নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ২০২৬ সালে বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। একাধিক ইস্যুতে ময়দানে বাম-কংগ্রেসও।
বঙ্গের গেরুয়া শিবির বারবার বলছে, অস্তিত্ব বাঁচাতে এটাই সনাতনীদের শেষ ভোট। যদিও শাসকদলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বিজেপির আসন সংখ্যা ৫০ আসনের নিচে নেমে আসবে।
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন হতে এখন আট-নয় মাস বাকি আছে। তবুও নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক তরজা এখন থেকেই তুঙ্গে। সূত্র বলছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নতুন একটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন থেকে ইতিমধ্যেই দলের ছাড়পত্র মিলেছে।
সম্ভবত বঙ্গে জুলাই মাসে অনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নতুন রাজনৈতিক দল 'ন্যাশনালিস্ট কনজারভেটিভ পার্টি' । বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, কয়েকদিন আগেই নতুন দল 'ন্যাশনালিস্ট কনজারভেটিভ পার্টির' প্রথম সারির নেতারা দিল্লিতে বৈঠকও করেছেন। বাংলায় রাজনৈতিক 'স্ট্যাটিজি' নিয়ে তাঁরা শলা-পরামর্শ সেরেও নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেস চাকরি চুরি থেকে শুরু করে কয়লা, বালি চুরি, গরু পাচার-সহ একাধিক ইস্যুতে বিদ্ধ। তাছাড়া আর জি কর কান্ড এবং সম্প্রতি কসবায় আইন কলেজে গণধর্ষণ কান্ডে বেকায়দায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, দুর্নীতি-সহ একাধিক ইস্যুতে জোরকদমে শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় নতুন দল 'ন্যাশনালিস্ট কনভারভেটিভ পার্টি'। তৃণমূলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখেই তাঁরা বাংলায় লড়াই করতে চায়।
ন্যাশনালিস্ট কনজারভেটিভ পার্টি আত্মপ্রকাশ করতেই নাকি শাসকদল থেকে হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা ওই নতুন দলে যোগ দেবেন। তাছাড়া বাম-কংগ্রেস থেকেও অনেকে যোগ দেবেন এই 'ন্যাশনালিস্ট কনজারভেটিভ পার্টি'তে।
বাংলায় মানুষের মন জয়ে কি কি করনীয়, তা-ও ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছেন নতুন দলের নেতারা । তবে গেরুয়া শিবিরের মতো এঁরা কি শুধু হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলবে, নাকি ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রেখে চলবে, তা অবশ্য সময় বলবে।