Saturday, June 25, 2022

হুকুমচাঁদ জুটমিলের দুই শ্রমিক গ্রেপ্তারের পর আরো পাঁচ শ্রমিককে খুঁজছে পুলিশ, দেখা মেলেনি ইউনিয়নের


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হুকুমচাঁদ জুটমিলের দুই শ্রমিককে জেলে পাঠিয়েও আরো পাঁচ শ্রমিককে খুঁজছে পুলিশ। আর এতে করে মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন ক্রমশ ছড়াচ্ছে। 

এখনো ১ ও ২ নম্বর দুটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ। শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়নি। তাঁদের দাবি, অন্যায় ভাবে কর্তৃপক্ষ একের পর এক শ্রমিককে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। যতক্ষণ এর একটা বিহিত না হচ্ছে ততক্ষণ কেউ কাজে যোগ দেবেনা। 

প্রসঙ্গত গত ১৮ জুন মিলের মধ্যে উৎপাদন ম্যানেজারের সাথে বচসা থেকে হাতাহাতি হয় কয়েকজন শ্রমিকের। সেই ঘটনায় ২২ শে জুন সকালে মিলের মধ্য থেকে দুই শ্রমিক মনোজ সাউ ও লোকনাথ চৌধুরীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
 এরপরেই শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে মিলের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। তারপরও রাজেশ সিং, অমর পাল, অমর চৌধুরী সহ পাঁচ শ্রমিককে খুঁজছে পুলিশ। আর এত করে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।

 এই ঘটনা নিয়ে মিলের কোনো শ্রমিক নেতার দেখা মেলেনি। শ্রমিকদের অভিযোগ, ইউনিয়ন ম্যানেজমেন্টের সাথে মিলেমিশে আছে। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলেছে। পুরনো কর্মীদের যখন তখন কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া, হেনস্থা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ চায় পুরনো শ্রমিকরা বেরিয়ে গেলে ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ আরো বাড়বে। সবকিছু জেনেও ইউনিয়ন মুখ বুঝে রয়েছে। 

যদিও এই পরিস্থিতি নিয়ে মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Saturday, June 18, 2022

হুকুমচাঁদ জুটমিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দিনকে দিন অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে তোলার অভিযোগ শ্রমিকদের


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হালিশহরে হুকুমচাঁদ জুটমিলে শ্রমিক অসন্তোষ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিদারুন অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে শ্রমিকরা। কাজের ছুতোনাতা দেখিয়ে কখনো  মারধর কখনো ভয়ভীতি দেখানোর কথাও তুলে ধরছেন মিল শ্রমিকরা। 

শনিবার সকালে কাজে যোগ দেওয়া এক শ্রমিকের সাথে উৎপাদন ম্যানেজারের কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় মিলের মধ্যে। শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। শেষে মিল ম্যানেজার এস কে চন্দ্রা ছুটে আসেন। তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়া শ্রমিক মনোজ প্রসাদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের উপর জুলুমবাজি চালাচ্ছে। যখন তখন কাজ থেকে বসিয়ে দিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে পুলিশ ও ম্যানেজমেন্টের পোষা গুন্ডা দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। তাঁর দাবি, মিল কর্তৃপক্ষ পুরনো শ্রমিকদেরকেই হেনস্থা করছে। চাইছে যাতে তাঁরা কাজ থেকে বেরিয়ে যায়। এরকম বহু শ্রমিককে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। 

এই মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের ভূমিকা নিয়েও যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। বহু শ্রমিক বলছেন, কার্যত মালিকের হয়ে তাবেদারিতে ব্যস্ত সবকটি ইউনিয়ন। শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর সময় তাদের নেই।

Saturday, June 11, 2022

হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার সুকান্ত মজুমদার, বিক্ষোভে নামল বিজেপি কর্মীরা


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 'যাতে খুন হয়ে যাই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী'। হাওড়া যাওয়ার পথে পুলিশ গ্রেপ্তার করায় প্রতিক্রিয়া বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। গত দুদিনের পর আজও উত্তপ্ত পরিস্থিতি  রয়েছে হাওড়ার পাঁচলায়। 

এদিন সকাল থেকে সুকান্ত মজুমদারকে বাড়িতে  আটকে রাখে পুলিশ। অভিযোগ তাঁকে কোনো কাগজ না দেখিয়ে বাড়ির সামনে গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে রাখে পুলিশ। 

এরপর বেলায় বিজেপি কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে। একসময়য় বিজেপি কর্মীরা গার্ডরেল সরিয়ে দিয়ে ঢুকে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গেও ধাক্কাধাক্কি হয়। বিজেপি সভাপতিকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।

 শেষে দুপুরের পর এক প্রকার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীর সাহায্যে বাড়ি থেকে বের হন বিজেপি সভাপতি। দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরে হাওড়ার দিকে যেতেই সেঁতুর টোলপ্লাজার কাছে পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে আটকায়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যায়। 

বিজেপি সভাপতির গ্রেপ্তার হতেই রাজ্য জুড়ে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ, অবরোধে নেমে পড়ে। কলকাতায় লালবাজারের সামনে বিজেপি কর্মীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।

Sunday, June 5, 2022

নৈহাটি পুরসভায় অর্জুন সিংকে বরণ, বয়কট ভেঙে খবরে স্মরন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অবশেষে নৈহাটি পুরসভার তরফে অর্জুন সিংকে সম্বর্ধনা দেওয়া হল। শনিবার নিঃশব্দে পুরসভার কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে  সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে পুষ্পস্তবক দিয়ে বরন করে নিলেন পুরপ্রধান অশোক চ্যাটার্জী। ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। 

যদিও এই দিনটি দেখার জন্য তৃনমূলের কোনো কর্মী বা নৈহাটির সাধারণ মানুষ অপেক্ষায় ছিল না। কেননা ২০১৯ এর লোকসভায় টিকিট না পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করে বিজেপির প্রার্থী হয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সঙ্গে জিতেছিলেন অর্জুন। 

তারপর থেকেই ব্যারাকপুরে তৃণমূলের কাছে চিরশত্রু হয়ে দাঁড়ায় বিজেপি সাংসদ। বিশেষ করে নৈহাটির তৎকালীন তৃণমূল সভাপতিতো হাবে ভাবে নিজেকে চরম অর্জুন বিরোধী হিসেবে প্রমাণ দিতেন। 'যুগান্তর' তার সাক্ষী। 

২০২০-র প্রথম দিকে পৌর এলাকার একটি খবরে বাইট নিতে যুগান্তেরর প্রতিনিধি তৎকালীন পুরপ্রশাসকের ঘরে যায়। সেখানে আরও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা হাজির ছিল। পুরপ্রশাসক অশোক চ্যাটার্জী সরাসরি যুগান্তরকে অর্জুনের চ্যানেল বলে দাগিয়ে দিয়ে বাইট দিতে অস্বীকার করে। তৎক্ষনাত প্রতিনিধি পুরপ্রশাকের ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। 

হ্যাঁ সেদিন থেকে আজ অব্দি 'যুগান্তর' অশোক চ্যাটার্জীর কোনও খবর করেনি।  প্রশাসনে বসে থাকা একজন জনপ্রতিনিধিকে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্ন করা যদি অন্যায় হয় তাহলে সাংবাদিককে দাগিয়ে দেওয়া অন্যায় নয়?

ইতিহাস ফিরে আসে। পুরপ্রশাসনে থেকে সেই অর্জুন সিংকে বরণ করে নিতেই হল। এখানেই 'খবর যুগান্তর' সফল। নীতিভ্রষ্ট হয়নি।