Tuesday, June 1, 2021

শুভ্রাংশু রায় কি আদৌ জেতার জন্য লড়েছেন প্রশ্ন তুলছেন উপেক্ষিত বিজেপি কর্মীরা

চিত্ত ওঝাঃ জিতলে 'আমি'। হেরোছো তাই উগরাচ্ছ বমি। বীজপুর জুড়ে বিজেপির একে অপরকে কটাক্ষ করতে শোনা যাচ্ছে। উদ্দ্যেশ্য যে সদ্য দলের পরাজিত প্রার্থী শুভ্রাংশু রায় তা আর বুঝতে বাকি থাকে না। হেরে যাওয়ার পর থেকে অন্তরালে চলে যাওয়া শুভ্রাংশুকে কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। কিন্তু ফেসবুকে '......আত্ম সমালোচনা......'-এর পোস্ট লিখতেই আসরে নেমে পরে বিজেপির উপেক্ষিত কর্মীরা। তাদের মতে, শুভ্রাংশুর হারের কারন তিনি নিজেই। 

একথা দিনের আলোর মতো সত্য, শুভ্রাংশুকে প্রার্থী হিসেবে বীজপুর বিজেপির বড়ো অংশের আপত্তি ছিল। শুধুমাত্র মুকুল রায়ের ছেলে বলে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। ভেতরে ভেতরে কুচির কাজ তারা চালিয়েছেন। ব্যারাকপুর জুড়ে বিজেপির সংগঠনে যে ছবি বীজপুরে তার ব্যাতিক্রম হয়নি। সূত্র বলছে, মন্ডলগুলোতে অদক্ষ নেতা-কর্মীদের ভিড়।যাদের অধিকাংশ তৃনমূল নেতাদের সঙ্গে বোঝাপড়া ছিল। শুভ্রাংশু জানত না এমনটা নয়। তাঁর প্রচ্ছন্ন মদতও ছিল। কেবলমাত্র সাংসদ অনুগামীদের দূরে রেখে দিয়েছিল। এখানেও ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের কারিগরদের বড়ো অংশকে বুথ এজেন্ট ও কাউন্টিং এজেন্ট থেকে ব্রাত্য রাখা হয়েছিল। প্রাক্তন বিধায়কের বলয়ে ঢুকতে না পারা বহু বিজেপি কর্মীর কথায়, ভেবেছিল হাওয়ায় জিতে যাবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। তারা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, আদৌ জেতার জন্য কি শুভ্রাংশু লড়েছেন? আগাগোড়াই নিন্দুকেরা বলেছেন,ও ব্যবসায়ী। ব্যাবসাটা মন দিয়ে করুক। এখন তারাই বলছে, দু'বারের বিধায়ক যার কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনিতো দাদা। ঘরের ছেলে। ভাইয়ের বিপদে সবসময় পাশে থাকবেন। 

বীজপুরে বিজেপির চেহারাটা এখন ঘূর্ণিঝড় 'যশ' পরবর্তী সুন্দরবনের চেহারা নিয়েছে। উত্তরীয় গলায় ঝোলানো মন্ডল, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ নেতারা লন্ডভন্ড। ঘর ছাড়া,মার খাওয়া কর্মীদের হদিস কারো কাছে নেই। সেটিং অর্থাৎ তৃনমূলের সঙ্গে সখ্যতা করে চলা নেতারা বহাল তবিয়তে ঘুরছে ফিরছে। ক্লাব-পার্টি অফিস খুলছে। মাঝে হতাশ একঝাঁক আদর্শ নিয়ে দল করতে আসা কর্মীরা। অর্থ ও প্রতিপত্তির দাপটে নেতা বনাম দলের একাংশের লড়াইয়ের মাঝে পরে তাদের স্বপ্ন আজ কবরে। শুভ্রাংশু বা আর কেউ তৃনমূলে চলে গেলেও তাদের ক্ষতি নেই। কিন্তু  অযোগ্য মন্ডল ও একাংশের জেলা নেতৃত্বকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করাই এখন তাদের লক্ষ্য।

No comments:

Post a Comment