নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাতে ঘুমের মধ্যেই চলে গেলেন বিমান শঙ্কর সাহা। বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। নৈহাটি-গরিফার সেন পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠতেন। অনেক দেরি হওয়াতে কাজের লোক ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া পায়না। শেষে প্রতিবেশিরা এসে দেখে বিছানায় নিথর হয়ে পড়ে রয়েছেন বিমান বাবু।
ঘোর বাম জমানায় গরিফা অঞ্চলে তিনি ছিলেন তৃণমূলের অন্যতম কান্ডারী। বামেদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ২০০৫ সালের পৌর নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃনমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন বিমান সাহা। নির্বাচনের দিন তাঁর বাড়ির কাছে রবীন্দ্র শিশু সদন স্কুলের বুথে সিপিএমের ভোট লুটেরারা তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিল। সে সময় ঘটনা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল সর্বত্র।
যদিও তৃণমূলের নৈহাটি নেতৃত্ব ক্ষমতায় এসে পুরনো অনেকের সঙ্গে তাঁকেও মনে রাখেনি। এমাত্র দুর্দিনের লড়াকু নেতা বর্তমান সাংসদ অর্জুন সিং তাঁর খোঁজ খবর রাখতেন। বিমান সাহাও এক কথায় ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিংয়ের হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে গরিফা জুড়ে প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন।
মার্জিত, রুচিশীল, মিশুকে মানুষটি বছর দেড়েক আগে একমাত্র পুত্রকে হারিয়ে ভেঙে পরেছিলেন।
মৃত্যুর খবর পেয়ে বিমান সাহার বাড়িতে ছুটে আসেন প্রাক্তন কাউন্সিলর গনেশ দাস, রতন নন্দী সহ দুর্দিনের অসংখ্য তৃণমূল কর্মীরা। এই সময়ে দাড়িয়ে সমাজ সচেতন, মূল্যবোধ সম্পন্ন একজন নাগরিককে হারালো গরিফা।
No comments:
Post a Comment