নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ২'রা মে দিনটি বিজেপির কাছে কালো দিন। ভোট পরবর্তী হিংসার এক বছর পূর্ণ হল। সেদিন একুশের বিধানসভার ফলাফল প্রকাশ হতেই রাজ্য জুড়ে খুন, মারধর, বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুরের মতো অজস্র ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল।
শিহরন জাগানো দুটি ঘটনার মধ্যে পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটা কাঁদাপাড়ার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন। অপরটি উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানার শ্যামনগরে রাহুতা এলাকার বৃদ্ধা শোভারানী মন্ডলের মৃত্যু। দুটি ঘটনায় তদন্ত সিবিআই'র হাতে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও ঘটনা সরেজমিনে তদন্ত করেছিল।
বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, হিংসার বড় বড় ঘটনা গোটা দেশের মানুষ দেখেছে। কিন্তু গ্রাম বাংলার অজস্র ছোট ছোট ঘটনা যা স্থানীয় স্তরের কর্মীরা জীবন, জীবিকা, পরিবার হারানোর ভয়ে চোখ বুজে সহ্য করেছে।
এদিন কলকাতার রাজপথে মিছিলে যোগ দিয়ে নৈহাটির বেশ কিছু বিজেপি কর্মী তাঁদের এক সহকর্মী সন্তু মন্ডলকে হারানোর কথা শোনালেন। নৈহাটির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বেনেপুকুর পাড় এলাকায় তার বাড়িতে চড়াও হয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সন্তুকে বেধড়ক মেরেছিল। পরদিন কল্যানীর জহর লাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে সে মারা যায়।
বঙ্কিম, হরপ্রসাদ, কেশব সেন, সমরেশ বসুর শহরে বাম জমানায় এই হিংসার ছবি কারো চোখে পড়েনি এমটাই মত স্থানীয়দের।
এই এক বছরে বিরোধী শূন্য নৈহাটি। বিজেপি করা চলবে না। শাসানি, চোখ রাঙানি জারি আছে বলে অভিযোগ কর্মীদের। এতটাই রাগ ছিল যে এই শহরের পাওয়ার হাউস মোড়, গোয়ালা ফটক, গরিফা রাম ঘাট চৌমাথার কাছে এবং গরুরফাড়িতে বিজেপির চারটি দলীয় কার্যালয় জেসিবি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment