Wednesday, December 27, 2023

নাম ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলছেন অর্জুন অনুগামীরা

বিল্টু কাশ্যপঃ ২০১৯ সালে কিছু কাঠিবাজদের জন্য ঘাসফুলের টিকিট থেকে তিনি বঞ্চিত হয়েছিলেন। এটা পরবর্তীতে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়। যদিও গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে মাত্র ২৮ দিনের কৌশলে তিনি বাজিমাত করেছিলেন। শুধু তাই নয়, নৈহাটি বিধানসভা থেকেও তিনি হাজার ভোটে জয় পেয়েছিলেন। 

রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, সরকারের বাইরে থেকে ভোটে জেতা অত সহজ নয়। ব্যারাকপুরে গেরুয়া ভোট মেশিনারিও শক্তপোক্ত ছিল না। তবুও নিজের মেশিনারিকে কাজে লাগিয়ে শাসকদলের তথাকথিত নেতাদের মুখে ঝামা ঘষে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার কান্ডারি কিন্তু সেই বাহুবলীই। 

দু'বছর বাদে অভিমান ভুলে নেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে ফের পুরানো ঘরে ফিরলেন শিল্পাঞ্চলের বাহুবলী। শনিবার টিটাগড়ে জেলা অফিসে দমদম-ব্যারাকপুর জেলার চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, দল ভালো বুঝেছে বলেই তো অর্জুনকে ফিরিয়ে নিয়েছে। 

সূত্র বলছে, ব্যারাকপুর কেন্দ্রে বাহুবলীকেই প্রার্থী করতে কয়েকদিন আগে ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তা জানার পরই কাঠিবাজরা বাহুবলীকে আটকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বাহুবলী প্রার্থী হবেন না, তা বাজারে চাউর করে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করতে চাইছেন দলের একাংশ। 

তবে শিল্পাঞ্চলের হাল হকিকৎ বলছে, চার বারের বিধায়ক এবং বর্তমান সাংসদের জনপ্রিয়তা প্রবল। প্রয়োজনে তার কাছে গিয়ে খুব কম সংখ্যক মানুষই খালি হাতে ফেরেন। শুধু তাই নয়, সাংসদ তহবিলের অর্থ ছাড়াও নিজস্ব ফান্ডের অর্থও তিনি ব্যয় করেন সংসদীয় ক্ষেত্রের উন্নয়নে। রাজনীতির বাইরে তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীও বটে। 

বামজমানায় ব্যারাকপুরের বুকে একমাত্র সলতে বিধায়ক ছিলেন তিনিই। তৎকালীন সময় থেকে মানুষের আপদে-বিপদে তিনি পাশে দাঁড়াতেন। সমস্ত রকমের সহযোগিতার হাতও তিনি বাড়িয়ে দিতেন। স্বভাবতঃই বামজমানা থেকেই তিনি সাধারন মানুষের কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছিলেন। 

ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমডাঙ্গার করুণাময়ী কালীমন্দিরকে সাজিয়ে তুলতে এবার তিনি উদ্যোগী হয়েছেন। ব্যারাকপুর সংসদীয় ক্ষেত্র ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা পুজো দিতে আসেন করুণাময়ী কালীমন্দিরে। কিন্তু বহু বছরের প্রাচীন এই মন্দিরের তেমন সৌন্দর্যায়ন হয়নি। ভক্তদের কথা ভেবে এবার তিনি ব্যক্তিগতভাবে  মন্দিরের আমূল পরিবর্তনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। 

এবার আসা যাক, মূল কেন্দ্র বিন্দুতে। ব্যারাকপুর কেন্দ্রে ঘাসফুলের প্রার্থী কে হবেন। আর এই প্রার্থী নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পানের গুমটি সর্বত্র জোর চর্চা চলছে। 

সাংসদ অনুগামীরা জোরের সঙ্গে বলছেন, অর্জুন সিংয়ের বিকল্প আর কেউ নন। তিনিই এই কেন্দ্রের প্রার্থী। সাংসদ বিরোধী শিবিরের লোকজন সর্বত্র বলছেন, বাহুবলী বাদে অন্য কেউ প্রার্থী হতে চলেছেন। 

কিন্তু শিল্পাঞ্চলের আকাশ-বাতাস বলছে বর্তমান সাংসদই ব্যারাকপুর কেন্দ্রে শাসকদলের প্রার্থী। যদিও লড়াকু নেতাকেই প্রার্থী হিসেবে মেনে নিয়ে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছেন সাংসদ অনুগামীরা। 

সোমবার কাঁকিনাড়ায় 'চাকলা চলো' সফল করার লক্ষে আয়োজিত সভায় টিটাগড়ের প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রশান্ত চৌধুরী ও ভাটপাড়ার প্রাক্তন সিআইসি মনোজ গুহ দাবি করেছেন, ব্যারাকপুর কেন্দ্রের প্রার্থী তাদের প্রিয় নেতাই। যিনি আপদে-বিপদে দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়ান। 

প্রশান্ত ও মনোজ বাবুদের কথায়, প্রার্থী হিসেবে তাদের প্রিয় নেতার  নাম ঘোষণা এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।

Tuesday, December 19, 2023

মমতা-অর্জুনের নৈকট্যের ছবি উসকে দিল পুরনো স্মৃতিকে

বিল্টু কাশ্যপঃ হ্যালির ধুমকেতুর মতো আচমকা ঘাসফুলে আবির্ভাব হওয়া 'এক্সিডেন্টাল' নেতা-কর্মীরা সিঙ্গুর কিংবা নন্দীগ্রামের আন্দোলন নিয়ে অবগত নন। তাদের লাল পার্টির হার্মাদদের মুখোমুখিও হতে হয়নি। 'পড়ে পাওয়া ষোল আনা'র মতোই কেউ বিধায়ক হয়েছেন। আবার কেউ দলীয় সংগঠনের পদও পেয়েছেন। 

কিন্তু শিল্পাঞ্চলের বাহুবলী খ্যাত ঘাসফুলের দুর্দিনের লড়াকু সৈনিক অর্জুন সিং তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন। টগবগে বাম জমানায় ঘাসফুলের অনেক নেতাকেই তৎকালীন সময়ে লড়াইয়ের ময়দানে দেখা যায়নি। উল্টে নিজের এলাকা ছেড়ে তাদের অন্যত্র দেখা যেত। 

ওই সময়ে শিল্পাঞ্চলের বুকে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পাশে দেখা যেত একমাত্র বাহুবলীকেই। সিপিএমের ঠ্যাঙ্গারে বাহিনীর সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতেন এই বাহুবলীই। 

কিন্তু সেদিন যারা লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন না। কিংবা ঘাসফুলের সুদিনে যারা গেরুয়া বসন ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়েছেন। তারাই এখন বাহুবলীকে 'কুমড়ো' আখ্যা দিচ্ছেন। ঘাসফুলের আদি কর্মীদের কাছে যা হাস্যকর। 

ইতিহাস বলছে, বাম জমানায় তৎকালীন সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে নেত্রীর পাশে থেকে লড়াই করেছেন শিল্পাঞ্চলের এই বাহুবলী। শুধু তাই নয় বামআমলে ২০০১, ২০০৬, ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মিশ্র ভাষাভাষীর ভাটপাড়া কেন্দ্র থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার কান্ডারী তিনিই। 

বামআমলে ২০০১ কিংবা ২০০৬ সালে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল থেকে ভোটে দাঁড়ানোর সাহস ছিল না ঘাসফুলের অনেক নেতার। যদিও তারাই এখন নিজেদের 'সর্বের সর্বা' ভাবছেন। বলাবাহুল্য, সম্প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে জগদ্দলের অকল্যান্ড থেকে ভাটপাড়া মোড় পর্যন্ত বাহুবলী সাংসদের নেতৃত্বে মিছিল অনেকের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।  
পরবর্তীতে শ্যামনগর বাসুদেবপুর মোড় থেকে তেরঙ্গি পর্যন্ত মিছিল কোনও এক অজ্ঞাত কারণে আটকে গেল। এভাবে কতদিন আটকে রাখবেন তাদের প্রিয় নেতা বাহুবলীকে, তা নিয়েই দলের আদি কর্মীদের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

প্রসঙ্গত, দলের রণকৌশল নিয়ে সোমবার দিল্লিতে সাংসদদের নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর বৈঠক হয়েছে। সেখানে তৃণমূল সুপ্রিমোর একদম পাশেই দেখা গিয়েছে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে। নেত্রী-অর্জুনের নৈকট্যের এই ছবি দেখে শিল্পাঞ্চলের অনেকের ঘুম ছুটে গিয়েছে। 

যদিও ব্যারাকপুর কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বাহুবলীকে মেনে নিয়েই ঘাসফুলের আদি কর্মীরা ময়দানে নেমেও পড়েছেন। কিন্তু আড়কাঠিরা এখনও বাহুবলীকে আটকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

সিপাহী বিদ্রোহের মাটি এই ব্যারাকপুর। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে মাত্র ২৮ দিনের লড়াইতে বাজিমাত করেছিলেন সেই বাহুবলীই। 

তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন ঘাসফুলের কাছে খুব কঠিন লড়াই। একদিকে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত দলের হেভিওয়েটরা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ও বিজেপি উভয়ের সাঁড়াশি আক্রমণ। 

এই পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষমতা আছে একমাত্র বাহুবলীর। এটাও জানেন দলের আদি কর্মীরা। তাই হয়তো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য তারা বাহুবলীকেই চাইছেন। যদিও সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে মাত্র কয়েকটা দিনের প্রতীক্ষায়।

Wednesday, December 6, 2023

অর্জুন প্রার্থী হোক চাইছেন না কতজন, সংখ্যা প্রকাশে চ্যালেঞ্জ আদি‌ অংশের

বিল্টু কাশ্যপঃ তিন রাজ্যে ধরাশায়ী গেরুয়া বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের শরিকরা। অপরদিকে বিভিন্ন দুর্নীতি ইস্যুর তদন্তে ক্রমশঃ ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সূত্র বলছে, লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসবে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি ততই প্রকট হয়ে উঠবে। 

আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যে শাসকদলের অনেক হেভিয়েটদের ঠিকানা হতে পারে 'শ্রীঘর' এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল। এমত অবস্থায় সাঁড়াশি আক্রমণের মোকাবিলা করতে একমাত্র প্রয়োজন লড়াকু মনোভাবাপন্ন কোনও নেতাকে। 

মিশ্র ভাষাভাষীর মিনি ইন্ডিয়া খ্যাত ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের ক্ষমতা রাখেন বাহুবলী অর্জুন-ই। এটা একবাক্যে মানেন ঘাসফুলের আদিরা। লড়াকু অর্জুন সিংয়ের আদি দরদী মনোভাবে তাই ভীষন চাঙ্গা ঘাসফুলের দুর্দিনের সৈনিকরা। 

যদিও কিছু পেটোয়া বাজারে 'আনকোড়া' কিছু নাম ভাসিয়ে দিয়ে নীচুতলার কর্মীদের বিভ্রান্ত করতে চাইছেন। আর এতেই ভীষণ চটেছেন বামেদের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে লড়াই করা ঘাসফুল কর্মীরা। তাদের আক্ষেপ, এক্সিডেন্টাল নেতা-কর্মীদের কাউকেই বামেদের ঠ্যাঙ্গারে বাহিনীর হাতে আক্রমনের শিকার হতে হয় নি। তারা জানেন না সিঙ্গুর কিংবা নন্দীগ্রাম কি জিনিস। 

ধুমকেতুর মতো আবির্ভাব হয়ে কেউ বিধায়ক হয়েছেন কিংবা কেউ সংগঠনের বড় পদ পেয়েছেন। ইদানিং দেখা যাচ্ছে কিছু পোর্টাল কারও ইন্ধনে তাবেদারিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে শাসকদলের নেতা-কর্মীদের থেকে ব্যারাকপুর কেন্দ্রের ঘাসফুলের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়েই তারা বেশি উদ্বিগ্ন। 

তারা মনগড়া কিছু নাম বাজারে ভাসিয়ে দিচ্ছেন। কখনো প্রশাসনের কোনও উচ্চপদস্থ অধিকারিকের নাম, আবার কখনও গ্ল্যামার জগতের কারও নাম বাজারে প্রচার চালাচ্ছে। 
অথচ টগবগে বাম জমানায় শিল্পাঞ্চলের বুকে ঘাসফুলের পতাকা তুলে ধরা কান্ডারিকে তুলে ধরতে চাইছেন না ওই সকল পেটোয়া অনলাইন মিডিয়া। 

শিল্পাঞ্চলের আকাশ-বাতাস-মাটি যার হাতের তালুর মতো চেনা সেই লড়াকু বাহুবলীকে তারা মার্কস দিতে নারাজ। যদিও তাতে কিছু যায় আসে না। বামআমল থেকে তিনি জনসম্পর্ক অভিযান করে চলেছেন।  রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁর ভিত্তি কিন্তু জনতা জনার্ধন। 

মানুষের এত জনসমর্থন আছে বলেই তিনি বুক ফুলিয়ে সর্বদা একটাই কথা বলেন, নির্বাচনে শেষ কথা বলে জনতাই। 

বাম জমানায় কোনও বিধায়ক কিংবা মন্ত্রীর কাছ থেকে সার্টিফিকেট আনতে গেলে আগে শরনাপন্ন হতে হত এল সি এস কিংবা এল সি এমদের নিকট। তারপর মিলত সেই দরকারি নথিপত্র। কিন্তু জগদ্দলের মজদুর ভবনে তৎকালীন সলতে বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের কাছে পৌঁছতে কোনও মাধ্যমের প্রয়োজন হত না। এখনও সেই পরিষেবা অটুট। 

বর্তমানে তিনি সাংসদ। তবুও জনসংযোগে তার বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। যে কোনও প্রয়োজনে সরাসরি তাঁর কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। প্রয়োজন হয়না কোনও মাধ্যমের। শিল্পাঞ্চলের জনতা এটাই দেখতে অভ্যস্ত। 

মানুষের কাছে তিনি এতটাই জনপ্রিয়। স্যার ডাক শুনতে তিনি নারাজ। পরিবারের একজন সদস্যের মতোই দাদা কিংবা কাকু অথবা ভাই ডাক শুনতেই তাঁর বেশ পছন্দ। শুধু তাই নয়, বাড়ির পুজো থেকে উপনয়ন কিংবা বিবাহ-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘরের ছেলেই মতোই তিনি তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রে হাজির হন। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচন কঠিন লড়াই। গেরুয়া শিবির বাংলায় ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে। এমত অবস্থায় ঘাসফুলকে ব্যারাকপুর ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন লড়াকু ইমেজের কোনও নেতাকে। রাজনীতির আঙিনায় 'আনকোড়া' কাউকে খাড়া করলে বিপদ অনিবার্য। 

এইমুহূর্তে ঘাস ফুলের আদি কর্মীরা সক্রিয়। একাংশের কথায়, সিপাহী বিদ্রোহের আন্দোলনের মাটি এই ব্যারাকপুর। এখানকার কর্মীরা লড়তে জানে। তবে গ্লামার দুনিয়া কিংবা প্রশাসনের কোনও আমলাকে চাপিয়ে দিলে লড়াই হবে ভঙ্গুর। ব্যারাকপুর কব্জায় রাখতে তাই বাহুবলীকেই তারা মনেপ্রাণে চাইছেন।

Sunday, December 3, 2023

হালিশহরে দলের একঝাক পুরনোদের মাঝে সাংসদ অর্জুন সিং

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পুরনো কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোটাই তাঁর রসায়ন। হালিশহরে বাম জমানার বড় অংশের পুরনো তৃণমূল নেতা কর্মীদের সঙ্গে খোশ মেজাজে কিছুটা সময় কাটালেন সাংসদ অর্জুন সিং। লক্ষ্য ২০২৪। নিজের গড় মসৃন করতে কিছু বার্তালাপ ছাড়াও বঞ্চিতদের খোঁজ খবর নিলেন। 

রবিবার হালিশহর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর বন্ধুগোপাল সাহার বাড়িতে আসেন অর্জুন সিং। প্রাক্তন কাউন্সিলরের সদ্যোজাত কন্যাকে দেখলেন সাংসদ। আশীর্বাদ দিলেন। 

সেখানে তখন উপস্থিতি একঝাক পুরনো মুখের। দুর্দিনের লড়াকু নেতাকে কাছে পেয়ে প্রত্যেকেই অব্যক্ত যন্ত্রণা কিছুটা লাঘব করে নিলেন। সাংসদের হাত শক্তিশালী করতে সকলেই  বদ্ধপরিকর।

এদিন সেখানে হাজির ছিলেন হালিশহরের প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান রাজা দত্ত, প্রাক্তন কাউন্সিলর কল্যাণী বসু বিশ্বাস, তৃণমূলের বর্ষীয়ান বানীব্রত ব্যানার্জী, অতনু রায়চৌধুরী, গিরেন বাছার, শুভেন্দু রায়।

এছাড়াও সাংসদ অনুগামী অরিন্দম দে, অমিত চৌবে, ধীরাজ ঝা, সৈকত ঘোষাল, সংগ্রাম সহ বহু দুর্দিনের কর্মী হাজির হয়েছিলেন।