বিল্টু কাশ্যপঃ রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে জেরা করতেই উঠে আসে রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা ২০ ঘন্টারও বেশি ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার ভোর রাতের দিকে বনমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে ইডি। সূত্র বলছে, বাকিবুর রহমান ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারে ইডি।
কিন্তু কে এই বাকিবুর রহমান ? সূত্র বলছে, ১৯৬৫ সালে যখন রেশন বন্টন ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে সিরাজ নামে জনৈক এক ব্যক্তি বন্টনের পরিবহনের দ্বায়িত্ব নিয়েছিলেন। সিরাজই তাঁর নিজের ভাগ্নে বাকিবুরকে ২০০৪ সালে খাদ্য দপ্তরের পরিবহনের কাজে লাগান।
কিন্তু সূত্র বলছে, ২০১৬ সাল থেকে আচমকা বাকিবুরের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠতে শুরু করে। একাধিক চালকল, আটাকল ছাড়াও হোটেল, শপিংমল, নার্সিংহোম-সহ নানান ব্যবসায় বিস্তার পেতে থাকে।
এদিকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অভিজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইডি একটি মেরুন ডায়েরি উদ্ধার করেছে। সেই ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল কাকে, কবে, কত টাকা দেওয়া হয়েছিল।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, বাকিবুরের সূত্র ধরে ইডির নজরে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে এক আটামিলের মালিকও। বছর তিনেক আগে উক্ত ব্যবসায়ী শাসকদলের নিজ ওয়ার্ডে দলীয় সভাপতির পদও পেয়েছেন।
সূত্র বলছে, এফ সি আই থেকে গম এনে তাঁর মিলে আটা পেষাইয়ের বরাতও রয়েছে। ওই ব্যবসায়ীও এক মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ। স্থানীয় উৎসব থেকে শুরু করে মেলা-খেলায় ওই ব্যবসায়ী টাকার যোগান দেন বলে সূত্রের খবর।
মেরুন ডায়েরি কিংবা বাকিবুরের সূত্র ধরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক চালকল কিংবা আটাকলের মালিক অথবা প্রভাবশালীরা এখন ইডির নজরে।
তবে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার পর ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে এক আটামিলের মালিক-সহ অনেকের থরহরিকম্প শুরু করে গিয়েছে। মেরুন ডায়েরির পাতায় কাদের নাম নথিভুক্ত রয়েছে, তা জানতে উদগ্রীব শিল্পাঞ্চল-সহ বঙ্গবাসী।
No comments:
Post a Comment