Sunday, January 30, 2022

তৃণমূলে ফিরেছে বিজেপির প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি, কাঁচরাপাড়ায় কর্মীরা গিরগিটি বলেই জানত


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অবশেষে পুরনো দল তৃনমূল কংগ্রেসে ফিরলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ কাঁচরাপাড়ার জোনপুরের অতীন্দ্র নাথ ভৌমিক। বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত তিনি  বিজেপির কাঁচরাপাড়া মন্ডল-১ সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে মন্ডল কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। 

২০১৭ সালে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পর তৎকালীন বিজেপি নেত্রী আলোরানি সরকারের হাত ধরে পদ্ম শিবিরে তিনি যোগদান করেন৷ রায় পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে তিনি ঠাঁই পেয়ে যান। 

 ২০২০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে মন্ডল সভাপতির করা হয়৷ সেসময় কর্মীদের একাংশ  তাঁর বিরুদ্ধে তৃনমূলের সাথে বোঝাপড়ার অভিযোগ তুলেছিল। মন্ডল সভাপতি থাকাকালিন বাড়ি সংলগ্ন জোনপুর তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে অনেকেই দেখেছেন। 

এবিষয়ে বিজেপির কাঁচরাপাড়া মন্ডলের আহ্বায়ক শৌলেন্দ্র সিং বলেন, এই ব্যক্তি কারোর প্রিয় পাত্র ছিলেন৷ বিজেপিতে এসেছিলেন৷ অভিসন্ধি পূরণ না হওয়ায়  ফিরে গিয়েছেন৷ 

তিনি জানান, এই ধরনের অশুভ অভিসন্ধি নিয়ে যারা এখনো দলে আছেন তাঁরা ফিরে যান। না হলে উচ্চ নেতৃত্ব দল থেকে বহিষ্কার করার মত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যস্তরে দুজন  নেতাকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দল৷

Tuesday, January 25, 2022

বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর ওপর হামলা, নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ?

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ টিটাগড় পুরসভা নির্মিত পার্ক উদ্বোধনে এসে হামলার শিকার হলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে খড়দা থানার টিটাগড় ইঞ্চি রোড এলাকায়। 

এদিন পার্ক উদ্বোধনে পুর প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরী ও দমদম-ব্যারাকপুর জেলার তৃণমূল সভানেত্রী সোনালী সিংহ রায় হাজির ছিলেন। অভিযোগ, পার্কের উদ্বোধন শেষে বেরিয়ে আরেকটি অনুষ্ঠানে যাবার সময় বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর ওপর হামলা চালায় একদল যুবক। বিধায়ককে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত বিধায়কের  নিরাপত্তারক্ষীরা। এমনকি টিটাগড় পুর প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরীর মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। 

হামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনার তদন্তে আসেন নগরপাল  মনোজ বর্মা, যুগ্ম নগরপাল ক্রাইম অজয় ঠাকুর, উপনগর পাল(দক্ষিণ) অজয় প্রসাদ-সহ কমিশনারেটের অন্যান্য অধিকারিকরা। 

বিধায়ক আক্রান্তের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন দমদম-ব্যারাকপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি পার্থ ভৌমিক, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, বীজপুর ও জগদ্দলের বিধায়ক যথাক্রমে সুবোধ অধিকারী ও সোমনাথ শ্যাম। 

আক্রান্ত বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর অভিযোগ,  টিটাগড়ে সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। তা মানতে পারছে না এখানকার দুষ্কৃতীরা। তবে তিনি দুষ্কৃতীদের ঘৃণা করেন। এদিন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেন, টিটাগড়ে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য তিনি বন্ধ করবেন। 

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বিধায়কের ওপর হামলার ঘটনার নেপথ্যে কি গোষ্ঠী কোন্দল। যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, গত ২৩ জানুয়ারি বেলায় টিটাগড় গান্ধীমোড়ে তৃণমূল কর্মী অজয় মরিয়াকে একা পেয়ে তার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল যুব নেতা বিকাশ সিং ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। 

কিন্তু সেই ঘটনায় অজয় মরিয়া দলীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে তেমন সহযোগিতা পায়নি। এতেই হয়তো রেগে ছিলেন তৃণমূল কর্মী অজয়। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এই হামলার ঘটনা বলে একাংশের দাবি। 

অভিযোগ উঠেছে, এদিন বিকেলে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর ওপর দলবল নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মী অজয় মরিয়া। যদিও বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর দাবি, দুষ্কৃতীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে ঘটনার তদন্ত করছে।

নেতাজির অনুষ্ঠানে হামলা কাঁচরাপাড়ায়, তিন বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক পেটাল দুষ্কৃতীরা


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নেতাজির জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বীজপুর থানার কাঁচরাপাড়ার বেল ইনষ্টিটিউটের ঘটনা। আক্রান্ত বিজেপির তিন কর্মী। যদিও অভিযোগের দায় স্বীকার করেনি তৃনমূল। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ জানুয়ারি রেলের ওই প্রেক্ষাগৃহে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ছোটো ছোটো বাচ্চাদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের এক সন্ন্যাসী। ওই দিন তারা দুপুরে খাওয়ার আয়োজন রেখেছিল। 

অনুষ্ঠান চলাকালীন একদল দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে আচমকা হামলা চালায়। শুরু হয় মারধর। মহিলাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ থেকে কটুক্তিও করা হয়। উপস্থিত বিজেপির কাঁচরাপাড়া মন্ডলের আহ্বায়ক শৈলেন্দ্র সিং সহ বিজেপি কর্মী তাপস ঘোষ ও সানি সিংকে বেধড়ক মারে দুষ্কৃতীরা। 

আহত অবস্থায় বিজেপির আহ্বায়ক শৈলেন্দ্র সিং বর্তমানে কল্যানীর এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে বীজপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Friday, January 21, 2022

স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজ্যে স্কুল কলেজে পুণরায় পঠন-পাঠন চালু করার দাবিতে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা৷ স্কুল কলেজ খুলতে সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তা জানতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জী৷ 

আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে৷ এই মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোভিড প্যান্ডামিকে সাগর মেলা কিংবা অন্যান্য উৎসব অনুষ্ঠান হতে পারে তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠশালা খোলা যাবে না কেনো? 

প্রসঙ্গত করোনা প্রকোপের জেরে ২০২০ সালের ২৪ শে মার্চ সারা দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়েছে পঠন-পাঠন৷ কিন্তু কয়েক মাসে বাদে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ৫০ শতাংশ উপস্থিতিতে খুলতে থাকে অফিস-কাছারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান৷ ধীরে-ধীরে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করে সাধরণ মানুষ৷ 

সেইমত অন্যান্য রাজ্যে স্কুল কলেজ খুললেও এই রাজ্যে বন্ধ থাকে পঠন-পাঠন৷ গত বছর নভেম্বর মাসে নবম  থেকে দ্বাদশ শ্রেণী তথা কলেজ খোলার ঘোষণা করে তৃণমূল সরকার৷ কিন্তু ডিসেম্বর মাসে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই পানশালা, উৎসব, মেলা থেকে শুরু করে অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরায় ছাড় দিয়ে পুনরায় পাঠশালা বন্ধ রাখার ঘোষণা করে রাজ্য সরকার৷ 

এই নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, দু'বছর ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় মানষিকভাবে বিপর্যস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা৷ তিনি সরকারকে বিঁধে বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা নেই সরকারে৷ 

অন্যদিকে জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছে লকডাউনের প্রথমদিন থেকে প্রাথমিক স্কুলে তালা বন্ধ৷ প্রতিদিন স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়ছে৷ তার কোনো খোঁজ খবর নেই সরকারের কাছে৷ স্কুল ছুটদের পুনরায় স্কুলে ফিরিয়ে আনতে হবে৷ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সরকারকে৷ এমনকি প্রাথমিকের পড়ুয়াদের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগাযোগ বিছিন্ন৷ 

আনলাইন পড়াশুনা নিয়ে মামলায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল বিভাজন করা হয়েছে৷ শিক্ষা আইনে বলা আছে সবার জন্য ফ্রী শিক্ষা৷ কিন্তু অনলাইন পড়াশুনা করতে গেলে স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ সহ হাইস্পিড ইন্টারনেটের প্রয়োজন৷ এই তিনটে সরঞ্জাম নিয়ে চলতে হলে টাকার প্রয়োজন৷ তাহলে ই-লার্নিং সম্ভব৷ যা সবার পক্ষে সম্ভব নয়৷ এদিকে যেভাবে ডেটা প্যকের দাম বেড়েছে তার খরচ পরিবার কি ভাবে বহন করবে৷ 

মামলাকারীর বক্তব্য, স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে কেন উদ্যোগ গ্রহণ করবেনা রাজ্য সরকার।

Wednesday, January 19, 2022

কল্যান তহবিলে অপমানের সান্ত্বনা টুকুও নেই দলের প্রবীনদের

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অভিষেক অস্ত্রে কল্যান কুপোকাত। চিরকালের স্বভাব-সিদ্ধ ভঙ্গীমা এক নিমিষে উধাও। হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবাই ডাকা বুকো হিসেবেই জানে। তৃনমূল দলের দুর্দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে আইনি বিষয়টি সামলেছেন। দল ক্ষমতায় আসার পর বিনিময়ে দু'বার সাংসদ পদ পেয়েছেন। এবারই লোকসভায় দল তাঁকে মুখ্য সচেতক বানিয়েছে। কিন্তু নিজের মতো করে দলে চলাফেরায় ক্রমশ পরিসর ছোট হয়ে আসছিল। 


রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রথম দলের মধ্যে থেকে একমাত্র কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। কি না বহুচর্চিত 'ডায়মন্ড হারবার মডেল'। নীতির প্রশ্ন তুলেছেন। একদিনে বাহান্ন হাজার করোনা পরীক্ষা করিয়ে সরকারকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। আর এতেই কল্যান প্রতিবাদী হয়ে অভিষেক বাহিনীর কাছে চুড়ান্ত অপমানিত হলেন। 


প্রথমে দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ তাঁকে মুখে না বললেও জনমানসে মদ্যপ আখ্যা দিলেন। সাংসদ অপরূপা পোদ্দার থেকে বিধায়ক মদন মত্রি কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন। এরপর সামাজিক মাধ্যমে তীব্র আক্রমনে ভরিয়ে দেওয়া হল কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 


'শ্রীরামপুর চায় নতুন সাংসদ' পোষ্টার পড়ল। কালীঘাটে কল্যানের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হলো। একই সঙ্গে তাঁকে বিশেষনে বিশেষনে ভরিয়ে দেওয়া হল। 'মাতাল তোমায় জানতে হবে, আগামীকে মানতে হবে। শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা অভিষেকের ভক্ত'। 


জন্মলগ্ন থেকে দল করা প্রবীন এই মানুষটিকে যুব বাহিনী যে সন্মান দিল তা তৃণমূলের প্রবীনদের কাছে একটি বার্তা। হয় অভিষেককে নেতা মান, না হলে দল থেকে পাততাড়ি গোটাও। 


নিন্দুকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী-অর্জুন সিংরা দল ছেড়ে বেরিয়ে এসে বলেছিলেন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ভেতরে থেকেই যাচাই করে নিলেন কার অধীনে চাকরি করতে হবে। এরপরও বাকিরা না বুঝলে নিজেদের অকল্যান নিজেরাই ডেকে আনবেন। তবে এত কিছুর পরও কল্যান কেঁচো হয়ে দলে থাকলে শিরদাঁড়াহীন পুরুষ বলে ট্রোল হবেন।

Saturday, January 15, 2022

চার পুরসভায় ভোট পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অবশেষে চার পুরসভার ভোট পিছিয়ে গেল। ২২ শে জানুয়ারির পরিবর্তে ১২ ই ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে। 

রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভোট পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজই সময় সীমা শেষ হচ্ছিল। কার্যত কোর্টের চাপে পড়ে কমিশন ভোট পিছনোর সিদ্ধান্ত নিল। 

প্রথম থেকেই বিরোধী দলগুলো কোভিডের বাড় বাড়ন্ত নিয়ে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে সরব ছিল। একমাত্র রাজ্যের শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেস রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি করেনি।

 শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর ও বিধাননগর এই চার পুরসভার ভোট তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গেল।

Saturday, January 8, 2022

কামারহাটিতে দোকানে ঢুকে স্বর্নব্যবসায়ীর ভাইকে গুলি দুষ্কৃতীদের


নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ ডাকাতি করতে এসে বাঁধা পেয়ে সোনার দোকানের মালিকের ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি চালালো দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে বেলঘড়িয়া থানার কামারহাটির এম এম  সাকুর রোডের একটি সোনার দোকানে। গুলিতে জখম ২৫ বছরের রাহুল গুপ্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

অভিযোগ, এদিন বিকেলে ক্রেতা সেজে দুই দুষ্কৃতী মোটর বাইকে চেপে আসে। সেসময় দোকানে রাহুল একাই ছিল। ক্রেতা সেজে দোকানের ভেতর ঢোকে। বাঁধা পেয়ে অপারেশন সফল করতে না পেরে ক্ষোভে রাহুলকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। গুলিতে গুরুতর জখম রাহুলকে প্রথমে কামারহাটির সাগরদত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

পরে তাকে বেলঘড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু ওই হাসপাতাল থেকে বলা হয়, এখানে চিকিৎসক নেই। এরপর ক্ষিপ্ত জনতা ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। 

উত্তেজনা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। এরপর আক্রান্ত যুবককে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, দুটি গুলি রাহুলের হাতে এবং একটি গুলি পিঠের ডানদিকের নীচে লাগে। 

প্রকাশ্য দিবালোকে এমন ঘটনায় স্তম্ভিত  কামারহাটির এম এম সাকুর রোডের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, এদিন বিকেল ৪-৩০ নাগাদ কামারহাটির একটি জুয়েলারী শপে এক যুবককে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। আক্রান্ত যুবক হাসপাতালে ভর্তি এবং সুস্থ আছেন। সূত্র বলছে, সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে

পদ্ম ছেড়ে আসা কর্মীরা যেন মেলা শেষের নেতিয়ে পড়া পাঁপড়

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভাগ্যিস টিম ইলেভেনে খেলতে চাওয়া বাবুল সুপ্রিয় বা ত্রিপুরা খ্যাত রাজীব বন্ধ্যোপাধ্যায়ের মতো মাপের নেতা নৈহাটি পুর এলাকায় নেই। তাহলে দশাটা কি হত তা পদ্ম ফেরত তৃনমূল কর্মীদের দেখলেই বোঝা যায়। এমন চর্চা জারি নৈহাটির রাজনীতির অন্দরে।

কটাক্ষ করে অনেকেই বলছে, বিধানসভায় হারের পর বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে ফিরে আসাদের অবস্থা এখন রথের মেলায় বিক্রি না হওয়া পাঁপড়ের মতো। মুচমুচে থেকে নেতিয়ে পড়েছে। না আছে দর। না মিলছে কদর। 

সূত্র জানাচ্ছে, তাঁরা যে মাঝারি নেতার অনুগামী হয়ে ফিরলেন আখেরে সেই নেতার সঙ্গে বনিবনা নেই  পুরপ্রশাসক সহ পুরসভার একাধিক নেতৃত্বের। নৈহাটি  জুড়ে কান পেতে নয়, একদম প্রকাশ্যে এই ছবি ধরা পড়েছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দলীয় অনুষ্ঠানে ফেরত আসা কর্মীদের কেউ ডাকই পাচ্ছেন না। ওয়ার্ডের সভাপতি যাও বা ডাকছেন, বিদায়ী কাউন্সিলরের অনুগামীরা ঘেঁষতে দিচ্ছে না। বহু ক্ষেত্রে তাদের উদ্দেশ্যে নানান টিপ্পনী উড়ে আসছে। 

এরকম নৈহাটির এক সূত্র জানাচ্ছে, উনিশে লোকসভার আগে যারা দল ছেড়েছিল তাঁরা দুর্দিনের তৃনমূল কর্মী ছিল। শহর ও ওয়ার্ড সভাপতি এবং কাউন্সিলরদের ঔদ্বত্যের কারনেই কোনঠাসা হয়ে তাঁরা পুরনো সঙ্গী অর্জুন সিংয়ের হয়ে ভোটে লড়াই দিয়েছিলেন। 

সূত্রে আরো জানা যায়, নৈহাটির মাঝারি মাপের ওই তৃনমূল নেতাও দীর্ঘকাল দলে ব্রাত্য ছিলেন। লোকসভায় পতনের পর  তাঁর কদর বাড়ল। পুলিশ ও উপটৌকন দুইয়ের অস্ত্রে তিনি কর্মীদের দলে ফেরাতে নাকি কাঠবিড়ালির ভূমিকা নিয়েছিলেন। 

যদিও সূত্রের দাবি, এবারের পুরভোটেই ওই মাঝারি মাপের নেতার ক্ষমতা পরীক্ষিত হবে। তাঁর অনুগামী ক'জন টিকিট পান এবং তিনিই বা পুরসভায় কোন বড় পদে আসীন হন তা দেখার অপেক্ষায় পুরবাসী থেকে রাজনৈতিক মহল।

Monday, January 3, 2022

আজই ৭ টার বদলে রাত ১০ টায় শেষ লোকাল ট্রেন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অবশেষে বদল ঘটল রেলের সময়সূচি। যাত্রী সাধারণের হয়রানির কথা মাথায় রেখে আজ থেকেই সন্ধ্যা ৭ টার পরবির্তে রাত ১০ টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলবে।

রবিবার রাজ্য সরকার কড়া বিধিনিষেধ জারি করে জানিয়েছিল সোমবার থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চলবে। এবং সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ট্রেন চালানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। 

এরপরই রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই লোকাল ট্রেনে কড়া বিধিনিষেধের ছবি উধাও। ভীড়ে ঠাসাঠাসি যাত্রীদের ছবি ধরা পড়েছে। বিকাল ৫ টা পর হাওড়া-শিয়ালদা ষ্টেশন জনসমুদ্রের আকার নেয়। হাওড়া ষ্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ শুরু হয়। নিত্য যাত্রীদের ঘরে ফেরার তাড়া। 

সন্ধ্যা ৬ টার পর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় লোকাল ট্রেনের সময়সীমা বাড়িয়ে রাত ১০ টা করা হবে। সেই মত রেলও জানিয়ে দেয় তারা প্রস্তুত। নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে। শেষে রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় আজ থেকেই রাত ১০ টায় শেষ শেষ লোকাল ট্রেন চালানো হবে। 

Sunday, January 2, 2022

ফিরল কড়া বিধিনিষেধ, স্কুল-কলেজ বন্ধ করে পানশালা, রেস্তোরায় ছাড়

প্রতিনিধিঃ করোনার চোখ রাঙানিতে ফের আংশিক লকডাউনের পথে যেতে হল রাজ্যকে। ৩ রা জানুয়ারি সোমবার থেকেই বিধি নিষেধ লাগু হচ্ছে। সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

সরকারি ও বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ হবে। লোকাল ট্রেন ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালু থাকবে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত। সাতটার পর থেকে  লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে। মেট্রো রেলেও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে। তবে দূর পাল্লার ট্রেন স্বাভাবিক থাকছে। 

জিম, বিউটি পার্লার, সেলুন, বিনোদন পার্ক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। চিড়িয়াখানা সহ সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকছে। সিনেমা হল, রেস্তোরায় ৫০ শতাংশ মানুষ প্রবেশ করতে পারবে। একই সঙ্গে বারও নিয়ম মেনে খোলা থাকছে। শপিংমল সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রবেশের ক্ষেত্রে থাকছে বিধিনিষেধ। 

বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ব্রিটেন থেকে সরাসরি কলকাতা বিমানবন্দরে আসা বিমান বন্ধ করে দেওয়া হল। সামাজিক অনুষ্ঠান করা যাবে। সেখানে ৫০ জনের বেশি জমায়েত নয়। শ্মশান যাত্রায় ২০ জনের বেশি নয়। তবে হোম ডেলিভারি চালু থাকছে। 

দোকান- বাজার খোলা থাকছে। থাকছে কড়া নজরদারি। বাইরে মাস্ক ছাড়া বেরলেই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি হচ্ছে।

একটু একটু করে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল ছাত্র-ছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। হঠাৎই এভাবে বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় দিশেহারা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা। আগের টানা লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের বিধিনিষেধের কবলে বাংলা।