Monday, June 14, 2021

কাঁচরাপাড়ার কাঁচড়া,গদ্দার, মীরজাফর মুকুলই তৃনমূলের আলাদীন

চিত্ত ওঝাঃ সত্যের ধারে কাছ দিয়ে রাজনীতি যে হাঁটে না সাম্প্রতিক বঙ্গ রাজনীতির ছবিটা তাই বলছে। তৃনমূল, বিজেপি ও মুকুলকে কেন্দ্র করে মেগা পর্ব এই মুহূর্তে জমজমাট। একমাত্র রাজনীতিতে নাকি সবই সম্ভব। না হলে 'কাঁচরাপাড়ার কাঁচড়া' 'গদ্দার', 'মীরজাফর' বিশেষনে ভূষিত হয়েও এভাবে ফিরে আসা যায় বলছে নাগরিক সমাজ। কারো কারো মতে, কটুক্তি আর কটাক্ষ এখন নেতাদের গা সওয়া। অনেকটা অবৈধ সহবাসের মতো। লাজ লজ্জা যত সাধারণ মানুষের। 

মুকুল প্রশ্নে বিজেপির নীচু তলার নেতা-কর্মীরা হতাশ। তৃনমূলের কর্মীরা আশাহত। উভয় কর্মী মহল পরেছে গোলক ধাঁধায়। ভোল বদলে মুকুল অনুগামীরা অনেকেই তাঁর সঙ্গী হতে চাইছেন। ঘাষ ফুল বাগানের গেটের বাইরে লম্বা লাইন। ওদিকে তাদের প্রবেশ আটকাতে গলা তুলে চিৎকার করে চলেছে একদল একনিষ্ঠ দিদির সৈনিক।
 
মুকুল রায়কে নিয়ে রাজনীতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে সবটাই নাটক দেখছে নিন্দুকেরা। রবিবার একটি সর্ব ভারতীয় বাংলা দৈনিকে এক বছর আগে দক্ষিণ কলকাতায় এক অরাজনৈতিক ব্যক্তির বাড়িতে পিকের উপস্থিতিতে তৃনমূল নেতৃত্বের বৈঠকের খবর প্রকাশিত হতেই বিষয়টি আরো পরিষ্কার হলো। 

শুধু বুঝতে পারেনি কৃষ্ণনগর (উত্তর) বিধানসভার তৃনমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। যিনি মুকুল রায়ের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তাই কৌশানী আক্ষেপ করে একটি সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, 'একটা মানুষ কখনো বেরলো না, কখনো প্রচার করলো না, মানুষের কাছাকাছি এলনা সে হঠাৎ জিতে গেল। আফটার অল এটা রাজনীতি'। তিনি আরো বলেছেন, 'একটা জল্পনা কল্পনাতো চলছিল। ছেলেকে সেফগার্ড করা এগুলোতো চলছিলই। সো উই অল হ্যাভ টু ওয়েট এন্ড ওয়াচ'। কৌশানীর কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে যাননি। বরং প্রচার চলাকালীন তিনি মঞ্চে হুইলচেয়ারে বসে বলেছেন, 'শুভেন্দুর থেকে মুকুল ভালো'। এই খেলা ধরার সাধ্যি কৌশানীদের ছিলনা। মুকুলের বাসভূমি কাঁচরাপাড়ার শিক্ষিত সচেতন তরুণ প্রজন্ম এখন মজা করে বলছে,'মুকুল চরিত্র বেজায় জটিল, কিছুই বুঝতে পারবে না........'।

No comments:

Post a Comment