Friday, July 23, 2021

কোভিড পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতা বন্ধ, হতাশা কাটাতে মাঠমুখি এ্যথলিটরা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কোভিড প্যান্ডামিকের কারনে খেলাধূলা বন্ধ হয়ে পরায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছে এ্যাথলিটরা। কাঁচরাপাড়া জোনপুর এ্যাথলেটিক কোচিং সেন্টারের প্রশিক্ষক গোপাল দেবনাথ জানান, প্রতিযোগিতা না হওয়ায় মানসিক ভাবে এর প্রভাব পড়েছে৷ একটি লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু বাঁধ সাধল করোনা৷ 

গতবছরে আচমকা লকডাউন হয়ে যাওয়ায় সবকিছু থমকে যায়৷ সরকারি নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় অনুশীলন৷ দীর্ঘ পাঁচমাস বাদে লকডাউন শিথিল হওয়ায় আমরা পুনরায় খেলাধুলা শুরু করি৷ কিন্তু অভিভাবকরা সন্তানদের মাঠে নিয়ে আসতে ভয় পাচ্ছিলেন৷ প্রথমদিকে মাঠে উপস্থিতির হার ছিল সামান্য৷ পরের দিকে ধীরে-ধীরে তা বাড়তে থাকে৷ চলতি বছরে জেলা স্পোর্টস মিটকে সামনে রেখে অনুশীলন আরম্ভ হয়েছে৷ কিন্তু নাম মাত্র প্রতিযোগিতা হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে খেলোয়াড়েরা। 
এদিকে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেতেই ফের লকডাউন চালু হয়। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর বড় প্রভাব পড়েছে৷ দু'বছর ধরে কোনো প্রতিযোগিতা না হওয়ায় খেলোয়াড়রা মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ ক্লাবের এক কর্মকর্তা বলেন, এই বিপর্যয়ের সময় মারন ভাইরসের মোকাবিলায় শারীরিক গঠন ও সক্ষমতা বাড়াতে মাঠের বিকল্প কিছু নেই বলে তাঁরা ছেলে-মেয়েদের ফের মাঠমুখি হতে সহযোগিতা করছেন৷ উঠতি এ্যাথলিট বিশ্বজিত দেবনাথ ও সন্দিপন চৌধুরী বলেন, লকডাউনে স্কুল, মাঠ সবই ছিল বন্ধ৷ সময় কাটত না বাড়িতে৷ তাই নিজেকে ফিট রাখতে বাড়ির সামনে রাস্তায় দৌড়তাম, ফ্রী হ্যান্ড করতাম৷ 'খেল ইন্ডিয়া খেল' প্রতিযোগিতায় অনুব্বর্ধ-১৭ লঙ্গ জাম্পে দ্বিতীয় স্থান অধিকারি অপর্ণা ঘোষ জানান, বাড়ির ছাদে ফ্রী হ্যান্ড ও স্কিপিংয়ের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখতাম৷ প্রত্যেকে আক্ষেপের সঙ্গে জানায়, প্রতিযোগিতাগুলি না হওয়ায় আমরা আমাদের দক্ষতা না জানতে পেরে খুবই আশাহত। 
প্রশিক্ষক গোপালবাবুর মতে, চলতি বছরে ৯ জন খেলোয়াড়ের জাতীয় মিটে অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি৷ তিনি বলেন, আবার নতুন করে শুরু করতে হবে৷ ছেলে-মেয়েদের ভোকালের মাধ্যমে মানসিক ভাবে চাঙ্গা করা হচ্ছে৷ যদিও অনিশ্চয়তা।  কতদিনে কাটবে এই বিপর্যয়৷ কবে শুরু হবে প্রতিযোগিতাগুলি৷ অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া এ্যাথলেটিক টেনিং সেন্টার (কে এ টি সি)-র প্রশিক্ষক সুনিল মন্ডল বলেন, প্রথমদিকে উপস্থিতি ছিল খুবই কম৷ কিন্তু প্রতিকূলতা কাটিয়ে ফের মাঠমুখি হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা৷ ট্রেন ঠিকমত না চলায় অন্যান্য জেলা থেকে আসতে পারছেনা খেলোয়াড়েরা৷ বিভিন্ন  প্রতিযোগিতাগুলিকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তা না হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে৷ তাই আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে 'খেল ইন্ডিয়া খেল' প্রতিযোগিতাকে পাখির চোখ করে পুনরায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ এখন দেখার পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়।

No comments:

Post a Comment