বিল্টু কাশ্যপঃ বামজমানায় জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কেন্দ্রের কংগ্রেস শাসিত সরকারের সঙ্গে সেটিং তত্ত্বের অভিযোগ করতো বঙ্গের নিচুতলার হাত সমর্থকরা। মুষড়ে পড়া তৎকালীন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা দাবি করতেন, কেন্দ্রের সঙ্গে সেটিং বঙ্গের বাম সরকার।
এবার সেই সেটিং তত্ত্বের গন্ধ পাচ্ছেন বঙ্গের গেরুয়া সমর্থকরা। দলের অন্দরেই এমন আক্ষেপ পুঞ্জীভূত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, টেট কেলেঙ্কারি, গরু-কয়লা পাচার, নারদা-চিটটফান্ড কান্ড, এমনকি এন এইচ আর সি-র রিপোর্ট ভিত্তিতে তদন্ত একেবারে ঢিমেতালে চলছে। এতেই ক্রমশ ভেঙে পড়ছেন বঙ্গের গেরুয়া কর্মী-সমর্থকরা।
প্রসঙ্গত, শনিবার পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নে তাঁর ঘরে প্রায় ২০ মিনিট একান্তে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী ও শাহের একান্ত বৈঠক নিয়ে বামেদের কটাক্ষ, ওটা সেটিং বৈঠক।
যদিও শাহ চলে যেতেই শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, টাইম হো গিয়া। কিন্তু বাস্তবে কি এটাই সত্য। নাকি বৈঠক দেখে মনোবল ভেঙে যাওয়া কর্মীদের চাঙ্গা করতেই শুভেন্দু এই ভোকাল টনিক দিলেন। তা নিয়েই দলের অন্দের প্রশ্ন উঠছে।
বলা বাহুল্য, শুভেন্দু-সুকান্তের হুঁশিয়ারি অনুযায়ী, বড়সড় উইকেট না পড়লে গেরুয়া শিবিরের নিচুতলার কর্মীদের মনোবল একেবারে তলানিতে পৌঁছে যাবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া কর্মীদের মনের যন্ত্রনা প্রশমিত হবে না।
রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাজিমাত করার কৌশল নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এতটা ভাবছেন না।
সূত্র বলছে, খেলা হতে পারে ঠিক ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে। ঘাসফুলকে চাপে রেখে বঙ্গে আসন বাড়াতে মরিয়া প্রয়াস চালাবে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে ভালো সাফল্য পেলেই ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে গেরুয়া শিবির।
যদিও বামেদের সেটিং তত্ত্ব নিয়ে বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী বলেন, এসব বামেরা বলছে। ওরা এখন অপ্রাসঙ্গিক। বঙ্গের মানুষ ওদের ঝেড়ে ফেলে দিয়েছে।
তবে ঘটনা যাইহোক, মুখ্যমন্ত্রী-শাহের গোপন বৈঠকের জেরে কিন্তু বঙ্গের নিচুতলার গেরুয়া কর্মীরা একেবারে বিষন্ন হয়ে পড়েছেন।
No comments:
Post a Comment