নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুরঃ নোয়াপাড়া থানার গারুলিয়ার রত্নেশ্বর ঘাট রোড এলাকায় রবিবার রাতে প্রাক্তন প্রেমিকার পরিবারের হাতে আক্রান্ত যুবকের ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো। আক্রান্ত যুবক দেবরাজ সরকার আশঙ্কাজনক অবস্থায় কল্যাণীর জে এন এম হাসপাতালে ভর্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গারুলিয়া ডানবার কটন মিল লাইনের বাসিন্দা দেবরাজ সরকারের সঙ্গে প্রতিবেশী এক কিশোরীর গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৮ সালের লক্ষীপুজোর দিন দেবরাজ ও তাঁর প্রেমিকা পালিয়ে গিয়েছিল। মেয়ের পরিবারের চাপে দুজনকে ফিরিয়ে এনে বিচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিশোরীর পরিবার থেকে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বাধ্য হয়ে দেবরাজকে তাঁর মামার কাছে গুজরাটে কাজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাসিন্দারা জানান, ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেবরাজ গারুলিয়ায় ফিরে এসে শ্যামনগর বাজারে একটি মুদির দোকানে কাজে যোগ দিয়েছিল। রবিবার রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিল দেবরাজ। অভিযোগ, রত্নেশ্বর ঘাট রোডে তাঁর পথ আটকে মারধোর করে প্রাক্তন প্রেমিকার পরিবারের লোকজন এবং পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে অভিযুক্ত রাজীব আনসারিকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সেই সুযোগে বাকি অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত দেবরাজকে উদ্ধার করে কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা রাতেই
অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
অভিযোগ উঠেছে, দেবরাজকে মারধোরের ঘটনায় যুক্ত জামসেদ আনসারি, পচা রাম, জিৎ পন্ডিত, রাজীব আনসারি ও সনু। এরা প্রত্যেকেই তৃনমূল আশ্রিত। এদিকে সোমবার সকালে এলাকা ছেড়ে পালানোর সময় গারুলিয়ার পিনকল মোড়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে যায় পচা ও জামসেদ। ডানবার কটন মিল লাইনে এনে দুজনকে তুলে এনে গণধোলাই দেয় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। নোয়াপাড়া থানার পুলিশ এসে তপ্ত পরিস্থিতির সামাল দেয় এবং লাঠিচার্জ করে ক্ষিপ্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে অভিযোগ। দুই অভিযুক্তকে পুলিশ ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অভিযুক্তদের মারধোরের ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে। এখনও উত্তেজনা রয়েছে ডানবার কটন মিল লাইনে।
No comments:
Post a Comment