Wednesday, June 30, 2021

লকডাউন বনাম বিরোধী শূন্যর রাজনীতি তেল নিঙড়ে নিচ্ছে বহু সাধারণ মানুষের

চিত্ত ওঝাঃ করোনা বিধি মেনে চলতে গিয়ে পেটের ভাত জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বড় অংশের মানুষকে। এদের মধ্যে রিকশা, অটো, টোটোসহ পরিবহন শ্রমিক যেমন আছেন তেমনি ক্ষুদ্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কারিগর, দোকান কর্মচারী থেকে বহু বেসরকারি ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরাও রয়েছেন। কিভাবে পরিবারের পেট চালাচ্ছেন তা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেবা জানবে। অথচ এরা ভোটে আছে কিন্তু সমস্যার কথা সরকারের কাছে বলার অধিকার নেই। এই অসংগঠিত বড় অংশের মানুষকে রাজনীতিকরা কলাটা, মুলোটা দিয়ে ভুলিয়ে রাখে।


 এভাবেই টুকরো টুকরো কথাগুলো ক্রমশ পাহাড়ে পরিনত হয়েছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে। একদা বাম আন্দোলনের উর্বর জমিতে বহুকাল হল জনদরদী নেতা নেই। রাজ্য পাট হারিয়ে দলে দলে বাম নেতাদের শাসকের সঙ্গে ভিড়ে যাওয়ার ছবিটাই অতি সাধারণ মানুষের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। কার্যত সারাদিন উন্নয়নের ভজনা শুনে শুনে বাসিন্দারা কিছুটা খালি পেটে হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলেছে।

 লকডাউনে কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ। বাজার অগ্নি মূল্য। রান্নার তেল আকাশ ছোঁয়া। যত তেল মরছে একটু শিক্ষা দীক্ষা, রুচি নিয়ে সৎভাবে বেঁচে থাকা মানুষদেরই। না পারছে অভাব মুখ ফুটে বলতে, না পারছে নেতাদের কাছে গিয়ে হাত পাততে। এসব দেখে ঠোঁট কাটা প্রজন্ম কটাক্ষ ছুড়ে বলছে, এগিয়ে বাংলা, পিছিয়ে দেশ। মুখ খুললেই মিথ্যা কেস।


 অপরদিকে করোনা-লকডাউনের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিয়ে চলেছে ভোটের ফল পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসাও। বিজেপি করায় ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, মারধরের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে বহু কর্মীকে। সূত্রের খবর, এর পেছনে  তোলাবাজির অঙ্ক আছে। যা এ রাজ্যের পরম্পরা। বিজেপির কেষ্ট বিষ্টু হলেতো কথাই নেই ঝান্ডা বদলে উন্নয়নে সামিল হলে সাত খুন মাফ। এখন বেশিরভাগ তল্লাট অভিযোগ শূন্য। কল কারখানা থেকে একশো দিনের কাজে বেছে বেছে  বিজেপি সমর্থক বা মনোভাবপন্ন বহু শ্রমিককে বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের কয়েকটি পৌরসভায় জন্মলগ্ন থেকে তৃনমূল করা কয়েকজন অস্হায়ি কর্মীকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এরা ভোটে দলের হয়ে কাজ করেনি। এরকম এক কর্মীকে পৌরপ্রশাসক আবার বিজেপি বলে দাগিয়ে দিয়েছেন। একদম সুবিধার ধারে কাছ দিয়ে না হাঁটা মানুষদের কথায়, এই সময়ে শাসকের বিরুদ্ধে বলার যোগ্যতা নেই কোনো দলের। সবাই মোয়া খেয়ে বসে আছে। কারো কারো মতে, শহুরে বুদ্ধিজীবীরাতো আরো ভয়ংকর। ওদের দৃষ্টি সবসময় ইউ পি, গুজরাটের দিকেই।

Friday, June 25, 2021

এবার হালিসহরের প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর তৃনমূলের পথে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অবশেষে বীজপুরের হালিসহরে সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলর দল ছাড়ছেন। সূত্র মারফত জানা গেছে, শুক্রবারই তিনি তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে চলেছেন। প্রাক্তন কাউন্সিলর শম্ভুনাথ ঘোষ ওরফে বাপী নামেই পরিচিত। হালিসহর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রসাদনগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই ওয়ার্ড থেকে দুবার সিপিএমের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কাউন্সিলর হয়েছিলেন। 

বাম আমলে নতুন মুখ হিসেবে সিপিএম তাঁকে কাজে লাগিয়ে সাফল্য পায়। ক্ষমতা হারিয়ে সিপিএম এলাকায় তার ওপরই সংগঠনের কাজে আস্হা রেখেছিল। এহেন পার্টি সদস্যের দলত্যাগে অনেকটাই সংগঠনে ধাক্কা খাবে সিপিএম।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ওই কাউন্সিলরকে ঘিরে জল্পনা ছিল। বোধহয় তিনিও জল মাপছিলেন ভোটের ফলাফলে। শেষে তৃতীয় বারের জন্য তৃনমূল ক্ষমতা ফিরে পেতেই সম্ভবনা উজ্জ্বল হল। যদিও বাম অধ্যুষিত ওয়ার্ডটিতে তাঁর দলবদল অনেকেই ভালো ভাবে নিচ্ছেন না।

Thursday, June 24, 2021

পেটের দায়ে, পিঠ বাঁচাতে, ধান্দা টেকাতে চলো তৃণমূলে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 'আহা কি আনন্দ রাজ্য জুড়ে, বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে আসছে, আরো আসছে, আরো আসবে......'। লকডাউনে কাঁচরাপাড়ার জোড়ামন্দিরের ফাঁকা বাসষ্ট্যান্ডে বসে জমিয়ে জনা চারেক কলেজ পড়ুয়া টিউশন শেষে আড্ডা দিচ্ছিল। তাদের মধ্যে থেকে একজন হঠাৎই গুপি গাইন বাঘা বাইন গানের সুরে তৃনমূল সমর্থক অপর বন্ধুকে এভাবে খোঁচা দিয়ে গেয়ে উঠলো। রাজনীতির এই দৈন্যদশা দেখে শিক্ষিত প্রজন্ম শুধু রঙ্গ রসিকতা করেই থামছে না তারা সোজা সাপটা বলে দিচ্ছে, শিল্পহীন রাজ্যে দু'পয়সার ধান্দায় শাসকের সঙ্গে ভিড়ে যাওয়া ছাড়া আর উপায় কি!

 জিতেও তৃনমূল এত উদার এর পেছনে রহস্য কাজ করছে বলে মনে করছে রাজনীতির কারবারিরা। স্হানীয় স্তরে লবি জোরদার করতে যে যার মতো মাঠে নেমে পড়েছে। দলভারি করে সিন্ডিকেট সাম্রাজ্য বিস্তার করতে সুবিধা হবে। এর ওপর বিরোধী শূন্য বজায় থাকবে।

কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলে। তৃনমূলের আদি অংশ এই দলবদল নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে। তাদের মতে, ২০০৬-এ বামেদের সর্বোচ্চ রেকর্ডের কথা মনে করাচ্ছে। সবাই লালে লাল হয়ে গিয়েছিল। ততক্ষণে বাম ঘরেই ঘূন পোকা ছেয়ে গিয়েছিল। এখন সব্বাই তৃনমূল। কেউ পেটের দায়ে। কেউবা পিঠ বাঁচাতে। এই রাজনীতির নতুনত্ব নেই। বামেদের সংস্করণ মাত্র।

 জার্সি বদল নিয়ে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিজেপির এক যুবমোর্চার সদস্য তোপ দাগলেন নিজের দলের নেতৃত্বকেই। তিনি বলেন, যোগ্যতা নেই এমন সব মুখকে মন্ডল সভাপতি করেছিল নেতৃত্ব। লাষ্ট বেঞ্চে বসাদের ফার্ষ্ট বেঞ্চে আনলে যা হবার তাই হয়েছে। এলাকায় এলাকায় ওদেরকেই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তৃনমূল নিয়ে যাচ্ছে। 
বঙ্গে এই রাজনীতির শেষ কোথায় কেউ জানে না। তবে সচেতন সাধারণ মানুষ দলবদলুদের দেখে মজা পাচ্ছে।

Wednesday, June 16, 2021

বীজপুরে তৃনমূলের জৌলুস শুধু শুভ্রাংশুকে ঘিরে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভোটে হেরেও বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রে হীরো সেই শুভ্রাংশু রায়ই। গেরুয়া ত্যাগ করে তিনি পুরনো দল তৃনমূলে ফিরলেন। ওয়াই ক্যাটাগরী নিরাপত্তা পেলেন। রীতিমতো রাজ্য  রাজনীতি আলোড়িত হলো। ভোটের আগের বীজপুর এক ঝটকায় বদলে গেল। প্রার্থীর হয়ে মার খাওয়া, মাথা ফাটানো, ঘর ছাড়া বা ঘরে ফেরা বিজেপি কর্মীদের হাল এখন ঘর পোড়া গরুর মতো। তারা আদর্শ নামক মূলো দেখলেই গাল পাড়ছে। বীজপুরে এক সংঘ নেতার কথায়, 'রাজনীতিতে এখন শেষ কথা বলছে ক্ষমতা। অর্থের দাপটে নুন্যতম নীতি-আদর্শ লাটে উঠেছে। টিকে থাকতে যা যা করনীয় সেগুলোর প্রয়োগ চলছে'। ‌

বীজপুরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা বলছেন, শুভ্রাংশু আর মুকুল রায়ের কৌশলী রাজনিতীর কাছে বিজেপি ধরাশায়ী। পাশাপাশি স্হানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব শিশু। যাদের কিনা সারাজীবন ঠুঁটো জগন্নাথ হয়েই থাকতে হবে। তাদের দাবি, বীজপুরে নিরানব্বই ভাগ তৃনমূল নেতার উত্থান মুকুল রায়ের হাত ধরেই। 

এখনো পর্যন্ত এই কেন্দ্রে রাজ্যের দু'জন বিধায়কের বাড়ি। কৃষ্ণনগর (উত্তর) কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুল রায়ের বসত বাড়ি কাঁচরাপাড়া। বীজপুরের নতুন বিধায়ক থাকেন হালিসহরে। গুরু-শিষ্যের ভাব ভালোবাসা নিয়ে চরম শত্রুরাও প্রশ্ন তুলবে না। কিন্তু হালিসহর ও কাঁচরাপাড়ার দুই প্রান্তের যাতায়াতের পথে অনেক বাঁক আছে। সেই বাঁকে অনেক নেতা-কর্মীদের আটকে পরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

 রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ দেখলো মুকুল রায়ের রাজনীতি। তৃনমূল আর মুকুল যেন একই মুদ্রার দু'পিঠ। আগের মতোই তাঁর পুরনো ফর্মে  ফিরে যাওয়া। একই সঙ্গে পুত্র শুভ্রাংশু বুঝিয়ে দিলেন বীজপুর তাঁর হাতের বাইরে নয়। পরাজিত হয়েও তৃনমূলের নব্য বিধায়কের জৌলুস কেড়ে শুভ্রাংশুই উজ্জ্বল হল।

Monday, June 14, 2021

কাঁচরাপাড়ার কাঁচড়া,গদ্দার, মীরজাফর মুকুলই তৃনমূলের আলাদীন

চিত্ত ওঝাঃ সত্যের ধারে কাছ দিয়ে রাজনীতি যে হাঁটে না সাম্প্রতিক বঙ্গ রাজনীতির ছবিটা তাই বলছে। তৃনমূল, বিজেপি ও মুকুলকে কেন্দ্র করে মেগা পর্ব এই মুহূর্তে জমজমাট। একমাত্র রাজনীতিতে নাকি সবই সম্ভব। না হলে 'কাঁচরাপাড়ার কাঁচড়া' 'গদ্দার', 'মীরজাফর' বিশেষনে ভূষিত হয়েও এভাবে ফিরে আসা যায় বলছে নাগরিক সমাজ। কারো কারো মতে, কটুক্তি আর কটাক্ষ এখন নেতাদের গা সওয়া। অনেকটা অবৈধ সহবাসের মতো। লাজ লজ্জা যত সাধারণ মানুষের। 

মুকুল প্রশ্নে বিজেপির নীচু তলার নেতা-কর্মীরা হতাশ। তৃনমূলের কর্মীরা আশাহত। উভয় কর্মী মহল পরেছে গোলক ধাঁধায়। ভোল বদলে মুকুল অনুগামীরা অনেকেই তাঁর সঙ্গী হতে চাইছেন। ঘাষ ফুল বাগানের গেটের বাইরে লম্বা লাইন। ওদিকে তাদের প্রবেশ আটকাতে গলা তুলে চিৎকার করে চলেছে একদল একনিষ্ঠ দিদির সৈনিক।
 
মুকুল রায়কে নিয়ে রাজনীতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে সবটাই নাটক দেখছে নিন্দুকেরা। রবিবার একটি সর্ব ভারতীয় বাংলা দৈনিকে এক বছর আগে দক্ষিণ কলকাতায় এক অরাজনৈতিক ব্যক্তির বাড়িতে পিকের উপস্থিতিতে তৃনমূল নেতৃত্বের বৈঠকের খবর প্রকাশিত হতেই বিষয়টি আরো পরিষ্কার হলো। 

শুধু বুঝতে পারেনি কৃষ্ণনগর (উত্তর) বিধানসভার তৃনমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। যিনি মুকুল রায়ের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তাই কৌশানী আক্ষেপ করে একটি সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, 'একটা মানুষ কখনো বেরলো না, কখনো প্রচার করলো না, মানুষের কাছাকাছি এলনা সে হঠাৎ জিতে গেল। আফটার অল এটা রাজনীতি'। তিনি আরো বলেছেন, 'একটা জল্পনা কল্পনাতো চলছিল। ছেলেকে সেফগার্ড করা এগুলোতো চলছিলই। সো উই অল হ্যাভ টু ওয়েট এন্ড ওয়াচ'। কৌশানীর কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে যাননি। বরং প্রচার চলাকালীন তিনি মঞ্চে হুইলচেয়ারে বসে বলেছেন, 'শুভেন্দুর থেকে মুকুল ভালো'। এই খেলা ধরার সাধ্যি কৌশানীদের ছিলনা। মুকুলের বাসভূমি কাঁচরাপাড়ার শিক্ষিত সচেতন তরুণ প্রজন্ম এখন মজা করে বলছে,'মুকুল চরিত্র বেজায় জটিল, কিছুই বুঝতে পারবে না........'।

Friday, June 4, 2021

বিজেপির দুটি পার্টি অফিস জেসিবি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো নৈহাটিতে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ করোনা কাল তার সঙ্গে লকডাউন চলছে। পাশাপাশি ভোটের ফল পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসাও সমান তালে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। সদ্য পরাজিত বিরোধী কর্মীদের মতে প্রতিহিংসার রাজনীতির আঁচ এবার নৈহাটিতে এসে পরল। কি না শুক্রবার সকালে নৈহাটিতে বিজেপির দুটি পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব আড়ালে থেকেই বিষয়টি হজম করে নিলো। বাঁধা দেওয়ার কেউ নেই। এই মুহুর্তে বিজেপির মন্ডল নেতারা গর্তে লুকিয়ে। 

সূত্র জানাচ্ছে, নৈহাটির গরুরফাঁড়ির কাছে আর,বি,সি রোডের পাশে ও  ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্যাটারসন রোডে বিজেপির কার্যালয় জেসিবি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, প্রথমটি রেলের জমিতে ছিল। দ্বিতীয়টি রাস্তার পাশে ফুটপাতের ওপর নির্মিত হয়েছিল। যদিও ওই স্হানে একই লাইনে তৃনমূল কংগ্রেসের একটি কার্যালয় রয়েছে। 
এই ঘটনা নিয়ে গরিফার এক বিজেপি কর্মী বলেন, দল শিক্ষিত, মার্জিত ভালো মুখগুলোকে দূরে সরিয়ে মন্ডল কমিটিতে লুম্পেন, তোলাবাজিতে যুক্তদের জায়গা দিয়েছিল। তার ফলতো এখন আমাদের ভুগতে হচ্ছে। তবে তিনি এভাবে দলীয় কার্যালয় ভাঙার নিন্দা করলেন। যুবমোর্চার সদস্য চিরঞ্জীব সিং জানালেন, কোনো নেতৃত্বের দেখা মেলেনি। প্রার্থী তথা রাজ্যের নেত্রী ফাল্গুনী পাত্রকে তক্ষনাৎ জানানো হয়। তিনি নীরব থেকেছেন।

Tuesday, June 1, 2021

শুভ্রাংশু রায় কি আদৌ জেতার জন্য লড়েছেন প্রশ্ন তুলছেন উপেক্ষিত বিজেপি কর্মীরা

চিত্ত ওঝাঃ জিতলে 'আমি'। হেরোছো তাই উগরাচ্ছ বমি। বীজপুর জুড়ে বিজেপির একে অপরকে কটাক্ষ করতে শোনা যাচ্ছে। উদ্দ্যেশ্য যে সদ্য দলের পরাজিত প্রার্থী শুভ্রাংশু রায় তা আর বুঝতে বাকি থাকে না। হেরে যাওয়ার পর থেকে অন্তরালে চলে যাওয়া শুভ্রাংশুকে কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। কিন্তু ফেসবুকে '......আত্ম সমালোচনা......'-এর পোস্ট লিখতেই আসরে নেমে পরে বিজেপির উপেক্ষিত কর্মীরা। তাদের মতে, শুভ্রাংশুর হারের কারন তিনি নিজেই। 

একথা দিনের আলোর মতো সত্য, শুভ্রাংশুকে প্রার্থী হিসেবে বীজপুর বিজেপির বড়ো অংশের আপত্তি ছিল। শুধুমাত্র মুকুল রায়ের ছেলে বলে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। ভেতরে ভেতরে কুচির কাজ তারা চালিয়েছেন। ব্যারাকপুর জুড়ে বিজেপির সংগঠনে যে ছবি বীজপুরে তার ব্যাতিক্রম হয়নি। সূত্র বলছে, মন্ডলগুলোতে অদক্ষ নেতা-কর্মীদের ভিড়।যাদের অধিকাংশ তৃনমূল নেতাদের সঙ্গে বোঝাপড়া ছিল। শুভ্রাংশু জানত না এমনটা নয়। তাঁর প্রচ্ছন্ন মদতও ছিল। কেবলমাত্র সাংসদ অনুগামীদের দূরে রেখে দিয়েছিল। এখানেও ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের কারিগরদের বড়ো অংশকে বুথ এজেন্ট ও কাউন্টিং এজেন্ট থেকে ব্রাত্য রাখা হয়েছিল। প্রাক্তন বিধায়কের বলয়ে ঢুকতে না পারা বহু বিজেপি কর্মীর কথায়, ভেবেছিল হাওয়ায় জিতে যাবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। তারা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, আদৌ জেতার জন্য কি শুভ্রাংশু লড়েছেন? আগাগোড়াই নিন্দুকেরা বলেছেন,ও ব্যবসায়ী। ব্যাবসাটা মন দিয়ে করুক। এখন তারাই বলছে, দু'বারের বিধায়ক যার কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনিতো দাদা। ঘরের ছেলে। ভাইয়ের বিপদে সবসময় পাশে থাকবেন। 

বীজপুরে বিজেপির চেহারাটা এখন ঘূর্ণিঝড় 'যশ' পরবর্তী সুন্দরবনের চেহারা নিয়েছে। উত্তরীয় গলায় ঝোলানো মন্ডল, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ নেতারা লন্ডভন্ড। ঘর ছাড়া,মার খাওয়া কর্মীদের হদিস কারো কাছে নেই। সেটিং অর্থাৎ তৃনমূলের সঙ্গে সখ্যতা করে চলা নেতারা বহাল তবিয়তে ঘুরছে ফিরছে। ক্লাব-পার্টি অফিস খুলছে। মাঝে হতাশ একঝাঁক আদর্শ নিয়ে দল করতে আসা কর্মীরা। অর্থ ও প্রতিপত্তির দাপটে নেতা বনাম দলের একাংশের লড়াইয়ের মাঝে পরে তাদের স্বপ্ন আজ কবরে। শুভ্রাংশু বা আর কেউ তৃনমূলে চলে গেলেও তাদের ক্ষতি নেই। কিন্তু  অযোগ্য মন্ডল ও একাংশের জেলা নেতৃত্বকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করাই এখন তাদের লক্ষ্য।