নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কাঁচরাপাড়া পুরসভায় নিয়ম মাফিক ডেপুটেশন জমা দিল সিপিএম। যদিও বামেদের তোলা দাবিদাওয়া সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিল পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক৷ শনিবার সকালে কাঁচরাপাড়ার ব্র্যাডলি রোডে অবস্থানে বসেন সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্যরা। করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে পৌর অঞ্চলের সমস্ত নাগরিকদের বিনামূল্য ভ্যাকসিন, শারীরিক ভাবে অসহায়-অসক্ত মানুষদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান ও পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরন সহ একাধিক দাবি তোলে বামেরা। এই অবস্থান থেকে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধিদল গিয়ে পৌরপ্রশাসক সুদামা রায়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়৷
এদিনের অবস্হান থেকে বীজপুর বিধানসভার জোট প্রার্থী সুকান্ত রক্ষিত বলেন, মানুষের রায় আমরা মাথা পেতে নিয়েছি৷ ভোটে নির্বাচিত হয়ে একটি দল ক্ষমতায় এসেছে৷ কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের দেখা মিলছে না৷ তিনি রেড ভলেন্টিয়ার্সদের প্রসংসা করে বলেন, আমরা সরকারে না থাকলেও মানুষের দরকারে ছিলাম৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রেড ভলেন্টিয়ার্সরা মানুষকে সাহায্য করেছে৷ পার্টির আর এক সদস্য অজয় নন্দি বলেন, অঞ্চলে ক্রীড়ার প্রসার ঘটাতে অবিলম্বে স্টেডিয়াম করতে হবে৷ সঙ্গে কমিউনিটি হল এবং বাস টার্মিনার্স চালু করতে হবে৷
পুরসভায় ডেপুটেশন শেষে এরিয়া কমিটির সম্পাদক দেবাশিষ রক্ষিত দাবিগুলি প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, পুরপ্রশাসকের কাছ থেকে এবিষয়ে কোনো সদুত্তর মেলেনি৷ তিনি জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী কাঁচরাপাড়া পৌর অঞ্চলে ১লক্ষ ৮০ হাজার নাগরিকদের মধ্যে প্রথম দফায় ৩০ হাজার এবং দ্বিতীয় দফায় মাত্র ৬ হাজার মানুষকে ভ্যাকশিন দিতে পেরেছে পুরসভা৷ কর্মী স্থায়ীকরণ নিয়ে পুরপ্রশাসক জনিয়েছেন তাঁর হাতে কিছু নেই৷ এছাড়া কমিউনিটি হল, বাস টার্মিনার্স এবং স্টেডিয়াম তৈরির দাবি নিয়ে তিনি কোনো কিছু জানাননি।
No comments:
Post a Comment