বিল্টু কাশ্যপঃ বীজপুর কেন্দ্রের হালিশহর ও কাঁচড়াপাড়ায় 'গুমটি দোকানে'র মতোই গজিয়ে উঠেছে একের পর এক নিউজ পোর্টালের অফিস। কিন্তু সমাজকে সফেদ করার লক্ষ্যে পোর্টালের প্রতিনিধিদের ভূমিকা খুবই নিষ্ক্রিয় বলে দাবি উঠেছে।
স্থানীয়দের একাংশের মতে, বুম-মোবাইল নিয়ে জনপ্রতিনিধি কিংবা নেতাদের পিছনে ছুটতে ব্যস্ত পোর্টালের প্রতিনিধিরা। বিনিময়ে জুটছে কোথাও বকশিস কিংবা আহার অথবা সংবর্ধনা। এতেই ওরা সন্তুষ্ট। কিন্তু বীজপুর জুড়ে বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ওরা ভাতঘুমের ভূমিকায়। তবে মাঝে-মধ্যে দু-একটি পোর্টাল অন্যায়ের মৃদু ফোঁস করে ওঠে। কোনও অদৃশ্য কারনে ফের ওরা নেতিয়ে পড়ে, এমনটাই দাবি বীজপুরবাসীর।
এবার ঘটনার বিবরনে আসা যাক। আইনের ফাঁক গলে হালিশহর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কর্নেল কে পি গুপ্তা রোডের চিত্তরঞ্জন মোড় সংলগ্ন জল ট্যাঙ্কের পাশে বুজে গিয়েছে বিশালাকার জলাশয়। আর সেই জলাভূমি বুজে তৈরি হচ্ছে আবাসন। অথচ উদাসীন প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকদের বক্তব্য, শুধু প্রশাসন কেন, সমাজের দর্পন পোর্টালের কারবারিরাও নিশ্চুপ। দর্শকের ভূমিকা মেইনস্টিম মিডিয়ার প্রতিনিধিরাও।
এমনকি বিরোধীরা জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে না। ফলত ফাঁকা মাঠে দেদার গোল দিয়ে চলেছে জমি হাঙরেরা।
যদিও পিছনে অদৃশ্য শাসকের হাত আছে বলেই অবৈধ কারবারে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না হাঙরদের। এমনটাই অভিযোগ বাসিন্দাদের।
বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্রের অভিযোগ, শুধু হালিশহর নয়, রাজ্যের সর্বত্র জলাশয় ভরাট হয়ে আবাসন গড়ে উঠছে। জমি মাফিয়ারা ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিস থেকে জমির চরিত্র পাল্টে ফেলছে। পুকুর কিংবা জলাভূমি ভরাট রুখতে আগে ভূমি সংস্কার অফিসের লোকজনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
তবে নিজের ওয়ার্ডে জলাশয় ভরাট নিয়ে সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস। তার দাবি, তাঁর ওয়ার্ডে এইরকম কিছুই হচ্ছে না। তবুও জলাশয় ভরাট নিয়ে তিনি খোঁজ-খবর নেবেন বলে জানান।
No comments:
Post a Comment