Sunday, June 29, 2025

বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে নতুন দল!

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ২০২৬ সালে বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। একাধিক ইস্যুতে ময়দানে বাম-কংগ্রেসও। 

বঙ্গের গেরুয়া শিবির বারবার বলছে, অস্তিত্ব বাঁচাতে এটাই সনাতনীদের শেষ ভোট। যদিও শাসকদলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বিজেপির আসন সংখ্যা ৫০ আসনের নিচে নেমে আসবে। 

 বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন হতে এখন আট-নয় মাস বাকি আছে। তবুও নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক তরজা এখন থেকেই তুঙ্গে। সূত্র বলছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নতুন একটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন থেকে ইতিমধ্যেই দলের ছাড়পত্র মিলেছে। 

সম্ভবত বঙ্গে জুলাই মাসে অনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নতুন রাজনৈতিক দল 'ন্যাশনালিস্ট কনজারভেটিভ পার্টি' । বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, কয়েকদিন আগেই নতুন দল 'ন্যাশনালিস্ট কনজারভেটিভ পার্টির' প্রথম সারির নেতারা দিল্লিতে বৈঠকও করেছেন। বাংলায় রাজনৈতিক 'স্ট্যাটিজি' নিয়ে তাঁরা শলা-পরামর্শ সেরেও নিয়েছেন। 
প্রসঙ্গত, ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেস চাকরি চুরি থেকে শুরু করে কয়লা, বালি চুরি, গরু পাচার-সহ একাধিক ইস্যুতে বিদ্ধ। তাছাড়া আর জি কর কান্ড এবং সম্প্রতি কসবায় আইন কলেজে গণধর্ষণ কান্ডে বেকায়দায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। 

সূত্রের খবর, দুর্নীতি-সহ একাধিক ইস্যুতে জোরকদমে শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় নতুন দল 'ন্যাশনালিস্ট কনভারভেটিভ পার্টি'। তৃণমূলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখেই তাঁরা বাংলায় লড়াই করতে চায়। 

ন্যাশনালিস্ট কনজারভেটিভ পার্টি আত্মপ্রকাশ করতেই নাকি শাসকদল থেকে হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা ওই নতুন দলে যোগ দেবেন। তাছাড়া বাম-কংগ্রেস থেকেও অনেকে যোগ দেবেন এই 'ন্যাশনালিস্ট কনজারভেটিভ পার্টি'তে। 

বাংলায় মানুষের মন জয়ে কি কি করনীয়, তা-ও ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছেন নতুন  দলের নেতারা । তবে গেরুয়া শিবিরের মতো এঁরা কি শুধু হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলবে, নাকি ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রেখে চলবে, তা অবশ্য সময় বলবে।

Tuesday, April 29, 2025

ব্যারকপুর জুড়ে বিজেপি ছন্নছাড়া!

চিত্ত ওঝাঃ ব্যারাকপুরে বিজেপিকে হাস্যকর জায়গায় নামিয়ে এনেছে বেশ কিছু হিন্দুত্ববাদি সংগঠন। সঙ্গে বেশ কিছু পুরনো বিজেপি কর্তা। দাবি দলের একাংশের। তৃণমূলের সাথে তাদের  বোঝাপড়া এখন আর গোপন থাকছে না।

গত ২১ এপ্রিল শ্যামনগরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। হাজির ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি অশোক দাস। 

বিধায়ক যখন বক্তব্য রাখছিলেন বিজেপি নেতা তখন নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ক্যামেরায় মোছা গেলোনা। সূত্রের দাবি ওই বিজেপি নেতা আবার প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের চরম বিরোধী। 

এরকম ব্যারাকপুর জেলা বিজেপিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ নেতার সংখ্যা নাকি একডজন। তাদের মদত জোগায় সংঘ ও বিভিন্ন নামধারী হিন্দু সংগঠনের কতিপয় কর্তা ব্যক্তিরা। 

সূত্র জানাচ্ছে, এদের প্রত্যেকের নেতা হওয়ার বাসনা। এই জেলার এক সংঘ নেতা চব্বিশের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। তিনি এত বড় মাপের সংগঠক তার একটা নমুনা বিজেপির এক সাধারণ কর্মী শোনোলেন। 

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই সংঘ সংগঠকের বাড়ির উল্টোদিকে স্কুলের মধ্যে দেদার ছাপ্পা চলছে। এক মহিলা বিজেপি প্রার্থী বেলা তিনটে পর্যন্ত বুথে লড়াই চালিয়ে গেলেন। 

এরপর ওই মহিলাকে ঘিরে অকথ্য গালিগালাজ শুরু করে তৃণমূলের ঠ্যাঙারে বাহিনী। তখন বিজেপির আরে এক পুরুষ প্রার্থী ওই সংগঠককে ফোনে পরিস্থিতির কথা জানিয়ে মহিলা প্রার্থীকে বের করে নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে তিনি নাকি বলেছিলেন আমার বাড়ির গেট ঘিরে এক-দেড়শো ছেলে। আমি নিচে নামতে পারছি না। 

এরকম অজস্র ঘটনা ব্যারকপুর লোকসভার কোনায় কোনায়। জীবন বাজি রেখে বুথে বসা অজস্র বিজেপি কর্মীর আর্তনাদ, যাদের পাড়াঘরে দুজন লোক নেই তাদের পরামর্শেই দলটা কাগজে কলমে বন্দী থেকে গেল।

Wednesday, September 11, 2024

নৈহাটীতে প্রতিবাদ মিছিলে থাকবেন শুভেন্দু-অর্জুন


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নৈহাটীতে আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর জি কর কান্ডে নাগরিক আন্দোলনের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি একটি প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেবেন। 

ব্যারাকপুর জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার এই প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। নৈহাটীর অরবিন্দ রোড থেকে রামকৃষ্ণ মোড় হয়ে গৌরীপুর চৌমাথায় গিয়ে মিছিল শেষ হবে। 

প্রসঙ্গত গত ৯ ই সেপ্টেম্বর নৈহাটী শহর ও তার পাশ্ববর্তী এলাকার দশটি স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা আর জি করে নির্যাতিতার বিচার  চেয়ে পথে নেমেছিল। সেখানে নৈহাটীর ভূমিপূত্র গায়ক রাঘব চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক, শিক্ষক ছিলেন। 

প্রতিবাদ মিছিল রামকৃষ্ণ মোড়ের কাছে আসতেই হামলার ঘটনা ঘটে দাবি আক্রান্ত চিকিৎসক, শিক্ষক থেকে সাধরণের। 

দিনহাটা, বারাসতের পর নৈহাটীতে প্রতিবাদীদের মারধর। ঘটনার নিন্দা জানাতে নৈহাটীতে হাজির হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। থাকবেন অর্জুন সিং সহ বিজেপি নেতৃত্ব।

Tuesday, March 5, 2024

"ব্যারাকপুরে ও মন্ত্রী মশাই ষড়যন্ত্রী মশাই থেমে থাক"

 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কিছুদিন যাবৎ ব্যারাকপুরের আকাশে রাজনীতির কালো মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। গর্জন-তর্জন কখনো ঝিরি ঝিরি কখনো আবার এক পশলা বৃষ্টির ন্যায় ঝড়ে পড়ছে। আক্ষেপ আর আক্ষেপ এক নেতা কেন দলে এলেন! 

কে সেই নেতা, সাংসদ অর্জুন সিং। সাম্রাজ্য ডুববে না থাকবে সেই ভয় গ্রাস করেছে সাংসদ বিরোধী সেই তথাকথিত নেতাদের। 

এক দল দুই বিধানের তালিকায় এখন ব্যারাকপুর। প্রকাশ্যে ঘোষনা চলছে দুহাজার একুশের আগে দলে আসারাই নাকি অরিজিনাল তৃণমূল। তাই আক্রমণের লক্ষ্য যে অর্জুন সেকথা বুঝতে কারো অসুবিধার নয়। 

কিন্তু মুশকিল যারা মিটিং-মিছিলে বিজেপির সাংসদ বলে অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে ফাটিয়ে বলছেন তাদের নেতাটি আবার মেঘনাদ। সূত্রের দাবি, তিনি মৃদু হাসছেন। তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন। এটাই নাকি তাঁর কৌশল রাজনীতি। কানারা পথ হারাচ্ছেন।
 
এই শিল্পাঞ্চলে জোড়াফুল এখন দুটি ভাগে বিভক্ত। আদি বনাম নব্য। ফলে ব্যারাকপুর সংসদীয় কেন্দ্রে ঝগড়া লেগেই রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে শাসকের অস্বস্তি বাড়ছে। 

অর্জুনকে কিছুতেই প্রার্থী করা চলবে না এই দাবিতে নেতৃত্বের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলছেন দুই বিধায়ক। যদিও মাঝে মধ্যে তাল কাটছেন তাদের এক মেন্টর। সেটা আবার স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কটাক্ষ ছুড়ে দিচ্ছেন দলের কর্মীরা। 

এহেন ব্যারাকপুর-১ ব্লকের তৃণমূল নেতা রানা দাশগুপ্ত সোমবার সামাজিক মাধ্যমে সাংসদের সঙ্গে মন্ত্রীর রাস্তা উদ্বোধনের ছবি পোস্ট করে অনেক কর্মীর মনের কথা লিখেদিয়েছেন। 

রানা দাশগুপ্ত লিখেছেন, 'কর্মীদের বোকা বানিয়ে তলায় তলায় সব সেটিং আর কর্মীরা এম পি'র সাথে সম্পর্ক রাখলে তাদের করা হয় থ্রেটিং। এই চালাকি আর কতদিন চলবে'। আবার সত্যজিৎ রায়ের গুপি গাইন বাঘা বাইন ছবির গানের লাইন জুড়ে ওই তৃণমূল নেতা ঠুকেছেন, ও মন্ত্রী মশাই ষড়যন্ত্রী মশাই থেমে থাক।

Thursday, February 29, 2024

চোঙ বেজে চলেছে মুচকি হাসছে অর্জুন


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ধরা পরলেও তৃণমূল দল অনেকটাই ব্যাকফুটে। এই মুহূর্তে ড্যামেজ কি করে মেরামতি হবে সেই নিয়ে চিন্তায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এভাবে দলের মুখ পোড়ায় নেত্রীর নজরে বেশকিছু নেতা। 

পাশাপাশি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলেও দলের বিশৃঙ্খলা বাড়ছে। কি না ব্যারাকপুর কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিংকে উদ্দেশ্য করে ক্রমাগত আক্রমণ করে যাচ্ছেন দলের দুই বিধায়ক। 

সূত্রের দাবি, তাঁরা সাংসদকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। অথচ অর্জুন সিংকে দলে নিয়ে এসেছেন স্বয়ং সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বিধায়ক বলছেন, 'বাঘ মফঃস্বলে কি করে থাকে। খাচায় পুরে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে'। অপর বিধায়কতো মাথা নিচু করে অর্জুন দলে ঢুকেছেন এই কাটা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন। 
অনেকটা মাইকের চোঙ হিসেবে ওই দুই বিধায়ক নিজেদের বিধানসভার দুই প্রান্তে চোঙা ফুঁকে চলেছেন। যদিও এঁদের কোনো কথার পাত্তা দিচ্ছেন না অর্জুন সিং। বরং মুচকি হাসছেন।

প্রথমে 'নৈহাটীর এক ওষুধের দোকান থেকে ইঞ্জেকশন নিয়ে পোল্ট্রি মুরগী চেঁচাচ্ছে' এই ধরনের টিপ্পনিতে তোলপাড় করে দিয়েছিলেন সাংসদ। পরে তিনি দলের অনুশাসন মেনে চুপ করে গেছেন। 

কিন্তু সাংসদ অনুগামীদের কথায়, দুটি চোঙ বেজেই চলেছে। ব্যারাকপুরের দিকে দিকে  পুরনো তৃণমূল কর্মীরা তাই কটাক্ষ করে বলছেন, দল অর্জুন সিংকে লোকসভায় প্রার্থী করলে দেখবেন চোঙ আছে, পেছনের তার উধাও।

Saturday, February 24, 2024

'ওস্তাদের মার শেষ রাতে' বলছে ব্যারাকপুরের আদি তৃণমূল সৈনিকরা

বিল্টু কাশ্যপঃ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। সূত্র বলছে, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভবনা প্রবল। ডান-বাম-গেরুয়া কোনও দলই তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। যদিও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে সব দলই ময়দানে নেমে পড়েছে। 

এবারের নির্বাচনে সকলের নজর ব্যারাকপুর কেন্দ্রের দিকে। ২০১৯ সালে মাত্র ২৮ দিনে  একদা জয়েন্ট কিলার 'দীনেশ ত্রিবেদী'কে পরাস্ত করেছিলেন ভূমিপুত্র অর্জুন। যদিও এবার তিনি শাসকদলে আছেন। ব্যারাকপুর ও বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কিছু হোডিং চোখে পড়ছে। তাতে লেখা এবার ব্যারাকপুরে জনতার রাজ'। 

যদিও এই হোডিং ঘিরে জল্পনা ছড়ালেও শাসকদলের কেউ মুখ খুলতে চায়নি। রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, রাজ চলচ্চিত্র পরিচালক হলেও রাজনীতির আঙিনায় নবাগত। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মানচিত্র তাঁর কাছে অজানা। তাছাড়া এবারে কঠিন নির্বাচন। তেড়েফুঁড়ে লেগেছে বঙ্গ বিজেপি। 

সন্দেশখালি কাণ্ডে মুখ পুড়েছে শাসকদলের। এমত অবস্থায় রাজের পক্ষে লড়াই কঠিন মনে করছেন নিচুতলার কর্মীরা। যদিও ঘাসফুলের আদি নেতারা চাইছেন, দুর্দিনে বুক চিতিয়ে লড়াই করা অর্জুন একদম ফিটেস্ট। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র তাঁর হাতের তালুর মতন চেনা। তাঁর ব্যক্তিগত পরিচিতি অগাধ। ভোট যুদ্ধের কৌশলে ভীষন পটু। 

সূত্র বলছে, বিরোধী শিবির নানা কৌশলে অর্জুনকে আটকাতে মরিয়া প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। জনতার রাজ দাবি করে কখনও পোস্টার কিংবা হোডিংয়ে। আবার কখনও বাজারে কারও নাম ভাসিয়ে দলীয় কর্মীদের বিভ্রান্ত করার খেলায় মেতেছেন। যদিও সেসব পাত্তা দিতে নারাজ সাংসদ অনুগামীরা। 

প্রচলিত প্রবাদবাক্য 'ওস্তাদের মার শেষ রাতে' স্মরণ করাতে চাইছেন সাংসদ অনুগামীরা। উক্ত প্রবাদ বাক্যের  অর্থ, একজন পারদর্শী ব্যক্তি শেষ মুহূর্তে তার দক্ষতার পরিচয় দেন।

সূত্র বলছে, এবারে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তের ক্ষেত্রে প্রখর দৃষ্টি রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেক্ষেত্রে লড়াকু ইমেজের প্রার্থীকেই তিনি এবার প্রাধান্য দিতে চান। সূত্র বলছে, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের গোড়ায় ঘাসফুলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনা প্রবল।

Monday, January 8, 2024

বিজেপির প্রার্থী কি দীনেশ জোর জল্পনা ব্যারাকপুরে

বিল্টু কাশ্যপঃ প্রায় দু'বছর রাজনীতি থেকে নিজেকে অন্তরালে রাখলেও লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের ময়দানে প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদী। রবিবার আচমকা নৈহাটির বড়মা মন্দিরে পুজো দিতে দেখা গেল ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদকে। যদিও মন্দিরের কাছেপিঠে দেখা যায়নি গেরুয়া শিবিরের বড়সড় নেতৃত্বকে। 

 বিকেলে শিউলি পঞ্চায়েতের গণেশপুরে শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরে অন্নকূট উৎসবের মঞ্চে বিজেপির জেলা সভাপতির পাশে দেখা গিয়েছে এই প্রাক্তন সাংসদকে। খোলস থেকে বেরিয়ে ফের ব্যারাকপুর কেন্দ্রে জনসংযোগ করতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে দীনেশ বাবুকে নিয়ে। 

যদিও ভোটে ফের লড়ছেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা কিন্তু জিইয়ে রেখেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলার প্রাক্তন এক জেলা সম্পাদক এবার কমিটিতে জায়গা পায়নি। ফলে বর্তমান জেলা সভাপতির সঙ্গে তাঁর কাজিয়া তুঙ্গে। 

সূত্র বলছে, বর্তমান জেলা সভাপতির গোষ্ঠীকে চাপে রাখতেই সুকৌশলে দীনেশ ত্রিবেদীকে ময়দানে নামাচ্ছেন বিরোধী গোষ্ঠী। শুধু তাই নয় শাসকদলের 'এক্সিডেন্টাল'-সহ একাংশ বিজেপির ক্ষমতাহীন গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে মনেপ্রাণে দীনেশ ত্রিবেদীকে প্রার্থী হিসেবে চাইছে। 

সূত্র জানাচ্ছে, শ্রমিক মহল্লার জনতা দীনেশ বাবুর ওপর খুশি নন। কেননা বহু বছর ধরে বন্ধ থাকা গৌরীপুর জুটমিল কিংবা পেপার মিলের চাবি তাঁর কাছে আছে বলে ২০০৯ সালে ভোট বৈতরনী তিনি পেরিয়েছিলেন। 

পরবর্তীতে রুগ্ন নৈহাটি-গৌরীপুর শিল্পতালুক-সহ এই কেন্দ্রের অন্যান্য শিল্পতালু চাঙ্গা করার আশ্বাস দিয়ে ২০১৬ সালের নির্বাচনেও জিতেছিলেন। কিন্তু ২০১৯ এর নির্বাচনে বাহুবলী অর্জুন সিংয়ের কাছে তিনি পরাস্ত হলেন। সেবারও তিনি শাসকদলের প্রার্থী ছিলেন। 

দলের একাংশের মতে, শাসকদলের প্রার্থী হয়েও উনি অর্জুন সিং-কে হারাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তৎকালীন সময়ে শাসকদলের বাঘা বাঘা নেতারা ওনার সঙ্গে ছিলেন। এখন ওনাকে শাসকদলের একাংশ পিছন থেকে মদত জোগাচ্ছে। 

তবুও লড়াই ভীষণ কঠিন। ব্যারাকপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্রের নামও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। কিন্তু ২০১৬ কিংবা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নৈহাটি কেন্দ্রে সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি গেরুয়া শিবিরের এই নেত্রী। তবুও আন্দোলনের মুখ হিসেবে অনেকেই ফাল্গুনী দেবীকেও প্রার্থী   হিসেবে চাইছেন। 

তবে প্রার্থী হিসেবে জোর চর্চা চলছে যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক উত্তম অধিকারীর নাম। লড়াকু ইমেজের না হলেও, ব্যক্তিগত ইমেজ বেশ ভালো উত্তমের। তিনি আবার কলেজের অধ্যাপকও বটে। বেশ কিছুদিন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের দক্ষিণপ্রান্তের সম্পাদকও ছিলেন। 

একটা সময় হিন্দু জাগরণ মঞ্চে থাকার সুবাদে আরএসএস সংগঠনের সঙ্গে উত্তম অধিকারীর যোগাযোগ রয়েছে। অধ্যাপক হবার কারনে জেলা সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাও রয়েছে। স্বভাবতই  তরুণ ব্রিগেডের উত্তমকেও প্রার্থী হিসেবে চাইছেন দলের একাংশ। 

সবমিলিয়ে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হবার ক্ষেত্রে তালিকা ক্রমশঃ বাড়ছে। ব্যারাকপুর কেন্দ্রে গেরুয়া মুকুট অবশেষে কার মাথায় ওঠে, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন।