Saturday, May 1, 2021

এক্সিট পোল পাত্তা দিতে নারাজ ব্যারাকপুর বিজেপি, সাতটিই জিতব আত্মবিশ্বাসী অর্জুন

বিল্টু কাশ্যপঃ টিভি চ্যানেলের এক্সিট পোলকে পাত্তা দিতে নারাজ ব্যারাকপুর বিজেপি। বেশিরভাগ টিভি চ্যানেলের এক্সিট পোল মমতার হ্যাটট্রিকের পক্ষেই রায় দিয়েছে। স্বভাবতই, বুথ ফেরত সমীক্ষায় উল্লসিত ঘাসফুল শিবির। এক্সিট পোলে তৃণমূল ঝড়ের ইঙ্গিতে শাসকদলের একাংশ নেতাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বদলে গিয়েছে। তবে ভোট কৌশলী তথা শিল্পাঞ্চলের গেরুয়া শিবিরের লড়াকু সৈনিক সাংসদ অর্জুন সিং এক্সিট পোলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তার লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সাংসদ অর্জুন সিং। তার সাফ জবাব, এবার সংবাদ মাধ্যমের হিসেব নিকেশ কিছুই মিলবে না। গেরুয়া ঝড়ে ব্যারকপুর শিল্পাঞ্চল থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ঘাসফুল। প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া প্রহরায় নির্বাচনের পর শিল্পাঞ্চলের ঘাসফুল শিবির অনেকটাই মুষড়ে পড়েছিল। ঘাসফুলের পার্টি অফিসগুলোতে কর্মীদের আনাগোনা একেবারে কমে গিয়েছিল। কিন্তু এক্সিট পোলে তাদের পক্ষে হওয়া ঘুরতেই  ফের চাঙ্গা তৃণমূল শিবির। যদিও তৃণমূলের দাবি, ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি আসনেই তারা জয়লাভ করবে। প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের জয় যদি নিশ্চিত হয়েই থাকে, তাহলে গণনাকেন্দ্রে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান কেন তৃণমূল সুপ্রিমোর। এদিকে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় সংযুক্ত মোর্চার শোচনীয় ফলের ইঙ্গিত মিলেছে। তবুও বর্ষীয়ান মোর্চা নেতা বিমান বসু কাউন্টিং এজেন্টদের চাঙ্গা রাখার জন্য সমীক্ষাকে গুরুত্ব দিতে নিষেধ করেছেন। সুকান্ত দ্বীপের হোয়াইট হাউস হোক কিংবা কাঁকিনাড়া স্টেশন রোডের নির্বাচনী কার্যালয়, ভাটপাড়া কেন্দ্রে মোর্চা প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে তারা এখনও চুলচেরা বিশ্লেষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশের কেন্দ্র জগদ্দল কিংবা নোয়াপাড়ায় একাংশ মোর্চা নেতা-সমর্থকরাও জয়ের হিসেব কষছেন। তবে ভাটপাড়ায় রাজনৈতিক সমীকরণ সম্পুর্ন ভিন্ন। এখানে তৃণমূল জিতলেও মোর্চা নেতা-কর্মীদের মনে দুঃখ থাকবে না। কারন, ভাটপাড়ার দু-একটি ওয়ার্ডে গুটি কয়েক মোর্চা নেতা-কর্মীরা টিমটিম
 করছেন ঘাসফুল নেতাদের অক্সিজেনে। এখানেই শেষ নয়, ওই গুটি কয়েক মোর্চা নেতা-কর্মীদের একাংশ আবার আত্মীয়ের অছিলায় কিংবা বন্ধুত্বের খাতিরে স্বঘোষিত বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সরু সুতোর যোগাযোগ রেখে চলছেন। যদিও সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করা গেরুয়া নেতাদের। বুথ ফেরত সমীক্ষা হোক, আর চুলচেরা হিসেব নিকেশ হোক। মাত্র কয়েক ঘন্টা বাদেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, শিল্পাঞ্চলের মুকুট থাকছে পদ্মফুল না ঘাসফুলের দখলে। এখন শুধু চলছে পাড়ার চায়ের দোকান কিংবা রাস্তার মোড়ে মোড়ে হিসেব নিকেশ, কার পাল্লা ভারী।

No comments:

Post a Comment