Wednesday, June 16, 2021

বীজপুরে তৃনমূলের জৌলুস শুধু শুভ্রাংশুকে ঘিরে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভোটে হেরেও বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রে হীরো সেই শুভ্রাংশু রায়ই। গেরুয়া ত্যাগ করে তিনি পুরনো দল তৃনমূলে ফিরলেন। ওয়াই ক্যাটাগরী নিরাপত্তা পেলেন। রীতিমতো রাজ্য  রাজনীতি আলোড়িত হলো। ভোটের আগের বীজপুর এক ঝটকায় বদলে গেল। প্রার্থীর হয়ে মার খাওয়া, মাথা ফাটানো, ঘর ছাড়া বা ঘরে ফেরা বিজেপি কর্মীদের হাল এখন ঘর পোড়া গরুর মতো। তারা আদর্শ নামক মূলো দেখলেই গাল পাড়ছে। বীজপুরে এক সংঘ নেতার কথায়, 'রাজনীতিতে এখন শেষ কথা বলছে ক্ষমতা। অর্থের দাপটে নুন্যতম নীতি-আদর্শ লাটে উঠেছে। টিকে থাকতে যা যা করনীয় সেগুলোর প্রয়োগ চলছে'। ‌

বীজপুরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা বলছেন, শুভ্রাংশু আর মুকুল রায়ের কৌশলী রাজনিতীর কাছে বিজেপি ধরাশায়ী। পাশাপাশি স্হানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব শিশু। যাদের কিনা সারাজীবন ঠুঁটো জগন্নাথ হয়েই থাকতে হবে। তাদের দাবি, বীজপুরে নিরানব্বই ভাগ তৃনমূল নেতার উত্থান মুকুল রায়ের হাত ধরেই। 

এখনো পর্যন্ত এই কেন্দ্রে রাজ্যের দু'জন বিধায়কের বাড়ি। কৃষ্ণনগর (উত্তর) কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুল রায়ের বসত বাড়ি কাঁচরাপাড়া। বীজপুরের নতুন বিধায়ক থাকেন হালিসহরে। গুরু-শিষ্যের ভাব ভালোবাসা নিয়ে চরম শত্রুরাও প্রশ্ন তুলবে না। কিন্তু হালিসহর ও কাঁচরাপাড়ার দুই প্রান্তের যাতায়াতের পথে অনেক বাঁক আছে। সেই বাঁকে অনেক নেতা-কর্মীদের আটকে পরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

 রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ দেখলো মুকুল রায়ের রাজনীতি। তৃনমূল আর মুকুল যেন একই মুদ্রার দু'পিঠ। আগের মতোই তাঁর পুরনো ফর্মে  ফিরে যাওয়া। একই সঙ্গে পুত্র শুভ্রাংশু বুঝিয়ে দিলেন বীজপুর তাঁর হাতের বাইরে নয়। পরাজিত হয়েও তৃনমূলের নব্য বিধায়কের জৌলুস কেড়ে শুভ্রাংশুই উজ্জ্বল হল।

1 comment:

  1. বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীও বলছেন, ছমাস পর বিরোধী দল করার লোক পাওয়া যাবে না, তিনি আবার চিত্র পরিচালক, ভাবা যায় !!!

    ReplyDelete