Wednesday, November 2, 2022

পাল্টিবাজি নয়, 'খবর যুগান্তর' আছে যুগান্তরেই

বিল্টু কাশ্যপঃ ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে সাধারণত রাজনৈতিক নেতাদের পাল্টি খেতে দেখা যায়। কিন্তু ডিজিটাল মাধ্যম রাতারাতি পাল্টি খায়, এটাও এখন দেখতে হচ্ছে শিল্পাঞ্চলবাসীকে। আর এই পাল্টিবাজির জেরে 'ভিউয়ার্স'(দর্শক বা পাঠক) রা হতচকিত হয়ে পড়ছেন। 

২০১৯ সালের মে মাসের পর একশ্রেণীর নেতারা যুগান্তরের মাথায় তকমা লাগিয়ে দিয়েছিলেন, 'যুগান্তর' নাকি শিল্পাঞ্চলের বাহুবলী নেতার পেটোয়া ডিজিটাল মাধ্যম। তবুও যুগান্তর সাহসের সঙ্গে নিজের স্ট্যান্ড বজায় রেখে চলেছে। একমাত্র 'যুগান্তর' সাদাকে সাদা, আর কালোকে কালো বলতে পিছুপা হয়না। কারন, যুগান্তরের সাংবাদিকরা ২৩-২৪ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় পরোটা বেলছেন। রাতারাতি বুম-ক্যামেরা নিয়ে হ্যালির ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব হয়নি। 

কাঁচড়াপাড়া, হালিশহর,  নৈহাটি ও কাঁকিনাড়া অঞ্চলে গুমটি দোকানের মতোই গজিয়ে উঠেছে ডিজিটাল মাধ্যমের দোকান। প্রেসের সুবিধা নেওয়ার জন্য আনকোরা কিছু মানুষজন বুম বানিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন। ডিজিটাল মাধ্যমের দৌরাত্ম্য এমন জায়গায় পৌছছে, পেশা-নেশার সঙ্গে সাংবাদিকতার পেশায় আসা প্রকৃত 'রিপোর্টার'রা ক্রমশ অন্তরালে চলে যাচ্ছেন। তাই টৈলিভিশন কিংবা দৈনিক পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকদের চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। 

এবার আসা যাক, কিছু ডিজিটাল মাধ্যমের তাবেদারি নিয়ে। অভিযোগ উঠছে, ধূমকেতুর মতো গজিয়ে ওঠা কিছু ডিজিটাল মিডিয়া বুম-মোবাইল নিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পিছনে ছুটে বেড়াচ্ছেন। রক্তদান শিবির কিংবা স্বাস্থ্য শিবির অথবা কারও শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে হাজির নেতাদের দৃশ্য লাইভ আকারে পরিবেশন করছেন। এরা কি সাংবাদিকতার অ-আ, ক-খ বোঝেন, তা নিয়েই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে। পিছনে টিপ্পনি শুনতে হচ্ছে পেশাকে টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের। 

সম্প্রতি বীজপুরের একটি ডিজিটাল মাধ্যমের পাল্টি নিয়ে হৈ হুল্লোর শুরু হয়ে গিয়েছে অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমের প্রতিনিধিদের মধ্যে। এটা ঠিক, সকলের পক্ষে মেরুদন্ড সোজা রাখা এত সহজ নয়। একমাত্র 'যুগান্তর'ই পারে মেরুদন্ড শক্ত রেখে স্ট্যান্ড বজায় রাখতে। 

অভিযোগ উঠছে, নেতাদের নির্দেশ মতো বুম নিয়ে ছুটে বেড়িয়ে নিজেদের স্ট্যান্ড হারিয়ে ফেলছেন একশ্রেণীর ডিজিটাল মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। কিন্তু 'খবর যুগান্তর' নিজেদের স্ট্যান্ড বজায় রেখে এগিয়ে চলেছে। কারও লেজুর ধরে নয়। বিজ্ঞাপন আদায়ে কারও কাছে মাথানত করতে রাজি নয় 'খবর যুগান্তর'। 

লক্ষ্য, মানুষের সমস্যা তুলে ধরা। শাসককে চাপে রেখে অন্যায় জনসমক্ষে প্রকাশ করা। এতে কারও চক্ষুশূল হলেও,পরোয়া করে না 'খবর যুগান্তর'। সংবাদ পরিবেশন দেখে আপনারাই বিচার করুন, 'খবর যুগান্তর' কারও পেটোয়া কিনা ?

No comments:

Post a Comment