Sunday, February 27, 2022

বুথে বুথে দেদার ছাপ্পা, অবাধে ভোট লুট ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অবশেষে সাধারণ মানুষের আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণিত করে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে পুরভোটে বুথে বুথে দেদার ছাপ্পা ভোট চলল। অভিযোগ সর্বত্র পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। 
দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশ ভোট করাচ্ছে এই অভিযোগে সরব বিরোধীরা। বাম জমানাকে ছাপিয়ে বিরোধী শূন্যর আওয়াজ দৃষ্টান্ত স্থাপন করল এমনটাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত

Saturday, February 26, 2022

ভোট লুট হলে বামেরা কিছুটা পাপ মুক্ত হবে, দাবি ব্যারাকপুরের মানুষদের

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাত পোহালেই পুরভোট। উত্তাপের আবহে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ৮ পুরসভা। একতরফা ভোটের আশঙ্কায় পুরসভার বাসিন্দারা। 

কেননা সেই পুলিশ। ছাত্র নেতা আনিস খুনে তাঁর বাবা যেমন পুলিশকে একবিন্দু বিশ্বাস করতে পারছেন না, তেমনি সাধারণ ভোটাররা এই পুলিশ দিয়ে স্বচ্ছ ভোট হতে পারে এমনটা মানতে পারছে না। 

উনিশের লোকসভা ভোটের সময় থেকে ব্যারাকপুর জুড়ে অশান্তির ছবিটা সাধারণের চোখ সওয়া। বোমা বিস্ফোরণ থেকে বোমাবাজি,রাজনৈতিক দখলদারি,মারধর,ভাঙচুর,লুটপাটের অজস্র ঘটনায় বার বার উত্তপ্ত হয়েছে শিল্পাঞ্চল। বিশেষ করে ভাটপাড়া-জগদ্দল অশান্তির আঁতুড়ঘর। 

রাজনীতির বিশ্লেষণ বলছে, ব্যারাকপুরে শাসকের টার্গেট অর্জুন সিং। বিজেপিতে গিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এই কেন্দ্রের সমীকরণ পাল্টে যায়। তাই বিজেপিকে কিছুতেই বাড়তে দেওয়া যাবে না এই মনোভাবের প্রভাব পড়তে থাকে। একে একে অর্জুন অনুগামীদের তৃনমূল দলে নিয়েও ভরসার জায়গা তৈরিতে ব্যর্থ। 

সূত্রের দাবি, অলি-গলির যাকে তাকে নেতা বানিয়ে পরিস্থিতি আরো জটিল থেকে জটিলতর করে তুলেছে তৃনমূল। বিজেপি ভেঙে নিজের ঘর ভরিয়েও এই আট পুরসভায় তারা স্বস্তিতে নেই। আচার আচরণে শক্তি প্রদর্শন দেখাচ্ছে ঠিকই কিন্তু এলাকায় দুর্নীতি ও কাটমানির কাঁটা বিঁধে রয়েছে।

 বিজেপি এই ভোট নিয়ম রক্ষার জন্য লড়ছে। দলীয় তরফে তারা কর্মী-নেতৃত্বকে পুলিশি মিথ্যা মামলা থেকে দূরে রাখতে চাইছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় এখনো বহু কর্মী এলাকা ছাড়া। বহু কর্মীকে গাঁজা, লিটার কেস দিয়ে জেলে পোড়ার অভিযোগও তুলেছে বিজেপি। কাজেই ভোট লুট হলে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া তাদের উপায় নেই। যদিও ভাটপাড়া, গারুলিয়ার ক্ষেত্রে পদ্বতি একটু অন্যরকম। 

সমীকরণ বলছে, টিটাগড় থেকে বীজপুর বিরোধী শূন্য পুরসভা হলে লাভ বিজেপিরই। কেননা সামনের বছর পঞ্চায়েত ভোট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসনের খিদে তীব্র হবে। তারপরেই ২০২৪-এ লোকসভার ভোট। 

এই ভোটে শিল্পাঞ্চলের অসংখ্য সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী ভোটাররা পুলিশের ওপর ভরসা করে বুথ কেন্দ্রে যাবেন না। হয়তো তাদের ভোট আগে বা পরে ছাপ্পা হয়ে যাবে। কিন্তু কথায় আছে এক মাঘে শীত যায় না। 

Friday, February 25, 2022

প্রয়াত সিপিএম প্রার্থী ভাটপাড়ায়

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পুরভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী এক বাম প্রার্থীর মৃত্যু হল ভাটপাড়ায়। এর ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ওয়ার্ডের ভোট প্রক্রিয়া। 

ভাটপাড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন বাবলি দে। বয়স আনুমানিক ৬৬ বছর। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ভাটপাড়ার গৌর মোহন রায় লেনের বাসিন্দা ছিলেন। 

তিনি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মানিকপীর বাজার লাগোয়া কুশ বিদ্যালয়ের কাছে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন। সেখানেই অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে ভাটপাড়া ষ্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেরিব্রাল আক্রান্ত হওয়ায় সেখানে থেকে কলকাতার ইনষ্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স এ ভর্তি করা হয়। 

দীর্ঘ বছর যাবৎ তিনি শ্রমিক সংগঠন সি আই টি ইউ'র সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই শিল্পাঞ্চলে জুট মিল শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি সর্বদা পাশে থেকে কাজ করে গেছেন।

Wednesday, February 23, 2022

বিজেপি প্রার্থীকে মারধর করে পাঁজর ভেঙে দিল দুষ্কৃতীরা কাঁচরাপাড়ায়


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিজেপি প্রার্থীকে মেরে বুকের পাঁজর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ বীজপুরের কাঁচরাপাড়ায়। আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী সজল কর্মকার। তিনি কাঁচরাপাড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

অভিযোগ, রাতে তাঁকে তৃনমূলের নেপা চন্দন দলবল নিয়ে পুলিশের সামনেই মারধর করে। আহত অবস্থায় তাঁকে কল্যানীর জে এন এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়ে। এক্সরে করার পর তাঁর বুকের বাম দিকের পাঁজরের দুটি হাড় ভেঙেছে বলে দলীয় তরফে জানানো হয়েছে। 

আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী থানায় শিবু চাকলা, কালিদাস প্রামাণিক সহ চন্দন ভৌমিক ওরফে নেপা চন্দন-র নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও ঘটনা নিয়ে তৃনমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Monday, February 14, 2022

ভোট লুটের খেলায় ফের সচল পুরসভা

চিত্ত ওঝাঃ চার পুরসভায় শাসকের জয়। কেমন লাগছে ? টিভির পর্দায় বিঞ্জাপনের ট্যাগ লাইনটা নিশ্চই মনে পড়ছে। উফ অসাধারণ। আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বজবজ, সিউড়ি, বোলপুর পুরসভা দখল। এ যেন বাংলার গর্ব। ভোট কারা দিল, কতজন দিতে পারল না এটা ধৃতরাষ্ট্র নির্বাচন কমিশন বুঝেও কিছু করার নেই। 

এই ছবি অবশ্য নতুন নয়। বাম জমানার শেষ দশক থেকে ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। বাংলা ভোট লুটের সংস্কৃতি থেকে আজও বেরতে পারল না। 

শিলিগুড়ি পুরসভাকে বাদ দিলে বাকি আসানসোল, বিধাননগর, চন্দননগর পুরনিগমের নির্বাচনে গা জোয়ারি ভোটের অভিযোগ বার বার উঠেছে। টিভির পর্দায় ভুয়ো ভোটার থেকে মৃত ব্যক্তির ভোট দেওয়ার ঘটনাও ধরা পড়েছে। এরপরও চিরাচরিত ধর্মবানি শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। 

শিরদাঁড়া নিয়ে চলা সমাজের বড় অংশ মানুষের দাবি, বাঙালির সুশীল সমাজ এসবে আগ্রহ দেখায় না। ওদের নজর অন্য রাজ্য গোল্লায় গেল কি না। কেননা অন্যের খুঁত বড় আকার করে তোলাটাই ওদের কাজ। আসলে এঁটোকাটা খেয়ে বাম আমল থেকেই ওঁরা মানুষ হয়েছে। 

এখানে ও বাংলার বাইরে ক্ষীন স্বরের বহু মানুষ এই ভোট সংস্কৃতি নিয়ে বহু দিন যাবত বিদ্রুপ করে আসছে। তাদের আক্ষেপ, কয়েক দশকে কলকারখানা লাটে তুলে দিয়ে 'ভোট লুট' শিল্পেই বাঙালি প্রজন্ম নিমজ্জিত। রাজনীতি সর্বস্ব জাতিটা দিন-রাত বিহার, উত্তর প্রদেশের সঙ্গে তুলনা টানতে টানতে ওদের অতীতের অন্ধকারকেই আঁকড়ে ধরল।

Tuesday, February 8, 2022

বিজেপিতে যাওয়া আটকাতেই ভাটপাড়ার অম্বর চক্রবর্তীকে নয়া পদের টোপ তৃণমূলের


বিল্টু কাশ্যপঃ
শেষমেশ বিজেপিতে যোগ দেওয়া আটকে গেল ভাটপাড়ার তৃণমূল নেতা অম্বর চক্রবর্তীর। প্রার্থী তালিকা নিয়ে ভাটপাড়া জুড়ে অসন্তোষ এবং দলে যোগ্য সম্মান না মেলায় ঘাসফুল ছাড়ার কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা অম্বর চক্রবর্তী। 

অর্জুন সিং তৃনমূলে থাকাকালীন তিনি ভাটপাড়ার কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। তারপর অর্জুন সিং গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলে সদলবলে অম্বর বাবুও ওই দলে যোগ দেন। অভিযোগ, যোগ্য সম্মানের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ঘাসফুলে টানা হয়েছিল। কিন্তু ঘাসফুলে যোগ দেবার পর হতাশ হতে হয়েছিল এক্সাইড কারখানার প্রাক্তন উচ্চপদস্থ এই কর্তাকে। একটি মাত্র ওয়ার্ডের মধ্যে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল।

 সূত্র বলছে,এবারের পুরভোটে টিকিট পাবার আশা করেছিলেন বর্ষীয়ান এই ঘাসফুল নেতা। অবশেষে নিরাশ হয়ে সোমবার সকালে হাজির হয়েছিলেন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মজদুর ভবনে। এই খবর চাউর হতেই নড়েচড়ে বসেন তৃণমূল নেতারা। 

সূত্রের দাবি, ওইদিন সন্ধেতে সটান অম্বর বাবুর বাড়িতে হাজির হলেন জেলা সভাপতি, ভাটপাড়া টাউন সভাপতি-সহ একঝাঁক নেতৃত্ব। তাকে দীর্ঘক্ষন বুঝিয়ে নয়া পদ দেবার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।  

জানা গিয়েছে, অম্বর বাবুকে ভাটপাড়ার ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক করা হচ্ছে। নয়া পুরস্কারে কি খুশি ঘাসফুলের এই দুর্দিনের সৈনিক ? তা নিয়েই জোর চর্চা চলছে ভাটপাড়া জুড়ে।

Monday, February 7, 2022

তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দিতে ভাটপাড়ায় লড়াকুদের প্রার্থী করছে বিজেপি


বিল্টু কাশ্যপঃ তৃণমূলের সঙ্গে সমানে টক্কর দিতে ভাটপাড়ায় লড়াকুদের প্রার্থী করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সূত্র অনুযায়ী, ভাটপাড়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী আইনজীবী রাকেশ সিং, ২ নম্বর ওয়ার্ডে রবীন্দ্রর সিং, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে স্মৃতি দাস, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সৃজিতা ভট্টাচার্য, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শুভজিৎ পাল, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পম্পা দেব, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সম্ভাব্য প্রার্থী প্ৰদ্যুত ঘোষ। প্রার্থী হবার দৌঁড়ে আছেন যুব নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য‌। 

ভাটপাড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্দ্রানী মুখার্জি তেওয়ারী, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে অশোক সাউ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পাপ্পু সিং, ১৯ নম্বর ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে সদ্য তৃণমূল থেকে গেরুয়া দলে যোগ দেওয়া সঞ্জয় সিং ও  সুপ্রিয় বিশ্বাস ওরফে নীল, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে সায়ন্তন স্যানালের পাশাপাশি দৌঁড়ে আরও দু-একজন আছেন। 

২৪ নম্বরে দেবজ্যোতি গাঙ্গুলি কিংবা সাধন দাস, ২৫ নম্বরে কৃষ্ণা গুহ, ২৬ নম্বরে প্রাক্তন সেনা কর্মী সমীর সিংহ রায়, ২৭ নম্বরে দোলা শীল, ২৮ নম্বরে শহীদ পরিবারের সুমিত্রা মন্ডল, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে সুতপা মন্ডল, প্রার্থী হবার ইঁদুর দৌঁড়ে রয়েছেন সুজয় সরকার। তাছাড়া মতুয়া অধ্যুষিত ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী সমীর দত্ত, দৌঁড়ে রবিন বিশ্বাস। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে নিত্য গোপালের স্ত্রী, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে অয়ন ব্যানার্জি, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে সীমা বিশ্বাস ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে সুনীল দাস। 

সূত্র অনুযায়ী প্রাপ্ত সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে দু-তিনটি ওয়ার্ডে পরিবর্তনের সম্ভবনা রয়েছে। তবে এবারে ভাটপাড়ায় জোর লড়াই হতে চলেছে শাসকদল ও গেরুয়া শিবিরের মধ্যে। সূত্র বলছে, ভাটপাড়ায় শাসকদলকে বিজেপি এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ।

 সেইকারনে লড়াকু মনোভাবাপন্নদের প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই দেওয়া হচ্ছে।  তবে তৃণমূলের তীব্র গোষ্ঠী কাজিয়া নির্বাচনে কতটা গেরুয়া শিবির কাজে লাগাতে পারে, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

Sunday, February 6, 2022

গারুলিয়ায় পুরভোটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় প্রবীনদের সঙ্গে নতুন মুখও


বিল্টু কাশ্যপঃ আজ রাতের মধ্যে রাজ্য দপ্তর থেকে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হবার সম্ভাবনা প্রবল। সমানে লড়াইয়ের অঙ্গীকার নিয়ে গারুলিয়ায় প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করেছে গেরুয়া শিবির। ২১ ওয়ার্ড বিশিষ্ট গারুলিয়ায়  প্রবীণ, নবীন ও প্রমীলা মিশেলে প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়েছে। 

সম্ভাব্য তালিকায় উঠে আসছে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ওষুধ ব্যবসায়ী সুজিত চ্যাটার্জির নাম। ৫ নম্বরে শীলা চৌধুরী, ৬ নম্বরে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রঞ্জিত রায় ওরফে পল্টু, ৮ নম্বরে পুষ্পা দেবী, ১০ নম্বরে মহেশ চৌধুরী, ১১ নম্বরে দীপা সিং, ১২ নম্বরে আদিত্য সিং, ১৫ নম্বরে শিখা চৌধুরী, ১৬ নম্বরে ভোলা সাউ, ১৭ নম্বরে সুনীল সিং, ১৮ নম্বরে বিনা চৌধুরী, ২০ নম্বরে শঙ্কর বাবু, ২১ নম্বরে কুন্দন সিং। 

সূত্র বলছে, বাকি ওয়ার্ডগুলো নিয়ে শেষ মুহূর্তের বাছাই পর্ব চলছে। তবে গারুলিয়ায় সবার নজর থাকবে ২১ নম্বর ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে। ২১ নম্বরে কাকা ও ভাইপোর মধ্যে লড়াইয়ের সম্ভবনা প্রবল। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সঞ্জয় সিং। তার বিরুদ্ধে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী কুন্দন সিং সঞ্জয় বাবুর নিজের ভাইপো। 

অন্যদিকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী পঙ্কজ দাস। তিনি গারুলিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি। তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা যেতে পারে যুব নেতা আদিত্য সিং-কে। সবমিলিয়ে এবারে জোর লড়াই হবার সম্ভাবনা গারুলিয়ায়।

বড়সড় ভাঙনের মুখে তৃনমূল ভাটপাড়া-জগদ্দলে



বিল্টু কাশ্যপঃ পুরভোটের মুখে বড়সড় ভাঙন হতে চলেছে জগদ্দল-ভাটপাড়ায়। আজ তৃণমূলের বেশ কিছু বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী সহ বড় মাপের নেতা সদলবলে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। 

সূত্র বলছে, করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবায় অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া শাসকদলের এমন অনেক নেতা এবারে টিকিট থেকে বঞ্চিত। তারা জেলা নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে ঘাসফুল ছেড়ে বিজেপির পতাকার তলে আসতে চলেছেন। ইতিমধ্যেই সাংসদের সঙ্গে কথাবার্তা চুড়ান্ত ঘাসফুলের একঝাঁক নেতার, এমনটাই সূত্রে খবর। 

যদিও ভাটপাড়ার এক তৃণমূল নেতা বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে আটকে রাখতে মরিয়া প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। দুপুর পর্যন্ত বিক্ষুব্ধদের কাছ থেকে ওই নেতা সময় চেয়ে নিয়েছেন। কিন্তু আদৌ উনি একজন কিংবা দুজনকে টিকিট পাইয়ে দিতে পারবেন বলে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

 তবে সত্যিই যদি ভাঙন ধরে, তাহলে ভোটের মুখে চরম অস্বস্তিতে পড়বে শাসকদল।

Friday, February 4, 2022

পুরভোট, আতঙ্কের দিন-রাত্রির প্রহর গুনছে বিরোধীরা বীজপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অবশেষে পুরভোট। আতঙ্কের দিন-রাত্রির প্রহর গুনছে বীজপুর। একদা লালে লাল ঘুচিয়ে সবুজের প্লাবন বইয়েও বীজপুর আছে সেই তিমিরেই। দামামা বেজেছে পুরভোটের। বিরোধী প্রার্থী থেকে সমর্থকদের দম বন্ধ করা পরিবেশে কাটানোর প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু। 

বীজপুর বিধানসভায় দুটি পুরসভা। কাঁচরাপাড়ায় ২৪ ও হালিসহরে ২৩ টি ওয়ার্ড। এই ৪৭ টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মানোন্নয়ন যাচাই করার ক্ষমতা সাধারণ নাগরিকের হাতে থাকবে, না কারোর 'সব চাই' নির্দেশ পালনে যথোচ্ছ ভূমিকায় ভোট হবে সেই দিকেই তাকিয়ে বীজপুরবাসী। 

অতীত চিত্র বলে, বাম জমানায় বিরোধীদের প্রার্থী দিতে অসুবিধা ছিল না। মিছিল, মিটিং, প্রচার বিরোধীরা অবলীলায় করত। কিন্তু ওই একটি দিন অর্থাৎ ভোটের দিন সবটাই দখল নিত শাসকদল। ব্যাস ভোট মিটলেই আবার পুরনো ছন্দে ফিরে যেত বামেরা। এতদসত্ত্বেও তৎকালীন বিরোধীরা পুরসভায় চার-পাঁচটা আসন পেত।
 
দীর্ঘ অভ্যাসের বদল ঘটল ২০১১-র পর থেকে। নাগরিক সমাজের মতে, বিরোধীদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের নতুন সংস্কৃতি বীজপুরে আমদানি হল। তারপর থেকে যেকোনো নির্বাচনে বিরোধী মতের মানুষের ওপর আক্রমন, ঘর-বাড়িতে ভাঙচুরের অজস্র ঘটনা সামনে এসেছে। 

যদিও সেসময় বিধায়ক ছিলেন শুভ্রাংশু রায়। তাঁর সময়কালে বীজপুর জুড়ে এসব ঘটনার জন্য স্বভাবতই বিধায়ককে দায়ী করেন বহু মানুষই। ভাগ্যের পরিহাসে তিনি আজ ঢাল-তরোয়াল বিহীন নিধিরাম সর্দার। পুরনো দল তৃনমূলে ফিরেও এলাকায় গুরুত্বহীন। 

একথা দিনের আলোর মত পরিষ্কার বীজপুরে রায় পরিবারের দাপট উধাও। অথচ তাঁদের সাম্রাজ্যে গড়ে ওঠা বিরোধী দমনে ভাঙচুর, মারধরের রাজনীতি একই পথে হেঁটে গতি বাড়িয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে হালিসহরে সক্রিয় বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়ালের হাড় হিম করা হত্যা বুঝিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরাই শেষ কথা বীজপুরের মাটিতে।

Wednesday, February 2, 2022

গারুলিয়ায় সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা তৈরি তৃণমূলের


বিল্টু কাশ্যপঃ আসন কব্জায় রাখতে গারুলিয়ায় নিজেদের মধ্যেই সমঝোতা করে নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। স্বভাবতই, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গারুলিয়ায় গোষ্ঠী কোন্দল তেমনভাবে মাথাচাড়া দেয়নি। সূত্র বলছে, কয়েকটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের গোষ্ঠী কাজিয়া তুঙ্গে। 


নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুয়ারী, গারুলিয়ায় সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় পুরাতনদের প্রাধান্যই বেশি। ১ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অনন্যা সাহা ফের প্রার্থী হতে চলেছেন। দৌড়ঝাঁপ করেছেন তরুণ তুর্কি নেতা শুভরঞ্জন সিং। অনন্যা দেবীর স্বামী সমীরেন্দ্র কৃষ্ণ সাহার সঙ্গে গারুলিয়ার তৃণমূল সভাপতি গৌতম দত্তের কাজিয়া কানপাতলেই শোনা যায়। ২ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস থেকে যোগ দেওয়া লব পালের স্ত্রী টিকিট পাবার ক্ষেত্রে এগিয়ে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কো-অর্ডিনেটর পার্থ দত্ত কিংবা গৌতম দত্ত। সম্পর্কে এঁরা দুই ভাই। এই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তাপস বিশ্বাসও দাবিদার। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্ত দপ্তরের অধিকারিকের স্ত্রী কিংবা অনিন্দিতা বোস প্রার্থী হতে পারেন। 


গৌতম বোস ওরফে বাবু ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী সুব্রত মুখার্জি। যিনি প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান। যদিও প্রার্থী হবার দৌঁড়ে আছেন যুব নেতা সুদীপ রায়ও। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কো-অর্ডিনেটর সফিয়া খাতুন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের কাজিয়া তুঙ্গে। যুব নেতা হামিদ আনসারি ও প্রাক্তন কাউন্সিলর মুকসুদ হাসানের নাম নিয়ে জোর চর্চা চলছে। ১১ নম্বরে একদা বামপন্থী গণেশ সেনের স্ত্রী চৈতালি সেন প্রার্থী হবার দৌঁড়ে অনেকটাই এগিয়ে। এই ওয়ার্ডে আরও একজনের নাম উঠে আসছে। 


রবি সাহা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সম্ভবত লড়বেন পঙ্কজ দাস। পঙ্কজ বাবু দলের দুর্দিনের সৈনিকও বটে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মুখ হিসেবে ঝুমা হালদারের নাম শোনা গেলেও, দাবিদার আরও এক নতুন মুখ। ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী যথাক্রমে অসীম বর্মন ও অশোক সিং। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী প্রাক্তন পুরপ্রধান সঞ্জয় সিংয়ের স্ত্রী সন্ধ্যা সিং ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী পুর প্রশাসক রমেন দাস। 


প্রাক্তন পুরপ্রধান সঞ্জয় সিং ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়তে চলেছেন। সূত্র বলছে, তৃণমূলের হিন্দি প্রকোষ্ঠ দু-তিনটি ওয়ার্ডে প্রার্থীপদের ক্ষেত্রে জোরালো দাবি করছে। আসন জিততে নিজেরা সমঝোতা করে নিলেও, নির্বাচনে চাপা কোন্দল কতটা প্রভাব ফেলবে। সেইদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

ভাটপাড়ায় পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে ধোঁয়াশায় তৃণমূলের দাবিদাররা


বিল্টু কাশ্যপঃ ভাটপাড়ায় প্রার্থী তালিকা নিয়ে ধোঁয়াশায় অধিকাংশ দাবিদাররা। চরম গোষ্ঠী কোন্দলের মধ্য দিয়ে কার ভাগ্যে শিকে ছেড়ে, সেদিকেই তাকিয়ে ভাটপাড়ার শাসকদল। দু-একদিনের মধ্যেই পুরসভা নির্বাচনের দিনক্ষন ঘোষণা হবার সম্ভবনা প্রবল। তারপরই সম্ভবত তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হবে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হবার আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কাজিয়া প্রকাশ্যে। মঙ্গলবার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় একদল জুনিয়র সমর্থক। 


বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কানাঘুষো চলছে তিনমাস আগে বিজেপি থেকে তৃণমূলে আগন্তুককে। যেটা মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না আদি তৃণমূলীরা। সূত্র বলছে, তরুণ বিগ্রেডের রাজ বিশ্বাসের প্রার্থী হবার সম্ভাবনা প্রবল। প্রার্থী হবার দৌঁড়ে আছেন প্রিয়াঙ্কু পান্ডে ও মনোজ গুহর নাম। সুবক্তা ও বর্তমান কো-অর্ডিনেটর মনোজ গুহ। তবে সেবামূলক কাজের ক্ষেত্রে সুনাম রয়েছে প্রিয়াঙ্কুর। 


নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে পারেন দেবজ্যোতি ঘোষ ওরফে টিঙ্কু। ওই ওয়ার্ডে ভোটারের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হবার সম্ভাবনা বর্তমান পুর প্রশাসক গোপাল রাউতের। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নাম উঠে আসছে অধ্যাপিকা স্বাগতা লক্ষ্মীর। দৌঁড়ে আছেন কনকলতা দাস। কনকলতা দেবী কো-অর্ডিনেটর মোহন দাসের জেঠতুতো বৌদি। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নাম শোনা যাচ্ছে মোহন দাসের। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মিলি দত্ত ও ৭ নম্বরে অমিত গুপ্তার নাম শোনা যাচ্ছে। যদিও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তরুণ বিগ্রেডের রাজা দাসও প্রার্থী হতে চাইছেন। 


৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কো-অর্ডিনেটর জ্যোতি সাউয়ের প্রার্থী হবার সম্ভাবনা প্রবল। প্রার্থী হবার লড়াইতে আছেন প্রয়াত নেতা ধরমপাল গুপ্তার স্ত্রীও। তবে ১১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে কাজিয়া তুঙ্গে শাসকদলে। ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সোহন প্রসাদ চৌধুরীর নামের পাশাপাশি কানাঘুষো চলছে মন্নু সাউ ও তরুণ সাউয়ের নাম। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হবার সম্ভবনা রয়েছে শর্বরী চৌধুরীর। শর্বরীর পিতা জীবন চৌধুরী ক্রীড়াপ্রেমী। বামজমনায় একবার জোড়া পায়রা প্রতীকে তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কো-অর্ডিনেটর সীমা মন্ডলের নাম নিয়ে চর্চা চলছে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বান্টি দাসকে চাইছেন দলের একাংশ। ওই ওয়ার্ডের আরেক দাবিদার সঞ্জয় সিং।


 ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ফের প্রার্থী হচ্ছেন ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর হিমাংশু সরকার। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে অদিতি সরকার দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাগ্মী নেতা হিসেবে পরিচিত অরুন ব্রহ্মের প্রার্থী হবার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও জোর কদমে প্রার্থী হবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রতন ধর। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সোমনাথ তালুকদার ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঝর্ণা মিস্ত্রি প্রার্থী হতে পারেন। যদিও ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত শোভারানী মন্ডল। সেই খুনের ঘটনায় ঝর্ণা দেবীর নামে হুলিয়া জারি করেছে সিবিআই। 


মতুয়া অধ্যুষিত ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সমর পাঠক এগিয়ে। দৌঁড়ে আছেন স্বচ্ছ ইমেজের রাজু চৌধুরী। ৩১ নম্বরের সম্ভাব্য প্রার্থী উপ-পুর প্রশাসক দেবপ্রসাদ সরকার। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে কল্পনা লাহেরি ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে সীমা ঘোষ। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীপদ নিয়ে তুমুল কাজিয়া চলছে। ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কো-অর্ডিনেটর প্রার্থী হবার জোরালো দাবিদার। সূত্র বলছে, দল অন্য কাউকে ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী করতে চাইছে। তবে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে স্বচ্ছ ইমেজের তাপস বিশ্বাসের নাম নিয়েও জোর চর্চা চলছে। ওই ওয়ার্ডে নাম ভাসছে বিমান বসু ও মনোজ গুহের নাম। 


রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবার পরেই ভাটপাড়ায় শাসকদলের অন্দরে বিদ্রোহ দানা বাঁধবে। প্রার্থীপদ থেকে বাদ পরা নেতারা গেরুয়া শিবিরে ভিড়তে চাইলে, তারা আদৌ টিকিট পাবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে পুর নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে ভাটপাড়া।