চিত্ত ওঝাঃ বাম জমানায় নয়, খোদ তৃনমূল শাসনেই জেলে যেতে হয়েছে একটি আঞ্চলিক খবরের কাগজের সম্পাদককে। তাও আবার সাহিত্য সম্রাটের জন্মভূমি নৈহাটিতে। নিঃসন্দেহে সাহিত্য-সংস্কৃতির পীঠস্থান নৈহাটি। যেকোনো প্রতিবাদে গর্জে ওঠে এই শহরের মানুষ। কিন্তু সেদিনের ঘটনায় সকলে চুপ থেকেছিল। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে রাষ্ট্রের দমন পীড়ন নিয়ে যারা এ শহরে মিছিল-মিটিং করেন তারাও নির্বাক সেজে বসেছিলেন।
ঘটনার সাত বছর পেরিয়ে গেলেও পত্রিকাটি এখনো জীবিত। কি ঘটেছিল। ২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিট নাগাদ নৈহাটি থানার ২ পুলিশ কর্মী পত্রিকা দপ্তরে এসে সম্পাদককে বলেন, বড়বাবু একটা বিঞ্জাপনের ব্যাপারে আপনাকে ডাকছেন, চলুন। কথামত সম্পাদক সহকারী একজনকে নিয়ে থানায় পৌঁছন। তৎকালীন নৈহাটি থানার আই সি স্বপন হালদার তাঁর ঘরে বসে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪-র প্রকাশিত সংখ্যা তুলে ধরে সম্পাদককে বলেন, এই লেখাটি আপনার? আপনার বিরুদ্ধে পৌরপ্রধান অভিযোগ এনেছেন। আপনি ওনাকে জাত তুলে অসন্মান করেছেন। এরজন্য আপনাকে গ্রেপ্তার করা হল। সঙ্গে সঙ্গে চোর,ডাকাত সহ অন্য অপরাধীদের মতোই সম্পাদককে লকাপে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ৩ এস সি/এস টি প্রিভেনশন এক্ট ও ৫০০ আই পি সি এই দুটি ধারায় মামলা করে। জামিন যোগ্য ধারা থাকলেও কোনো এক অজানা কারণে জামিন না পেয়ে আটদিন ব্যারাকপুর সাব জেলে কাটাতে হয় সম্পাদককে।
শেষে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর বারাসত আদালত সম্পাদককে মামলা থেকে বেকসুর মুক্তি দেয়। এবং ওই দিন বিচারক রায় দিতে গিয়ে মন্তব্য করেন,"আমি লেখাটা বার বার পড়েছি। লেখাটায় ওনাকে (পুরপ্রধান) সন্মান জানানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমানিত হয়নি"।
পত্রিকা সম্পাদক জয়ন্ত পাল চৌধুরী নৈহাটির রাজনীতির অলিন্দে পরিচিত নাম। ২২ বছর ধরে আঞ্চলিক খবরের কাগজটি নিষ্ঠার সঙ্গে চালাচ্ছেন। বাম জমানায় বহু দুর্নীতির খবর করেও নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছেন। বরং গনতন্ত্র ও সাংবাদিকের স্বাধীনতা নিয়ে ওই সময় নৈহাটিতে যারা কুমির কান্না কাঁদতেন আজ তারাই বিরুদ্ধ খবরে ক্ষেপে ওঠেন। আর তাঁদের ঘিরে রয়েছে বেশ কিছু চাটুকার। যারা একদা নৈহাটিতে বাম সংস্কৃতির ধ্বজা ওড়াত।
উপলব্ধ সত্য প্রকাশে যাঁরা সৎ তাঁদের কুর্ণিশ...
ReplyDeleteSei din tar kotha kono din vulbo naa.amader sathe emon achoran kora hoa chilo jeno amra murder case er asami.Sotti bolao ki aporadh??
ReplyDelete