নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 'আহা কি আনন্দ রাজ্য জুড়ে, বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে আসছে, আরো আসছে, আরো আসবে......'। লকডাউনে কাঁচরাপাড়ার জোড়ামন্দিরের ফাঁকা বাসষ্ট্যান্ডে বসে জমিয়ে জনা চারেক কলেজ পড়ুয়া টিউশন শেষে আড্ডা দিচ্ছিল। তাদের মধ্যে থেকে একজন হঠাৎই গুপি গাইন বাঘা বাইন গানের সুরে তৃনমূল সমর্থক অপর বন্ধুকে এভাবে খোঁচা দিয়ে গেয়ে উঠলো। রাজনীতির এই দৈন্যদশা দেখে শিক্ষিত প্রজন্ম শুধু রঙ্গ রসিকতা করেই থামছে না তারা সোজা সাপটা বলে দিচ্ছে, শিল্পহীন রাজ্যে দু'পয়সার ধান্দায় শাসকের সঙ্গে ভিড়ে যাওয়া ছাড়া আর উপায় কি!
জিতেও তৃনমূল এত উদার এর পেছনে রহস্য কাজ করছে বলে মনে করছে রাজনীতির কারবারিরা। স্হানীয় স্তরে লবি জোরদার করতে যে যার মতো মাঠে নেমে পড়েছে। দলভারি করে সিন্ডিকেট সাম্রাজ্য বিস্তার করতে সুবিধা হবে। এর ওপর বিরোধী শূন্য বজায় থাকবে।
কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলে। তৃনমূলের আদি অংশ এই দলবদল নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে। তাদের মতে, ২০০৬-এ বামেদের সর্বোচ্চ রেকর্ডের কথা মনে করাচ্ছে। সবাই লালে লাল হয়ে গিয়েছিল। ততক্ষণে বাম ঘরেই ঘূন পোকা ছেয়ে গিয়েছিল। এখন সব্বাই তৃনমূল। কেউ পেটের দায়ে। কেউবা পিঠ বাঁচাতে। এই রাজনীতির নতুনত্ব নেই। বামেদের সংস্করণ মাত্র।
জার্সি বদল নিয়ে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিজেপির এক যুবমোর্চার সদস্য তোপ দাগলেন নিজের দলের নেতৃত্বকেই। তিনি বলেন, যোগ্যতা নেই এমন সব মুখকে মন্ডল সভাপতি করেছিল নেতৃত্ব। লাষ্ট বেঞ্চে বসাদের ফার্ষ্ট বেঞ্চে আনলে যা হবার তাই হয়েছে। এলাকায় এলাকায় ওদেরকেই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তৃনমূল নিয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গে এই রাজনীতির শেষ কোথায় কেউ জানে না। তবে সচেতন সাধারণ মানুষ দলবদলুদের দেখে মজা পাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment