নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভাগ্যিস টিম ইলেভেনে খেলতে চাওয়া বাবুল সুপ্রিয় বা ত্রিপুরা খ্যাত রাজীব বন্ধ্যোপাধ্যায়ের মতো মাপের নেতা নৈহাটি পুর এলাকায় নেই। তাহলে দশাটা কি হত তা পদ্ম ফেরত তৃনমূল কর্মীদের দেখলেই বোঝা যায়। এমন চর্চা জারি নৈহাটির রাজনীতির অন্দরে।
কটাক্ষ করে অনেকেই বলছে, বিধানসভায় হারের পর বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে ফিরে আসাদের অবস্থা এখন রথের মেলায় বিক্রি না হওয়া পাঁপড়ের মতো। মুচমুচে থেকে নেতিয়ে পড়েছে। না আছে দর। না মিলছে কদর।
সূত্র জানাচ্ছে, তাঁরা যে মাঝারি নেতার অনুগামী হয়ে ফিরলেন আখেরে সেই নেতার সঙ্গে বনিবনা নেই পুরপ্রশাসক সহ পুরসভার একাধিক নেতৃত্বের। নৈহাটি জুড়ে কান পেতে নয়, একদম প্রকাশ্যে এই ছবি ধরা পড়েছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দলীয় অনুষ্ঠানে ফেরত আসা কর্মীদের কেউ ডাকই পাচ্ছেন না। ওয়ার্ডের সভাপতি যাও বা ডাকছেন, বিদায়ী কাউন্সিলরের অনুগামীরা ঘেঁষতে দিচ্ছে না। বহু ক্ষেত্রে তাদের উদ্দেশ্যে নানান টিপ্পনী উড়ে আসছে।
এরকম নৈহাটির এক সূত্র জানাচ্ছে, উনিশে লোকসভার আগে যারা দল ছেড়েছিল তাঁরা দুর্দিনের তৃনমূল কর্মী ছিল। শহর ও ওয়ার্ড সভাপতি এবং কাউন্সিলরদের ঔদ্বত্যের কারনেই কোনঠাসা হয়ে তাঁরা পুরনো সঙ্গী অর্জুন সিংয়ের হয়ে ভোটে লড়াই দিয়েছিলেন।
সূত্রে আরো জানা যায়, নৈহাটির মাঝারি মাপের ওই তৃনমূল নেতাও দীর্ঘকাল দলে ব্রাত্য ছিলেন। লোকসভায় পতনের পর তাঁর কদর বাড়ল। পুলিশ ও উপটৌকন দুইয়ের অস্ত্রে তিনি কর্মীদের দলে ফেরাতে নাকি কাঠবিড়ালির ভূমিকা নিয়েছিলেন।
যদিও সূত্রের দাবি, এবারের পুরভোটেই ওই মাঝারি মাপের নেতার ক্ষমতা পরীক্ষিত হবে। তাঁর অনুগামী ক'জন টিকিট পান এবং তিনিই বা পুরসভায় কোন বড় পদে আসীন হন তা দেখার অপেক্ষায় পুরবাসী থেকে রাজনৈতিক মহল।
No comments:
Post a Comment