নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে একের পর এক দূর্গাপুজোর প্যান্ডেলে ঢুকে প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। দূর্গা প্রতিমা সহ মন্দির ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। চব্বিশ ঘণ্টায় সব মিলিয়ে একশোটি ঘটনা ঘটেছে। সেদেশের হিন্দু কাউন্সিল ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।
বুধবার হোয়াটসঅ্যাপে একটি উস্কানিমূলক মন্তব্য ও ছবি ছড়িয়ে পড়তেই উত্তাল হয়ে ওঠে কুমিল্লা জেলা। কিনা সেখানকার নানুয়া দিঘিতে মন্ডপে দুর্গা প্রতিমার পায়ের কাছে কোরান রাখা হয়েছে। এরপরই সন্ধ্যায় দূর্গা প্রতিমা ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। এছাড়া চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ চট্টগ্রাম, বংশখালি ও কক্সবাজারের পেকুয়া মন্দিরে ভাঙচুর চলে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
বাংলাদেশের হিন্দু কাউন্সিল টুইটে ঘটনার ছবি দিয়ে লিখেছে, "বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক দিন। গত ২৪ ঘন্টায় যা ঘটেছে তা আমরা টুইটে প্রকাশ করতে পারিনা। বাংলাদেশের হিন্দুরা কিছু মানুষের আসল চেহারা দেখেছে। ভবিষ্যতে কি হবে তা আমরা জানি না। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুরা ২০২১ সালের দূর্গাপুজো ভুলবে না"।
বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে এই রাজ্যের প্রতিবাদীরা। সেকুলারিজমের জামা পরা ধান্দাজীবিরা গুজরাট, ইউ পি হলে পথে নেমে পড়ত। একমাত্র রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব আক্রান্ত হওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, 'আশাকরি মা দুর্গার আশীর্বাদে আপনার সবকিছু ঠিক আছে। বাংলাদেশে দুর্গাপুজার প্রানবন্ত উৎসবকে ধ্বংস করে দেওয়া, ভাঙচুরের প্রতি আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
এবার ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা রাস্তায় নেমে বেশ কয়েকটি দুর্গাপূজার প্যান্ডেল এবং বিভিন্ন মন্দির ভাঙচুর করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাসরত সনাতনী মানুষের অবস্থা খুবই শোচনীয়'।