নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অভিষেক অস্ত্রে কল্যান কুপোকাত। চিরকালের স্বভাব-সিদ্ধ ভঙ্গীমা এক নিমিষে উধাও। হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবাই ডাকা বুকো হিসেবেই জানে। তৃনমূল দলের দুর্দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে আইনি বিষয়টি সামলেছেন। দল ক্ষমতায় আসার পর বিনিময়ে দু'বার সাংসদ পদ পেয়েছেন। এবারই লোকসভায় দল তাঁকে মুখ্য সচেতক বানিয়েছে। কিন্তু নিজের মতো করে দলে চলাফেরায় ক্রমশ পরিসর ছোট হয়ে আসছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রথম দলের মধ্যে থেকে একমাত্র কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। কি না বহুচর্চিত 'ডায়মন্ড হারবার মডেল'। নীতির প্রশ্ন তুলেছেন। একদিনে বাহান্ন হাজার করোনা পরীক্ষা করিয়ে সরকারকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। আর এতেই কল্যান প্রতিবাদী হয়ে অভিষেক বাহিনীর কাছে চুড়ান্ত অপমানিত হলেন।
প্রথমে দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ তাঁকে মুখে না বললেও জনমানসে মদ্যপ আখ্যা দিলেন। সাংসদ অপরূপা পোদ্দার থেকে বিধায়ক মদন মত্রি কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন। এরপর সামাজিক মাধ্যমে তীব্র আক্রমনে ভরিয়ে দেওয়া হল কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
'শ্রীরামপুর চায় নতুন সাংসদ' পোষ্টার পড়ল। কালীঘাটে কল্যানের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হলো। একই সঙ্গে তাঁকে বিশেষনে বিশেষনে ভরিয়ে দেওয়া হল। 'মাতাল তোমায় জানতে হবে, আগামীকে মানতে হবে। শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা অভিষেকের ভক্ত'।
জন্মলগ্ন থেকে দল করা প্রবীন এই মানুষটিকে যুব বাহিনী যে সন্মান দিল তা তৃণমূলের প্রবীনদের কাছে একটি বার্তা। হয় অভিষেককে নেতা মান, না হলে দল থেকে পাততাড়ি গোটাও।
নিন্দুকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী-অর্জুন সিংরা দল ছেড়ে বেরিয়ে এসে বলেছিলেন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ভেতরে থেকেই যাচাই করে নিলেন কার অধীনে চাকরি করতে হবে। এরপরও বাকিরা না বুঝলে নিজেদের অকল্যান নিজেরাই ডেকে আনবেন। তবে এত কিছুর পরও কল্যান কেঁচো হয়ে দলে থাকলে শিরদাঁড়াহীন পুরুষ বলে ট্রোল হবেন।
No comments:
Post a Comment