বিল্টু কাশ্যপঃ রাত পোলাহেই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল গণনা। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের ঘুম কেড়েছে গোজ প্রার্থীরাই। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর-১ কিংবা ব্যারাকপুর-২ ব্লক-সহ রাজ্যের সর্বত্রই একই চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করেছে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল এবং বিরোধীরা। সংঘর্ষে মৃত্যুর সমীক্ষায় এগিয়ে সেই তৃণমূলই। রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, বামজমানার শেষের দিকের চিত্র স্পষ্ট ফুটে উঠেছে '২৩ সালের ঘাসফুল জমানায়।
বামআমলের শেষের দিকে সিপিএমের কমিটেড ভোটার-রা নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এলাকার নেতা-কর্মীদের বিশ্বাস করতে না পেরে বহিরাগতদের দিয়ে ভোট লুঠ হয়েছিল।
এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একই চিত্র ধরা পড়েছে। সূত্র বলছে, কাউগাছি-১ কিংবা কাউগাছি-২ পঞ্চায়েত ছাড়াও পানপুর-কেউটিয়া, মোহনপুর, জেঠিয়া, কাঁপা-চাকলা, বিলকান্দা-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আদি তৃণমূলীদের কোণঠাসা করে পুর এলাকার নেতা কর্মীদের দিয়ে দেদার ছাপ্পা ভোট চালিয়েছে শাসকদল।
যেসকল বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল সেখানে চার-পাঁচজন করে ঢুকিয়ে ছাপ্পা ভোট মেরেছে তৃণমূলীরা। যেখানে সিভিক কিংবা পুলিশ ছিল সেখানে নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে ভোট লুঠ করেছে।
যদিও শাসকদলের ভোট মেশিনারি নেতাদের দাবি, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে। মানুষ নিজের ভোট নিজেই দিয়েছে। যদিও যেখানে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল ও বিরোধীরা তলে তলে একজোট হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছে সেখানেই গন্ডগোল হয়েছে।
বুথ দখল কিংবা ছাপ্পা ভোটের ফল ভুগতে হবে সামনের লোকসভা নির্বাচনে। এমনটাও শোনাযাচ্ছে শাসকদলের একাংশের কন্ঠে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। পুলিশকে সরিয়ে সম্পুর্ন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন যদি আট কিংবা দশ দফায় হয় তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে উন্নয়নের এই জয় শাসকদল আদৌ ধরে রাখতে পারবে কি, তা নিয়েই দলের অন্দরে সংশয় দেখা দিয়েছে। ব্যারাকপুর-১ ও ২ ব্লকে শাসকদলের মার্জিন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। সেটাই এখন দেখার।
No comments:
Post a Comment