজী সুভাষ রোড বাই লেনে। মৃতের বাবা সুবোধ মিস্ত্রি স্টেশন চত্বরে পেয়ারা বিক্রি করেন। বাসিন্দারা জানান, হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ে পার্ক সার্কাসে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সজল কাজ করতো। কিন্তু লকডাউনে তাঁর কাজ চলে যায়। তারপর থেকেই সজল মানসিক অবসাদে ভুগছিল। শেষমেশ  দমকল কেন্দ্রের সামনে বন্ধুর একটি চায়ের ও খাবারের দোকান সজল দেখাশুনা করতো।
 শুক্রবার দুপুরে দোকানের মধ্যেই সজল এসিড খায়। সংকটজনক অবস্থায় তাকে বারাসাত সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। ওইদিন সন্ধ্যেয় হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত যুবকের পরিবারের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে সজল মানসিক অবসাদে ভুগছিল।

বীজপুর, ভাটপাড়া, জগদ্দল, নোয়াপাড়া ও ব্যারাকপুরে প্রার্থী নিয়ে তৃনমূলের অন্দরে ক্ষোভ চরমে

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ কঠিন লড়াইয়ে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের আসনগুলোতে অপছন্দের প্রার্থী  হওয়ায় শাসকদলের অন্দরে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। মুকুল রায়ের খাসতালুক বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃনমূল নেতা সুবোধ অধিকারীকে প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ নিচুতলার কর্মীরা। পাশাপাশি একাধিক গোষ্ঠী কোন্দলে বীজপুরে জেরবার শাসকদল তৃণমূল। ক্ষোভের কারন, লোকসভা নির্বাচনের পর শাসকদলে ভিড়েছেন সুবোধ অধিকারী। অথচ তাকেই প্রার্থী করায় ক্ষোভ জন্মেছে দলের অন্দরে। এমনকী তার রাজনৈতিক স্টাইলও মেনে নিতে পারছেন না বিরোধী গোষ্ঠী। সূত্র বলছে, এই কেন্দ্রের দাবিদার ছিলেন ছাত্র নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। লড়াইয়ের কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন স্বচ্ছ ইমেজের তৃণমূল নেত্রী সোনালী সিংহ রায়। তিনি প্রয়াত জননেতা মৃনাল সিংহ রায়ের বোন। গেরুয়া শিবিরের শক্তঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত ভাটপাড়া কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে ২০১৬ সালে নির্দল প্রতীকে দাঁড়িয়ে পরাজিত প্রার্থী জিতেন্দ্র সাউকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। উপনির্বাচনে তৃণমূলের হেভিওয়েট মদন মিত্র রাজনৈতিক আঙিনায় একেবারে নবাগত পবন সিংয়ের কাছে বিপুল ভোটে পরাস্ত হন। প্রার্থী ঘোষণার পর এই কেন্দ্রের  দাবিদার দুই যুব নেতা গোপাল রাউত ও অমিত গুপ্তার শিবির বিষণ্ন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া অমিতের বাবা ধরমপাল গুপ্তাও এই কেন্দ্রের দাবিদার ছিলেন। টিকিট না পেয়ে হতাশ ভাটপাড়ার তৃণমূল নেতারা শেষপর্যন্ত কি করেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। 
ফরোয়ার্ডব্লক হোক আর ঘাসফুল। জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্রে বহিরাগত প্রার্থীরা বাজিমাত করেছে। এবারে এই কেন্দ্রে ভাটপাড়া কেন্দ্রের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোমনাথ শ্যামকে প্রার্থী করা হয়েছে। যদিও জগদ্দলের আকাশ-বাতাস তার অপরিচিত। ভাটপাড়ার পুর প্রশাসক অরুন বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সোমনাথ তালুকদার প্রার্থী হবার দৌঁড়ে ছিলেন। বিদায়ী হিমাংশু সরকারেরও মনের বাসনা ছিল প্রার্থী হবার। কিন্তু চাপিয়ে দেওয়া সোমনাথ শ্যামকে প্রার্থী করায় মুষড়ে পড়েছেন জগদ্দলের আদি নেতারা। নোয়াপাড়া কেন্দ্রেও প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের একটা শ্রেণীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। নিচুতলার কর্মীদের দাবি ছিল, কঠিন লড়াইয়ে লড়াকু ইমেজের কাউকে প্রার্থী করা। কিন্তু প্রাক্তন বিধায়িকা মঞ্জু বসুকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করায় হতাশ দলীয় কর্মীরা। গারুলিয়ার পুরপ্রশাসক সঞ্জয় সিং ওরফে নন্নেকে কিংবা উত্তর ব্যারাকপুর পুর প্রশাসক মলয় ঘোষকে প্রার্থী করার দাবি ছিল নিচুতলার একাংশের। ভাটপাড়ার পর শিল্পাঞ্চলের আরেকটি নজরকাড়া কেন্দ্র ব্যারকপুর। এই কেন্দ্রের অন্যতম দাবিদার ছিলেন পুর প্রশাসক উত্তম দাস। প্রার্থী হবার বাসনা ছিল আরও দু-একজনের। কিন্তু ওই কেন্দ্রে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে প্রার্থী করায় দলের অন্দরে ক্ষোভ চরমে। চরম গোষ্ঠী কাজিয়া সামাল দিয়ে শাসকদল কেমন ফল করে, সেটাই এখন দেখার।

Friday, March 5, 2021

ব্যারাকপুরের সাতটি আসনে চার নতুন মুখকে প্রার্থী করল তৃনমূল

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এবারে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্রের সাতটি আসনে তৃনমূল চারজন নতুন মুখকে প্রার্থী করল। লোকসভা ভোটে দিনেশ ত্রিবেদীর পরাজয়ের পর এই শিপ্লাঞ্চলে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে তৃনমূলের সংগঠন। একে একে বীজপুর, নোয়াপাড়ার  বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দেন। সব শেষে চমকে দিয়ে ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত তৃনমূল ছেড়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন। স্বভাবতই এই নির্বাচন ব্যারাকপুরে তৃনমূলের কাছে হতে চলেছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। যে তিন জন নতুন মুখকে প্রার্থী করা হল তাঁদের মধ্যে চলচ্চিত্র জগতের রাজ চক্রবর্তী ব্যারাকপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জগদ্দলে এই প্রথম স্হানীয় প্রার্থী হলেন সোমনাথ শ্যাম। এর আগে দুবার এই কেন্দ্র থেকে পরশ দত্ত বিধায়ক হয়েছিলেন। যদিও তিনি কলকাতার বাসিন্দা। বীজপুর বিধানসভায় নতুন মুখ সুবোধ অধিকারী। বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে যোগ দিয়ে মাত্র অল্পসময়ের ব্যবধানে তিনি বীজপুরের মাটিতে এই প্রথম সাফল্য পেলেন। 
নোয়াপাড়া কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা হলো দলের পুরনো সৈনিক মঞ্জু বসুকে। তাঁকে প্রার্থী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহু চর্চিত ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র। বলা হয় অর্জুন সিংয়ের খাস তালুক। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে পুত্র পবন সিং হেভিওয়েট নেতা মদন মিত্রকে বিপুল ভোটে হারিয়েছেন। সেখানে তৃনমূলের প্রার্থী হলেন জিতু সাউ। তিনি ২০১৬ সালে নির্দল হিসেবে অর্জুন সিংয়ের বিপরীতে লড়েছিলেন। আমডাঙার দু'বারের বিধায়ক রফিকুর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় নতুন মুখ মূর্তাজা মুস্তাককে দাঁড় করাল তৃনমূল। মাঝে নৈহাটি কেন্দ্রে তৃতীয় বারের জন্য পুরনো মুখ পার্থ ভৌমিককে দল রেখে দিল।

Thursday, March 4, 2021

কলেজ ছাত্রের নিখোঁজ ঘিরে রহস্য আগরপাড়ায়

নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ কলেজে যাবার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেপাত্তা এক কলেজ ছাত্র।  রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ওই ছাত্রের নাম ঋষভ কুমার মুখার্জি (১৯)। নিখোঁজ ছাত্র ১৯ বছরের ঋষভ কুমার মুখার্জি ঘোলা থানার আগরপাড়া উসুমপুর উত্তরপল্লীর বাসিন্দা। নিখোঁজ ছাত্রের মা খুশি মুখার্জি জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনদিন ছেলে বালিগঞ্জে ছিল। ১ লা মার্চ অর্থাৎ সোমবার সকালে ১০ মিনিটের জন্য বাড়িতে এসেই, সকাল ১০-২০ মিনিট নাগাদ রানাঘাটে কলেজে যাবার জন্য ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর আর ছেলে বাড়ি ফেরেনি। একটা ফাইলে থাকা ওর কাগজপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘোলা থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়েছে। ছেলে নিখোঁজে উদ্বিগ্ন আগরপাড়ার উসুমপুরের মুখোপাধ্যায় পরিবার।

বাংলায় গুন্ডারাজ ও দুর্নীতির আখড়া, জগদ্দলে এসে বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ মমতার বাংলা গুন্ডারাজ ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জগদ্দলের হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। এদিন তিনি দাবি করলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গোটা দেশ জুড়ে উন্নয়ন চলছে। কিন্তু সেই উন্নয়নের ধারাকে পশ্চিমবঙ্গে আটকে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বললেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বাংলার মানুষের আস্থা রয়েছে। উনি বাংলার বিকাশ চান। পাশাপাশি এখানকার গৌরবকে আরও উঁচুতে তুলে ধরতে চান। মন্ত্রীর দাবি, এই রাজ্যের মানুষের বিজেপি প্রতি আস্থা বেড়েছে। তাতেই পরিষ্কার বাংলায় এবার পরিবর্তন নিশ্চিত। বাংলায় তৃণমূল সরকারের পতন হবে। আর বাংলায় বিজেপি আসবে। তাঁর কথায়,  আগামী ৭ মার্চ  ব্রিগেডে জনসভা করতে প্রধানমন্ত্রী মোদীজী বাংলায় পা রাখবেন। 
ওনার আগমনকে ঘিরে এখন থেকে মানুষের মধ্যে উচ্ছাস ও উন্মাদনা রয়েছে। মোদীজীর সভা থেকে বাংলার জনতা পরিবর্তনের সংকল্প নিয়ে বাড়ি ফিরবে। এদিন হনুমান মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র, বিজেপি নেতা গনেশ দাস-সহ অন্যান্য কার্যকর্তারা।

ব্যারাকপুরের সাতটি কেন্দ্রে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম এখন দিল্লির সিলমোহরের অপেক্ষায়

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজ্য বিজেপির নির্বাচনী ওয়ার রুম হেস্টিংস-এ বুধবার প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে চুলচেড়া আলোচনার পর নামের তালিকা ফাইল বন্দী হয়ে রাতেই দিল্লীতে পৌঁছে গিয়েছে। সঙ্গে গিয়েছেন রাজ্য নির্বাচনী কমিটির পদাধিকারীরা। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকে প্রার্থী তালিকায় চুড়ান্ত সীলমোহর পড়বে। এরই মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্রে কিছু পরিচিত মুখের নাম ভেসে উঠলেও দলীয় তরফে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। প্রার্থী সিলেকশন নিয়ে এতটাই কঠোর নেতৃত্ব, বিধানসভা পিছু দুই থেকে তিনটি নাম রেখেছে। ইতিমধ্যেই আলোচনার শিরোনামে উঠে এসেছে ব্যারাকপুর কেন্দ্র। উনিশের লোকসভার পর থেকে কলকাতার কাছে বিজেপির সব চেয়ে শক্ত ঘাঁটি এই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। লড়াকু নেতা অর্জুন সিং তৃনমূল ছেড়ে বেরিয়ে যেতেই জোড়াফুল শিবিরে ধ্বস নামে। এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে চারজন বিধায়কই বিজেপির। নৈহাটি, জগদ্দল, আমডাঙা খাতায় কলমে তৃনমূলের দখলে। যদিও একমাত্র আমডাঙা বাদে বাকি দুটি বিধানসভায় লোকসভা  ভোটের মার্জিনে তৃনমূল পিছিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে দাঁড়াতে চলেছেন প্রয়াত বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার পিতা পেশায় চিকিৎসক চন্দ্রমনি শুক্লা। অনেক আগেই থেকেই চন্দ্রমনি শুক্লাকে জনসংযোগের ক্ষেত্রে ময়দানে দেখা যাচ্ছে। ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের  খড়দহ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবার সম্ভবনা প্রবল। পানিহাটি কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসছে। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শাসকদলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তাকে জেলও খাটতে হয়েছে।  নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিং জয়লাভের পর, তিনি ঘাসফুল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। এবারে তাঁর নামের সঙ্গে আরও দুটি নাম সম্ভাব্যর তালিকায় রয়েছে। একজন দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, আরেকজন গত উপনির্বাচনে নোয়াপাড়া কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে লড়াই দেওয়া সন্দীপ ব্যানার্জী। জগদ্দল কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার দৌঁড়ে চার মুখের নাম উঠে আসছে। যুব নেতা সৌরভ সিং ও বাগ্মী নেতা অরুন ব্রহ্মের নাম শোনা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রাক্তন জেলা সভাপতি উমাশঙ্কর সিংও রয়েছেন।
তবে পিছিয়ে নেই বর্ষীয়ান রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্য অসিত বরণ আইচ। বাম জমানা কিংবা ঘাসফুল জমানা, এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে বরাবরই জয়ী হয়েছে বহিরাগত প্রার্থী। তবে শেষমেশ কার ভাগ্যে শিকে ছেড়ে, সেটাই এখন দেখার। কঠিন লড়াইয়ে ভাটপাড়ায় উপনির্বাচনে প্রথমবার পদ্মফুল প্রতীকে দাঁড়িয়ে  তরুণ বিধায়ক পবন কুমার সিং জয়ী হয়েছিলেন। অত্যন্ত মার্জিত, শিক্ষিত, বিনয়ী পবনের প্রার্থী হওয়া নিশ্চিত। স্থানীয়দের দাবি, পবনের বিকল্প পবনই।  নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র ও রাজ্য যুব মোর্চার নেতা তাপস ঘোষের নাম উঠে আসছে। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে গেরুয়া প্রতীকে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছিলেন ফাল্গুনী পাত্র। যদিও এই দুই মুখের যে কেউ একজন আমডাঙা কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। 
তবে নৈহাটিতে পাল্লা ভারী তাপসের। বীজপুরে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন শুভ্রাংশু রায়ই। দ্বিতীয় কোনো নাম চর্চায় নেই। একুশে মোদী-শাহের পাখির চোখ বাংলায়। এবারে অত্যন্ত সর্তকভাবে প্রার্থী তালিকা তৈরি করছেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মিলে। সেক্ষেত্রে জিততে পারবে গ্রহনযোগ্য এমন লড়াকু মনোভাবাপন্নকেই প্রার্থী করতে চায় গেরুয়া শিবির।