বিল্টু কাশ্যপঃ অভিজিতের পর এবার কোপ পড়ল রানার ঘাড়ে। সাংসদ শিবিরে ঝুঁকতেই ছেটে ফেলা হল রানা-কে। তাঁর জায়গায় এলেন পূর্বতন ব্লক সভাপতি তথা কাঁপা-চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রবি নিয়োগী।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল গঠনের পর থেকেই ব্যারাকপুর ব্লক-১ এর ঋষি বঙ্কিম ব্লক তৃণমূল সভাপতি ছিলেন রবি নিয়োগী। ২০২১ সালে রবির জায়গায় আনা হয়েছিল তরুণ নেতা রানা দাশগুপ্তকে। কিন্তু আচমকা পদ থেকে অপসারিত করা হল রানাকে। সাংসদ শিবিরে ঝুঁকতেই কি রানার কোপ পড়ল, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে নৈহাটির গ্রামীন অঞ্চল জুড়ে।
সূত্র বলছে, রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত রবি নিয়োগী। যদিও ইদানিং ব্যারাকপুর সংসদীয় কেন্দ্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠান মঞ্চে সাংসদের পাশেই দেখা যাচ্ছিল রানাকে। যদিও রানার প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ওনার মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু উনি ফোন ধরেন নি।
তবে ফেসবুক পোস্টে বিদায়ী রানা দাশগুপ্ত লিখেছেন, 'এই মাটিতে খেলা হবে। আমিও আছি, তুমিও রবে বন্ধু। এবার খেলা হবে। তৈরি থেকো খেলা হবে। ময়দানে খেলা হবে। ঝান্ডা কাঁধে খেলা হবে।' যদিও খেলার বিষয়ে তিনি খোলসা করে কিছুই লেখেননি।
সম্প্রতি রক্তদান শিবির কিংবা নিজেদের বাড়ির কালি পুজোয় সাংসদের পাশেই দেখা গিয়েছিল নৈহাটির তৃণমূল যুব নেতা অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। গণ্ডগোলে জড়িয়ে সাংসদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার খেসারত দিতে হল অভিজিৎকে।
যদিও নতুন তৃণমূলের তকমা লাগিয়ে ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন নৈহাটি তৃণমূলের একাংশ। তারা দাবি করলেন, অন্যায় করলে আইন আইনের পথেই চলবে। তবে বামআমলে নৈহাটির ত্রাস বলে একদা যারা নাচুকে তুলোধনা করতেন, তাদের একাংশই এখন নাচুকে তলে তলে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগও উঠেছে।
বিজেপি নেত্রীর স্বামী নাচুকে পেটানোর অভিযোগে পুলিশি হেফাজতে পুরপ্রধানের পুত্র অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় পুলিশের অতি সক্রিয়তা ভাবাচ্ছে শাসকদলের একাংশকে। নতুন তৃণমূলের নিয়ম লাগু গোটা রাজ্য জুড়েই, নাকি নৈহাটির মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
No comments:
Post a Comment