Thursday, October 28, 2021

পুকুর ভরাটে সাংবাদিক যুক্ত এই পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ব্যারাকপুরে


বিশেষ প্রতিনিধি, ব্যারাকপুরঃ গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যম। আর সেই স্তম্ভই যদি পরিবেশ রক্ষার কাজে আড়কাঠি হয়ে দাঁড়ায় তাহলে বিশ্বাসযোগ্য কি করে থাকে? 

বহুদিন যাবৎ এই রাজ্যে পুকুর ভরাটের অজস্র ঘটনা সামনে এসেছে। সেখানে স্হানীয়স্তরের রাজনৈতিক কেষ্টবিষ্টুদেরই নাম উঠে আসত। প্রশাসনের একটা চক্রও এর সঙ্গে যুক্ত থাকে এখবর কারো অজানা নয়। 

কিন্তু সম্প্রতি জগদ্দলে একটি পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে ব্যারাকপুর মহকুমার কতিপয় সাংবাদিকের নাম জড়িয়েছে। আর তারপর থেকেই রাজনীতির অন্দরে সমালোচনা চলছে। মুখ পুড়ছে এই পেশায় নিযুক্ত বহু সংবাদ কর্মীদের।

 
ঘটনায় স্যোসাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তির লেখা পোস্ট ঘিরে এখন শোরগোল। তিনি উল্লেখ করেছেন,"বাংলায় পুকুর ভরাট....মতলব তালাব ভরনা..... লাখো কা খেল হ্যায়..... আশ্চর্য হোগা কি পুলিশ সে লেকার পত্রকার তক সামিল হ্যায় ইস কান্ড মে! খুলাসা হো যায়তো ক্যায়েসা রহেগা"?

Monday, October 18, 2021

বাংলাদেশে নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে ব্যারাকপুরে বিক্ষোভ বিজেপির


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর জেহাদী শক্তির হামলার প্রতিবাদে বিজেপি রাজ্য জুড়ে সোচ্চার হয়েছে। সোমবার বিজেপির ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হল। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিজেপির নেতা-কর্মীরা এদিন বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। 

 কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র, ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিজয় মুখার্জি, জেলার সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র ব্যানার্জি, প্রাক্তন কাউন্সিলর মিলন কৃষ্ণ আঁশ, সমীর দত্ত, ব্যারাকপুর মন্ডল-১ সভানেত্রী জয়ন্তী পাল, যুব নেতা কুন্দন সিং-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, আগামীদিনে জেহাদী ও তালিবানিরা একত্রিত হয়ে বাংলা দখলের চেষ্টা চালাবে। ওই দুই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই জারি রাখতে হবে। 
বাংলাদেশের নারকীয় ঘটনার নিয়ে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের নীরবতা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুললেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। 

অপরদিকে রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র বলেন, বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর বর্বরোচিত আক্রমনের ঘটনার পরও রাজ্য সরকার ও বুদ্ধিজীবীরা কার্যত নীরব।

Sunday, October 17, 2021

বাংলাদেশের ঘটনা সমর্থন করে 'ধর থেকে গলা আলাদা' করার হুমকি ভাইজান আব্বাসের


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমনের ঘটনাকে সমর্থন করে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখলেন আব্বাস সিদ্দিকী। সেই বক্তব্যের ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। সম্পূর্ণ বিদ্বেষমূলক কথা বলেছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আই এস এফ)-র প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকী। 

এরপরই নেট দুনিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। সমালোচনার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বামেরাও। আই এস এফ-র তকমাধারী ধর্মীয় এই নেতা তাঁর পেশাগত এক জলসা অনুষ্ঠানে রীতিমতো বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে গুজবকেই সমর্থন করেন। 

তিনি দাবি করেন, দূর্গা মন্ডপে হনুমান মূর্তির পায়ের নিচে কোরান শরীফ রাখা হয়েছিল। এরপরই তিনি হিন্দুদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,"তুমি যদি মনে কর তোমার স্বাধীনতা আছে কোরানকে অপমান করার, ইসলামের বিরুদ্ধে বলার, আমারও স্বাধীনতা তোমার ধর থেকে কল্লাকে (গলা) আলাদা করে দেওয়ার সময় এসেছে"।

এই সময়ে দাঁড়িয়ে যেখানে বাংলাদেশের বড়ো অংশের মানুষ রাস্তায় নেমে ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গে বসে সেকুলার মার্কা এহেন নেতার উস্কানি নিয়ে রাজ্য সরকার এখনো চুপ। পাশাপাশি মুখ পুড়েছে বামেদের। এই আব্বাসকে নিয়ে প্রথম থেকেই বামেদের মধ্যে বিতর্ক ছিল। 

বিধানসভা ভোটে জোট সঙ্গী করে আখেরে বামেদের ক্ষতি হয়েছে। পরে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ভোটের জোট বলে দায় সেরেছেন। কিন্তু আদ্যপ্রান্ত এক ধর্মীয় নেতার তৈরি দলের সঙ্গে রাতারাতি ভিড়ে যাওয়ার মাসুল এখন সিপিএমকে গুনতে হচ্ছে।

Thursday, October 14, 2021

একেরপর এক দূর্গা প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশে

 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে একের পর এক দূর্গাপুজোর প্যান্ডেলে ঢুকে প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। দূর্গা প্রতিমা সহ মন্দির ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। চব্বিশ ঘণ্টায় সব মিলিয়ে একশোটি ঘটনা ঘটেছে। সেদেশের হিন্দু কাউন্সিল ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। 

বুধবার হোয়াটসঅ্যাপে একটি উস্কানিমূলক মন্তব্য ও ছবি ছড়িয়ে পড়তেই উত্তাল হয়ে ওঠে কুমিল্লা জেলা। কিনা সেখানকার নানুয়া দিঘিতে মন্ডপে দুর্গা প্রতিমার পায়ের কাছে কোরান রাখা হয়েছে। এরপরই সন্ধ্যায় দূর্গা প্রতিমা ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। এছাড়া চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ চট্টগ্রাম, বংশখালি ও কক্সবাজারের পেকুয়া মন্দিরে ভাঙচুর চলে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। 


বাংলাদেশের হিন্দু কাউন্সিল টুইটে ঘটনার ছবি দিয়ে লিখেছে, "বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক দিন। গত ২৪ ঘন্টায় যা ঘটেছে তা আমরা টুইটে প্রকাশ করতে পারিনা। বাংলাদেশের হিন্দুরা কিছু মানুষের আসল চেহারা দেখেছে। ভবিষ্যতে কি হবে তা আমরা জানি না। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুরা ২০২১ সালের দূর্গাপুজো ভুলবে না"।
 
বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে এই রাজ্যের প্রতিবাদীরা। সেকুলারিজমের জামা পরা ধান্দাজীবিরা গুজরাট, ইউ পি হলে পথে নেমে পড়ত। একমাত্র রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব আক্রান্ত হওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। 

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, 'আশাকরি মা দুর্গার আশীর্বাদে আপনার সবকিছু ঠিক আছে। বাংলাদেশে দুর্গাপুজার প্রানবন্ত উৎসবকে ধ্বংস করে দেওয়া, ভাঙচুরের প্রতি আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। 
এবার ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা রাস্তায় নেমে বেশ কয়েকটি দুর্গাপূজার প্যান্ডেল এবং বিভিন্ন মন্দির ভাঙচুর করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাসরত সনাতনী মানুষের অবস্থা খুবই শোচনীয়'।

Saturday, October 9, 2021

শোকের আবহে বেলেঘাটার নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারের পুজো


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত শহীদের স্মৃতির দুর্গাপুজো এবার কলকাতার বেলেঘাটা কাদাপাড়ায়। নেই জাঁকজমক। থাকছে না আলোর রোশনাই এবং শব্দ। ভোটের ফল প্রকাশের পর বেলেঘাটা বিধানসভার বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারকে খুন করে তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মৃত্যুর আগে অভিজিতের লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। 

ঘটনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে সিবিআই প্রতিনিধিরা দফায় দফায় তদন্তে যায়। ঘটনা নিয়ে বেলেঘাটা থানার ওসির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। 

নিহত অভিজিত সরকারের প্রতিষ্ঠিত এলাকার সরস্বতী ও কালী মন্দির পরিষদের দুর্গাপুজো এবার উদ্বোধন করলেন বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই পুজো অত্যন্ত শোকের আবহে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোনো আনন্দ অনুষ্ঠান নেই। ঢাক বাজবে না।  মাইকের শব্দও থাকছে না। মন্ডপের একাংশে অভিজিতের ছবি ও ভোট পরবর্তী হিংসার ব্যানার টাঙ্গিয়ে প্রতিবাদ স্বরূপ দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে।

নন্দীগ্রামে ১১ তৃনমূল নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় ১১ জন তৃনমূল কর্মী গ্রেপ্তার। ভোট পরবর্তী হামলায় নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা দেবব্রত মাইতিকে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃনমূলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার তদন্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের টিম মৃতের বাড়িতে গিয়েছিল। এলাকার মানুষের সাথে তারা কথা বলেন। 

ধৃতরা হলেন শেখ সাহাবুদ্দিন, শেখ বৈতুল ইসলাম, শেখ হাবিবুল, মুক্তাদর ইসলাম, মহিদুল ইসলাম, অতুল রহমান, আব্দুল হায় শেখ, হায়াতুল ইসলাম, মুস্তাক রহমান, শেখ নজরুল ইসলাম ও হায়দার। এদের মধ্যে নন্দীগ্রাম তৃনমূলের নেতা শেখ সুফিয়ানের জামাইও রয়েছেন। তিনি ওখানকার একটি পঞ্চায়েতের প্রধান। 

সিবিআই-র হাতে একসঙ্গে এত নেতা ও কর্মী গ্রেপ্তার হতেই তৃনমূল প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায়।

Friday, October 8, 2021

বিধানসভায় পতাকা হাতে দলবদল ঘটিয়ে সারা দেশে বেনজির তৃণমূলের

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কোনটা শাসক দলের কার্যালয় কোনটা আইনসভা পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে বোঝা বড় দুষ্কর হয়ে উঠেছে। ইতিহাসকে পাল্টে দিয়ে যা বৃহস্পতিবার নজির সৃষ্টি করল রাজ্যের তিন বারের ক্ষমতাসীন দল তৃনমূল কংগ্রেসে। 

বিধানসভার কক্ষে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে দলবদলের দৃশ্য দেখল বাংলার রাজনৈতিক সচেতন মানুষ। ছিলেন আরো এক মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। দলে কাকে যোগদান করালেন, না ভুল বুঝে বিজেপিতে চলে যাওয়া লুচি-আলুরদম নেতা সব্যসাচী দত্তকে। রীতিমতো ঘাসফুলের পতাকা খুঁজে এনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সব্যসাচীর হাতে ধরিয়ে দিলেন। বিধানসভার শিষ্টাচার,গরিমা এসবের তোয়াক্কা না করে শাসনতন্ত্রকে একধাপ এগিয়ে দিলেন আইনসভার পোড়খাওয়া সদস্যরা। 

আর এরপরই তোপ দাগলেন বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দলবদলের ছবি ট্যুইট করে বিঁধলেন তৃনমূলকে। শুভেন্দু ট্যুইটে লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা একটি বিরল মুহূর্তের সাক্ষী থাকল, যা ভারতের কোনো বিধানসভায় নজির নেই। শাসকদল বিধানসভাকে নিজেদের দলীয় কার্যালয় বানিয়ে দলবদল ঘটাল'। এই ঘটনার দৃশ্য বেরিয়ে আসতেই রাজ্য জুড়ে সাধারণ সচেতন মানুষের নিন্দার ঝড় ওঠে। সামাজিক মাধ্যমে ট্রোল শুরু হয়ে যায়।

 কিন্তু তাপ-উত্তাপ নেই তথাকথিত বাংলার বুদ্ধিজীবীদের। এ রাজ্যে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের দীর্ঘ শাসনকালে বিধানসভার গরিমা অক্ষুণ্ন থেকেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যারা কথায় কথায়  কেন্দ্রের শাসককে দেশের ইতিহাস পাল্টে দিচ্ছে বলে দেগে দেয় তাদের কার্যকলাপ আর যাই হোক ভূগোল বদলে দিচ্ছে।

Thursday, October 7, 2021

খড়দায় জয় সাহা, আরো তিন কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল বিজেপি। দিনহাটা বিধানসভার প্রার্থী অশোক মন্ডল, শান্তিপুর কেন্দ্রে নিরঞ্জন বিশ্বাস, গোসাবা বিধানসভায় পলাশ রানা এবং খড়দহে জয় সাহা। এই চার কেন্দ্রের ভোট আগামী ৩০ শে অক্টোবর। 
এবারে বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর বঙ্গের দিনহাটা ও নদীয়ার শান্তিপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি জয় লাভ করেছিল। যদিও দুই সাংসদ কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক ও রানাঘাটের জগন্নাথ সরকার দাঁড়িয়েছিলেন। 
তাঁরা বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ পদে থেকে যান। খড়দায় তৃনমূল প্রার্থী কাজল সিনহা জয় লাভ করেন। কিন্তু ভোট গননার আগেই তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কাউন্সিলর থেকে প্রথমবার বিধায়ক হওয়াটা কাজল সিনহা দেখে যেতে পারলেন না। এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর বিপরীতে বিজেপির তরুণ মুখ যুবমোর্চার লড়াকু জয় সাহা। আগেই এই কেন্দ্রের দায়িত্ব সাংসদ অর্জুন সিংয়ের হাতে তুলে দিয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে রেখেছে বিজেপি।

Sunday, October 3, 2021

মমতা সফল পাশে অভিষেক, মুকুল ব্যর্থ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তৃনমূল দলে এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ে একদা সেকেন্ড ইন কমান্ড সদ্য গেরুয়া ফেরত মুকুল রায়ের দেখা মিলল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন (নন্দীগ্রাম বাদে) সবগুলোর গননা শেষে কালীঘাটে মুকুল রায় পাশে থাকত। 

দলে ফিরেও আশ্চর্যজনক ভাবে মুকুল উধাও। যদিও ঘাসফুলের ব্যাটন এখন এই প্রজন্মের অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায়ের হাতে। তৃতীয়বার দলকে ক্ষমতায় আনতে তাঁর ভূমিকা সকলেই দেখেছে। এখন সে রীতিমতো বাংলার রাজনীতির অন্যতম সফল মুখ। দক্ষতার সঙ্গে দলকে পরিচালনা করছেন। সেই অর্থে মুকুল রায়ের এখন পড়ন্ত বিকেল। 

পাশাপাশি তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ ছেলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ গড়তে। নিজ ভূমে পিতা-পুত্র এখন পরবাসী। বীজপুরে রায় পরিবারের বৃত্ত ভেঙে চুরমার। ক্ষমতা চলে যেতেই এলাকার মানুষজনের উপেক্ষা আর অনাদরে ছেলেকে দিন কাটাতে হচ্ছে। 

কাঁচরাপাড়ায় নিন্দুকেরা বলে, কর্মীদের ফেলে যারা পালিয়ে যায় তাদের কেউ বিশ্বাস করে না। তৃনমূল-বিজেপি দুটো দলকেই ছুরি মেরেছে পিতা ও পুত্র। 

একুশে কালীঘাট-কাঁচরাপাড়ার দূরত্ব মমতা-অভিষেক ঘুচিয়ে দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। অথচ বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতির অলিন্দে গুরুত্ব হারিয়ে মুকুল-শুভ্রাংশু আজ বাসি মালায় পরিনত হয়েছেন। দলের রাশ নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে মমতা সফল। কিন্তু মুকুল রায় ছেলেকে জাহাজে চড়িয়েও ডুবন্ত নাবিক নিজেই বনে গেলেন।