Wednesday, July 27, 2022

ব্যারাকপুর কেন্দ্রে নেতাদের জমি, ফ্ল্যাট, হোটেল, বার, রিসোর্ট ও নারী কাহিনী এখন কর্মীদের মুখে মুখে /১

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জেলায় জেলায় বহু তৃনমূল নেতার একাধিক বাড়ি, গাড়ি এখন আর গোপন থাকছে না। তার ওপর নারী সঙ্গে ডুবে রয়েছে এমন নেতাদের চোখ ঘোরালেই দেখছে জনতা।

 দলের উঁচুতলার পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হতেই বিষয়টি কানাঘুষোয় আর থেমে নেই। বিশেষ করে আদি তৃণমূল কর্মীরা এখন মোক্ষম সময় পেয়েছে। উগরে দিচ্ছে পঞ্চায়েত-পুরসভায় কোন নেতার কত জমি, ফ্ল্যাট, হোটেল, বার, রিসোর্ট রয়েছে। ওই সব নেতার মহিলা সঙ্গ বিষয়টি এলাকার সকলেরই জানা। কর্মীরা শুধু উস্কে দিচ্ছেন।

 ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূল জন্মেরও আগে রাজনীতিতে এসেছেন অর্জুন সিং। তাঁর বাবা সত্যনারায়ণ সিং কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন। স্বভাবতই রাজনৈতিক পরিবারের ছেলে বর্তমান সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁদের পারিবারিক ব্যবসাও রয়েছে। তিনি ছাড়া সে অর্থে বাম আমলে বিত্তশালী তেমন কোনো নেতা ব্যারাকপুর তৃনমূলে ছিল না। কিন্তু এই বারো বছরে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে কোটিপতি নেতার সংখ্যা শতাধিক। 

এই তল্লাটে এক তৃণমূল নেতার উত্থানের কাহিনী রুপ কথার মতো। তাঁর অতীত ছিল সততার সঙ্গে দলের লোকেদের কাছ থেকে চেয়ে চিনতে খাওয়া। ভাঙা সাইকেল ও পোড়া বিড়িতে অভ্যস্ত ছিলেন। এগারোর পর থেকে ভাগ্য খুলে গেল। চেহারা ছবি বদলাতে লাগলো।

 সূত্র জানাচ্ছে, একসময়য়ের ভাড়া বাড়িটির মালিক এখন তিনি নিজে। বাড়ির বাইরের বদল না ঘটলেও ভেতরে কিঞ্চিৎ বদল ঘটিয়েছেন। টাইলস বসেছে। দুটি এসি মেশিনও রয়েছে। এখন তার দুটো চারচাকা। ছেলে পুরসভার কর্মী। ছেলের বউও পুরসভায়। ব্রান্ডেড জামা-প্যান্ট ছাড়া তিনি পরেন না। যদিও সবটাই ঠিকাদারেরা উপহার হিসেবে দেন। 
সূত্রের দেওয়া তথ্যে তাঁর নারী কাহিনী বাদ রাখলাম। কেননা অর্পিতাদের মতো হাইপ্রোফাইল কেউ নেই। সব পাড়া ঘরের মহিলা। 

Monday, July 25, 2022

নির্বাচনী সভায় পার্থর বান্ধবি অর্পিতার বক্তৃতার ছবিতে তৃণমূল যোগ স্পষ্ট

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবি অর্পিতার তৃনমূলে যোগ আরো জোরদার হল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে  মঞ্চে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ভাষনরত ছবি পোস্ট করেছেন কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সেই মঞ্চে রয়েছেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেটি মধ্যমগ্রামে বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের জনসভা ছিল। 

কার্যত অর্পিতা তৃনমূলের কেউ নয়, তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের দাবি মিথ্যা প্রমানিত হল। রবিবার রাতে সজল ঘোষ তাঁর ফেসবুক একাউন্টে এই ছবি প্রথম প্রকাশ্যে এনেছেন। তারপরই সোরগোল পড়ে যায়। 

রাতেই একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে বিজেপি কাউন্সিলর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে অর্পিতার বসে থাকা ছবি দেখে অস্বীকার করেছেন। এবার নির্বাচনী সভার ছবি দেখে কি বলবেন কুনালবাবু? উনি যখন তৃণমূলের কেউ নয়, তাহলে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে ওনাকে ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ?

 একেতো প্রায় বাইশ কোটি টাকা ও প্রচুর সোনা, বৈদেশিক মুদ্রা সমেত ইডির হাতে পাকড়াও হয়ে জেরবার পার্থ সঙ্গী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তারওপর তৃণমূল যোগের ছবি একের পর এক বেরিয়ে আসায় অসস্তিতে তৃণমূলও।

Friday, July 22, 2022

ইডি আতঙ্ক ব্যারাকপুরের তিন বিধানসভায়ও

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এবার ইডি আতঙ্ক ব্যারাকপুরেও। শিল্পাঞ্চলের তিনটি বিধানসভায় যেকোনো মুহূর্তে হানা দিতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে কলকাতা সহ ১৩ টি জায়গায় ইডির তল্লাশি। 

মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়ি, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেখলিগঞ্জের বাড়ি সহ প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যানময় গাঙ্গুলী এবং এস এস সি'র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়িতেও জোরদার তল্লাশিতে ইডি। একই সঙ্গে বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মন্ডলের বাড়িতেও পৌঁছে যায় আর্থিক লেনদেন তদন্তকারী অফিসারেরা। 

স্কুল শিক্ষক চাকরির নিয়োগে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই তেড়েফুঁড়ে অভিযানে নেমেছে ইডি। আগেই সিবিআই এই মামলায় তদন্তে নেমেছে। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে হাইকোর্টে।

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে তৎকালীন তিন বিধায়কের সুপারিশপত্র আদালতে জমা পড়েছে। যা প্রকাশ্যে এসেছে। এই তিন জনের মধ্যে বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের তালিকাও রয়েছে৷ পাশাপাশি ইডির স্ক্যানারে ভাটপাড়ার এক শিক্ষক নেতা এবং নৈহাটির এক স্কুল ব্যাবসায়ীও রয়েছেন।

Thursday, July 21, 2022

ব্যারাকপুরে অর্জুন অনুগামীরা পুরনো মেজাজে ধর্মতলামুখী


 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ব্যারাকপুরে অর্জুন সিং দলে ফিরতেই বহু দুর্দিনের পুরনো তৃনমূল কর্মীরা এবার একুশে জুলাই স্মরনে কলকাতামুখী হয়েছেন৷ এরা ২০১৯ এ অর্জুনের সঙ্গে দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। লড়াই দিয়ে তাঁদের প্রিয় নেতাকে সংসদে পাঠিয়েছিলেন। 

যদিও একুশে জুলাই দিনটি তাদের অনেকের কাছে অন্য এক অভিঞ্জতা। ১৯৯৩ সালে এই দিনটিতে আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুব কংগ্রেসের ব্যানারে। সেই সময় অর্জুন সিংও তাঁর সঙ্গী ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে তৃনমূল দল গঠন থেকে ব্যারাকপুরে একমাত্র তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন অর্জুন। 

এই শিল্পাঞ্চলে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াকু মুখগুলোকে  ব্যারাকপুরের সাংসদ এক বাক্যে চেনেন। শুধু চেনেন না তাদের পাশে আজও রয়েছেন। আর কর্মী দরদী বলেই অর্জুন প্রকৃত তৃনমূল কর্মীদের কাছের মানুষ। ব্যারাকপুরের এক নেতার ঔদ্ধত্যের কারনেই অর্জুন সিং দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বলে পুরনো কর্মীরা বরাবরই বলে এসেছেন। কার্যত এবারে একুশে জুলাই সাংসদ অনুগামীদের কাছে পুরনো অভিজ্ঞতা। 

বীজপুর থেকে টিটাগড় এরকম বহু কর্মী যারা অর্জুনের হাত ধরে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁরা আজ ধর্মতলামুখী হলেন। দীর্ঘ তালিকায় না গিয়ে উল্লেখ করতে হয় হালিশহরের প্রাক্তন কাউন্সিলর বন্ধুগোপাল সাহা, বিজেপির যুবমোর্চার নৈহাটির সুকুমার চৌধুরী (সূর্য) ও বিকাশ সিং এর নাম।