Thursday, June 8, 2023

প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমানের সময়েই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হালিশহরের ১১ কাউন্সিলর

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বুধবার ১১ ঘন্টা ধরে হালিশহর পুরসভায় তল্লাশি চালালো সিবিআই। যাওয়ার সময় কিছু নথি তারা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে। এই দীর্ঘ তল্লাশিতে কি উঠে আসবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। 

কিন্তু অয়ন শীল যোগ সূত্রে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসার অনেক আগেই হালিশহর পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৎকালীন দলের সিংহভাগ কাউন্সিলররা। রীতিমতো এই বিষয়ে তারা হাইকোর্টে মামলাও করেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে সেই মামলাটি যায়। 

২০১৯-র ১৬ ই সেপ্টেম্বর হালিশহর পুরসভার ১১ জন কাউন্সিলর প্রথম পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। সে সময় পুরপ্রধান ছিলেন অংশুমান রায়। 

বোর্ড মিটিংয়ের কার্যবিবরনীতে লিপিবদ্ধ করতে ওই এগারো কাউন্সিলর একটি চিঠি দেন। সেই চিঠিতে উল্লেখ থাকে, "পুরপ্রধানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বরূপ গাঙ্গুলী ইন্টারভিউ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ওই ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন। কোনো ব্যক্তির আত্মীয় চাকরি পরীক্ষায় সফল হয়ে ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পেতেই পারে। কিন্তু বোর্ডের কাছে আমাদের প্রশ্ন, পুরপ্রধান কি তার ইন্টারভিউ নিতে পারেন? এই পক্রিয়াটি আইনের চোখে সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অনৈতিক। স্বরূপ গাঙ্গুলীর নিয়োগ বাতিল করা হোক।"

চিঠিতে দাবি করা হয়, একাধিক প্রার্থীর বয়সের উর্ধ্বসীমা অতিক্রম হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ক্লাস এইট পাশের জাল সার্টিফিকেট জমা করে বয়স কমিয়ে চাকরি পরীক্ষায় বসেছেন এবং নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন। শেষে তারা পুরপ্রধানের কাছে জানতে চান ডি এল বি-র অনুমোদন আছে কী? যদি থাকে চিঠির প্রতিলিপি পেশ করা হোক। 

এই নিয়োগ নিয়ে এক কাউন্সিলর ডি এল বি এর কাছে চিঠিও দেন। চিঠিতে পদের উল্লেখ করে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের বিষয়টি দেখতে বলেন।

পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ এনে ওই চিঠিতে যে ১১ কাউন্সিলর স্বাক্ষর করেছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বন্ধু গোপাল সাহা, মহাদেব বিশ্বাস, সুজাতা বিশ্বাস, তপন কুমার দত্ত(ভাইদা), অশোক কুমার যাদব এবং দেবাশীষ দত্ত।

No comments:

Post a Comment