নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এই তৃণমূল কি আমরা চেয়েছিলাম? একের পর এক মন্ত্রী, বিধায়করা জেল বন্দি। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে প্রশ্ন ছুড়ছে একদা বামেদের বিরুদ্ধে লড়াকু তৃণমূল কর্মীরাই।
যদিও ২০১৬ সালের পর থেকে তাঁদের অধিকাংশই বসে গিয়েছেন। কেউ অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করে, কেউবা দলের নেতৃত্বের কার্যকলাপের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।
কাজেই বাজার থেকে চায়ের আড্ডায় নেতা-মন্ত্রীদের টাকা, জমি, হোটেল, বাংলো, বান্ধবী চর্চায় দুর্দিনের কর্মীরাই কামিয়ে নেওয়া নেতাদের মুন্ডুপাত করছেন।
মাত্র বারো বছরে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধের চেহারা ছবির কাছে বামেরা নস্যি। নেতাদের পেল্লাই বাড়ি, বড় গাড়ি, জমির বহর দেখে দেখে দুর্দিনের কর্মীরা ক্লান্ত। দিন গুনছে কবে দুর্নীতিগ্রস্তরা শাস্তি পাবে।
সূত্র বলছে, ব্যারাকপুর লোকসভা জুড়ে নব্য তৃণমূলদের পাল্লা ভারী। সাতটি বিধানসভার মধ্যে আমডাঙা, নোয়াপাড়া ও নৈহাটী বাদ দিলে তিনটি কেন্দ্রের বিধায়কই নতুন তৃণমূল। এঁরা প্রত্যেকেই ২০১৯-এ তৃণমূলের নেতা বনেছেন। এরপরই এলাকায় এলাকায় অবশিষ্ট আদি তৃণমূল কর্মীরা একপ্রকার হারিয়ে যেতে থাকে।
কিন্তু ইদানীং ওই বসে যাওয়া আদি অংশ তৃণমূলের জন্মেরও আগে বাম জমানার লড়াকু নেতা তথা সাংসদকে ফিরে পেয়ে উজ্জীবিত। তারা দলের দুর্নীতিগ্রস্ত, দাম্ভিক নেতাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে তৈরি।
সূত্রের দাবি, বীজপুর, নৈহাটী ও জগদ্দল জুড়ে আদি তৃণমূল কর্মীদের সংখ্যার কাছে নব্যরা ধোপে টিকবেনা।
এই মুহূর্তে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দুর্নীতির তালিকায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। তাঁদের সম্পত্তির বহর এলাকার কর্মীদের মুখে মুখে। কোন নেতার টাকা কোন কোন ঠিকাদারের কাছে এবং কত ব্যবসায় খাটছে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে।
সূত্রের জোরালো দাবি, আর কয়েকটা দিন। ব্যারাকপুরের ছবি বদলে যাবে।
No comments:
Post a Comment