রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন মনের জোর বাড়িয়ে দিলেন কৃষক ভাই কবুলের
-------------------------------------------
নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ
উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর ব্লক-১ এর অধীনস্ত পানপুর-কেউটিয়া পঞ্চায়েতের শংকরপুর গ্রামের কৃষক পরিবারের যুবক কবুল মন্ডল। পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক কৃষিকার্যে বাবার সাথে হাতে-খড়ি কবুলের। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর পেশা হিসেবে চাষবাসকেই বেছে নিয়েছেন কবুল। ছোটবেলা থেকে ছটফটে হলেও, অত্যন্ত মেধাবী কবুলের বাণিজ্যিক কৃষি কার্যের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো রপ্ত করতে তেমন অসুবিধা হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই পারিবারিক পাঁচ বিঘা জমিতে যেন সোনার ফসল ফলালেন। পাশাপাশি তিনি এলাকায় একজন দক্ষ কৃষক হিসেবেও পরিচিতি লাভ করলেন।
কিন্তু গত বছর পাঁচ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করার পর ফসলে পোকা লেগে ফুলকপি নষ্ট হতে শুরু করল। স্থানীয় দোকান থেকে ওষুধ কিনে প্রয়োগ করলেও ফল মেলেনি। কাজে লাগেনি। একজন স্থানীয় কৃষক বন্ধু কবুলকে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের একটি ভার্চুয়াল প্রশিক্ষনের কথা বলেন। সুযোগ হাতছাড়া করেনি কবুল। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি রাজা মোল্লার সাহায্যে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন এবং অশোকনগর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিশেষজ্ঞ সোমা গিরি সমস্ত ঘটনা শুনে কবুলকে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দিলেন। সেইমতো কবুল ভাই ফুলকপির জমিতে ওষুধ দেন এবং ১০ দিনের মধ্যেই ফুলকপির পোকা নির্মূল হয়ে যায়। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের তথ্য পরিষেবার মাধ্যমে কবুল বিগত মরসুমে প্রায় ৫৫ হাজার টাকার ফসল রক্ষা করেন। কবুল ভাইয়ের কথায়, একজন সফল কৃষক হিসেবে যে আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, রিলায়েন্স ফাউডেশনের সাহায্যে সেই আত্মবিশ্বাস আবার ফিরে পেলাম। কৃষক ভাই কবুল এর মতো গ্রাম বাংলার হাজার হাজার কৃষককে কৃষি তথ্য পরিষেবা দিয়ে গ্রাম বাংলার কৃষি অর্থনীতি সুদৃঢ় করার লক্ষে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আজ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
No comments:
Post a Comment