নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নতুন সালের শুরুতেই পুরভোট। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গা গরম শুরু হয়ে গেছে সর্বত্র। থেমে নেই বঙ্কিম, হরপ্রসাদ, সমরেশ বসুর নৈহাটি। বিধানসভায় বিপুল জয়ে উনিশের লোকসভায় গুটিয়ে যাওয়া কেউকেটারা ফের স্বমহিমায়। হুঁশিয়ারি বিজেপি করা চলবে না। গরিফা থেকে সাহেব কলোনি এক সুরে বাজছে।
সিপিএম আপাতত ছাড়। সূত্রে পাওয়া খবর, ইতিমধ্যেই বেশকিছু ওয়ার্ডে পদ্মফুলের প্রতীকের ওপর টি এম সি লিখে দেওয়াল দখল নেওয়া হয়েছে। যদিও সিপিএমের অধীনে থাকা গুটিকয়েক দেওয়াল অক্ষুণ্ন রয়েছে। এতেই স্পষ্ট হচ্ছে নৈহাটিতে পুর নির্বাচনের ছবিটা।
নিন্দুকেরা বলে, নৈহাটিতে পুরনো তৃনমূলের তুলনায় লাল তৃনমূলীদের কদর বেশি। পুরসভাকে ঘিরে কর্মযঞ্জে ওদের পারদর্শীতা তুঙ্গে। একাংশের লাল পরিবারগুলোও সরকারি সুযোগ-সুবিধা আগে ভাগে পেয়ে যার পর নাই খুশি। কাজেই লাল তৃনমূলীরা বহাল তবিয়তে রয়েছে।
নৈহাটিতে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই-আন্দোলনের শরীক বহু তৃনমূল এখনো ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ব্রাত্য। অজান্তে তাদের অনেকের গায়েই বিজেপির ছাপ। অথচ একদিনের জন্যও তাদেরকে বিজেপির মিছিল-মিটিং-এ কেউ দেখেনি। সেই সব পুরনোদের ক্ষোভ, ওয়ার্ডে কোনো না কোনো নেতাকে তেল দিতে না পারাটাই আমাদের জীবনে অভিশাপ।
তাঁদের আক্ষেপ, দাদা বেকার সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়েছি। বাম আমলে সর্বেসর্বা উদয় ভট্টাচার্য ডাকাবুকো অঞ্জন দাশগুপ্তদের কোমড়ে দড়ি যারা পড়াবে বলেছিল তাঁরা ওদেরকে বুকে জড়িয়ে নিল।