Monday, May 31, 2021

নৈহাটিতে বিজেপির পরাজয়ের পেছনে মন্ডল নেতৃত্বের ভূমিকাকে দায়ী করছে কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিজেপির সংগঠনে চরম ঔদ্বত্ব ও অহংকারই পতন ঘটিয়েছে ব্যারাকপুরে। হারের কারন নিয়ে নানান ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ চললেও বড়ো অংশের কর্মীদের দাবি, মন্ডল নেতৃত্বের নির্বুদ্ধিতায় মুখ থুবড়ে পড়ল দল। আর সেই সঙ্গে অন্ধ অর্জুন বিরোধীতাই মুখ পুড়ল। অভিযোগ, নৈহাটি বিধানসভায় তিন মন্ডল নেতৃত্বের ভূমিকা ভোটের আগে থাকতেই প্রশ্ন চিহ্নের মুখে ছিল। হাবে ভাবে এরা নিজেদেরকে কেউকেটা ভাবতে শুরু করে দিয়েছিল। কার্যত তা ফাকা আওয়াজ যা কিনা এখন কর্মীরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। ভোটের ফল পরবর্তী হিংসায় তাঁরা এখন গর্তে লুকিয়ে। আক্রান্ত ও ঘরছাড়া কর্মীদের পাশে এক ঝলকও তাদের দেখা মেলেনি। উপরন্তু নৈহাটির দুই মন্ডল সভাপতিতো তৃনমূল নেতৃত্বের পায়ে গিয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে নৈহাটি মন্ডল-২ এর সভাপতি সুব্রত দাসের ফোনালাপ ঘিরে কর্মীরা ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছে। ৬ নম্বর বিজয় নগর এলাকার এক বিজেপি কর্মীতো ভোটের আগেই বলেছিলেন, উনি তৃনমূলের বড়ো দালাল। 
নিশ্চিত ও সংগঠনকে ডোবাবে। ওই কর্মী প্রার্থী ফাল্গুনী পাত্রের কানেও কথাটা তুলেছিলেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। 

এদিকে নৈহাটি মন্ডল-১ ও গ্রামীনে অর্জুন সিংয়ের লোকেদের একপ্রকার বাদ দিয়ে বুথ এজেন্ট বসানো হয়েছিল বলে দলীয় সূত্রে খবর। এমনকি কাউন্টিং এজেন্ট থেকেও সাংসদ অনুগামীদের দূরে রাখা হয়েছিল। অনভিজ্ঞ, আনকোরা মুখের সারিতে ভোটের সেনাপতি গড়েছিল এই মন্ডল সভাপতিরা। এমন সব মুখ যাদের নিজের পাড়ায় গ্রহণ যোগ্যতা নেই তাদের বুথে দেখে মানুষ ভোট দেয়নি। এর ওপর এদের সিংহভাগ লোকসভা নির্বাচনে লুকিয়ে ছিল। অর্জুন জয় পেতেই এলাকায় তান্ডবের অভিযোগ উঠেছিল এদের ঘিরেই। কার্যত অর্জুন সিংয়ের হয়ে লোকসভায় যারা প্রানপাত করেছিল তারা পরবর্তীতে কোনঠাসা হয়ে পরলো। এক একজন বুক ফুলিয়ে বলতো সে মন্ডলের নেতা, কেউ শক্তি প্রমুখ। এখন সব শক্তি ক্ষয় হয়ে গৃহ ছাড়া। কারো হাত-পা ভাঙা। 
এই মুহুর্তে নৈহাটি বিধানসভায় ছন্নছাড়া বিজেপি। সাধারণ কর্মী সমর্থকরা ডেকেও নেতৃত্বকে পাশে পাচ্ছেন না। ঘোপে ঘাপে এখনো মারধর চলছে কর্মীদের। বিধানসভার প্রার্থীর দেখা মিলছে না। রাজ্যে বিরোধী দলের পূর্ন মর্যাদা নিয়েও নেতৃত্ব কেন চুপ সেই প্রশ্নই এখন ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির অন্দরে ঘুরপাক খাচ্ছে।

No comments:

Post a Comment