চিত্ত ওঝাঃ 'রাম তেরি গঙ্গা মইলি হো গায়ী, পাপীয়োকো পাপ ধোতে ধোতে'। এদল থেকে ওদলে গিয়ে রাজনীতির পাপ যখন ধুয়ে ফেলছে প্রার্থীরা তখন ব্যারাকপুরের তিন পদ্ম প্রার্থীর মুখ জানান দিচ্ছে গঙ্গা আজও পবিত্র। রাজনীতির চেনা ছকের গন্ডি টপকে ব্যারাকপুরের তিনি মুখ এবারের ভোটে নিয়নের আলোর মতোই উজ্জ্বল। যদিও তাদের মধ্যে এক প্রার্থী স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বিধায়ক হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
যিনি দাপুটে পিতার আসনে ২০১৯ শের উপনির্বাচনে বাজিমাত করেছেন। পবন কুমার সিং। সাংসদ পিতা অর্জুন সিংয়ের পুত্র। কিন্তু নামেই। বাবার ছায়া তাঁর মধ্যে কোথাও যে নেই অতি বড়ো নিন্দুকদেরও বলতে শোনা যায়। শান্ত নিপাট গোছের মুখ পবন ভাটপাড়ার মতো অশান্ত এলাকার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সহজেই মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ধীর স্থিরভাবে কথা বলতে ও শুনতে তিনি পছন্দ করেন। দীর্ঘদিনের দাদু-বাবার রাজনীতির উঠোনে পবন যেন প্রদীপের একখন্ড আলো।
ফাল্গুনী পাত্র নৈহাটিতে বিজেপির মুখ। দুর্দিনে এই শিল্পাঞ্চলে বিজেপিকে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার অন্যতম কারিগর। লড়াই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে তিনি বঙ্গ নারীর মুখ হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে শিল্পাঞ্চলে বাম রাজনীতির গার্গী চ্যাটার্জীর পর গেরুয়া শিবিরের ফাল্গুনী পাত্রর নামটাই রাজ্যের মানুষের কাছে পরিচিত। মিশুকে, স্মিত হাসির ফাল্গনী পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাসী। যদিও ২০১৬ সালে নৈহাটিতে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। সেই সময়টা তাঁর কাছে ছিল স্বপ্নের। পরিচয় ঘটিয়ে আজ একুশের নির্বাচনে বাস্তবের চেনা মাটিতে তিনি স্বমহিমায়। কেননা এবারের কুরুক্ষেত্রে পাশে আছে অর্জুন। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। যার পাখির চোখ নিজের গড়ের সাতটি বিধানসভা।
No comments:
Post a Comment