Wednesday, January 20, 2021

অর্জুন গড়ে বিজেপির গরম চায়ে মুখরোচক বাবুসোনা, টুম্পাসোনা, টিকাসোনা

 চিত্ত ওঝাঃ বাম রাজনীতির শেষ দশকের গুনবলীগুলো বহু আগেই রাজ্যে জাকিয়ে বসেছে। সেই সঙ্গে কিছু কিছু বিষয়ে বামেদেরও টেক্কা দিতে পেরছে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস। এমনটাই মত বিরোধী সহ সুচিন্তিত মানুষদের। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এর ব্যাতিক্রম নয়। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের শুরু থেকে এযাবৎ পর্যন্ত রাজনৈতিক হিংসার তালিকায় শীর্ষে ব্যারাকপুর। টিটাগড় থানার সামনে বিজেপি নেতা আইনজীবী মনীশ শুক্লাকে গুলি করে হত্যা, তারপরই হালিসহরে বিজেপি কার্যকর্তা তরতাজা সৈকত ভাওয়ালকে দিনের আলোয় রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে খুন বাম জমানাকেও হার মানিয়েছে। বীজপুর থেকে ব্যারাকপুরে প্রতিরাতে কোথাও না কোথাও বোমাবাজি, গুলি, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেই চলেছে। যদিও নাগাড়ে এসব দেখতে দেখতে শিল্পাঞ্চলের মানুষের গা সওয়া হয়ে গেছে।
এই তল্লাটে রাজনীতি এখন করে কম্মে খাওয়াদের দখলে। বামেদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বহু মুখ অসন্মানিত হতে হতে বসে গেছে। ক্ষমতার বলয়ে যারা রয়েছেন তাদের জীবন-যাপন আর সম্পত্তির বহর মাত্র এই ক'বছরে বাম ইতিহাস মুছে দিয়েছে। যদিও তৃনমূলের দুই কান্ডারী মুকুল রায় ও অর্জুন সিং বিজেপিতে যাওয়ার পরই সিংহভাগ মুখ এখন পদ্ম শিবিরে। তাঁরা পুষে রাখা অপমানের জ্বালা মেটাতে দিন গুনছিল। কার্যত '১৯ শের ভোটে অর্জুন সিংকে জিতিয়ে কিছুটা ক্ষোভ মিটিয়ে নিল‌। শিল্পাঞ্চলে দুর্দিনের অর্জুন ঘনিষ্ঠরা একবাক্যে বলেন, লড়াকু অর্জুনের ভয়ে তৃনমূল এখানে ছন্নছাড়া। কে ওদের নেতা, কে অভিনেতা করে কম্মে খাওয়া কর্মীরা বুঝে উঠতে পারছে না। তারওপর পুলিশ ঘেরা দু-চার পিস নেতা নামিয়ে মানুষের চোখে সার্কাসের জোকার বানিয়ে তুলল। ইদানিং মুকুল পুত্র বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় চায়ে পে চর্চা'য় তৃনমূলের ওই দুই নেতাকে ভালোবেসে তাই ডাকেন বাবুসোনা ও টুম্পাসোনা। কিন্তু শুভ্রাংশুকে ছাপিয়ে গিয়ে ব্যারাকপুর জুড়ে বিজেপি কর্মীরা আরো একজনের নাম দিয়েছেন 'টিকাসোনা'। কেননা তিনি আগে ভাগেই করোনা টিকা নিয়ে ফেলেছেন। লোভ ছাড়তে পারেননি।

No comments:

Post a Comment