নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অবশেষে পুরভোট। আতঙ্কের দিন-রাত্রির প্রহর গুনছে বীজপুর। একদা লালে লাল ঘুচিয়ে সবুজের প্লাবন বইয়েও বীজপুর আছে সেই তিমিরেই। দামামা বেজেছে পুরভোটের। বিরোধী প্রার্থী থেকে সমর্থকদের দম বন্ধ করা পরিবেশে কাটানোর প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু।
বীজপুর বিধানসভায় দুটি পুরসভা। কাঁচরাপাড়ায় ২৪ ও হালিসহরে ২৩ টি ওয়ার্ড। এই ৪৭ টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মানোন্নয়ন যাচাই করার ক্ষমতা সাধারণ নাগরিকের হাতে থাকবে, না কারোর 'সব চাই' নির্দেশ পালনে যথোচ্ছ ভূমিকায় ভোট হবে সেই দিকেই তাকিয়ে বীজপুরবাসী।
অতীত চিত্র বলে, বাম জমানায় বিরোধীদের প্রার্থী দিতে অসুবিধা ছিল না। মিছিল, মিটিং, প্রচার বিরোধীরা অবলীলায় করত। কিন্তু ওই একটি দিন অর্থাৎ ভোটের দিন সবটাই দখল নিত শাসকদল। ব্যাস ভোট মিটলেই আবার পুরনো ছন্দে ফিরে যেত বামেরা। এতদসত্ত্বেও তৎকালীন বিরোধীরা পুরসভায় চার-পাঁচটা আসন পেত।
দীর্ঘ অভ্যাসের বদল ঘটল ২০১১-র পর থেকে। নাগরিক সমাজের মতে, বিরোধীদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের নতুন সংস্কৃতি বীজপুরে আমদানি হল। তারপর থেকে যেকোনো নির্বাচনে বিরোধী মতের মানুষের ওপর আক্রমন, ঘর-বাড়িতে ভাঙচুরের অজস্র ঘটনা সামনে এসেছে।
যদিও সেসময় বিধায়ক ছিলেন শুভ্রাংশু রায়। তাঁর সময়কালে বীজপুর জুড়ে এসব ঘটনার জন্য স্বভাবতই বিধায়ককে দায়ী করেন বহু মানুষই। ভাগ্যের পরিহাসে তিনি আজ ঢাল-তরোয়াল বিহীন নিধিরাম সর্দার। পুরনো দল তৃনমূলে ফিরেও এলাকায় গুরুত্বহীন।
একথা দিনের আলোর মত পরিষ্কার বীজপুরে রায় পরিবারের দাপট উধাও। অথচ তাঁদের সাম্রাজ্যে গড়ে ওঠা বিরোধী দমনে ভাঙচুর, মারধরের রাজনীতি একই পথে হেঁটে গতি বাড়িয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে হালিসহরে সক্রিয় বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়ালের হাড় হিম করা হত্যা বুঝিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরাই শেষ কথা বীজপুরের মাটিতে।
No comments:
Post a Comment