নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজু বন গ্যায়া জেন্টেলম্যান। সত্যিই এই রাজু ভদ্রলোক বনে গেলেন! রাজু সাহানি। হালিশহর পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন। বুধবার দলের সিদ্ধান্তে ইস্তফা দিয়ে প্রাক্তন হয়ে গেলেন। তাঁর জায়গায় এলেন একদা উপ পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলানো শুভঙ্কর ঘোষ ওরফে সোনাই।
গত বছর ৩ অক্টোবর রাজু সাহানির রাজারহাটের ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৮০ লক্ষ টাকা পায়। 'বর্ধমান সানমার্গ' নামক একটি চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে রাজুর যোগ পেয়ে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ তিন মাসের বেশি জেল খেটে ২৩ শে ডিসেম্বর জামিন পান রাজু সাহানি।
এলাকায় ফেরেন। কিন্তু কোনো এক নেতার অঙ্গুলি হেলনে পুরসভায় ঢুকতে পারেন না। অবশেষে এই বিষয়ে ব্যারাকপুর কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিংও মুখ খোলেন। একমাত্র 'খবর যুগান্তর'- এ সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অর্জুন সিং বলেছিলেন,"ও কার ভয়ে পুরসভায় ঢুকছে না বুঝতে পারছি না। দলতো ওকে সরায়নি। তাছাড়া ও তো বাহাদুর বাবার ছেলে আছে। কিসের এতো ভয়!"
এরপরই বীজপুর জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। তার কয়েকদিন পরেই হোলিতে রাজু সাহানিকে বীজপুরের বিধায়কের বাড়িতে দেখা গেল। কেউ কেউ হোলির দিনের ওই ছবি পোস্ট করে বোঝাতে লাগলো বীজপুর ইউনাইটেড তৃণমূল কংগ্রেস। অর্জুন ঘনিষ্ঠ ভাঙতে মরীয়া প্রয়াস। যদিও শেষমেশ একজনের চাপে তাঁকে সরতেই হলো।
হালিশহর পুরসভার বড় একটা অংশ হাজিনগর-কোনামোড় অঞ্চল। জুটমিল শ্রমিক আধ্যুষিত হিন্দিভাষী এলাকা। ওখানকার মানুষের মধ্যে রাজু সাহানির জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাছাড় পুরপ্রধান হিসেবে তিনি মানুষের সমস্যা মন দিয়ে শুনতেন এবং কাজও করতেন।
স্বভাবতই পুরপ্রধানের পদ থেকে তাঁকে সরানোয় ওই অঞ্চলের শিক্ষিত অংশের মানুষের প্রতিক্রিয়া, অন্তত পুরসভার চুরি, দুর্নীতির দাগ থেকে রাজু বাঁচল।
তৃনমূল দলের দুর্নীতি নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে তারা তাদের ভাষায় বলছে, রাজু হালিশহরের জেন্টেলম্যান প্রাক্তন পুরপ্রধান।
No comments:
Post a Comment