Saturday, November 25, 2023

ব্যারাকপুরে হাওয়া বদলের চর্চায় বঞ্চিত তৃণমূল কর্মীরা উৎফুল্ল, পথে নামতে তৈরি

বিল্টু কাশ্যপঃ নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বিশেষ অধিবেশনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের একান্তে কথোপকথনের ছবি ভাইরাল। আর সেই ছবি ঘিরেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অনেকের ঘুম উড়ে গিয়েছে। 

অনেকেই দাবি করেছেন, এটাই ব্যারাকপুরে হাওয়া বদলের ছবি। সূত্র বলছে, ভাইরাল হওয়া এই ছবি দেখে শিল্পাঞ্চলের অনেক আদি কর্মীরা (যারা ঘরে বসে গিয়েছিলেন) চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। 

নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর, হাওয়া বদলের আভাসে বীজপুর কেন্দ্রের ঘরে বসে যাওয়া পুরানো কর্মীরা সাংসদ অনুগামী রাজা দত্তের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করে দিয়েছেন। অনেক কাউন্সিলরও রাজার সঙ্গে অতি সন্তরপনে যোগাযোগও রাখছেন। 

সূত্র বলছে, বীজপুর কেন্দ্র লাগোয়া নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের ঘাসফুলের অনেক আদিরাও রাজার শরণাপন্ন হতে শুরু করেছেন। যদিও সাংসদ অনুগামী রাজা দত্ত কয়েক মাস আগে থেকেই সেবা মূলক কাজের মধ্য দিয়ে নিজেকে জনসংযোগে নিয়োজিত রেখেছেন। 

তবে রাজার লক্ষ্য, ভোট ব্যাঙ্ক বাড়াতে বেনোজল ঠেকানো। হাওয়া ঘুরতেই অনেকে ধান্দা টিকিয়ে রাখতে জার্সি বদলের চেষ্টা করবেন। সেদিকে কিন্তু বেশ সতর্ক রাজা দত্ত। তাঁর নজর, স্বচ্ছ ভাব মূর্তির কর্মীদের দিকেই। 

বিশেষ সূত্র বলছে, বদলের হাওয়া বইতেই অনেকেই নানান অংক কষতে শুরু করে দিয়েছেন। শিল্পাঞ্চলে কানাঘুষো চলছে শাসকদলের এক বিধায়ক নাকি ব্যারাকপুর কেন্দ্রে গেরুয়া প্রার্থী হবার চেষ্টাও চালাচ্ছেন। যদিও গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি ঘনিষ্ঠ এক যুব মোর্চা নেতা প্রার্থী হবার দৌড়ে অনেক এগিয়ে আছেন। তবে সবই এখন প্রাথমিক পর্যায়ে। 

সূত্র বলছে, ডিসেম্বর মাসে বঙ্গে নাকি একটা ওলট-পালটের রাজনীতির ঝড় বইতে পারে। সেই ঝড় থামার পরই প্রার্থীপদ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হবে। তবে এই মুহূর্তে নেত্রী-সাংসদের ছবি ঘিরে হাওয়া বদলের চিত্র ক্রমশ প্রকট হচ্ছে শিল্পাঞ্চলে। আর এতেই কপালে ভাঁজ দেখা গিয়েছে শাসকদলের 'এক্সিডেন্টাল' নেতাদের।

Thursday, November 23, 2023

স্রোতের প্রতিকূলে লড়াইয়ের ক্ষমতা রাখেন 'বাহুবলী' বলছেন ঘাসফুলের আদি-রা

বিল্টু কাশ্যপঃ ভরা বামআমলে ঘাসফুলের নেতাদের দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হত ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। অথচ টগবগে লাল জমানায় শিল্পাঞ্চলের বুকে ঘাসফুলের একমাত্র সলতে ছিলেন বাহুবলী। নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা ও ভোট মেশিনারিকে কাজে লাগিয়ে বাম সরকারের আমলে ২০০১ ও ২০০৬ সালে ভাটপাড়া কেন্দ্র থেকে সিপিএম প্রার্থীদের পরাস্ত করতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন। 

কিন্তু তৎকালীন সময়ে নৈহাটি, বীজপুর, জগদ্দল কেন্দ্রে বামেদের চোখ রাঙানির ভয়ে অনেকেই ঘাসফুলের প্রার্থী হতে চাইতেন না। অনেকে আবার নিজের কেন্দ্র ছেড়ে অন্যত্র মুখগুজে থাকতেন। 

ইতিহাস বলছে, বীজপুর কেন্দ্রে বাবলু রক্ষিত কিংবা বৃন্দাবন দাসদের দাপটে ভয়ে সিটিয়ে থাকতেন তৎকালীন ঘাসফুলের নেতারা। নৈহাটি কেন্দ্রে রঞ্জিত কুন্ডু ও অঞ্জন দাশগুপ্তর দৌরাত্ম্যে মুখ খুলতে সাহস পেতেন না ঘাসফুল নেতারা। 

জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্রে হারাধন মল্লিক, হরিমোহন নাথরা দাপিয়ে বেড়াতেন। যদিও দলীয় কর্মীরা আক্রান্ত হলেই সেখানে ছুটে যেতেন বাহুবলী ও তাঁর ভাই প্রয়াত ভীম সিং। 

শুধু তাই নয়, নব্য তৃণমূলদের জানা উচিত, ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হাজার হাজার কর্মীদের নিয়ে মিছিল করে চমকে দিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী বাহুবলী খ্যাত অর্জুন সিং। 

কিন্তু দল ক্ষমতায় আসার পর অনেকেই খোলস ছেড়ে ময়দানে নামেন। সুদিনে 'পড়ে পাওয়া ষোল আনার মতো' টিকিট পেয়ে বিধায়কও হয়েছেন। কিন্তু তাদেরকে কোনওদিন বামেদের বিরুদ্ধে লড়াইতে নামতে দেখা যায়নি। ধীলন সরকার কিংবা তরুণ অধিকারী অথবা জগদীশ দাসরা একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছিলেন বামেদের ঠ্যাঙ্গারে বাহিনীর হাতে। 

সূত্র বলছে, বামআমলে গুটিয়ে থাকা ঘাসফুল নেতারা এখন নিজেদের সর্বেরসর্বা ভাবেন। তাদের হাত ধরেই শিল্পাঞ্চলে কিছু 'এক্সিডেন্টাল' নেতাদের আবির্ভাব হয়েছে। এখন তাঁরাই ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। তারা হয়তো জানেনই না, ঘাসফুল ক্ষমতায় আসার জন্য বাহুবলীর অবদান কতটা ছিল। 

সূত্র বলছে, সিঙ্গুর কিংবা নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনে দলকে লোকবল ও অর্থ দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শিল্পাঞ্চলের এই বাহুবলীই। তৎকালীন সময়ে এখনকার অনেক প্রভাবশালীই পোড়া বিড়ি টানতেন কিংবা ভাঙা সাইকেলে চাপতেন। 

সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৯ সালে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে বাহুবলীকে আটকাতে কাঠিবাজি করেছিলেন বামআমলে লড়াইয়ের ময়দান থেকে বিরত থাকা নেতারা। কিন্তু বাহুবলীকে আটকে রাখার ক্ষমতা যে নেই, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন বাহুবলীই। 

স্রোতের প্রতিকূলে থেকে  মাত্র ২৮ দিনে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীকে পরাজিত করেছিলেন শিল্পাঞ্চলকে হাতের তালুর মতো চেনা বাহুবলী অর্জুন সিং। অনেকের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে তিনি প্রমান করেছিলেন শিল্পাঞ্চলে তাঁর দাপট এখনও অটুট। 

বাহুবলীর সেই লড়াইকে স্যালুট জানিয়ে ঘাসফুলের আদি নেতারা নেতা-কর্মীরা বাহুবলীকে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন। 

কারন, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত নেতা-মন্ত্রীরা জেলে থাকায় ঘাসফুল অনেকটাই ব্যাকফুটে। দলের বিপদের দিনে শিল্পাঞ্চল জুড়ে চষে বেড়াচ্ছেন একদা দুর্দিনের ঘাসফুলের লড়াকু সৈনিক অর্জুন সিং। শুধু তাই নয়, নিজের সংসদীয় ক্ষেত্রে কর্মীদের চাহিদা মেনেই তাঁর সাংসদ তহবিলের অর্থে উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। লক্ষ্য ২০২৪। 

এখন থেকেই সাংসদ অনুগামীরা লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। সাংসদের বার্তা, স্বচ্ছ ইমেজের কর্মীদের সামনের সারিতে আনতে হবে। নাক, কান কিংবা গলা কাটাদের বুথে বসতে দেওয়া যাবে না। 

দলীয় সভা কিংবা অনুষ্ঠান মঞ্চে শুদ্ধিকরনের বার্তা দিয়ে দলের পুরানো কর্মীদের মর্যাদা ও সম্মান দেবার কথায় তাঁর কন্ঠে বারবার প্রতিফলিত হচ্ছে। স্বভাবতই, কর্মী দরদী এবং আপদে-বিপদে কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো বাহুবলীকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন ঘাসফুলের আদি সৈনিকরা।

Sunday, November 12, 2023

ব্রাত্য তৃণমূল কর্মীরাই ব্যারাকপুরের ছবি বদলাতে ময়দানে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এই তৃণমূল কি আমরা চেয়েছিলাম? একের পর এক মন্ত্রী, বিধায়করা জেল বন্দি। ব্যারাকপুর  শিল্পাঞ্চলে প্রশ্ন ছুড়ছে একদা বামেদের বিরুদ্ধে লড়াকু তৃণমূল কর্মীরাই। 

যদিও ২০১৬ সালের পর থেকে তাঁদের অধিকাংশই বসে গিয়েছেন। কেউ অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করে, কেউবা দলের নেতৃত্বের কার্যকলাপের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। 

কাজেই বাজার থেকে চায়ের আড্ডায় নেতা-মন্ত্রীদের টাকা, জমি, হোটেল, বাংলো, বান্ধবী চর্চায় দুর্দিনের কর্মীরাই কামিয়ে নেওয়া নেতাদের মুন্ডুপাত করছেন।

 মাত্র বারো বছরে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধের চেহারা ছবির কাছে বামেরা নস্যি। নেতাদের পেল্লাই বাড়ি, বড় গাড়ি, জমির বহর দেখে দেখে দুর্দিনের কর্মীরা ক্লান্ত। দিন গুনছে কবে দুর্নীতিগ্রস্তরা শাস্তি পাবে।
 
সূত্র বলছে, ব্যারাকপুর লোকসভা জুড়ে নব্য তৃণমূলদের পাল্লা ভারী। সাতটি বিধানসভার মধ্যে আমডাঙা, নোয়াপাড়া ও নৈহাটী বাদ দিলে তিনটি কেন্দ্রের বিধায়কই নতুন তৃণমূল। এঁরা প্রত্যেকেই ২০১৯-এ তৃণমূলের নেতা বনেছেন। এরপরই এলাকায় এলাকায় অবশিষ্ট আদি তৃণমূল কর্মীরা একপ্রকার হারিয়ে যেতে থাকে। 

কিন্তু ইদানীং ওই বসে যাওয়া আদি অংশ তৃণমূলের  জন্মেরও আগে  বাম জমানার লড়াকু নেতা তথা সাংসদকে ফিরে পেয়ে উজ্জীবিত। তারা দলের দুর্নীতিগ্রস্ত, দাম্ভিক নেতাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে তৈরি।

 সূত্রের দাবি, বীজপুর, নৈহাটী ও জগদ্দল জুড়ে আদি তৃণমূল কর্মীদের সংখ্যার কাছে নব্যরা ধোপে টিকবেনা।
 
এই মুহূর্তে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দুর্নীতির তালিকায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। তাঁদের সম্পত্তির বহর এলাকার কর্মীদের মুখে মুখে। কোন নেতার টাকা কোন কোন ঠিকাদারের কাছে এবং কত ব্যবসায় খাটছে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। 

সূত্রের জোরালো দাবি, আর কয়েকটা দিন। ব্যারাকপুরের ছবি বদলে যাবে।

Thursday, November 2, 2023

হালিশহর পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক থেকে করনিকের স্ত্রী,শ্যালক,পরিজনদের সরকারি বাড়ি তৃণমূল জমানায়

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দুর্নীতির আঁতুড় ঘর হালিশহর পুরসভা। বলছে হালিশহরবাসি! না তার আগেই প্রকাশ্যে জানিয়ে দিচ্ছেন পুরসভার একাংশের কাউন্সিলররা।  

হালিশহর জুড়ে একাধিক পুকুর ভরাটের ঘটনায় জেরবার পুরসভা। এবার 'হাউজিং ফর অল' পুরসভার বাড়ি নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। 

বিশেষ করে পুরসভার হাফ ডজন আধিকারিকরাই নাকি স্ত্রী, শ্যালক, আত্মীয়-পরিজনের  নামে পুরসভার বাড়ি বানিয়েছেন। যদিও তাঁরা প্রত্যেকেই বর্তমানে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন।

সূত্র জানাচ্ছে, বাসুদেব বিশ্বাস ছিলেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার। হালিশহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্ত্রী'র নামে পুরসভা থেকে বাড়ি নিয়েছেন। তাঁর বাড়ি তৈরির জমিটি ঘিরেও  বিতর্কের অভিযোগ রয়েছে।  পুরসভার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর পদে ছিলেন মানিক দাস। আজও সিপিএমের কমরেড। বাম আমলে পুরসভার সর্বেসর্বা ছিলেন। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে হাজিনগর গভঃর্মেন্ট কলোনী এলাকায় স্ত্রীর নামে পুরসভার বাড়ি তৈরি করিয়েছেন। 

হালিশহর পুরসভার আরো এক ইঞ্জিনিয়ার দেবাংশু চৌধুরী।  সূত্রের দাবি, ১ নম্বর ওয়ার্ডে শ্যালককে পুরসভার বাড়ি উপহার দিয়েছেন। এরকম বাড়ি তৈরির তালিকায় পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত করনিক নীহার রঞ্জন রায়, বিনয় ভৌমিকের নাম রয়েছে।

এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার পৌর এলাকায় গরীব মানুষের মাথায় ছাদ দেওয়ার দায়িত্বভার যাদের হাতে ছিল তারাই শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে সরকারি বাড়ি বাগিয়ে নিয়েছেন। 

এই সকল গুনধরদের বাড়ির বিষয়টি এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছেন কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাস ওরফে শিবা। এদের পরিবার-পরিজনদের বাড়ি পাওয়া নিয়ে তাহলে পুরসভা কি অন্ধকারে ছিল প্রশ্ন করতেই কাউন্সিলরের জবাব, অন্ধকারে থাকার কথা নয়। যারা দায়িত্বে ছিলেন একমাত্র তারাই বলতে পারবেন। তিনি এও বললেন, দুর্নীতির বিষয়ে পুরপ্রধান ও সি আই সি'রা ভালো বলতে পারবেন।

কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর দুই প্রাক্তন পুরপ্রধানের বাড়িতে সিবিআই হানা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ইডির পর এবার তৎপর সিবিআই। রবিবার সাতসকালেই পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কাঁচড়াপাড়ায় সিবিআইয়ের হানা। এদিন কাঁচড়াপাড়ার ডাঙ্গাপাড়ায় প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদামা রায়ের বাড়িতে হানা দেয় চারজনের প্রতিনিধি দল। 

পাশাপাশি হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায়ের বাড়িতেও এদিন হানা দিল সিবিআই। সূত্র বলছে, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের মাধ্যমে যেসকল পুরসভায় নিয়োগ হয়েছিল। 

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।।