নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাত পোহালেই পুরভোট। উত্তাপের আবহে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ৮ পুরসভা। একতরফা ভোটের আশঙ্কায় পুরসভার বাসিন্দারা।
কেননা সেই পুলিশ। ছাত্র নেতা আনিস খুনে তাঁর বাবা যেমন পুলিশকে একবিন্দু বিশ্বাস করতে পারছেন না, তেমনি সাধারণ ভোটাররা এই পুলিশ দিয়ে স্বচ্ছ ভোট হতে পারে এমনটা মানতে পারছে না।
উনিশের লোকসভা ভোটের সময় থেকে ব্যারাকপুর জুড়ে অশান্তির ছবিটা সাধারণের চোখ সওয়া। বোমা বিস্ফোরণ থেকে বোমাবাজি,রাজনৈতিক দখলদারি,মারধর,ভাঙচুর,লুটপাটের অজস্র ঘটনায় বার বার উত্তপ্ত হয়েছে শিল্পাঞ্চল। বিশেষ করে ভাটপাড়া-জগদ্দল অশান্তির আঁতুড়ঘর।
রাজনীতির বিশ্লেষণ বলছে, ব্যারাকপুরে শাসকের টার্গেট অর্জুন সিং। বিজেপিতে গিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এই কেন্দ্রের সমীকরণ পাল্টে যায়। তাই বিজেপিকে কিছুতেই বাড়তে দেওয়া যাবে না এই মনোভাবের প্রভাব পড়তে থাকে। একে একে অর্জুন অনুগামীদের তৃনমূল দলে নিয়েও ভরসার জায়গা তৈরিতে ব্যর্থ।
সূত্রের দাবি, অলি-গলির যাকে তাকে নেতা বানিয়ে পরিস্থিতি আরো জটিল থেকে জটিলতর করে তুলেছে তৃনমূল। বিজেপি ভেঙে নিজের ঘর ভরিয়েও এই আট পুরসভায় তারা স্বস্তিতে নেই। আচার আচরণে শক্তি প্রদর্শন দেখাচ্ছে ঠিকই কিন্তু এলাকায় দুর্নীতি ও কাটমানির কাঁটা বিঁধে রয়েছে।
বিজেপি এই ভোট নিয়ম রক্ষার জন্য লড়ছে। দলীয় তরফে তারা কর্মী-নেতৃত্বকে পুলিশি মিথ্যা মামলা থেকে দূরে রাখতে চাইছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় এখনো বহু কর্মী এলাকা ছাড়া। বহু কর্মীকে গাঁজা, লিটার কেস দিয়ে জেলে পোড়ার অভিযোগও তুলেছে বিজেপি। কাজেই ভোট লুট হলে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া তাদের উপায় নেই। যদিও ভাটপাড়া, গারুলিয়ার ক্ষেত্রে পদ্বতি একটু অন্যরকম।
সমীকরণ বলছে, টিটাগড় থেকে বীজপুর বিরোধী শূন্য পুরসভা হলে লাভ বিজেপিরই। কেননা সামনের বছর পঞ্চায়েত ভোট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসনের খিদে তীব্র হবে। তারপরেই ২০২৪-এ লোকসভার ভোট।
এই ভোটে শিল্পাঞ্চলের অসংখ্য সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী ভোটাররা পুলিশের ওপর ভরসা করে বুথ কেন্দ্রে যাবেন না। হয়তো তাদের ভোট আগে বা পরে ছাপ্পা হয়ে যাবে। কিন্তু কথায় আছে এক মাঘে শীত যায় না।
No comments:
Post a Comment