Monday, May 31, 2021

নৈহাটিতে বিজেপির পরাজয়ের পেছনে মন্ডল নেতৃত্বের ভূমিকাকে দায়ী করছে কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিজেপির সংগঠনে চরম ঔদ্বত্ব ও অহংকারই পতন ঘটিয়েছে ব্যারাকপুরে। হারের কারন নিয়ে নানান ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ চললেও বড়ো অংশের কর্মীদের দাবি, মন্ডল নেতৃত্বের নির্বুদ্ধিতায় মুখ থুবড়ে পড়ল দল। আর সেই সঙ্গে অন্ধ অর্জুন বিরোধীতাই মুখ পুড়ল। অভিযোগ, নৈহাটি বিধানসভায় তিন মন্ডল নেতৃত্বের ভূমিকা ভোটের আগে থাকতেই প্রশ্ন চিহ্নের মুখে ছিল। হাবে ভাবে এরা নিজেদেরকে কেউকেটা ভাবতে শুরু করে দিয়েছিল। কার্যত তা ফাকা আওয়াজ যা কিনা এখন কর্মীরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। ভোটের ফল পরবর্তী হিংসায় তাঁরা এখন গর্তে লুকিয়ে। আক্রান্ত ও ঘরছাড়া কর্মীদের পাশে এক ঝলকও তাদের দেখা মেলেনি। উপরন্তু নৈহাটির দুই মন্ডল সভাপতিতো তৃনমূল নেতৃত্বের পায়ে গিয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে নৈহাটি মন্ডল-২ এর সভাপতি সুব্রত দাসের ফোনালাপ ঘিরে কর্মীরা ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছে। ৬ নম্বর বিজয় নগর এলাকার এক বিজেপি কর্মীতো ভোটের আগেই বলেছিলেন, উনি তৃনমূলের বড়ো দালাল। 
নিশ্চিত ও সংগঠনকে ডোবাবে। ওই কর্মী প্রার্থী ফাল্গুনী পাত্রের কানেও কথাটা তুলেছিলেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। 

এদিকে নৈহাটি মন্ডল-১ ও গ্রামীনে অর্জুন সিংয়ের লোকেদের একপ্রকার বাদ দিয়ে বুথ এজেন্ট বসানো হয়েছিল বলে দলীয় সূত্রে খবর। এমনকি কাউন্টিং এজেন্ট থেকেও সাংসদ অনুগামীদের দূরে রাখা হয়েছিল। অনভিজ্ঞ, আনকোরা মুখের সারিতে ভোটের সেনাপতি গড়েছিল এই মন্ডল সভাপতিরা। এমন সব মুখ যাদের নিজের পাড়ায় গ্রহণ যোগ্যতা নেই তাদের বুথে দেখে মানুষ ভোট দেয়নি। এর ওপর এদের সিংহভাগ লোকসভা নির্বাচনে লুকিয়ে ছিল। অর্জুন জয় পেতেই এলাকায় তান্ডবের অভিযোগ উঠেছিল এদের ঘিরেই। কার্যত অর্জুন সিংয়ের হয়ে লোকসভায় যারা প্রানপাত করেছিল তারা পরবর্তীতে কোনঠাসা হয়ে পরলো। এক একজন বুক ফুলিয়ে বলতো সে মন্ডলের নেতা, কেউ শক্তি প্রমুখ। এখন সব শক্তি ক্ষয় হয়ে গৃহ ছাড়া। কারো হাত-পা ভাঙা। 
এই মুহুর্তে নৈহাটি বিধানসভায় ছন্নছাড়া বিজেপি। সাধারণ কর্মী সমর্থকরা ডেকেও নেতৃত্বকে পাশে পাচ্ছেন না। ঘোপে ঘাপে এখনো মারধর চলছে কর্মীদের। বিধানসভার প্রার্থীর দেখা মিলছে না। রাজ্যে বিরোধী দলের পূর্ন মর্যাদা নিয়েও নেতৃত্ব কেন চুপ সেই প্রশ্নই এখন ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির অন্দরে ঘুরপাক খাচ্ছে।

Tuesday, May 25, 2021

ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক সত্ত্বেও ফের বোমাবাজি ভাটপাড়ায়

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভাটপাড়ায় ফের বোমাবাজি। মঙ্গলবার রাত ১১ টা নাগাদ ভাটপাড়া থানার ১০ নম্বর শিউলি সংঘ ক্লাবে পরপর দুটো বোমা মারে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। তাছাড়া ওই ক্লাব সন্নিহিত বিজেপির যুব নেতা দীপক সাউয়ের বাড়িতেও তিনটে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে। বোমার স্প্রিন্টারে জখম হয়েছেন স্থানীয় মিষ্টির দোকানের মালিক বিজয় সাউ। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।

Monday, May 24, 2021

নৈহাটির প্রাক্তন পৌরপ্রধান রমেশ হালদার বিধায়কের পাশে

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ বিধানসভা ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্রের ভাটপাড়া বাদে বাকি ৬ টি বিধানসভায় বিজেপি শূন্য। বিপর্যয় দেখে দিশেহারা তৃনমূল থেকে বিজেপিতে আসা গুটিকয়েক নেতা। কেউ কেউ তৃণমূলে ফিরতে মরীয়া। পরাজয়ের গ্লানি মুছতে দ্রুত অনেকেই নিজস্ব অফিস থেকে বিজেপির ব্যানার, পতাকা সরিয়ে ফেলেছেন। এমন ছবি নৈহাটির জান মহম্মদ ঘাট রোডেও দেখা গেছে। আঁচ ছিল। শেষে সোমবারই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে এলো। কিনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সাথি হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে নৈহাটি পৌরসভায় হাজির সেই বিজেপি নেতা। যদিও তিনি পুরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান। বিদায়ী বোর্ডের কাউন্সিলর। সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ এই নেতা রমেশ হালদার। নৈহাটির পুরপ্রশাসকের ঘরে বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের পাশে বসে থাকার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এরপরই সব জল্পনার অবসান ঘটলো। বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলের পতাকা হাতে তুলে নিতে না দেখা গেলেও রহস্য একপ্রকার উধাও।

Monday, May 17, 2021

জগদ্দলের বকুল মোড়ে এন্তার বোমাবাজি দুষ্কৃতীদের

নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ সোমবার সন্ধ্যা নামতেই দুষ্কৃতীদের তান্ডব জগদ্দলের বকুল মোড়ে। ঘটনাস্থল সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ি মজদুর ভবনের একেবারে সন্নিকটে। অভিযোগ, এদিন ভর সন্ধ্যেয়  ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকা  পুরানীতলা থেকে বকুল মোড় পর্যন্ত এলোপাথাড়ি বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। বকুল মোড়ে দোকান ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রুস্তম ঘুমটির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আচমকা বোমাবাজি করে। ভুসি গোডাউনের সামনে একটি বাড়িতেও একাধিক বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজির পর ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশি উদাসীনতায় তীব্র ক্ষোভ বাসিন্দাদের।

জগদ্দলের নতুন গ্রামে কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী লুটে অভিযুক্তরা এখনো অধরা

নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ জগদ্দল থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনগ্রামের বাসিন্দা বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সমীর দত্তের বাড়িতে কয়েক লক্ষ টাকার জিনিসপত্র লুটে অভিযুক্তরা এখনও অধরা। অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার দিন গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা পিছনের দিকের দরজা ভেঙে লুঠপাট চালায়। হামলার ভয়ে কর্মস্হল আতপুর এক্সাইড ব্যাটারি কারখানায় ঢুকতে পারছেন না সমীর দত্ত। সমীর বাবুর স্ত্রী করুণা দত্তের অভিযোগ, দুষ্কৃতী তান্ডবের আশঙ্কায় ওইদিন বেলা থেকেই সপরিবারে বাড়িছাড়া। ওইদিন রাতে ২৫-৩০ জনের দুষ্কৃতী দল পিছনের দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছে। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বাড়ির ভাড়াটিয়াকেও। পরদিন অর্থাৎ ৩ মে করুণা দেবী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
 অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন,  ফ্রিজ, আলমারি, এসি, খাট, ডাইনিং টেবিল, একটি মোটর বাইক দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করেছে। টিভি, একটি  ডিভিডি ও তিনটে হাত ঘড়ি দুষ্কৃতীরা লুঠ করেছে। আলমারি থেকে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা-সহ প্রায় নয় ভরি সোনার গহনা দুষ্কৃতীরা লুঠ করেছে। তার অভিযোগ, ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কেস করা সত্ত্বেও, দুষ্কৃতীদের পুলিশ এখনও পাকড়াও করতে পারেনি। ফের হামলার আশঙ্কায় পুত্র, পুত্রবধূ ও  নাতনিকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছে। লুঠপাটের ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব এলাকাবাসী।

করোনা কেঁড়ে নিল বিশিষ্ট সাংবাদিক অঞ্জন বন্ধ্যোপাধ্যায়কে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলা সংবাদ মাধ্যম হারালো এক প্রবাদ প্রতিম সাংবাদিককে। অঞ্জন বন্ধ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে এডিটর পদে ছিলেন। রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যুতে সংবাদ মাধ্যমে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। মাঝে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তারপরে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পরে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কিন্তু অঞ্জন বন্ধ্যোপাধ্যায় সকলকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন।

Tuesday, May 11, 2021

হন্যে হয়ে ঘুরেও মিলছে না ভ্যাকসিন, হতাশ শিল্পাঞ্চলের সংবাদ কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিরোধীদের ধরাশায়ী হয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় মমতা সরকার। ফল ঘোষণার দিনই সাংবাদিকদের 'করোনা যোদ্ধা' স্বীকৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ করোনা ভ্যাকসিন পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিল্পাঞ্চলের সংবাদ কর্মীদের। রেজিস্ট্রেশন করিয়ে প্রথম ডোজের জন্য এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল কিংবা এক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে আরেক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঘুরতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। পরিচিতির খাতিরে পুর প্রশাসক সদস্যদের কাছে গিয়েও মিলছে শুকনো আশ্বাস। কেউ বলছেন, ফোন করে চলে আসুন হয়ে যাবে। কেউ বলছেন, চিন্তা নেই প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন এলেই ফোন করে ডেকে নিচ্ছি। এমনই দশা করোনা যোদ্ধা খ্যাত শিল্পাঞ্চলের সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের। ভোটের গননার আগে বলা হয়েছিল ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তীতে শুধুমাত্র করোনা পরীক্ষা করে গননাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছিল।
 এরপরও মহকুমা তথ্য আধিকারীকের দপ্তর থেকে দু'দুবার ভ্যাকসিন না হওয়া সংবাদ কর্মীদের ফোন করে খবর নেওয়া হয়। এমনকি পুনরায় তাদের তথ্যও সংগ্রহ করে তারা। যদিও কবে মিলবে ভ্যাকসিন নির্দিষ্ট করে উত্তর কারো জানা নেই।

Monday, May 10, 2021

এবারও মন্ত্রীত্ব থেকে দূরে রইল ব্যারাকপুর

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এবারও মন্ত্রীত্ব থেকে দূরে রইল ব্যারাকপুর। রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃনমূল সরকার। বিশেষ করে বীজপুর থেকে বরানগর তৃনমূল ঝড়ে উড়ে গিয়েছে পদ্ম শিবির। সবেধন নীলমণি ভাটপাড়া বিধানসভায় একমাত্র বিজেপি জিতেছে। সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গড়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তৃনমূল আশাতীত ফল করেছে। ওদিকে খড়দা, পানিহাটি, কামারহাটি উঃ দমদম, দমদম, বরানগর একচেটিয়া জোড়াফুলের দখলে। একমাত্র পুরনো মন্ত্রীসভায় থেকে যাওয়া দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসু এবারও মন্ত্রী হয়েছেন। পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ গত বিধানসভায় মুখ্যসচেতকের পদে ছিলেন। এবার এখনো পর্যন্ত তাঁকে কোনো পদে নিয়ে আসা হয়নি। কামারহাটি পুনরায় জিতে সকলকে চমকে দিয়েছেন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র। কর্মীদের উচ্ছাস বিপুল। ভেবেছিল তাঁকে একটা মন্ত্রীত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু তালিকায় মদন মিত্রের নাম না থাকায় হতাশ হতে হয়েছে। এবারে তৃতীয় তৃনমূল সরকারের নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে ১৪ জন নতুন মুখ। কিন্তু ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে একজনও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ঠাঁই পায়নি। ঘাসফুল শিবিরের আশা ছিল, লোকসভায় পর্যদূস্ত হওয়া থেকে দলকে সাফল্যে তুলে নিয়ে যাওয়ার কারিগরদের মধ্যে থেকে অন্তত একজনকে মন্ত্রী করা হবে। কার্যত কর্মীদের মনের আশা আপাতত চেপেই রাখতে হচ্ছে। 
এই জেলায় বহু দিন বাদে এবারে মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষকে দল মন্ত্রীত্ব দেওয়ায় খুশি পুরনো সৈনিকরা। রথীন ঘোষ তৃনমূল জন্মের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে যুব কংগ্রেসের একজন সৈনিক হিসেবে বহু আন্দোলনের সঙ্গী। টানা চার বারের বিধায়ক। রথীন ঘোষকে মন্ত্রী করে দল প্রাপ্য সম্মানটুকু দিল। খুশি মধ্যমগ্রামের মানুষ।

Sunday, May 9, 2021

বরানগরে আগ্নেয়াস্ত্র-কার্তুজ সহ ধৃত দুষ্কৃতী

নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ বরানগরে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পুলিশের জালে এক দুষ্কৃতী। শনিবার রাতে বিদ্যায়তন সরনী থেকে আজাদ আলি নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বরানগর থানার পুলিশ। ধৃত আজাদের বাড়ি বরানগরের বারুই পাড়া লেনে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব জোরে বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় পড়ে যায় ওই যুবক। তাকে তোলার জন্য এগিয়ে গিয়ে তার পকেট থেকে পড়ে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র স্থানীয়দের নজরে আসে। এরপর স্থানীয়রা আজাদকে আটকে রাখে। আজাদের পকেট থেকে একটি কার্তুজও পায় বাসিন্দারা। বরানগর থানার পুলিশ এসে আজাদ আলিকে গ্রেপ্তার করে। সেইসঙ্গে কার্তুজ-সহ আগ্নেয়াস্ত্রটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।

Friday, May 7, 2021

বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বোমাবাজি জগদ্দলের আতপুরে, ঘরছাড়া বহু

নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জগদ্দল থানার আতপুর ভ্রাতৃ সংঘ ক্লাব সন্নিহিত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, এক্সাইড পার্মানেন্ট মজদুর মোর্চা ইউনিয়নের সম্পাদক রজত মৈত্র ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই বাড়িছাড়া। বাড়িতে তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন। অভিযোগ, ওইদিন রাতে রজত বাবুর বাড়িতে তিনটে বোমা মারা হয়েছে। আতঙ্কে পরিবার। পাশেই বিজেপি কর্মী বাপন বণিকের বাড়িতে দুটো বোমা মারা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আতপুর তরফদার পাড়ায় জগদ্দল মন্ডল-১ এর যুব মোর্চার সভাপতি টুবাই মন্ডলের বাড়ির সামনে বোমাবাজি করেছে দুষ্কৃতীরা। তাছাড়া পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন অগ্রদূত ক্লাবের সামনে এক বিজেপি কর্মীর বাড়ির সামনেও বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ, জয়ের উল্লাসে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেছে বেছে তাদের দলীয় কর্মীদের বাড়িতে বোমা মারছে। 
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত নেই। এসব দুষ্কৃতীদের কাজ। পুলিশ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

Saturday, May 1, 2021

এক্সিট পোল পাত্তা দিতে নারাজ ব্যারাকপুর বিজেপি, সাতটিই জিতব আত্মবিশ্বাসী অর্জুন

বিল্টু কাশ্যপঃ টিভি চ্যানেলের এক্সিট পোলকে পাত্তা দিতে নারাজ ব্যারাকপুর বিজেপি। বেশিরভাগ টিভি চ্যানেলের এক্সিট পোল মমতার হ্যাটট্রিকের পক্ষেই রায় দিয়েছে। স্বভাবতই, বুথ ফেরত সমীক্ষায় উল্লসিত ঘাসফুল শিবির। এক্সিট পোলে তৃণমূল ঝড়ের ইঙ্গিতে শাসকদলের একাংশ নেতাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বদলে গিয়েছে। তবে ভোট কৌশলী তথা শিল্পাঞ্চলের গেরুয়া শিবিরের লড়াকু সৈনিক সাংসদ অর্জুন সিং এক্সিট পোলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তার লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সাংসদ অর্জুন সিং। তার সাফ জবাব, এবার সংবাদ মাধ্যমের হিসেব নিকেশ কিছুই মিলবে না। গেরুয়া ঝড়ে ব্যারকপুর শিল্পাঞ্চল থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ঘাসফুল। প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া প্রহরায় নির্বাচনের পর শিল্পাঞ্চলের ঘাসফুল শিবির অনেকটাই মুষড়ে পড়েছিল। ঘাসফুলের পার্টি অফিসগুলোতে কর্মীদের আনাগোনা একেবারে কমে গিয়েছিল। কিন্তু এক্সিট পোলে তাদের পক্ষে হওয়া ঘুরতেই  ফের চাঙ্গা তৃণমূল শিবির। যদিও তৃণমূলের দাবি, ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি আসনেই তারা জয়লাভ করবে। প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের জয় যদি নিশ্চিত হয়েই থাকে, তাহলে গণনাকেন্দ্রে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান কেন তৃণমূল সুপ্রিমোর। এদিকে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় সংযুক্ত মোর্চার শোচনীয় ফলের ইঙ্গিত মিলেছে। তবুও বর্ষীয়ান মোর্চা নেতা বিমান বসু কাউন্টিং এজেন্টদের চাঙ্গা রাখার জন্য সমীক্ষাকে গুরুত্ব দিতে নিষেধ করেছেন। সুকান্ত দ্বীপের হোয়াইট হাউস হোক কিংবা কাঁকিনাড়া স্টেশন রোডের নির্বাচনী কার্যালয়, ভাটপাড়া কেন্দ্রে মোর্চা প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে তারা এখনও চুলচেরা বিশ্লেষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশের কেন্দ্র জগদ্দল কিংবা নোয়াপাড়ায় একাংশ মোর্চা নেতা-সমর্থকরাও জয়ের হিসেব কষছেন। তবে ভাটপাড়ায় রাজনৈতিক সমীকরণ সম্পুর্ন ভিন্ন। এখানে তৃণমূল জিতলেও মোর্চা নেতা-কর্মীদের মনে দুঃখ থাকবে না। কারন, ভাটপাড়ার দু-একটি ওয়ার্ডে গুটি কয়েক মোর্চা নেতা-কর্মীরা টিমটিম
 করছেন ঘাসফুল নেতাদের অক্সিজেনে। এখানেই শেষ নয়, ওই গুটি কয়েক মোর্চা নেতা-কর্মীদের একাংশ আবার আত্মীয়ের অছিলায় কিংবা বন্ধুত্বের খাতিরে স্বঘোষিত বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সরু সুতোর যোগাযোগ রেখে চলছেন। যদিও সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করা গেরুয়া নেতাদের। বুথ ফেরত সমীক্ষা হোক, আর চুলচেরা হিসেব নিকেশ হোক। মাত্র কয়েক ঘন্টা বাদেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, শিল্পাঞ্চলের মুকুট থাকছে পদ্মফুল না ঘাসফুলের দখলে। এখন শুধু চলছে পাড়ার চায়ের দোকান কিংবা রাস্তার মোড়ে মোড়ে হিসেব নিকেশ, কার পাল্লা ভারী।