Monday, March 20, 2023

তৃনমূল সংখ্যালঘু সেলের কর্মী সন্মেলনে উপস্থিতি নগন্য আমডাঙায়, কিসের ইঙ্গিত !

বিল্টু কাশ্যপঃ ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের আমডাঙা বিধানসভা বরাবরই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু আই এস এফের বাড়বাড়ন্তে কি সংখ্যালঘুরা ক্রমশঃ শাসকদল থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে, এখন সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। 

রবিবার দমদম-ব্যারাকপুর  সংগঠনিক জেলার তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের আওয়ালসিদ্ধি বাজারে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত সম্মেলনের মঞ্চে আই এস এফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন জনাব জামাল উদ্দিন। যিনি গত বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী ছিলেন। 

সূত্র বলছে, সংখ্যালঘুদের আঁতুরঘর আমডাঙা। অচল তৃণমূলের সংখ্যালঘু সম্মেলনে উপস্থিতির হার খুবই কম ছিল। বলা বাহুল্য, প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও, কর্মী সম্মেলনে মনপ্রুত উপস্থিত না হওয়ায় শাসকদলের কপালে কিন্তু চিন্তার ভাঁজ পড়বেই। 

শাসকদলের ভোট ব্যাঙ্কের ভিত্তি বলতে সংখ্যালঘুরা। কিন্তু আওয়ালসিদ্ধিতে কর্মী সম্মেলনে উপস্থিতির হার এত কম, কিসের ইঙ্গিত বহন করছে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। সূত্র বলছে, নিয়োগ দুর্নীতির জেরে সংখ্যালঘুরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ঘাসফুল থেকে। বিকল্প হিসেবে কেউ বাম শিবিরে, বেশি সংখ্যক আবার ঝুঁকছেন আই এস এফে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার  ঠিকভাবে মেনে নিতে পারেনি সংখ্যালঘুরা। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারাও নওশাদের হয়ে ব্যাট করতে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। নওশাদের লড়াকু মনোভাব বেশ প্রভাব ফেলেছে সংখ্যালঘুদের মনে। স্বভাবতই, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘাসফুলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারে আই এস এফ। তা নিয়েই উদ্বিগ্ন ঘাসফুল শিবির। 

তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে সংগঠনে রদবদল করে শাসকদল কতটা সংখ্যালঘু ভোট ধরে রাখতে পারে, সেটাই এখন দেখার। যদিও পুলিশ পাহারায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে হিসেব-নিকেশ মিলবে না। কারন, শাসকদল বলপূর্বক ভোট লুঠ করার মরিয়া প্রয়াস চালাবে পঞ্চায়েতে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সমস্ত হিসেব-নিকেশ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

No comments:

Post a Comment