Friday, July 30, 2021

পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভারতীয় মহিলা বক্সার লাভলিনা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মীরাবাই চানুর পর টোকিও অলিম্পিকে পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আরো এক পাহাড়ী কন্যা লাভলিনা বরগোহাইঁ৷ আসামের ২৩ বর্ষীয় বক্সার কন্যা শুক্রবার মহিলাদের ওয়েলটার ওয়েল্ট বিভাগে প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান তাইওয়ানের তাইপাইয়ের নিয়েন চেনকে ৪-১ ব্যাবধানে পরাজিত করে সেমিফাইনলে প্রবেশ করলেন৷ 
কোকুগিকান এরিনায় জিতে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাহাড়ী কন্যা লাভলিনা জানিয়েছেন, খোলা মনে খেলতে চাই৷ চেনের বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া ছিলাম। পুরনো স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, এর আগে চারবার তাঁর কাছে পরাজিত হয়েছিলাম৷ তাই প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলাম৷ লাভলিনা আরও জানিয়েছেন,কোনো গেমপ্লান ছিলনা৷ তাঁর ব্যাখ্যা গেমপ্ল্যান নিয়ে খেললে প্রতিপক্ষ তা খুঁজে নিতে পারে৷ নিজের খেলা খেলবো বলে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম৷ পরিস্থিতি যাই হোক সামলে নেবো৷ প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় চিন চেনের সম্পর্কে লাভলিনা বলেন, তাঁর কাছে চারবার হেরে যাওয়ার পরও দৃড় প্রতিজ্ঞ ছিলাম৷ তাই চাপ নিয়নি৷ অনেকসময় চাপ দুর্বল করে দেয়৷ 
লাভলিনের এই সাফল্যে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছার ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়৷ ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্চ জয়ী প্রথম মহিলা কিংবদন্তী বক্সার মেরিকমের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়ায় হতাশ হয়েছেন লাভলিনা৷ তিনি জানান, মেরিদি (মেরিকম)-র জন্য খুব খারাপ লাগছে৷ 

অন্যদিকে চলতি টোকিও অলিম্পিকে পুরুষদের তুলনায় ভারতীয় মহিলা খেলোয়াড়দের দাপট বেশি৷ হকিতে আয়রল্যান্ড কে ১-০ গোলে পরাজিত করে সেমিফাইনলে প্রবেশ করেছে ভারতীয় মহিলা হকি দল৷ পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছে আরও এক ভারতীয় কন্যা অপ্রতিরোধ্য ব্যাডমিন্টন তারকা পি ভি সিন্ধু ৷

Tuesday, July 27, 2021

ভারত্তোলনে সোনার পদক পেতে পারেন মীরবাই চানু বাড়ল জল্পনা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জল্পনা বাড়ছে ভারত্তোলনে রুপো নয় সোনার পদক পেতে পারেন ভারতের পাহাড়ী কন্যা মীরাবাই চানু৷ কি থেকে এই অবিশ্বাস্য ঘটনার কথা চাউর হলো। একটি ট্যুইট। যার পরই গোটা বিশ্বে হু হু করে ছড়িয়েছে সম্ভবনার কথা। অলিম্পিক কমিটির এক কর্তা কাইল বাস ট্যুইটে জানিয়েছেন, চীনের প্রতিযোগী জিহুই হউকে এন্টি ডোপিং কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরীক্ষা করা হবে। এতেই সিঁদুরে মেঘ জমতে থাকে চায়না শিবিরে। যদি চিনের সোনা জয়ী ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হন তাহলে ভারতের মীরাবাই চানু স্বর্নপদক লাভ করবেন।
এদিকে সোমবার বিকেলে দেশে ফিরেছেন রুপো জয়ী কন্যা। দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। ঘরের মেয়েকে বরন করার দৃশ্য ছিল অভূতপূর্ব। পাহাড়ী কন্যা বিমান থেকে নেমে গেট দিয়ে বেরোতেই বন্দেমাতরম ধ্বনি, ভারত মাতার জয় স্লোগান আর সঙ্গে বিমানবন্দর জুড়ে করতালি। মনিপুর সরকার ইতোমধ্যেই উপহার স্বরূপ চানুকে ১ কোটি টাকা এবং পুলিশের চাকরিতে নিয়োগ করেছে।

Sunday, July 25, 2021

পাহাড়ী কন্যার হাত ধরে টোকিও অলিম্পিকে প্রথম পদক ভারতের

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাহাড়ী কন্যার হাত ধরে টোকিও অলিম্পিকে প্রথম পদক পেল ভারত৷ ৪৯ কেজি বিভাগ থেকে ভারত্তোলন শুরু করেছিলেন মনিপুরের পাহাড়ী কন্যা মীরাবাই চানু৷ শনিবার সকালে ২০২ কেজি ভারত্তোলন করে দেশকে রুপো এনে দিলেন চানু৷ ২১০ কেজি ভারত্তোলন করে প্রথম হন চিনের ঝৌ হৌ৷ চানুর এই সাফল্যে গর্বিত হয়েছে গোটা দেশ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ 
মীরাবাই চানুর বাড়ি মনিপুরের ইম্পল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে নংপক কাকচিং গ্রামে৷ পাঁচ ভাই-বোনের সবার ছোট সে৷ ছোট থেকেই খুব সহজেই ভারি জিনিস অনায়াসে তুলত চানু৷ তাঁর এই কর্মকাণ্ড দেখে অবাক হতেন গ্রামবাসীরা৷ তখন থেকেই চানু দৃড় ও কঠিন পরিশ্রমী ছিল৷ অল্প বয়সে  চানুর ভারত্তোলনের কথা এবং গ্রামবাসীদের চর্চা শুনে বাবা-মা বুঝতে পেরেছিলেন, এই মেয়েটা কিছু করে দেখাবে৷ ১৪ বছর বয়সে প্রশিক্ষক অনিতা চানুর কাছে হাতেখড়ি মীরাবাইর৷ বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন মীরাবাই৷
কঠোর পরিশ্রমী পাহাড়ী কন্যার অনুশীলনে কোনো খামতি ছিল না৷ দীর্ঘ ছয় মাস ধরে চলে কঠিন পরিশ্রম৷ এর ফলে ভাগ্যের শিঁকে ছেড়ে৷ যোগদান করেন জাতীয় শিবিরে৷ ২০১১ সালে জাতীয়স্তরে সাব-জুনিয়ারে প্রথম স্বর্ন পদক পান পাহাড়ী কন্যা৷ প্রথম পদক পেয়ে মনোবল বেড়ে যায় চানুর৷ কঠোর পরিশ্রমী চানুর শুরু হয় আরও কঠিন পরিশ্রম৷ মীরাবাইকে প্রশিক্ষণ দিতে এগিয়ে আসেন আরও এক ভারউত্তোলন কন্যা কুঞ্জরানি৷ মনিপুর স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়াতে শুরু হয় অনুশীলন। পরে পাতিয়ালয়৷ ২০১৪ সালে  গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে ৪৮ কেজি বিভাগে রুপো জিতে তাক লাগিয়ে দেন মীরা৷ জীবনে চাড়াই উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মীরার জীবনযাত্রা৷ 
২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় এশীয়ান গেমসে শুন্য হাতেই ফিরতে হয় তাঁকে৷ ২০১৬ রিও অলিম্পিক সেখানেও ব্যর্থ হন চানু৷ কিন্তু ভেঙে পড়েননি। প্রশিক্ষণ চালিয়ে গেছেন৷ তিনি জানতেন ব্যর্থতার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সাফল্য৷ ২০১৭ সালে আমেরিকায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানশিপে প্রত্যাশা না থাকলেও তিনি স্ন্যাচে ৮৫ কেজি ও ক্লিনে ১০৯  কেজি এবং জার্ক সব মিলিয়ে মোট ১৯৪ কেজি ভারত্তোলন করে মহিলাদের ৪৮ কেজি বিভাগে দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ঠাই করে নিয়েছিলেন। দেশে ফিরে আসার পর রাজীব গান্ধী খেলরত্ন সম্মানে ভুষিত করা হয় তাঁকে। এরপর সাল ২০১৮তে পান পদ্মশ্রী সম্মান৷ বিশ্ব দরবারে রুপো জিতলেও পাহাড়ী কন্যা এ দেশের সোনার মেয়ে। মীরাবাই চানুকে কুর্নিশ জানায় 'খবর যুগান্তর' ৷

Friday, July 23, 2021

কোভিড পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতা বন্ধ, হতাশা কাটাতে মাঠমুখি এ্যথলিটরা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কোভিড প্যান্ডামিকের কারনে খেলাধূলা বন্ধ হয়ে পরায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছে এ্যাথলিটরা। কাঁচরাপাড়া জোনপুর এ্যাথলেটিক কোচিং সেন্টারের প্রশিক্ষক গোপাল দেবনাথ জানান, প্রতিযোগিতা না হওয়ায় মানসিক ভাবে এর প্রভাব পড়েছে৷ একটি লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু বাঁধ সাধল করোনা৷ 

গতবছরে আচমকা লকডাউন হয়ে যাওয়ায় সবকিছু থমকে যায়৷ সরকারি নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় অনুশীলন৷ দীর্ঘ পাঁচমাস বাদে লকডাউন শিথিল হওয়ায় আমরা পুনরায় খেলাধুলা শুরু করি৷ কিন্তু অভিভাবকরা সন্তানদের মাঠে নিয়ে আসতে ভয় পাচ্ছিলেন৷ প্রথমদিকে মাঠে উপস্থিতির হার ছিল সামান্য৷ পরের দিকে ধীরে-ধীরে তা বাড়তে থাকে৷ চলতি বছরে জেলা স্পোর্টস মিটকে সামনে রেখে অনুশীলন আরম্ভ হয়েছে৷ কিন্তু নাম মাত্র প্রতিযোগিতা হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে খেলোয়াড়েরা। 
এদিকে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেতেই ফের লকডাউন চালু হয়। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর বড় প্রভাব পড়েছে৷ দু'বছর ধরে কোনো প্রতিযোগিতা না হওয়ায় খেলোয়াড়রা মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ ক্লাবের এক কর্মকর্তা বলেন, এই বিপর্যয়ের সময় মারন ভাইরসের মোকাবিলায় শারীরিক গঠন ও সক্ষমতা বাড়াতে মাঠের বিকল্প কিছু নেই বলে তাঁরা ছেলে-মেয়েদের ফের মাঠমুখি হতে সহযোগিতা করছেন৷ উঠতি এ্যাথলিট বিশ্বজিত দেবনাথ ও সন্দিপন চৌধুরী বলেন, লকডাউনে স্কুল, মাঠ সবই ছিল বন্ধ৷ সময় কাটত না বাড়িতে৷ তাই নিজেকে ফিট রাখতে বাড়ির সামনে রাস্তায় দৌড়তাম, ফ্রী হ্যান্ড করতাম৷ 'খেল ইন্ডিয়া খেল' প্রতিযোগিতায় অনুব্বর্ধ-১৭ লঙ্গ জাম্পে দ্বিতীয় স্থান অধিকারি অপর্ণা ঘোষ জানান, বাড়ির ছাদে ফ্রী হ্যান্ড ও স্কিপিংয়ের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখতাম৷ প্রত্যেকে আক্ষেপের সঙ্গে জানায়, প্রতিযোগিতাগুলি না হওয়ায় আমরা আমাদের দক্ষতা না জানতে পেরে খুবই আশাহত। 
প্রশিক্ষক গোপালবাবুর মতে, চলতি বছরে ৯ জন খেলোয়াড়ের জাতীয় মিটে অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি৷ তিনি বলেন, আবার নতুন করে শুরু করতে হবে৷ ছেলে-মেয়েদের ভোকালের মাধ্যমে মানসিক ভাবে চাঙ্গা করা হচ্ছে৷ যদিও অনিশ্চয়তা।  কতদিনে কাটবে এই বিপর্যয়৷ কবে শুরু হবে প্রতিযোগিতাগুলি৷ অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া এ্যাথলেটিক টেনিং সেন্টার (কে এ টি সি)-র প্রশিক্ষক সুনিল মন্ডল বলেন, প্রথমদিকে উপস্থিতি ছিল খুবই কম৷ কিন্তু প্রতিকূলতা কাটিয়ে ফের মাঠমুখি হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা৷ ট্রেন ঠিকমত না চলায় অন্যান্য জেলা থেকে আসতে পারছেনা খেলোয়াড়েরা৷ বিভিন্ন  প্রতিযোগিতাগুলিকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তা না হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে৷ তাই আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে 'খেল ইন্ডিয়া খেল' প্রতিযোগিতাকে পাখির চোখ করে পুনরায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ এখন দেখার পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়।

Monday, July 19, 2021

গোপন জবানবন্দি দেওয়ায় বিজেপির মহিলা কর্মীদের বাড়িতে হামলা, মারধর নৈহাটিতে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কারনে দুই মহিলা কর্মী সহ এক সমর্থকের ওপর হামলার অভিযোগ তুললো বিজেপি। শনিবার রাতে নৈহাটি বিধানসভার ৬ নম্বর বিজয়নগর এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল পরে গিয়েছে। আক্রান্তরা হলেন অনিন্দিতা সরকার, জিনিয়া চক্রবর্তী ও কবিতা দেবনাথ। আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছিলেন দুই বিজেপি কর্মী অনিন্দিতা ও জিনিয়া। অভিযোগ,ওই রাতে জিনিয়ার বাড়িতে দুষ্কৃতীরা তান্ডব চালায়। তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে মারধর করে। অনিন্দিতার বাড়িতে এসে তাকে না পেয়ে তাঁর অসুস্থ বাবা ও ভাইকে পেটায়। একই সঙ্গে কবিতা দত্তর ছেলের মুরগি মাংস বিক্রির সামগ্রী সহ বাইক ভাঙচুর করে দেয় দুষ্কৃতীরা। 
ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রবিবার বিকেলে নৈহাটি থানায় স্মারকলিপি জমা দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা তথা নৈহাটির বিজেপি প্রার্থী ফাল্গুনী পাত্র, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র ব্যানার্জি-সহ নেতৃত্ব। রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র জানান, এন এইচ আর সি যে সঠিক রিপোর্ট দিয়েছে তা প্রমান হয়ে গেল। নৈহাটিতে অত্যাচারের ঘটনাই বলছে এখানে কার আইন চলে। তিনি অভিযোগ করেন, গোপন জবানবন্দি যারা দিতে গিয়েছিল তারা কার কার নাম বলেছে এই বলে নৈহাটির মহিলা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
এই বিষয়ে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, গোপন জবানবন্দিদের নাম থানা থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের অধিকারীককে বিষয়টি বলেছি। এবং সেই সঙ্গে এও জানিয়েছি, ঘাত আসলে প্রতিঘাত হবে।

Saturday, July 17, 2021

কাঁচরাপাড়া পৌরসভায় স্মারকলিপি জমা দিয়ে সিপিএমকে হতাশ হতে হলো

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কাঁচরাপাড়া পুরসভায় নিয়ম মাফিক ডেপুটেশন জমা দিল সিপিএম। যদিও বামেদের তোলা দাবিদাওয়া সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিল পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক৷ শনিবার সকালে কাঁচরাপাড়ার ব্র্যাডলি রোডে অবস্থানে বসেন সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্যরা। করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে পৌর অঞ্চলের সমস্ত নাগরিকদের বিনামূল্য ভ্যাকসিন, শারীরিক ভাবে অসহায়-অসক্ত মানুষদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান ও পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরন সহ একাধিক দাবি তোলে বামেরা। এই অবস্থান থেকে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধিদল গিয়ে পৌরপ্রশাসক সুদামা রায়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়৷ 
এদিনের অবস্হান থেকে বীজপুর বিধানসভার জোট প্রার্থী সুকান্ত রক্ষিত বলেন, মানুষের রায় আমরা মাথা পেতে নিয়েছি৷ ভোটে নির্বাচিত হয়ে একটি দল ক্ষমতায় এসেছে৷ কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের দেখা মিলছে না৷ তিনি রেড ভলেন্টিয়ার্সদের প্রসংসা করে বলেন, আমরা সরকারে না থাকলেও মানুষের দরকারে ছিলাম৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রেড ভলেন্টিয়ার্সরা মানুষকে সাহায্য করেছে৷ পার্টির আর এক সদস্য অজয় নন্দি বলেন, অঞ্চলে ক্রীড়ার প্রসার ঘটাতে অবিলম্বে স্টেডিয়াম করতে হবে৷ সঙ্গে কমিউনিটি হল এবং বাস টার্মিনার্স চালু করতে হবে৷ 
পুরসভায় ডেপুটেশন শেষে এরিয়া কমিটির সম্পাদক দেবাশিষ রক্ষিত দাবিগুলি প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, পুরপ্রশাসকের কাছ থেকে এবিষয়ে কোনো সদুত্তর মেলেনি৷ তিনি জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী কাঁচরাপাড়া পৌর অঞ্চলে ১লক্ষ ৮০ হাজার নাগরিকদের মধ্যে প্রথম দফায় ৩০ হাজার এবং দ্বিতীয় দফায় মাত্র ৬ হাজার মানুষকে ভ্যাকশিন দিতে পেরেছে পুরসভা৷ কর্মী স্থায়ীকরণ নিয়ে পুরপ্রশাসক জনিয়েছেন তাঁর হাতে কিছু নেই৷ এছাড়া কমিউনিটি হল, বাস টার্মিনার্স এবং স্টেডিয়াম তৈরির দাবি নিয়ে তিনি কোনো কিছু জানাননি।

Friday, July 16, 2021

তৃনমূল জমানায় লিখে জেলে যেতে হয়েছে নৈহাটির এক পত্রিকা সম্পাদককে

চিত্ত ওঝাঃ বাম জমানায় নয়, খোদ তৃনমূল শাসনেই জেলে যেতে হয়েছে একটি আঞ্চলিক খবরের কাগজের সম্পাদককে। তাও আবার সাহিত্য সম্রাটের জন্মভূমি নৈহাটিতে। নিঃসন্দেহে সাহিত্য-সংস্কৃতির পীঠস্থান নৈহাটি। যেকোনো প্রতিবাদে গর্জে ওঠে এই শহরের মানুষ। কিন্তু সেদিনের ঘটনায় সকলে চুপ থেকেছিল। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে রাষ্ট্রের দমন পীড়ন নিয়ে যারা এ শহরে মিছিল-মিটিং করেন তারাও নির্বাক সেজে বসেছিলেন।
 ঘটনার সাত বছর পেরিয়ে গেলেও পত্রিকাটি এখনো জীবিত। কি ঘটেছিল। ২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিট নাগাদ নৈহাটি থানার ২ পুলিশ কর্মী পত্রিকা দপ্তরে এসে সম্পাদককে বলেন, বড়বাবু একটা বিঞ্জাপনের ব্যাপারে আপনাকে ডাকছেন, চলুন। কথামত সম্পাদক সহকারী একজনকে নিয়ে থানায় পৌঁছন। তৎকালীন নৈহাটি থানার আই সি স্বপন হালদার তাঁর ঘরে বসে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪-র প্রকাশিত সংখ্যা তুলে ধরে সম্পাদককে বলেন, এই লেখাটি আপনার? আপনার বিরুদ্ধে পৌরপ্রধান অভিযোগ এনেছেন। আপনি ওনাকে জাত তুলে অসন্মান করেছেন। এরজন্য আপনাকে গ্রেপ্তার করা হল। সঙ্গে সঙ্গে চোর,ডাকাত সহ অন্য অপরাধীদের মতোই সম্পাদককে লকাপে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ৩ এস সি/এস টি প্রিভেনশন এক্ট ও ৫০০ আই পি সি এই দুটি ধারায় মামলা করে। জামিন যোগ্য ধারা থাকলেও কোনো এক অজানা কারণে জামিন না পেয়ে আটদিন ব্যারাকপুর সাব জেলে কাটাতে হয় সম্পাদককে।

 শেষে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর বারাসত আদালত সম্পাদককে মামলা থেকে বেকসুর মুক্তি দেয়। এবং ওই দিন বিচারক রায় দিতে গিয়ে মন্তব্য করেন,"আমি লেখাটা বার বার পড়েছি। লেখাটায় ওনাকে (পুরপ্রধান) সন্মান জানানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমানিত হয়নি"।
পত্রিকা সম্পাদক জয়ন্ত পাল চৌধুরী নৈহাটির রাজনীতির অলিন্দে পরিচিত নাম। ২২ বছর ধরে আঞ্চলিক খবরের কাগজটি নিষ্ঠার সঙ্গে চালাচ্ছেন। বাম জমানায় বহু দুর্নীতির খবর করেও নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছেন। বরং গনতন্ত্র ও সাংবাদিকের স্বাধীনতা নিয়ে ওই সময় নৈহাটিতে যারা কুমির কান্না কাঁদতেন আজ তারাই বিরুদ্ধ খবরে ক্ষেপে ওঠেন। আর তাঁদের ঘিরে রয়েছে বেশ কিছু চাটুকার। যারা একদা নৈহাটিতে বাম সংস্কৃতির ধ্বজা ওড়াত।

Thursday, July 15, 2021

ঠেলাগাড়ি, হাঁড়ি-কলসি-জাল বিতরণ করা মুখ্যমন্ত্রীর কাজ, কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নদীয়ার হরিণঘাটা থেকে জগদ্দলের মজদুর ভবনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে একঘন্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকারের বাগান থেকে মেহগিনি গাছ লুঠপাট করা হয়েছে। তা দেখে এসে লড়াকু নেতা অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম।
শুভেন্দু এদিন দাবি করলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলায় আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন আছে। কমিশনের এই রিপোর্ট দেখার পর সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমন শানিয়ে এদিন তিনি বলেন, গঙ্গার দুই পাড়ে বহু জুটমিল বন্ধ। সেগুলো খোলার ব্যাপারে সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই। ঠেলা গাড়ি, হাঁড়ি-কলসি-জাল বিতরণ করা মুখ্যমন্ত্রীর কাজ। মুকুল রায়ের স্ত্রীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে বিজেপি নেতা রাজীব ব্যানার্জি ও সুনীল সিংয়ের হাজির প্রসঙ্গে তার সাফ জবাব, সব বিষয়ে রাজনীতি দেখা ঠিক নয়। বৈঠক নিয়ে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। পুলিশি অত্যাচার ও ঘরছাড়া কর্মীদের নিয়েও কথা হয়েছে। আগামীদিনে শাসকদলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

Wednesday, July 14, 2021

এবার ভুয়ো চিকিৎসক পুলিশের জালে ব্যারাকপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজ্য জুড়ে ভুয়োর ছড়াছড়ি। ভুয়ো সরকারি আধিকারিক, ভুয়ো সিবিআই অফিসারের পর এবার পুলিশের জালে ভুয়ো চিকিৎসক। টিটাগড় থানার বারাকপুরের ওল্ড ক্যালকাটা রোডের তালপুকুর এলাকার একটি ওষুধের দোকান থেকে পুলিশ ওই ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম পার্থ সারথি বাগ। তার আদিবাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায়। কয়েক বছর ধরে সে এম বি বি এস, এম ডি পরিচয়ে ডাক্তারি করছিলেন।
বর্তমানে ওই ভুয়ো চিকিৎসক বারাসাতে বিদ্যাসাগর রোডের অরবিন্দ সরনীতে বসবাস করেন। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে যথাযথ কাগজ পত্র দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি।অভিযোগ উঠেছে, ওই ভুয়ো চিকিৎসক প্যাডে এম বি বি এস, এম ডি লিখতেন। বুধবার ধৃতকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে দুদিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

Thursday, July 8, 2021

সুদীপ্ত সেনকে দেখে 'ভুয়ো' বিষয়টিই গুলিয়ে গেছে এই বাংলায়

চিত্ত ওঝাঃ ভুয়োর কবলে বাংলা, নে চিৎকার-চেঁচামেছির রাজনীতি সামলা। ভুয়ো সরকারি অফিসার, ভুয়ো আইনজীবী, ভুয়ো বিচারপতি থেকে ভুয়ো পুলিশ কর্তা। কি না নেই এরাজ্যে। একটুও আড়ালে নয়, বাতি লাগিয়ে প্রকাশ্যে এরা ঘুরে বেড়াত। পুলিশ জানত না এটা কেউই আজ আর বিশ্বাস করে না। চর্চা দু-চার দিনের। তারপর যেইকে সেই।

ব্যারাকপুরের বাসিন্দা একসময়ে সরকারি বড় পদে দায়িত্ব সামলেছেন। অবসরপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির সময়ে রাজ্যে চিটফান্ডের মতো কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছিল। তাঁর মুখ থেকে এখন এই মুখরোচক ভুয়ো ব্যাপার স্যাপারটা শুনে বেশ মজাদার মনে হয়েছে। যে দাবি তিনি তুলেছেন তা এক কথায় অনবদ্য। সত্যিতো পুলিশ কিছুই জানত না তা আবার হয় নাকি! একটি থানা এলাকায় কতগুলো মদ ও সাট্টার ঠেক আছে, অবৈধ কারবার কি কি চলে, প্রোমোটার ক'জন, অপরাধী কারা এরপর তিন-চার নম্বর ধান্দার সঙ্গে কারা কারা জড়িয়ে সব পুলিশের হাতের মুঠোয়। এসব ঘিরেই পুলিশের সহবাস। একদিনেই ভুয়ো বেরিয়ে এল অত বোকা ভাবা বোধহয় কাম্য নয়।

চিটফান্ড কান্ডের পর অতি সাধারণ মানুষের মনে ভুয়ো সংক্রান্ত বিষয়ে একটুও দাগ কাটছে না। বরং তারা হেসে উড়িয়ে দিচ্ছে। শুধু তির্যক ভাবে বলছে, ধুর যা করেছে বেশ করেছে। ওদের রেখে কামিয়েছে এখন ফেঁসে গিয়ে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। উদাহরন স্বরুপ সুদীপ্ত সেনকেই দেখিয়ে দিচ্ছে। 

রাজনীতি যে বাঙালির চিরশত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে এগুলো তার প্রকৃত নমুনা। কোনো ভয়ংকর ঘটনায়ও জাতির হৃদয় উদ্বেলিত হয় না। সব সয়ে নিয়েছে। কাজেই ভুয়ো বিষয়টি এখন গৌন। অবৈধ অর্থের দাপটে বহু শিক্ষিত, মার্জিত, শিরদাঁড়া সোজা রেখে চলা মানুষগুলো কয়েক দশক ধরে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। বেঁচে থাকাটা এখন তাদের কাছে আশ্চর্য। মাথা না নোয়ানোর যন্ত্রনাটা তাদেরকে জীবন জীবিকা দিয়ে উপভোগ করতে হচ্ছে। বরং ভুয়োয় ভর করে বহু এলেবেলে জনপ্রতিনিধির জীবন ঝা চকচকে হয়ে উঠেছে। সেদিনও আদর্শের বুলি আওড়ানো মানুষগুলো কত তাড়াতাড়ি খুললাম খুল্লা মুলো গিলে নিল তা চোখের সামনে জনতা দেখল। গাড়ি, প্রাসাদোপম বাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স এসব সত্যিই কি ভুয়ো? বাস্তবে স্কুল শিক্ষক থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের লেনদেনেটা এই সময়ে দাঁড়িয়ে মোটেও ভুয়ো নয় বলছে এগিয়ে যাওয়া এই প্রজন্ম।

Wednesday, July 7, 2021

করোনা বিধি ছাপিয়ে মুকুল পত্নী কৃষ্ণা রায়ের শেষকৃত্যে ভিড়

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আংশিক লকডাউন উপেক্ষা করেই বিধায়ক মুকুল রায়ের স্ত্রীর শেষকৃত্যে জমায়েতের ছবি ধরা পড়ল। বুধবার সকালে চেন্নাই থেকে কৃষ্ণা রায়ের মরদেহ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয়। সেখান থেকে বাসভূমি কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর কৃষ্ণা দেবীকে শ্রদ্ধা জানাতে একে একে রাজনৈতিক নেতা থেকে শুভানুধ্যায়ীরা বাড়ির সামনে জড়ো হয়। 

উপচে পড়ে জনতা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তেমন কোনো বিধায়ক বা পদাধিকারীদের দেখা না গেলেও উল্লেখযোগ্য বিজেপি নেতা রাজীব বন্ধ্যোপাধ্যায়‌ ও সুনীল সিং উপস্থিত হয়েছিলেন। এছাড়া আশপাশের বহু মুকুল অনুগামীর দেখা মিলেছে। মুকুল রায়ের পৈতৃক ভিটে কাঁচরাপাড়ার ঘটক রোডের ছোট্ট পরিসরে অগুনিত মাথার সারিতে বহু মুখে মাস্ক উধাও ছিল। নিয়ম রক্ষার তাগিদে পুলিশ তার কাজে ব্যস্ত থেকেছে। সাধারনের ক্ষেত্রে করোনা বিধি কড়াকড়ি। বিবাহ ও শ্মশান যাত্রীর তালিকা সীমিত। যদিও রাজনীতির  ব্যবস্হাপনায় তার নিয়ন্ত্রণ বার বার উপেক্ষিত। 

বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা থেকে মুকুল এখন তৃনমূলের অন্যতম কান্ডারী। ভোটের কালি আঙুল থেকে মুছতে না মুছতেই পুত্র শুভ্রাংশুও তৃনমূলে। এরই মধ্যে অকষ্মাৎ প্রিয়জনকে হারিয়ে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিন হালিসহরে রামপ্রসাদ শ্মশান ঘাটে কৃষ্ণা দেবির শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয়।

Thursday, July 1, 2021

বাড়িতে ঢুকে বিজেপি কর্মীর বাইক ভাঙচুর চালালো দুষ্কৃতীরা কাঁচরাপাড়ায়

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে ঢুকে বাইক ভাঙচুর করলো দুষ্কৃতীরা। ঘটনা মঙ্গলবার রাতে কাঁচরাপাড়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ধরমবীর কলোনীতে। স্হানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গভীর রাতে একদল দুষ্কৃতী বিজেপির বুথ সভাপতি সৌরভ দাসের বাড়িতে চড়াও হয়। বাইরে থেকে ঘরের দরজার ছিটকানি আটকে বারান্দায় রাখা দুটি বাইক লোহার রড, বাঁশ দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। পেশায় সেলসম্যান সৌরভ বলেন, ভাঙচুরের শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙে বেরতে গিয়ে দেখি দরজা খুলছে না। এরপর বাড়ির পিছন দিক দিয়ে বেরিয়ে এসে দেখি দু'টো বাইক ভাঙচুর চালিয়েছে।
স্হানীয়দের মারফত খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ভাঙা একটি বাইককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সৌরভের অভিযোগ, বিজেপি করার জন্যই এই হামলা। তিনি বলেন, ভোটের ফল ঘোষণার পরের দিন দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়েছিল। সেদিন তাঁর বাবা ও ভাই গৌরব দাসকে মারধর করে বাইক ভাঙচুর চালিয়েছিল। বুধবার বিজেপি নেতা বীজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে দাস পরিবার।