চিত্ত ওঝাঃ শিয়রে পুরভোট। সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে পর্যদুস্ত হয়ে বিজেপি ছন্নছাড়া। সিপিএম শূন্য হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কাজেই পুরভোট ঘিরে তাপ উত্তাপ সবটাই এখন তৃনমূল শিবিরে।
রাজনীতির চালু কথায় ব্যারাকপুর লোকসভা বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গড়। কিন্তু এই কেন্দ্রের সবকটি পুরসভা তৃনমূলের দখলে। ২০১৯ এ যতগুলো কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা একে একে প্রায় সবাই আবার তৃনমূলে ফিরে গিয়েছে। হাতে গোনা নামমাত্র দু-চারজন কাউন্সিলর এখনো অর্জুন সঙ্গী হয়ে রয়েছেন।
অর্জুন সিং সাংসদ পদে জেতার পর যে চারটি পুরসভা রাতারাতি গেরুয়া বনে গিয়েছিল তার মধ্যে একটি নৈহাটি পৌরসভা। ১৬ জন কাউন্সিলর দিল্লী উড়ে গিয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন সিআইসি সুপ্রবীর চৌধুরী, রাজেন্দ্র গুপ্তা ও রতন নন্দী ছিলেন। যদিও পরবর্তীতে এদেরকে ফিরিয়ে নেয় তৃনমূল। বিধানসভার পর আরো এক কাউন্সিলর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রমেশ হালদারও ঘাড় নিচু করে পদ্ম ছেড়ে জোড়া ফুলের বাগানে গিয়ে বসে পড়েন।
জানা যায়, ৩১ ওয়ার্ডের নৈহাটি পুর এলাকায় এদের গ্রহণ যোগ্যতা এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। দলের অন্দরে বিশেষ করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এরকম বেশ কিছু কাউন্সিলর বহু কর্মীর চক্ষুশূল। যদিও বিধানসভা নির্বাচনে ওই অংশের কাউন্সিলর ও তাঁদের অনুগামীদের দূরে রেখে দেওয়া হয়েছিল। তার ফল স্বরুপ ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে একঝাঁক তরুণ নেতৃত্ব জায়গা করে নেয়। তারাই দুয়ারে সরকারের পরিষেবা থেকে ভ্যাকসিন প্রদানে এলাকার মানুষকে সহযোগিতা করেছে।
পুরসভায় দুটি মেয়াদের পর এবারই নৈহাটি শহর তৃণমূলের সভাপতির বদল ঘটেছে। নতুন সভাপতি সনৎ দে। পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তর সামলাচ্ছেন। দলের দুর্দিনের সৈনিক। পুরনো মুখদের চেনেন। লাল তৃনমূলীদেরও জানেন।
কার্যত এবার পুরসভায় প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিধায়ক-সভাপতির জুটিকে উচ্চ নেতৃত্ব কতটা চমক দেবে সেদিকে তাকিয়ে নৈহাটির প্রকৃত তৃনমূল কর্মীরা।
No comments:
Post a Comment